আরেক রকম ● নবম বর্ষ বিংশ সংখ্যা ● ১৬-৩১ অক্টোবর, ২০২১ ● ১-১৫ কার্তিক, ১৪২৮

প্রবন্ধ

প্রথমবার জাপানে

অমিয় দেব


প্রথমবার জাপান গিয়েছিলাম চীনের আগেই। ১৯৯১-তে। টোকিওতে সংঘটিত আই.সি.এল.এ./এ.আই.এল.সি. তথা আন্তর্জাতিক তুলনামূলক সাহিত্য সংস্থার  ত্রয়োদশ কংগ্রেসে। এর আগে ওই ত্রিবার্ষিক কংগ্রেস শুধু ইউরোপে ও উত্তর আমেরিকায় হয়ে এসেছে। এই প্রথম এশিয়ায়। তাই হয়তো এক টান ছিল টোকিওর। আমরা পাঁচজন গিয়েছিলাম - দিল্লি থেকে শিশিরকুমার দাশ ও চন্দ্র মোহন; কলকাতা মানে যাদবপুর থেকে শুভা দাশগুপ্ত, কবিতা পাঞ্জাবি ও আমি। প্লেন পাল্টাতে, কলকাতার দলকে  অনেকক্ষণ ব্যাংককে অপেক্ষা করতে হয়। সেখানেই প্রথম খবরের কাগজে কালোর সঙ্গে অন্য রঙেরও ব্যবহার দেখি, যা এখন আমাদেরও জলভাত। আমাদের তিন জনের মধ্যে কবিতা চঞ্চল, শুভা শান্ত, আমি মাস্টারমশাই, এজমালি ড. দেব। কবিতার ইচ্ছে একটু শহর বেড়িয়ে আসবে, শুভার গেলেও হয় না-গেলেই বা কী - এমনি একটা ভাব, আমার ভয় যদি যথাসময়ে ফিরে উঠতে না পারি। বললাম, বসে বসে এরোপ্লেনের ওঠানামা দেখাই বা মন্দ কী! কবিতার মন মানল না। ও টার্মিনাল ঘুরে বেড়িয়ে শেষ পর্যন্ত এক ‘তাই’ ভোজনালয়ে গিয়ে বসলঃ শহর না দেখতে পেলেও অন্তত বিশুদ্ধ তাই খাবার খাওয়া যাক। শুভা আর আমি যখন তাকে খুঁজে পেলাম তখন সে তার খাদ্যবিপ্লবের মাঝপথে। এবং বিপ্লব যে সুখের হচ্ছে না তা তার মুখ দেখেই বোঝা গেল।

আমার তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্রনাথ ও জাপান নিয়ে কাজ করে যাদবপুরের পি.এইচ.ডি., ক্যোকো নিওয়া-ও ব্যাংকক থেকে আমাদের সঙ্গে এক উড়ানে টোকিও যাচ্ছে - অপেক্ষা ভবনের এক কক্ষে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল, বাংলাদেশ থেকে এসে সদ্য নেমেছে। ভালো হল, কেননা কথা হয়ে আছে আমি জাপানে ক্যোকো ও তার স্বামী ইজুমির অতিথি হব। কিন্তু তাদের ফ্ল্যাট খুব ছোটো বলে ক্যোকো আমার জন্য তার বাবার প্রশস্ত বাড়িতে ব্যবস্থা করেছে। তারা থাকে টোকিওর বাইরে, মিনামি উরাওয়া-তে, ট্রেনে টোকিও থেকে এক ঘন্টামতো। পিতৃগৃহও সেখানেই। শুভা ও কবিতা, এবং সম্ভবত দিল্লি থেকে যারা আসছে, শিশির ও চন্দ্র মোহন, কংগ্রেস-সন্নিকট এক ছোটো হোটেলে উঠবে। কংগ্রেস হচ্ছে শিবুইয়া চত্বরে, আওইয়ামা গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাত দিন - সপ্তম দিনে এক মহাভোজ।

ক্যোকোর অল্পবয়সে মা মারা যাবার পর তার বাবা আরেকটা বিয়ে করেন বটে, কিন্তু মেয়ে তাঁর স্নেহের ধনই থেকে যায়। নতুন মাও স্নেহপরায়ণ। মেয়ের মাস্টারমশাই হিসেবে আমি খুবই যত্ন পেলাম ও-বাড়িতে। আমাকে দেওয়া হল বাড়ির জাপানি ঘর। নিচু জানলা, তাতামি তথা মাদুর বিছোনো শয্যা। খুব আরামের। শুধু জুতো নয়, বাড়িতে পরার চটিও দরজার বাইরে রাখতে হয়। ও-বাড়িতেই আমি দেখেছিলাম স্নান করা হয় রাত্রে শুতে যাবার আগে। আমি তো সকালে চা-জলখাবার খেয়ে বেরিয়ে যেতাম; ফিরতে রাত হতো। ফিরে দেখতাম মহিলা আমার স্নানের জল তুলে রেখেছেন। ক্যোকোর বাবা ব্যবসা করতেন। সকালে চা খেতে খেতে একটু কথা হত তাঁর সঙ্গে। একদিন ক্যোকোর ছোটোবেলার ঘর দেখালেন। তেমনিই রাখা আছে। জাপানিরা সত্যিই কতটা নিরাবেগ?

মিনামি উরাওয়া রেলস্টেশন হাঁটাপথ। রাস্তাও সহজ। তিনটে বা চারটে বাঁক। ভুল হবার নয়। তাও একরাত্তির রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিছুতেই বাড়িটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত স্টেশনে ফিরে গিয়ে ক্যোকোদের ফোন করি। ইজুমি এসে আমায় বাড়ি পৌঁছে দেয়। আমাকে বোধহয় এক সদরের চাবি দেওয়া ছিল, তাই গৃহস্বামিনীকে দোতলা থেকে নামাতে হয়নি। যে-ট্রেনে যাতায়াত করতাম তা যতদূর মনে পড়ছে জাপান রেলওয়েজের, খুব দ্রুতগামী। যাবার পথে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়েই থাকতে হত। জাপানে কাজের দিন শুরু হয় সকলের আগে, শেষ হয় সকলের পরে। জাপানে লোকেরা সাধারণত হইচই বা চ্যাঁচামেচি করে না; ট্রেনে যারা দণ্ডায়মান তাদের অনেকেরই নয়ন অর্ধনিমিলিত। কী জানি তারা কি মনে মনে ‘আমিদা বুৎসু’-র (বুদ্ধ অমিতাভ) নাম করছে! সেইজন্যই অমন স্তব্ধতা? রোমান্টিক আর কাকে বলে! আসলে, শুনলাম, ট্রেনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই তারা একটু ঘুমিয়ে নেবার চেষ্টা করে। নিত্যযাত্রীদের কারো কারো বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়; এবং রাতের ঘুমও পুরো হয় না, যেহেতু টোকিওর ট্রেন ধরতে কাকভোরেই উঠে পড়তে হয়। কঠিন জীবন। অর্থনীতিক ঋদ্ধির কি দাম কম? হিরোশিমা-নাগাসাকিধ্বস্ত জাপানের উঠে দাঁড়াতে কি কম খাটতে হয়েছে, হচ্ছেও?

আমি ট্রেনে মিনামি উরাওয়া ও টোকিও করছি, আর আমাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসও তার পথ কাটছে। এখন যিনি জাপানের সম্রাট সেই নারুহিতো তখন যুবরাজ, টোকিওর গাকুশুউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও অক্সফোর্ডে ইংরেজি পড়া উজ্জ্বল যুবক। কংগ্রেসের প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করতে এসে তিনি গোড়ায় আই.সি.এল.এ./এ.আই.এল.সি.-র ১৯৮৮-৯১ এই ত্রিবর্ষের সভাপতি (প্রিন্সটনের) আর্ল মাইনার ও কর্মসমিতির অন্য সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন করেন। তারপর উদ্‌বোধনী ভাষণ দেন। প্রথম সাধারণ অধিবেশনে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভারতের সম্মান বর্ধন করেন শিশিরকুমার দাশ। কংগ্রেসটা হচ্ছিল জাপান তুলনামূলক সাহিত্য সংস্থার উদ্যোগে। সংস্থাটি বেশ পুরোনো। তার কর্মসচিব একসময় ছিলেন সাবুরো ওতা যাঁর সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর যোগাযোগ হয় সম্ভবত (নর্থ ক্যারোলাইনার) হ্বের্নার ফ্রীডরিশ-এর মাধ্যমে, এবং যিনি, মানে সাবুরো ওতা, একবার যাদবপুর এসেছিলেন বুদ্ধদেব বসুর কার্যকালে। কিন্তু সে তো ষাটের দশকের গোড়াতে। আর আমরা টোকিও কংগ্রেসে এসেছি তার তিন দশক পরে। এখন নিহন তুলনামূলক সাহিত্যের নেতৃত্ব উত্তরপুরুষের হাতে; সংস্থার পত্রিকা ‘হিকাকু বুঙ্গাকু’-র সম্পাদকমণ্ডলীও অন্যতর। এই কংগ্রেসের ব্যবস্থাপক সমিতির সভাপতি তরু হাগা, যিনি আন্তর্জাতিক সংস্থায় খুবই দীপ্যমান। রসিক মানুষ তরু হাগা। কখনও একটা টাই উপহার দিয়েছিলেন। ভারতীয় কি কিছু নিয়ে গিয়েছিলাম তাঁর জন্য? কংগ্রেস চলাকালীন এক সন্ধেয় বেশ কয়েকজনকে তাঁর বাড়িতে আপ্যায়ন করলেন। তাতে আমরা ভারতীয়েরাও ছিলাম। তরু হাগার বাবা নামী লিপিশিল্পী। তাঁর করা কিছু ব্যানার অতিথিদের দৃষ্টিনন্দিত করেছিল। বাবার সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়েছিল কিনা মনে পড়ছে না।

কংগ্রেস তার নৈমিত্তিক কর্মের পাশাপাশি দুটি বিশুদ্ধ জাপানি অভিজ্ঞতা উপহার দেয় শ্রোতৃবর্গকে। একটি এক চা-উৎসবে আমন্ত্রণ; অন্যটি এক নো নাট্য দর্শন। দুটোই অবিস্মরণীয়। যে-দুয়ার দিয়ে চা-উৎসবে ঢুকতে হয় তা একটু নিচু, বোধকরি এই অভিপ্রায়ে যে তোমাকে ঈষৎ নত হয়ে এই উৎসবের উপভোক্তা হতে হবে। আর নো? তা তো চোখে লেগে আছে। তার একটা গানের সুরও বহুদিন কানে ছিল (দেখা হলে মাঝে মাঝেই শিশির ও আমি এই সুর মনে আনার চেষ্টা করতাম)। অভিনয় হয়েছিল বোধহয় টোকিওর বিখ্যাত ‘কাবুকি-জা’ থিয়েটারে। অন্যদিকে, জাপান যাবো আর বুলেট ট্রেন চড়া হবে না? চড়েছিলাম, হাকোনে যেতে-আসতে। প্ল্যাটফর্মে সব দাগ কাটা আছে - টিকিটে নির্দিষ্ট আসন অনুযায়ী সেই সব দাগে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। হাকোনে মূলত বিখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য। তার ভাপে কালো হয়ে যাওয়া ডিম কি আমরা খেয়েছিলাম? আবার, হাকোনেতেই কোনও চত্বরে কি একটা লেজার রশ্মির (তখনও নতুন) নৃত্যও দেখেছিলাম - যাতে মুগ্ধ হয়ে বেলজিয়ামের (অনুবাদতাত্ত্বিক) জোসে লঁবের-ই বোধহয় বলেছিলেন, পাশ্চাত্যের অনুকরণ করেও এরা পাশ্চাত্যকে অতিক্রম করে গেছে? একটা টিলামতো জায়গায়ও উঠেছিলাম হাকোনেতে। সেখান থেকে দূরে প্রশান্ত মহাসাগর দেখা যাচ্ছিল। ওই টিলাতেই এক প্রশান্তিদায়ী বাঁশঝাঁড়ও ছিল। তাতে একটা বেঞ্চিতে শিশির ও আমি চুপচাপ বসেছিলাম খানিকক্ষণ - সেই যুগ্ম নীরবতার এক সুন্দর ছবিও তুলেছিল কবিতা তার সদাচঞ্চল ক্যামেরাতে। কবে চলে গেছে শিশির! তার সঙ্গে বন্ধুতার বহু স্মৃতি আছে আমার। কিন্তু ওই বাঁশঝাঁড়ের কোলে নীরব উপবেশন এক বিশেষ স্মৃতি। কবিতার কোনও রীলে কি তা এখনও ঘুমন্ত?

(২)

টোকিও কংগ্রেস সমাপ্ত হল। তার শেষ সাধারণ সভায় আই.সি.এল.এ./এ.আই.এল.সি.-র নতুন কর্মসমিতিও নির্বাচিত হল। নতুন সভাপতি বা সভানেত্রী হলেন লিসবনের মারিয়া আলজিরা সেইশো। পরবর্তী কংগ্রেসের উত্থাপিত ভারতীয় প্রস্তাব ক্যানাডার অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে প্রত্যাহার করে নিয়ে, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিলাম; অর্থাৎ স্থান নির্ণীত হল এডমন্টন। তিন বছর পরের জন্য। আপাতত টোকিওতে আগত তুলনামূলক সাহিত্যব্রতীদের স্ব স্ব ভূমে প্রত্যাবর্তনের সময়। আমি দু'দিন বেশি থেকে গেলাম। ক্যোকো-ইজুমি আমাকে নিয়ে ঈষৎ ভ্রমণের ব্যবস্থা করে রেখেছে। সেটা যেমন তেমনি আমারও আরেকটু জাপান দেখার ইচ্ছে ছিল। বছর দুই আগে ক্যোকো, গৌরী আইয়ুবের সঙ্গে, বাশোউ-এর উত্তরাভিমুখী ভ্রমণকথা ‘ওকুনো হোসিমিচি’ বাংলায় অনুবাদ করছিল। সেই ‘দূর প্রদেশের সংকীর্ণ পথ’ কি আমাদের এই দিবসান্তিক ভ্রমণসূচি নির্ণায়ক, ইজুমিকে কোনওভাবে, এক শতাংশ মাত্রায়ও, প্রভাবিত করেছিল? তিনশো বছর আগের সেই ‘এদো’ জাপান কবেই অন্তর্হিত হয়েছে, কিন্তু জল-মাটি-তৃণ-বনস্পতির কি খুব বদল হয়েছে? বলছি, কেননা এক ক্ষীণতোয়া স্রোতস্বিনীর কূলে শিলাবহুল ঘাসের জমিতে, একটি পাথরে এক হাইকু উৎকীর্ণ ছিল। তা বাশোউ-এর বলেই কথিত। অর্থাৎ, বাশোউ এখানে থেমেছিলেন? ইজুমি-ক্যোকোর বদান্যতায় ওই ১৭ স্বরের আক্ষরিক মর্মোদ্ধারও করেছিলাম। কিছুই এখন মনে নেই। তিন লাইনে বিন্যস্ত কবিতাটিতে কি ঘাসই যুগপৎ ছবি ও ভাব হয়ে ছিল?

কাছেই কি এক শিন্তো মন্দিরও ছিল? একটি স্রোতস্বিনী পেরিয়ে কয়েক ধাপ উঁচুতে উঠে এক মন্দির দেখার অস্পষ্ট স্মৃতিও আছে। তবে শিলাতলের হাইকু স্পষ্টতর। আর তেমনই স্পষ্ট, এর আগে বা পরে দেখা, এক কৃত্রিম ‘এদো’ গ্রাম। এক সিনেমা কোম্পানি তা তৈরি করে রেখেছে। বহির্দ্বারে অভ্যর্থনারত দুই সুসজ্জিত গেইশা। তাদের বিনতি গ্রহণ করে ঢুকলাম। বড়ো নয় গ্রামটা। কিন্তু যা যা থাকবার সবই আছে। একটি সরাইখানা চোখে পড়ল। ‘দূর প্রদেশের সংকীর্ণ পথ’-এ অনুরূপ পান্থশালারই কথা আছে। সবচেয়ে আশ্চর্য, এক ছোটো জেলখানাও দেখতে পেলাম।

ক্যোকো গাড়ি চালায় না, আমি তো না-ই, পুরো পথই ইজুমি চালাল। পরিকল্পটাও তারই রচনা। কখন কতক্ষণের জন্য কোথায় থামা হবে তা লিপিবদ্ধ। আর তার প্রতিলিপি ক্যোকো ও আমি পেয়েছি। গন্তব্য এক পাহাড়ি বিশ্রামগৃহ যার অধিকর্তা ক্যোকোর বাবা। তার স্নানাগারে আছে এক উষ্ণ প্রস্রবণ। সেখানেই আমরা রাত কাটাব। পাহাড়ি চড়াই উৎরাই করতে করতে, কাছে দূরে পাহাড় দেখতে দেখতে (তার কোনও কোনওটার কথা কি ‘দূর প্রদেশের সংকীর্ণ পথ’-এও নেই?), সন্ধে নাগাদ সেই উষ্ণ প্রস্রবণধন্য বিশ্রামাগারে গিয়ে পৌঁছলাম। ঝিঁঝিঁর ডাক ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই। শান্তি। কী উপহার যে ওই দম্পতি আমাকে দিল, তারা কি তা জানল? প্রস্রবণে পথশ্রম দূর করে নিয়ে তিনজনে গল্প করতে বসলাম। অনেক কথা ইজুমির। কোরীয়ায় বৌদ্ধধর্ম কী রূপ নিয়েছিল তা নিয়ে কাজ করছে। আমি কেবল ঠেকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। রাত বাড়ল। একসময় আমরা ঘুমিয়েও পড়লাম। যখন সকাল হল তখন দরজা খুলে আলোয় দাঁড়িয়ে মনে হল, আমরা কি পৃথিবীর মাথায় উঠে এসেছি। এবার খালি অবরোহণ, নাকি পতন!


(কৃতজ্ঞতাঃ শুভা চক্রবর্তী দাশগুপ্ত)