আরেক রকম ● নবম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা ● ১-১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ● ১৬-৩০ মাঘ, ১৪২৭
প্রবন্ধ
সিঙ্ঘু সীমান্তের অভিজ্ঞতা
পিন্টু তালুকদার
একটানা দু’মাস ধরে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। দিল্লির লাগোয়া হরিয়ানা এব়ং উত্তর প্রদেশের কয়েকটি সীমান্ত অঞ্চলে এই আন্দোলন ব্যাপক রূপ নিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও কয়েক লক্ষ কৃষক সীমান্ত এলাকায় অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিজের চোখে এই অবস্থান আন্দোলন দেখার ইচ্ছে ছিল। অবশেষে এসে গেল সেইদিন, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১। সকাল থেকে দিল্লিতে ঘন কুয়াশা, সাথে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। ভাইপো এবং এক ভ্রাতৃসম বন্ধুকে সঙ্গী করে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের সিঙ্ঘু-র দিকে রওনা দিলাম। আমার বাড়ি থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। বাড়ি থেকে প্রায় ঘন্টাখানেক গাড়ি চালিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ সিঙ্ঘু সীমান্তে পৌঁছনো গেল। এক নম্বর রাষ্ট্রীয় সড়কের (যাকে জি টি কার্নাল রোডও বলে) দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে অবস্থিত টোল গেটের বেশ কিছুটা আগেই রাস্তা বন্ধ। গাড়িটা কোথায় পার্কিং করব এই নিয়ে চিন্তা করতেই হঠাৎ চোখে পড়ল, কয়েকটি যুবক গাড়়ি পার্কিং করার জন্য ডাকাডাকি করছে। কথাবার্তা বলে ধারণা হল ওরা আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। আন্দোলন দেখতে যাওয়া অনেকের গাড়িও সেখানে পার্কিং করা আছে দেখে আশ্বস্ত হলাম গাড়ি নিরাপদে রাখা যাবে। ৫০ টাকা দিয়ে গাড়িটি সেখানে রেখে ওখান থেকে শুরু হল পায়ে পায়ে পথ চলা।
প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে লাগাতার আন্দোলনরত কৃষকদের অবস্থা দেখতে গিয়ে প্রথমেই নজরে এল লাইন করে রাখা অস্থায়ী শৌচালয়। কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের সুবিধার্থে দিল্লি সরকারের উদ্যোগে এই সুবিধা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে সীমান্তে উপস্থিত হওয়া গেল।
এক নম্বর জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ। গাড়ি আসা যাওয়া যাতে করতে না পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন মূল পথটিকে গভীর করে কেটে দিয়েছে। দেখে তাজ্জব লাগল কী করে জনসাধারণের করের টাকা দিয়ে বানানো রাষ্ট্রীয় পথ আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার নামে এভাবে নষ্ট করতে পারে। সর্বোপরি জাতীয় সড়কের ক্ষতিসাধন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সেখানে মোতায়েন দিল্লি পুলিশের এবং র্যাফের কিছু জওয়ান সীমান্ত ব্যারিকেড করে রেখেছে। পাশে একটা সরু খোলা জায়গা ছিল, সেখানে দিয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে। আমরাও সেই সরু রাস্তা দিয়ে সীমান্তের ওপারে ঢুকে পড়লাম। দেখতে পেলাম বাঁদিকে অজস্র দোকানঘর কিন্তু গুটিকয় পান, চা এবং ফলের রসের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান প্রায় বন্ধ।
এবার ধীরে ধীরে মূল আন্দোলনের জায়গার দিকে এগিয়ে গেলাম। প্রথমেই দেখলাম কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির একটি মঞ্চ। সেখানে বেশ কয়েকজন শিখ সম্প্রদায়ের নেতা মঞ্চ থেকে পাঞ্জাবি ভাষায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। শ্রোতা নেই বললেই চলে। তখনও কি জানতাম ২৬শে জানুয়ারির প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র্যালিকে হেনস্থা করার জন্য এরা এখানে ডেরা বেঁধেছে!
তারপর এল একটা আস্তাবল। সেখানে কয়েকটি ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে। এই ঘোড়াগুলি জাঠেদাররা ব্যবহার করেন। দুই-একজন জাঠেদার ঘোড়ার পিঠে চড়ে হাতে শিখ সম্প্রদায়ের পতাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। সেই আস্তাবল পেরোতে না পেরোতেই আবার কিছু গর্ত। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে লাইন করে রাখা অসংখ্য ট্র্যাক্টর এবং ট্রলি। বুঝতে পারলাম কৃষক আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা সর্বভারতীয় কিষান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি (AIKSCC)-র আসল কার্যসূচী এখান থেকেই শুরু হয়েছে। ট্রলিগুলোতে কৃষকরা বোঝাই করে নিয়ে এসেছেন যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী। দীর্ঘ আন্দোলনের আশঙ্কা করে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন ওঁরা। রান্না করার সুব্যবস্থা করে নিয়েছেন কৃষকরা। বানানো হয়েছে রান্নাঘরের সাথে গুদামঘর আর লঙ্গরখানা। প্রায় ৫০ মিটার অন্তর একেকটা লঙ্গরখানা। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা কৃষকদের সাথে আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতে যাওয়া দেশের বিভিন্ন অংশের প্রচুর লোকজনকেও অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে প্রতিদিন এই লঙ্গরগুলোতে খাওয়ানো হচ্ছে। লঙ্গরখানাগুলো চালানোর জন্য মিনি ট্রাক বোঝাই করে আনা হয়েছে জ্বালানি কাঠ, বিভিন্ন রকমের সবজি। সদ্য আসা সামগ্রী ট্রাক থেকে নামানোর জন্য বয়স্ক পুরুষ, মহিলা, কিশোর, শিশু সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্রাম করার জন্য খালি ট্রলিগুলো আন্দোলনকারীরা ব্যবহার করছেন। সেখানেই রাতের বিশ্রাম। সবাইকে ট্রলিগুলোতে ঘুমোনোর ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়নি। অনেকেই এই প্রচণ্ড শীতেও ট্রলির নিচে রাস্তার ওপরেই ঘুমিয়ে পড়ছেন। অনেক অস্থায়ী তাঁবুও দেখলাম। সেগুলোতেও খোলা আকাশের নিচে এত কনকনে ঠান্ডায় দিন রাত কাটাতে হচ্ছে।
মন খারাপ করা দৃশ্য। বয়স্ক কৃষকদের দেখলাম কি কষ্টে দিনের পর দিন আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তবে ওনাদের মুখে কোনোরূপ হতাশা এবং কষ্টের ছাপ দেখলাম না। যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ওনারা সমস্ত কিছু ত্যাগ স্বীকার করে এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন তা দেখে মনে হল এই অত্যাচারী শাসনের অবসান সমাগত এবং কৃষকরা হকের এই লড়াইতে জিতবেই। প্রচুর সংখ্যক মহিলাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে ওনারা আন্দোলনে অংশ নিতে এসেছেন। লক্ষ্য করলাম অনেক শিশু এব়ং কিশোর-কিশোরীও বাবা মা ঠাকুরদার সাথে সেখানে আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছে। বোঝাই যাচ্ছে যে ওরা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। ওরাও বুঝতে পারছে যে এই সর্বনাশা কৃষি আইনগুলো তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেবে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সাথে সাথে ওরা সেই কষ্টের মাঝেই নিয়মিত পড়াশোনা করে যাচ্ছে। অধ্যয়ন এবং সংগ্রামের এক জীবন্ত রূপ দেখতে পেলাম।
সেখানে রয়েছে অসংখ্য ওষুধের বুথ। সেই বুথগুলোতে নিযুক্ত রয়েছেন অনেক ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা সহায়ক। ওঁরা স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে বিনামূল্যে যাবতীয় ঔষধ দিয়ে সাহায্য করেছেন অসুস্থ কৃষকদেরকে। একটি ২৪×৭ আপাৎকালীন চিকিৎসালয় দেখলাম। কয়েকটি শয্যা যুক্ত এই চিকিৎসালয়ে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বেশ কিছু টেষ্ট করানোরও সুবিধা রয়েছে। একটি তাঁবুতে দেখলাম হাঁটু কিম্বা দেহের অন্যান্য অঙ্গের ব্যাথা উপশম করার জন্য নানানরকমের তেল দিয়ে বিনামূল্যে মালিশ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক বয়স্ক কৃষককে দেখলাম এই মালিশ নিতে। এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এগিয়ে যেতে যেতে সামনে এল, একটি প্রশস্ত মঞ্চ এবং বিশাল টেন্ট। এটাই মুল মঞ্চ। মঞ্চের সামনে অনেকটা জায়গা জুড়ে দর্শকদের বসার জন্য কার্পেট পেতে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চে কৃষক নেতারা একের পর এক বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন আর সকলে ওনাদের জ্বালাময়ী এবং উদ্দীপ্ত ভাষণ মনযোগ দিয়ে শুনছেন। আমারাও কিছুক্ষণ বক্তৃতা শুনে এগিয়ে গেলাম।
নজরে এল কিছুটা দূরে দূরে কাপড় কাচার জন্য ওয়াশিং মেশিন বসানো হয়েছে। এক এক জায়গায় তিন-চারটে মেশিন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা আন্দোলনে অংশ নেওয়া কৃষকদের কাপড়গুলো ক্রমাগত কেচে চলেছে। বিশুদ্ধ খাবার জলের জন্য বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক RO মেশিন। মাঝে কিছু জায়গায় অস্থায়ী জন-সুবিধাও দেখা গেল।
আর একটু এগিয়ে গিয়ে একটা লঙ্গরে আমরা খাবার খেলাম। গরম গরম রুটি, সবজি, আচার এবং সুস্বাদু আর সুগন্ধী খিচুড়ি। অত্যন্ত আগ্রহের সাথে আমরা সেই লঙ্গরে খাবার খেলাম।
আরও এগিয়ে গিয়ে চোখে পড়ল একটি বইয়ের স্টল/লাইব্রেরী। অন্যান্য বইয়ের সাথে নানান প্রগতিশীল বইও দেখলাম। সেখানে বই পড়তে উৎসাহিত করার জন্য বই বিনামূল্যে ভাড়ায় দেওয়া হয়। পড়ে আবার ফেরত দিতে হয়। এতে বই পড়ার এক অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টাও চলছে। এখান থেকেই নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক 'ট্রলি টাইমস্' পত্রিকা। এটা নিতান্তই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
দেখতে পেলাম মোবাইল ফোনের সিম বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের চার্জ দেওয়ার জন্যে কয়েকটি জায়গায় ব্যবস্থা আছে। বেশিরভাগই সৌরশক্তি চালিত প্যানেলের মাধ্যমে চালু আছে। কাপড় কাচা আর কাপড় ইস্ত্রি করার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও সৌরশক্তি প্যানেলের মাধ্যমেই করা হয়েছে।
সমস্ত অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন রং-বেরঙের পোস্টার এবং ফ্লেক্স। এই পোস্টারের মাধ্যমে আন্দোলনের বিভিন্ন দাবিদাওয়া, আন্দোলনের উদ্দেশ্য প্রচার করা হচ্ছে। বিভিন্ন কার্টুন এঁকে বানানো পোস্টার, ফ্লেক্স লোককে যথেষ্ট আকর্ষণ করেছে। এই ঐতিহাসিক আন্দোলনকে বদনাম করার জন্য অহর্নিশ ভিত্তিহীন খবর নির্লজ্জ ভাবে প্রচার করে দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রকে কঠোর সমালোচনা করে বানানো বড়ো বড়ো ফ্লেক্সগুলো যথেষ্ট মজার এবং আকর্ষণীয়। ইলেকট্রনিক মাধ্যমের গোদি চ্যানেলগুলোর মুখ্য সাংবাদিকদের সাবধান করে প্রস্তুত করা সেকরম একটা ফ্লেক্স ইদানিং খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
মেলা সদৃশ এই ভিড়ের মধ্যেই দেখলাম কৃষকদের স্লোগান মুখরিত ছোট ছোট আকর্ষনীয় মিছিল ঘোরাঘুরি করেছে। সিঙ্ঘু সীমান্তের এই আন্দোলন প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার ব্যাপী প্রসারিত। কাজেই এক প্রান্ত থেকে এক প্রান্ত আসা যাওয়ার সুবিধার্থে ই-রিক্সার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে, বয়স্ক এবং মহিলাদের বিশেষ সুবিধা হয়েছে। গোটা অঞ্চল দেখে একবারও মনে হল না যে আমরা রাষ্ট্রীয় পথে হেঁটে যাচ্ছি। সমস্ত অঞ্চলটাই কৃষকদের বানানো গ্রাম মনে হচ্ছিল।
একটি বড়ো টেন্ট থেকে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচবার জন্য গরিব কৃষকদের শাল, জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল প্রভৃতি গরম কাপড় বিলি করা হচ্ছে। পাশপাশি চলছে ২৬ জানুয়ারির প্রস্তাবিত কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির জন্য ফ্লেক্স, পতাকা দিয়ে ট্র্যাক্টরগুলোকে সুসজ্জিত করে তোলার কাজ।
ফিরে আসতে ইচ্ছে করছিল না। তবুও প্রায় ঘন্টা তিনেক ধরে অবস্থান আন্দোলনের এদিক সেদিক ঘুরে জীবনের জন্য সংগ্রামের অন্য এক অভিজ্ঞতা মনে গেঁথে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হল। কৃষকদের এই ঐতিহাসিক প্রাণবন্ত আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে নিজের চোখে না দেখলে হয়তো অনেক কিছুই জানা হত না।
ফেরার পথে দেখি, সীমান্তের পাশে দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর উদ্যানে কিষাণ সংসদ চলছে। সংসদে জবরদস্তিতে পাস করানো তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চলছে। মেধা পাটকর, প্রশান্ত ভূষণ, পি সাইনাথ প্রমুখ বিশিষ্ট সমাজকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ভাষণ দিচ্ছেন। উপস্থিত রয়েছেন উচ্চতম ন্যায়ালয়ের প্রাক্তন বিচারপতি গোপাল গৌড়া এবং কৈলাস পাতিল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। কিষাণ সংসদের দর্শকাসনে কৃষক ছাড়াও রয়েছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।
এক বিরল অভিজ্ঞতা এবং বুকে প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। এই শান্তিপূর্ণ সঙ্ঘবদ্ধ কৃষক আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে দেশের কৃষকদের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিন্ত করলে সরকারের সম্মানহানি হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ আশা করে জনগণের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার এই কৃষক তথা জনবিরোধী এই তিনটি কৃষক আইন অবিলম্বে বাতিল করবে।