আরেক রকম ● নবম বর্ষ প্রথম সংখ্যা ● ১-১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ● ১৬-৩০ পৌষ, ১৪২৭

প্রবন্ধ

চিত্ত কোথা ভয় শূন্য?

পার্থপ্রতিম বিশ্বাস


যাদবপুর থেকে জেএনএউ কিংবা জামিয়া থেকে হায়দ্রাবাদ, দেশের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের গেরুয়া শাসকের আমলে দেশদ্রোহীদের আখড়ায় পরিণত - এমন অভিযোগ হামেশাই করে থাকেন সংঘ পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা। কাজেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন কোন বিষয়কে তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে প্রাধান্য দেবেন সেটা ছিল আমজনতার আকর্ষণের বিষয়বস্তু। সাধারণভাবে, সমাবর্তনের এমন মঞ্চে আচার্যের ভাষণে থাকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের সন্ধানে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, প্রতিষ্ঠানের সাথে বৃহত্তর সমাজের যোগসূত্র স্থাপনে পড়ুয়াদের ভূত-ভবিষ্যতের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নানাবিধ উপাদান। কিন্তু বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মঞ্চে আচার্য এবার এমন বিবিধ বিচিত্র প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন তাতে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে জনমানসে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের দিক নির্দেশকে ছাপিয়ে আচার্যের ভাষণে উঠে এসেছে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের প্রয়োগ ভাবনা। সেই ভাবনায় তিনি একেবারে তাঁর মতো করেই তুলে এনেছেন কবিগুরুর সাথে গুজরাতের আত্মিক সম্পর্ক।

এটা ঠিক যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আচার্য একদা ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং একদা রবীন্দ্রনাথ পারিবারিক যোগসূত্রে গুজরাত সফরে গিয়েছিলেন সেকথাও সত্য। কিন্তু পদাধিকার বলে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নয় বরং এদেশের প্রধানমন্ত্রীই হয়ে থাকেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। ফলে দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতীর শতবর্ষে বিশ্বকবিকে কেবল গুজরাতের সীমানায় বাঁধতে চাইলেন কেন সে নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সে বিতর্ক আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে কারণ সম্প্রতি দেশের গেরুয়া শাসককুলের রাজ্যের কেষ্ট-বিষ্টুরা নিত্যদিন নিয়ম করে পশ্চিমবাংলাকে গুজরাত বানানোর অঙ্গীকার করে চলেছেন। ফলে তার সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে গুজরাত এবং বঙ্গের দড়ি টানাটানি। আর এমন দড়ি টানাটানির নতুন উপাদান হিসাবে আচার্যের ভাষণে গুজরাত যোগ বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সেই বার্তায় প্রত্যাশিতভাবেই ফুটে উঠেছে মুলত হিন্দি বলয়ের দল হিসাবে পরিচিত গেরুয়া শাসকের বাঙালিত্ব প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা। কারণ রাজ্যে ভোটের আগে তাঁদের বাঙালির মনন, বাঙালির আবেগ ও অস্মিতাকে যেভাবেই হোক জয় করতে হবে। তাই ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’ - এমন আবেগ তাড়িত হয়ে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের চার মাস আগে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পালনের মঞ্চকে রাজনীতির মঞ্চ হিসাবেই বেছে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে ধরে গুজরাতের ভূমিপুত্র ‘আমি তোমাদেরই লোক’ হওয়ার মরিয়া চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নাকি গেরুয়া শাসকের দ্রোণাচার্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আচার্য তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন ‘‘রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গি হল আত্মনির্ভর ভারতের আঁধার। তিনি আমাদের গ্রাম, কৃষি বাণিজ্যে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন’’। এমন আত্মনির্ভরতার প্রতীক হিসাবেই এদেশে গড়ে উঠেছিল স্বাধীনতা উত্তর সময়ে এদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পক্ষেত্র। সেই ক্ষেত্রগুলি ছিল দেশের স্বনির্ভরতা এবং কর্মসংস্থানের প্রাণশক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও এটা ঠিক দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পৌরোহিত্যেই সেসব আত্মনির্ভরতার প্রতীকগুলোকে বিরাষ্ট্রীয়করণ করে কর্পোরেটকুলের কাছে আত্মসমর্পণের নিয়মিত মহড়া চলেছে। মুখে ধ্বনি দেওয়া হচ্ছে ‘ভোকাল ফর লোকাল’, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সরকারি নীতিতে প্রতিফলিত হচ্ছে ‘ভোকাল ফর লয়্যাল’। মোদী সাহেবের ছয় বছরের রাজত্ব কালে তার পুরোনো বিজ্ঞাপন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-‘র আবাহনী ডাক নিস্ফলা প্রমাণিত। ক্ষুদ্র কুটীর শিল্প থেকে শুরু করে বৃহৎ শিল্প, পরিষেবা এইসময়কালে আত্মনির্ভরতার পথ থেকে সরে গিয়ে ক্রমশ চলেছে পরনির্ভরতার পথে। ফলে এখন ছদ্ম জাতীয়তাবাদের আশ্রয় নিতে তাদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে রামচন্দ্র থেকে রবীন্দ্রনাথ সবেতেই।

আচার্যের ভাষণ সেদিন যে পথে এগিয়েছে তাতে মুখে না বললেও তাঁর প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল যে তাঁর ‘গুজরাত মডেল’-টিও রবীন্দ্রনাথের ভাবধারায় সৃষ্ট। সন্দেহ নেই ‘গুজরাত মডেল’ সারা দেশ কেন বিশ্বের মানচিত্রেও ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসার মডেল হিসাবে পরিচিত হলেও গেরুয়া শাসকের চোখে সেটাই উন্নয়নের আধুনিক মডেল। যাঁদের নেতৃত্বে ভারতবর্ষের বহুত্ববাদের বিসর্জন হচ্ছে, দেশের নাগরিকত্বের সংজ্ঞায় ঢুকছে ধর্মের ভিত্তি, বিভাজনের ভেদরেখা সেই গেরুয়া শাসকের দ্রোণাচার্যের মুখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা শুনল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গল্প। আচার্য তাঁর নাতিদীর্ঘ ভাষণে সেদিন টেনে এনেছেন রবিঠাকুরের কথা ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির’। কিন্তু দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার ভয় ব্যতিরেকেও দেশের সংখ্যালঘু, দলিত মানুষের মনে বিভাজনের রাজনীতির ভয় যেভাবে প্রবেশ করিয়েছে মোদী সাহেবের সরকার সেটা স্বাধীনতা উত্তর ভারতে নজিরবিহীন। ভাগ্যিস সেদিন তাঁর ভাষণের রচয়িতা আমলারা জুড়ে দেননি ‘শক হূন দল পাঠান মোগল, এক দেহে হল লীন’। সেক্ষেত্রে এদেশের বৈচিত্র্য হিসাবে বহুত্বের ব্যাখ্যা, হিন্দুত্বের চশমা চোখে আরও জটিল হয়ে উঠত। কারণ, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের পোশাক দেখে চিহ্নিত করার পথ তিনিই বাতলেছিলেন দেশের মানুষকে। ভাগ্যিস সেদিন তিনি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের লাইনগুলি তাঁর ভাষণে সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। অন্যথায় তাঁর সতীর্থ সুব্রহ্মমানিয়াম স্বামী কেন রবিঠাকুরের জাতীয় সঙ্গীতকে তামাদি ঘোষণা করার দাবি করেছেন দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে সেই ব্যাখ্যারও প্রয়োজন হতো। একইভাবে রাজ্যের ভোটের আগে রবীন্দ্রনাথকে আপন করতে চাওয়া আচার্যের কাছে পড়ুয়ারা দাবি জানাতেই পারতো সংঘ পরিবারের কর্তা দিননাথ বাটরা কেন রবিঠাকুরকে স্কুল পাঠ্যের বাইরে রাখার পক্ষে ক্রমাগত সওয়াল করেছেন মোদী সাহেবের শাসনকালেই। আসলে রামচন্দ্রের মতোই আচার্যের ভাষণে রবিঠাকুর হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক বিনিয়োগের বিষয়বস্তু। আচার-আচরণ, ভাষা-সংস্কৃতি সবেতেই বহিরাগত তকমা ঘোচাতে বঙ্গের ভোট ময়দানে এখন শাসকের মরিয়া চেষ্টা। সেই প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবাদী ধারণা, বিবেকানন্দের হিন্দুত্বের ভাবনা, গান্ধীজীর স্বদেশী ভাবনাকে ‘কপি পেস্ট’ করে হিন্দুত্ববাদীরা এখন ছদ্ম জাতীয়তাবাদ তৈরির চেষ্টায় ব্রতী। ভোটের আগে তাই লোক ঠকানোর লক্ষ্যে ‘বাঙালিয়ানা’ অর্জনের এক রাজনৈতিক মহড়া শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, রাজ্যের সর্বত্রই।

রবিঠাকুরের দর্শনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপাদান হল পরমত সহিষ্ণুতা। আজীবন তিনি সওয়াল করে গেছেন মুক্ত চিন্তা, মুক্ত ভাবনার পক্ষে। মুক্তমনা এমন একজন মানুষকে পধাদিকারবলে আজ স্মরণ করছেন তাঁরা যারা আদ্যন্ত সওয়াল করে চলেছেন নিয়ন্ত্রণের ভাবনার পক্ষে, নিয়ন্ত্রণের রাজনীতির স্বপক্ষে। দেশের শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি, শাসন থেকে বিচার, সংবাদমাধ্যম থেকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ক্ষেত্রকে যারা নিয়ন্ত্রণের রাজনীতির শিকার বানিয়েছেন তারাই এখন রবি স্মরণে সোচ্চার হচ্ছেন। সত্যি আজও কি বিচিত্র এই দেশ! সত্যি কি বিচিত্র এমন আচার্য এবং উপাচার্য যুগলবন্দী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকালেই হু হু করে বেড়েছে সরকারি অসহিষ্ণুতার নজির। বাঙালির জীবিত কিংবদন্তী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই প্রথম সরকারি অসহিষ্ণুতার শিকার হয়ে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ ছাড়তে বাধ্য হন। কারন তিনি আদর্শগত কারণেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে। ফলে গেরুয়া শাসকের চিহ্নিত শত্রু তালিকায় জুটেছে তাঁর স্থান। আর সেই কারণেই হয়ত শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা নোবেলজয়ী বাঙালি অধ্যাপককেও কাঠগড়ায় তুলতে দ্বিধা করেনি আচার্যের অনুগত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য। অমর্ত্য সেনের তিন পুরুষের বাস এই শান্তিনিকেতনে। আর এতবছর বাদে উপাচার্য মশায় নতুন ইতিহাস আবিষ্কার করে অমর্ত্য সেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির দখলদার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। আচার্য তার ভাষণে উল্লেখ করলেন ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্যের’ কথা আর বাস্তবের জমিতে ভয়শূন্য চিত্তে মাথা উঁচু করে চলা অমর্ত্য সেনের মতো মানুষজনের মাথা হেঁট করানোর প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়াস প্রমাণ করে আচার্যের মনের কথা এবং মুখের কথার ফারাক বহু যোজনের।

আচার্যের এমন ভোটমুখী ভাষণের প্রেক্ষিতে রবিঠাকুর আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন আচার্যের সেনাপতি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বভারতী সফরও। অতিমারির প্রেক্ষিতে এবছর পৌষমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল বিশ্বভারতী। কিন্তু পৌষমেলাহীন শান্তিনিকেতনে পায়ের ধুলো দেওয়ার আগেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে যে ঘোড়া কেনাবেচার মেলা উদ্বোধন করলেন সেটিও রাজ্যে বেনজির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভামঞ্চে ঘটা করে রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পুর প্রতিনিধিদের দল বদল এক উৎসবের চেহারা নিয়ে হাজির হল সেদিন। আর এই পথে সরকার দখলের প্রস্তুতির কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র পেল রাজ্যের গেরুয়া ব্রিগেড। যারা এতকাল নিজেদের মতাদর্শের উপর দাঁড়ানো ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে জাহির করত তাদেরই দলে এখন ঘাসফুলের অপরাধীরা যোগদান করে পদ্ম ফোটানোর দায়িত্ব পাচ্ছে। এমন জবরদস্ত মেলার উদ্বোধন সেরে তিনি শান্তিনিকেতনে গিয়ে ‘রোড শো’ করলেন, দুপুরে বীরভূমের বাউল বাড়িতে পোস্ত ভাতের লাঞ্চ সারেন দোতারায় সুরের মূর্ছনায়। এরপর, রবিঠাকুরের ‘উত্তরায়ন’ ঘুরে দেখলেন তার দলের মেজো-সেজো-ছোটো নেতাদের বাঁয়ে ডায়ে রেখে। ভাগ্যিস এবারটায় তারা ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে ওঠেনি যেমনটা হয়েছিল আগেরবার মোদী সাহেবের সফরে। তবে উত্তরায়ন সফরে ক্লান্ত হয়ে তিনি যে গুরুদেবের আসনে উপবিষ্ট হলেন সেটাও তাকে জানাতে পারেনি তাঁর সঙ্গে হাজির উপাচার্য সহ পারিষদবৃন্দ। এসবের পর তিনি প্রবেশ করলেন রবিঠাকুরের প্রার্থনা গৃহ ‘কাঁচঘরে’। আর এসবই করলেন বিশুদ্ধ ‘বাঙালি’ আবেগে খানিক সুড়সুড়ির লক্ষ্যে। আর তার সাথে প্রস্তুত করে গেলেন সেই যাত্রায় দল ভাঙানোর রাজনীতির বিকল্প পথ এরাজ্যের মানুষের কাছে। কিন্তু বাঙালি সাজতে চাওয়া আচার্য এবং তাঁর সেনাপতি, উভয়ের কাছেই যেটা অধরা থেকে গেল যে এমন দলবদল নিয়েও আজ থেকে শতবর্ষ আগে রবিঠাকুর যে কথা লিখে গিয়েছিলেন সেটাই।

‘একটা বড় আশ্চর্যের জিনিস দেখছি এই বাংলাদেশে,
যে সব পুরুষ এখানে দেশনেতার সম্মান লাভ করেন!
ঘর-ভাঙাভাঙির খেলাকেই,
তাঁরা উচ্চ রাজনীতি বলে ঘোষণা করেন!
এখনকার লোকে তাই তিলে তিলে
কিছু গড়ে তোলবার জন্য দল বাঁধে না!
দল বাঁধে -
গড়া জিনিসকে ভাঙবার পৈশাচিক আনন্দে!’


তথ্যসূত্রঃ
সজনীকান্ত দাসকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; সংগ্ৰহ আনন্দবাজার পত্রিকা; জুলাই ৪, ২০২০।