আরেক রকম ● নবম বর্ষ বিংশ সংখ্যা ● ১৬-৩১ অক্টোবর, ২০২১ ● ১-১৫ কার্তিক, ১৪২৮

প্রবন্ধ

সাংবাদিকতায় নোবেল ২০২১

শুভময় মৈত্র


নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন দুই সাংবাদিক। এ খবর যাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আছেন তাঁদের আপাতভাবে খুশি করবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া কাগজে সম্পাদকের বিপদ বাড়ল। নবীন বা শিক্ষানবিশ সাংবাদিকেরা যদি নিরপেক্ষ খবর যোগান দিতে শুরু করেন, তখন দৈনিক সংবাদপত্রে ছাপার মত অক্ষর জোগাড় করাই মুশকিল হয়ে যাবে। আর সেগুলো ছাপলে বিজ্ঞাপনের ধর্মতলায় কর্মখালি। কারণ একই পাতায় শাসকের বিজ্ঞাপনী মুখমণ্ডল বনাম বাস্তব কার্যকলাপের স্থান সঙ্কুলান হয় না। বিষয়টা দ্বান্দ্বিক। প্রধানমন্ত্রী বনাম দার্জিলিং-এর চা, অথবা মুখ্যমন্ত্রী বনাম জীবনানন্দের কবিতার মত। তাই নিরপেক্ষতা সংজ্ঞায়িত হয় পক্ষপাতিত্বের প্রেক্ষিতে। আকাশপাতা বলছে মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতভ-এর নোবেল পাওয়ার একটা বড় কারণ নিরপেক্ষ মত এবং সংবাদ পরিবেশন। তাই এই আলোচনায় শুরুতেই মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে এবারের নোবেল যাঁরা পেয়েছেন, কয়েকটি সংজ্ঞা অনুসরণে তাঁরা আদৌ নিরপেক্ষ নন। ফলে নোবেল কমিটির আকাশপত্রী শংসাপত্রে ফ্রি এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলে নিরপেক্ষতার যে প্রেক্ষিত তৈরি করা হয়েছে তাতে আঙ্কিক সমস্যা যথেষ্ট। সেই নিরপেক্ষতার দ্বন্দ্ব দিয়েই এই লেখা।

আসলে সমাজবিজ্ঞানে আঙ্কিক প্রমাণ বেশ শক্ত। অসম্ভব হয়ত নয়, কিন্তু বিজ্ঞানসম্মতভাবে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যা। এর কারণ একটি বড় ঘটনা অনেক ছোট ছোট ঘটনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। খুব বিরক্ত হবেন জানি, তবু আরও একটু অঙ্কের কথা বলে নেওয়া যাক। ধরা যাক লখিমপুর খেড়ির ধারাবৃত্তান্ত। কি হয়েছিল তার একটা সামগ্রিক ধারণা আমাদের সকলেরই আছে। সঙ্গে এটাও সত্যি যে বিজেপি সমর্থক হলে আপনি একরকম ভাববেন, তৃণমূল হলে অন্যরকম, কিংবা তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম কোনো ভাবনায় ভেসে থাকলে আরেকরকম। আচ্ছা গাড়ির চালক কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন? গাড়ির ভেতরে বিজেপি নেতার পুত্র বসে ছিলেন কি? সেই নেতার পুত্রবধূ কি সুমন-গান বর্ণিত সালমা খাতুন? তারা কি মানুষ মারতে এসেছিলেন নাকি ভয় দেখাতে? দুর্ঘটনা ঘটার পর মন্ত্রীপুত্র সঙ্গে সঙ্গে পালিয়েছিলেন, নাকি কিছুক্ষণ কোথাও লুকিয়ে বসে ছিলেন? এইভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ কিংবা না হয়, তাহলে পাঁচটি প্রশ্নের যে কোনো সম্ভাব্য উত্তরমালার জন্যে দুই-কে নিজের সঙ্গে গুণ করতে হবে পাঁচবার, উত্তর বত্রিশ। চটজলদি মনে হবে এ আর এমন কি? সাড়ে বত্রিশ ভাজার থেকে তো কম! কিন্তু অঙ্ক অত সহজ নয়। এরকম একটা ঘটনায় পুলিশ যদি একশোটা বিষয়কে শুধুমাত্র হ্যাঁ-না দিয়েও বর্ণনা করতে চায়, তার বিভিন্ন বিকল্প হবে একশো খানা দুইয়ের গুণফল। এই প্রতিটি বিকল্পকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা পৃথিবীর সবকটি কম্পিউটার একসঙ্গে চালালেও কয়েকশো বছরে শেষ হবে না। সুতরাং সমাজবিজ্ঞানে আদতে বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেটা বোঝা শক্ত, এবং সম্ভাবনার দিক থেকে ভাবলে ন্যায়বিচার খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও বিচারের সততা এবং সংবাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে চর্চা চালু থাকবে। গোটা বিষয় যতটা না আঙ্কিকভাবে বিশ্লেষিত, তার থেকে অনেক গুণে উপলব্ধির। তাই বুল সাহেবের অঙ্কে যা বুলিয়ান, তার সূত্র ধরে ন্যায়বিচার রূপায়ণে বলীয়ান হওয়ার কল্পনা আকাশকুসুম।

যেমনটা আলোচনা হচ্ছে, তাতে নিরপেক্ষতার আঙ্কিক সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া অলীক। তবে আসন্ন মানে কোনো একটি বিষয়কে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখার মধ্যে একধরনের নিরপেক্ষতা থাকে। মারিয়ার নোবেল পাওয়াকেও বিশ্লেষণ করা যেতে পারে বিভিন্ন কোণ থেকে। সকলেই জানেন যে ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি রড্রিগো দুতার্তে বেশ কড়া শাসক। তাঁর সঙ্গে মারিয়ার দ্বন্দ্ব আজকের নয়। ফলে মারিয়ার এই নোবেল প্রাইজ অবশ্যই দুতার্তেকে আলগা ধমক বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের খুচরো ধমক চিনকেও একাধিকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছে পশ্চিমী দুনিয়া। উন্নত প্রথম বিশ্বের প্রতিনিধি হিসেবে পশ্চিম বা উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বেশ শক্তিশালী। এইসব রাষ্ট্রে সততাও অনেক ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত। নেতা মাত্রেই দুর্নীতি, দুধ মাত্রেই জল মেশানো, কাজ মানেই ফাঁকি, পরীক্ষা মানেই টোকার চেষ্টা, এমনটা নয়। তবে অন্যান্য দেশের গণতন্ত্র নির্ধারণে তাদের দাদাগিরি নিয়ে সমস্যাও অস্বীকার করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে চিনের কথা উঠবেই, কারণ সেখানে অন্য দেশের দাদাগিরির চেষ্টা যথেষ্ট, কিন্তু ফল অমীমাংসিত। একটি সহজ উদাহরণ বলে, বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে কমিউনিস্ট পার্টির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে মুখ খুলেছেন লিউ শিয়াওবো। শান্তিতে নোবেল ২০১০ সালে, অসুস্থ হয়ে চিরশান্তি তার বছর সাতেক পরে। মোটের ওপর জনগণের যা উপলব্ধি, নোবেল প্রতিবাদে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং চিনে ভাবনায় বাঁধন এখনও যথেষ্ট। কিন্তু অন্যদিকে সে দেশ বেশ কয়েকটি বিষয়ে গোটা বিশ্বের মধ্যে এগিয়ে। তার মধ্যে খেলাধুলো, পড়াশুনো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য এই তিনটিই আছে। তাহলে দেশটাকে কি বলবেন? ভালো না মন্দ? আর এই বলার মাধ্যমে আপনি নিজের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করবেন কীভাবে? সমাজবিজ্ঞানের এই অসম্পূর্ণতা তাই মানতেই হবে।

মোটের ওপর গোদা অঙ্ক এমনটা হতেই পারে যে আপনি বিষয়ের ভিত্তিতে কয়েকবার নিন্দা করবেন আর কয়েকবার প্রশংসা। সহজে নিরপেক্ষতা প্রমাণের এটি একটি উপায়। কিন্তু সেই হিসেবেও মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি যে মারিয়ার নিরপেক্ষতা একেবারেই নিরপেক্ষ নয়, বরং তা ফিলিপিন্সের বর্তমান শাসকের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে আছে ড্রাগ মাফিয়া এবং ফিলিপিন্সের সরকারের মধ্যে যে সমীকরণ তাতে সমদূরত্ব বজায় রেখে একটি চলরাশি হওয়ার চেষ্টা। দুতার্তের মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইতে রাষ্ট্রের হাতে কোতল হয়েছেন কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ। খুব স্বাভাবিক নিয়মেই এর মধ্যে নির্দোষ মানুষের প্রাণ গেছে। আবার ড্রাগ মাফিয়া এবং শাসকের গলাগলিতে নিশ্চয় ফাঁক গলে ফসকে গেছেন বহু দোষী। এই জায়গাতেই সম্ভবত মারিয়ার লড়াই। সম্ভবত লিখলাম এই কারণে, যে সত্যি কি ঘটছে সে কথা আমি আপনি জানি না, আর জানা সম্ভবও নয়। তবে খুব গভীরে না গেলে চটজলদি বলা যেতেই পারে যে সত্যের উদ্ঘাটনে মারিয়া এক দশকের বেশি সময় ধরেই ফিলিপিন্সের নবীন সাংবাদিকদের কাছে এক উজ্জ্বল আদর্শ।

রাশিয়া থেকে নোবেলের ভাগ পেয়েছেন মুরাতভ। তবে তাতে শান্তি নেই। পুতিন সাহেব জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন যে নোবেল দিয়ে খুব কাজ হবে না, দেশের আইন মানতে হবে। নাহলেই 'বিদেশের চর' বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে মুরাতভকে। গল্প সেই একই, সমর্থনে দেশপ্রেমিক, বিরোধিতায় দেশদ্রোহী। তদন্তের গভীরে গিয়ে কাজ করছেন মুরাতভ। পুতিনের অবশ্য ঢাকঢাক-গুরগুর কম। দেশের মধ্যে বিরোধী দেখলেই চমকানোর শিল্পে তিনি অনন্য। মুরাতভ আবার গণতন্ত্রের পক্ষে। বিভিন্ন সরকারি গোলমাল ফাঁস করেন তিনি। এই নিয়েই লড়াই। এখন প্রশ্ন হল দেশের আইন কে নির্ধারণ করবে, এবং তার ব্যাখ্যা কে দেবে? অবশ্যই যার হাতে ক্ষমতা তার জোর বেশি। তাই পুতিন বিরোধী গণতন্ত্রকামী যে মানুষগুলি মুরাতভকে নোবেল দিচ্ছেন তাঁদের ওপর পুতিনের প্রভাব কম। কিন্তু দেশের মধ্যে থেকে সেই নোবেল হজম করা এবং ধারাবাহিকভাবে পুতিনের বিরোধিতা করা অবশ্যই শক্ত কাজ। সেখানেই মুরাতভের সাফল্য। অর্থাৎ নিরপেক্ষতা নয়, এখানে পুতিন বিরোধী পক্ষপাতিত্বই সততার মাপকাঠি। অর্থাৎ যদি শ্রেণিতে বিভক্ত করার প্রশ্ন আসে, তাহলে পুতিন কিংবা দুতার্তে এক বাক্সে, আর অন্য বাক্সে মারিয়া কিংবা মুরাতভ। একদিক রাষ্ট্রীয় শক্তিতে বলীয়ান, অন্যদিক জনমত নির্ধারণে। শাসকের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা আর নামজাদা সাংবাদিকের কলমে বিরোধিতার অক্ষর। এই দ্বন্দ্বকে নিরপেক্ষতা দিয়ে বিচার না করাই ভালো।

যেহেতু গোটা আলোচনা সাংবাদিকতা নিয়ে, তাই সংবাদ প্রসঙ্গে আসতেই হচ্ছে। যা ঘটে তার নিরপেক্ষ বর্ণণা সাংবাদিকতার সংজ্ঞা বিশেষ। এবার আসা যাক সেই সংবাদের মূল্যে। লখিমপুরের ঘটনায় মৃত সাংবাদিক রমণ কাশ্যপের কথায় আসতে হবে। একটি খবরে দেখলাম টেলিভিশন চ্যানেলে ফোনে সরাসরি তাঁর বক্তব্য সম্প্রচারিত হলে তিনি পেতেন তিনশো টাকা, আর তাঁর সংগৃহীত কোন ছবি এবং খবর প্রচারিত হলে তা বেড়ে দাঁড়াত পাঁচশোতে। এই হিসেবে সম্পূর্ণ সঠিক না হলেও একটা আভাস দেয় যে একজন সাধারণ সাংবাদিক কি ধরনের অর্থ উপার্জন করেন। এটা যে সংবাদের দামের সঙ্গে সম্পর্কিত সেই পাটিগণিতে কোন ভুল নেই। আবার গোটা একটা সংবাদমাধ্যম যে চালু থাকে, সেখানে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত বহু মানুষ। মূল যে কাঁচামাল খবর, তার দাম অবশ্যই একটা আছে। কিন্তু তার ব্যাখ্যার মূল্য অনেক বেশি। সেই ব্যাখ্যা সরকারের পক্ষে হোক, বা বিরুদ্ধে, খবরের ওপর ব্যাখ্যার প্রলেপ অর্থের অঙ্ককে জোরদার করে। তাই যেভাবে চাষির ক্ষেতে প্রায় ফেলে দেওয়া এক টাকা কিলো দরের টমেটো কলকাতার বাজারে ত্রিশ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, তেমনটা সত্যি খবরের ক্ষেত্রেও। টমেটো ক্ষেতের বিজ্ঞাপন খুঁজে পাওয়া যায় না, কিন্তু বহুজাতিক কোম্পানির টমেটো সসের প্রচার আপনাকে দেখতেই হবে। এইখানেই সমাজবিজ্ঞান আর অঙ্কের মাঝে ঢুকে পড়ে অর্থনীতি। টমেটো কিংবা খবর, এই দুই ক্ষেত্রের যে কোনো কিছুতে খুব উচ্চমানের কাজ নোবেল কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নোবেল জোটে, আর অন্য প্রান্তে লখিমপুরের ক্ষেত। বেঁচে থাকার বিভিন্ন হিসেব নিকেশে সবটাই মূল্যবান, আর সেই হিসেবেই খবর কিংবা খবরের ব্যাখ্যায় নির্ধারিত হয় কাঁচামাল থেকে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মূল্যমান। সেখানে সোজা অঙ্কে ঘি এর দাম বিচার করা শক্ত।

তবে এই সম্পূর্ণ গুলিয়ে যাওয়া বিশ্লেষণের শেষে সাংবাদিকতায় নোবেল স্মরণে একবার অন্তত অন্তর্জালে খুঁজে ফেলা যাক ভারতবর্ষে নিহত বেশ কিছু সাংবাদিকের নাম। প্রতিটি মৃত্যুর ব্যাখ্যায় অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে, কারও মৃত্যু প্রচার পেয়েছে বেশি, কারও বা হয়ত কম। কিন্তু এটুকু মানতেই হবে যে এঁদের মধ্যে অধিকাংশই জীবন দিয়েছেন কোন এক সংবাদের সন্ধানে, যাকে তাঁরা সত্য বলে বুঝেছেন। সেই সত্যকে সংজ্ঞায়িত করতে না পারার দায় আমরা যারা বেঁচে আছি তাদের। আসলে যে জগতে সত্যই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংজ্ঞায়িত নয়, যেখানে সমাজবিজ্ঞানের দর্শন বদলায় সময়ের সঙ্গে, সেখানে নিরপেক্ষতা কিংবা স্বাধীনতা নির্ধারণে অসম্পূর্ণতাই একমাত্র সত্য। সেই হিসেবে এবারের নোবেল নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্যে নয়। বরং সাহসী শব্দটা ব্যবহার করা উপযুক্ত হবে। দুতার্তে কিংবা পুতিনের বিরোধিতা যে বিপজ্জনক এই নিয়ে খুব বিতর্ক নেই। সেই জায়গা থেকে মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতভ-এর কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। প্রতিবাদী মুখ প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান পেলে গণতন্ত্র যে এগোয় - এইটুকু সত্যকে প্রতিপাদ্য ধরে এই লেখা শেষ করা যাক। জগৎ তার নিজের মত করে বিবর্তিত হোক প্রতিটি চিন্তাশীল অস্তিত্বের আপন বিশ্বাসের ব্যাখ্যায়। সত্য সেখানে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মেই আপেক্ষিক।