আরেক রকম ● নবম বর্ষ ত্রয়োদশ সংখ্যা ● ১-১৫ জুলাই, ২০২১ ● ১৬-৩১ আষাঢ়, ১৪২৮

প্রবন্ধ

বিজ্ঞানীর ইমানঃ আর্যভট ও ব্রহ্মগুপ্ত

আশীষ লাহিড়ী


ভারতে ঠিকঠাক জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার গোড়াপত্তন করেছিলেন আর্যভট (৪৭৬-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ)। প্রাগার্যভট জ্যোতির্বিজ্ঞানকে 'শিথিল বালুকাময় জমি' বলে উল্লেখ করে যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি লিখেছিলেন, 'ঐ অনিশ্চিত সময়ের পরেই ভারতীয় জ্যোতিঃশাস্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ...আর্য্যভট আমাদিগকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। পূর্ব্বকালে ইনি গ্রীকগণের নিকট অন্দুবেরিয়স, বা অর্দুবেরিয়স, আরবীয়গণের নিকট অর্জভর নামে এবং এদেশীয়গণের নিকট ভূ-ভ্রমণ-প্রতিপাদক বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিলেন।' ভট (ভট্ট নয়) নামক নিম্নবর্ণ-জাত এই বিজ্ঞানী শুধু বিজ্ঞানপ্রতিভা নয়, বৈজ্ঞানিক আত্মমর্যাদাবোধেরও অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন।

তবে আল বেরুনির মতে ব্রহ্মগুপ্ত (৫৯০-৬৬৮ খ্রীষ্টাব্দ) ছিলেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য। শুধু আল বেরুনি কেন, বিজ্ঞানের প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদ জর্জ সার্টনের মতেও ব্রহ্মগুপ্ত ছিলেন, 'তাঁর নিজের জাতির শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন এবং সেকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী।' ৬২৫ সালে, মাত্র তিরিশ বছর বয়েসে তিনি লিখেছিলেন ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত। অথচ ওই বইতেই এত বড়োমাপের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর অদ্ভুত কিছু মন্তব্য আলবেরুনিকে হতবাক করে দিয়েছিল। ব্রহ্মগুপ্ত লিখেছিলেনঃ "কিছু লোক মনে করে, রাহু গ্রহণের কারণ নয়। কিন্তু এ ধারণা নিতান্তই নির্বোধোচিত। কারণ আসলে রাহুই তো গ্রহণ ঘটায়; বস্তুত বিশ্বের সাধারণ জনসমষ্টি এইকথাই বলবে যে রাহুই গ্রহণ ঘটায়। যে-বেদ ব্রাহ্মণের মুখনিঃসৃত বাক্যসমষ্টি, সেই বেদ বলেন, রাহুই গ্রহণ ঘটায়। অনুরূপভাবে মনু রচিত স্মৃতি এবং ব্রহ্মণ-পুত্র গর্গ রচিত সংহিতাও সেই কথাই বলেন। কিন্তু এর বিপরীতে বরাহমিহির, শ্রীসেন, আর্যভট এবং বিষ্ণুচন্দ্র এই মত পোষণ করেন যে রাহু গ্রহণ ঘটায় না, ঘটায় পৃথিবীর ছায়া আর চন্দ্র। তাঁদের এই কথা সর্বসাধারণের মতের বিরোধী, এবং এক্ষুণি আমরা যে-মতের কথা বললাম, তার প্রতিও বৈরিভাবাপন্ন। কেননা, রাহু গ্রহণের কারণ না হলে গ্রহণের মুহূর্তে ব্রাহ্মণরা যেসমস্ত ক্রিয়াবিধি নিষ্পন্ন করেন (যথা দেহে কবোষ্ণ তৈল লেপন এবং শাস্ত্র-নির্দেশিত অন্যান্য ক্রিয়াদি) সেগুলি তো অলীক প্রতিপন্ন হবে এবং তাঁরা স্বর্গীয় আশীর্বাদ হতে বঞ্চিত হবেন। কেউ যদি এইসব জিনিসকে অলীক বলে ঘোষণা করে, তাহলে তার অবস্থান তো সাধারণভাবে স্বীকৃত মতের গণ্ডির বাইরে, আর সেটা তো অনুমোদন করা চলে না। স্মৃতি-তে মনু বলেছেনঃ 'রাহু যখন সূর্য কিংবা চন্দ্রকে গ্রস্ত করে, তখন এই পৃথিবীর সমস্ত জল হয়ে ওঠে শুদ্ধ, এবং তাদের শুদ্ধতা গঙ্গাজলের সঙ্গে তুলনীয় হয়ে ওঠে।' বেদ বলেছেন, 'রাহু হল সৈনক নামক এক দৈত্যের কন্যার পুত্র', সেইজন্যই লোকে পুজা অর্চনার সুপরিচিত আচার অনুষ্ঠানগুলি পালন করে, আর তাই উপরিউক্ত লেখকদের উচিত সর্বসাধারণের বিরুদ্ধে এই আচরণ বন্ধ করা, কারণ যা কিছু বেদে এবং স্মৃতি-তে আছে তা-ই সত্য।"

আল বেরুনি এর ওপর টিপ্পনী কেটে বলেছেন, কোরানে আছে, কিছু কিছু জ্ঞানপাপী সবকিছু জেনেও বদমাইশি করে আর ঔদ্ধত্য দেখায়। এও কি সেই জ্ঞানপাপের উদাহরণ? নইলে 'কেন আপনি এইসব কথা বলার পরেই, চন্দ্রই সূর্যের গ্রহণ ঘটায় সেটা বোঝাবার জন্য চন্দ্রের ব্যাস কত সেই পরিমাপে রত হচ্ছেন? কেনই বা আপনি পৃথিবীর ছায়ার ব্যাস পরিমাপ করে বোঝাচ্ছেন যে পৃথিবীর ছায়াই চন্দ্রের গ্রহণ ঘটায়? কেন আপনি ওই সব ধর্মদ্রোহীদের তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুটি গ্রহণের গণনা করছেন, আপনার মতে যাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করা উচিত তাদের ধ্যানধারণা অনুসারে কেন আপনি সে-গণনা করছেন না?'

আল বেরুনির মতে ব্রহ্মগুপ্তর এই সুস্পষ্ট স্ববিরোধিতা 'বিবেক-বিরোধী পাপকর্ম'। এই ধরনের বিজ্ঞানবিরোধী কথা তাঁকে দুঃখ দিয়েছিল, বলেছিলেন এ হল 'বিপর্যয়কর এক নিয়তি'। নিশ্চয়ই তরুণ ব্রহ্মগুপ্ত এমন ভয়ংকর কোনো হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন, যা তাঁর মতো মহাপণ্ডিতকে দিয়েও এমন আলটপকা কথা লিখিয়ে নিয়েছিল।

সমরেন্দ্রনাথ সেন এ-দ্বন্দ্বে এক নতুন মাত্রা সঞ্চার করেছেনঃ 'নানা জ্যোতিষীয় ব্যাপারে ব্রহ্মগুপ্ত আর্যভটর মতবাদের তীব্র বিরোধিতা করেন। আর্যভট প্রস্তাবিত পৃথিবীর আহ্নিক গতিতে তিনি বিশ্বাস করিতেন না। গ্রহণ সম্বন্ধে বৈদিক হিন্দুদের রাহু-কেতু মতবাদ তিনি পুনরুজ্জীবিত করেন। মতবাদের সমালোচনা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও তিনি আর্যভটর উপর তীব্র আক্রমণ চালান। অনেকে বলেন, আর্যভটর ব্যাপক খ্যাতি ও তাঁহার শিক্ষা ও উপদেশের গভীর প্রভাবে তিনি ঈর্ষাবশতঃ এইরূপ অন্যায় বিরুদ্ধ সমালোচনায় প্রবৃত্ত হন।'

বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন ঘটনা নতুন নয়। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে নিউটন-হুক কিংবা নিউটন-লাইব্‌নিৎস বিবাদের কথা। কিন্তু তফাত এই, সেখানে যুযুধান কোনো পক্ষই বিজ্ঞান-বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেননি; তাঁদের বিবাদ ছিল আবিষ্কারের অগ্রাধিকার নিয়ে। ব্রহ্মগুপ্ত কিন্তু সরাসরি আর্যভটের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকেই অস্বীকার করে নিজে বিজ্ঞান-বিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন। এটা অন্যায় আরো এই কারণে যে পঁচাত্তর বছর আগে প্রয়াত আর্যভটর আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ ছিল না।

কিন্তু মৃত্যুর পঁচাত্তর বছর পর আর্যভটকে আক্রমণ করা এত জরুরি হয়ে পড়েছিল কেন?

আর্যভটীয় (রচনা আন্দাজ ৪৯৯) গ্রন্থ আর্যভট-র মহাকীর্তি। তাঁর ভূ-ভ্রমণবাদের অর্থ, পৃথিবীর আহ্নিক গতির স্বীকৃতি। তিনিই প্রথম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন যে পশ্চিমমুখে আকাশের তারাগুলির চলনের কারণ হল নিজস্ব অক্ষকে ঘিরে পৃথিবী-গোলকের ঘূর্ণন। কোনোরকম রাখঢাক না করে তিনি বললেন, যে-জ্যোতির্বিজ্ঞান তিনি প্রয়োগ করছেন সেটার পিছনে কোনো দৈব ছায়া নেই, সেটা একান্তভাবে তাঁরই, অর্থাৎ একজন মানুষের, নিজস্ব। ঈশ্বরের অনুগ্রহ আর তাঁর নিজস্ব মনীষাকে সগোত্র মনে করতেন তিনি। তাঁর দৃপ্ত ঘোষণাঃ 'প্রকৃত জ্ঞান আর মেকি জ্ঞানের মহাসমুদ্র মন্থন করে আমি ঈশ্বরের অনুগ্রহে কিংবা আমার নিজস্ব মননশক্তির বলে তুলে এনেছি প্রকৃত জ্ঞানরূপ রত্নটিকে।'

কী সাংঘাতিক সাহসের কথা! "ঈশ্বরের অনুগ্রহে কিংবা আমার নিজস্ব মননশক্তির বলে।" কীসের সঙ্গে কীসের তুলনা! এর থেকে অপবিত্র কথা আর কী হতে পারে? শুধু এই ঘোষণাটুকুর জন্যই তো তিনি ব্রাহ্মণদের অপ্রিয়ভাজন হবার যোগ্য। কারণ কোনো কিছু দৈব নয় বলার অর্থ, সেটির উপর ব্রাহ্ম্‌ণ পণ্ডিতদের একচ্ছত্র অধিকার না-থাকা। তার ওপর তিনি বললেন, পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারপাশে পাক খাছে। এও কি সম্ভব! পৃথিবী তো, কে না জানে, স্থির। স্বভাবতই অজস্র আপত্তি উঠল তাঁর এই শাস্ত্রবিরোধী জ্ঞানের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে কিছু প্রশ্ন ন্যায্য, কিন্তু মানুষের তখনকার জ্ঞানের ভিত্তিতে সেসব আপত্তির উত্তর দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবে সবচেয়ে বড়ো যুক্তিটা ছিল, এই সিদ্ধান্ত শাস্ত্রবিরোধী।

ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক জ্ঞান-ক্ষমতার কর্ণধাররা যখন কেজো যুক্তি দিয়ে আর্যভটর যুক্তি খণ্ডন করতে পারলেন না, তখন অন্য পথ ধরলেনঃ বইটা সম্বন্ধে ক্রমে তাঁরা নীরব হয়ে গেলেন। এক সময় আর্যভটীয় দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠল। আল বেরুনি জানিয়েছেন, অনেক চেষ্টা করেও তিনি ভারতে এ বইয়ের একটি কপিও সংগ্রহ করতে পারেননি। একালের পণ্ডিতরা এর প্রথম সন্ধান পান ১৮৭৪ সালে। এর জন্য ভারতবাসী ঋণী হল্যান্ডের বিখ্যাত সংস্কৃত ভাষাবিদ হেন্ড্রিক কের্ন্‌ (Hendrik Kern, ১৮৩৩-১৯১৭)-এর কাছে। মালয়ালম লিপিতে লেখা আর্যভটীয়-র একটি কপি থেকে তাঁর সম্পাদনায় নাগরী হরফে মুদ্রিত হয়ে লাইডেন শহর থেকে প্রকাশিত হয় আর্যভটীয়। যোগেশচন্দ্র অবশ্য কের্ন সম্পাদিত আর্যভটীয়-র মুদ্রিত সংস্করণখানির সার্বিক নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আল বেরুনি তরুণ প্রতিভাবান ব্রহ্মগুপ্তর প্রতি এতই সহানুভূতিপরায়ণ যে তাঁর মতে ব্রাহ্মণ পুরোহিততন্ত্রের আক্রমণ থেকে বাঁচবার ঢাল হিসেবেই ব্রহ্মগুপ্ত ওই কৌশল নিতে বাধ্য হয়েছিলেন; যদি না-নিতেন, তাহলে তাঁর বিজ্ঞানচর্চাই থেমে যেত। দরদি আল বেরুনী তরুণ অব্রাহ্মণ বিজ্ঞানী ব্রহ্মগুপ্তর আত্মখণ্ডনের বিড়ম্বনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন খোদ সক্রেটিসের যন্ত্রণারঃ "আমার দিক থেকে আমি এই বিশ্বাস করতেই প্রবৃত্ত হচ্ছি যে যে-কারণটি ব্রহ্মগুপ্তকে দিয়ে পূর্বোক্ত কথাগুলি বলিয়ে নিয়েছিল (যাকে বিবেক-বিরোধী পাপকর্ম বলা যায়) তা এক বিপর্যয়কর নিয়তি, যে-দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়েছিল সক্রেটিসকেও”।

দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এ-তুলনা কেবল আংশিক খাটে। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল দুটোঃ এক, এথেন্সের নগর-রাষ্ট্র স্বীকৃত দেবতাদের তিনি মানেন না; দুই, তিনি নতুন নতুন দেবতার প্রবর্তন করতে চেয়ে এথেন্সের তরুণদের মনে বিকৃতি ঢোকাচ্ছেন। বলা বাহুল্য, তথাকথিত বিচারে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন এবং তাঁকে বিষপান করে মৃত্যুর দণ্ড দেওয়া হল। বন্ধু, শিষ্য, ছাত্র সকলের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি এথেন্স থেকে পালানোর বদলে শেষ ক-টা দিন জেলেই কাটালেন। কতকগুলো মূঢ় নির্বোধের কাছে নিজের দার্শনিক স্বাতন্ত্রের প্রমাণ দেওয়ার যন্ত্রণার হাত থেকে তিনি রেহাই পেয়েছিলেন বিষপান করে। বিষপান করার আগের মুহূর্তে বন্ধু ক্রিটোর কাছে যে-উক্তি করেছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে ঘৃণাক্ত শ্লেষের অতুলনীয় উদাহরণ হিসেবে অমর হয়ে রয়েছেঃ "বুঝলে ক্রিটো, আস্ক্লেপিয়াসের কাছ থেকে একটা মোরগ ধার নিয়েছিলুম, ধারটা মিটিয়ে দিতে তুমি যেন ভুলো না।"

এর শ্লেষটা কোথায় নিহিত, বুঝিয়ে বলেছেন দেবীপ্রসাদ। প্রাচীন গ্রীসে আস্ক্লেপিয়াস ছিলেন রোগ নিরাময়ের দেবতা। কোনো রোগ থেকে সেরে ওঠার পর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ দেবতার উদ্দেশে একটি মোরগ উৎসর্গ করা ছিল রেওয়াজ। নির্বোধগুলোর শাসনে জীবন কাটানোটা সক্রেটিসের কাছে এক ধরনের অসুখ বই আর কিছু না। তাই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নিরাময় লাভের নিদর্শন স্বরূপ সক্রেটিস তাঁর বন্ধু ক্রিটোকে তাঁর হয়ে আস্ক্লেপিয়াসের কাছে রেওয়াজ মাফিক একটি মোরগ উৎসর্গ করতে বলেছিলেন। জেনেশুনে বিষ পান করে তিনি অর্জন করলেন নিরাময়! দেবীপ্রসাদ লিখেছেন, 'এর পিছনে যে-উন্নত নৈতিক ইমান কাজ করেছে, তা ব্রহ্মগুপ্তর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আয়ত্ত করা সম্ভব ছিল না। পুরোহিততন্ত্রের মূর্খ ঔদ্ধত্যকে ধিক্কার জানানোর বদলে তিনি [ব্রহ্মগুপ্ত] প্রথমে তাদেরই কাছে মাথা নত করলেন এবং তারপর বৈজ্ঞানিক গণনা ও যুক্তির পথে অগ্রসর হলেন। হয়তো তিনি ধরে নিয়েছিলেন, এসব যুক্তিতর্কঅঙ্ক নির্বোধ পুরোহিতগুলোর মগজে ঢুকবে না।' আর্যভট কিন্তু এই আপোশটা করেননি। তাঁর বৈজ্ঞানিক ইমানে সেটা বেধেছিল।


________________________________________
1. যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, আমাদের জ্যোতিষী ও জ্যোতিষ, কলকাতা ১৮৯৮ পৃষ্ঠা-৭৩
2. উদ্ধৃতির জন্য দ্রষ্টব্য সমরেন্দ্রনাথ সেন, বিজ্ঞানের ইতিহাস, দ্বিতীয় খণ্ড, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কালটিভেশন অব সায়েন্স, কলকাতা ১৯৫৮, পৃষ্ঠা-৩২
3. Debiprasad Chattopadhyay, History of Science and Technology in Ancient India, Vol. III, Firma KLM, Kolkata 1996, p. 69
4. সমরেন্দ্রনাথ সেন, পৃষ্ঠা ১৪২
5. দ্রষ্টব্য Robert K Merton, On the Shoulders of Giants, University of Chicago Press, Chicago (1965), 1993
6. Debiprasad Chattopadhyay, p. 72
7. Debiprasad Chattopadhyay, p. 73
8. দ্রষ্টব্য যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, পৃষ্ঠা ৭৮
9. Debiprasad Chattopadhyay, p. 72
10. Debiprasad Chattopadhyay, p. 74