আরেক রকম ● অষ্টম বর্ষ ঊনবিংশ সংখ্যা ● ১৬-৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ● ১-১৫ পৌষ, ১৪২৭

প্রবন্ধ

কৃষক আন্দোলনস্থল থেকে বলছি

গৌতম হোড়


যমুনা পেরিয়ে নয়ডা মোড় থেকে সোজা জাতীয় সড়ক ধরে গাজিয়াবাদের দিকে এগোলেই কিছুক্ষণের মধ্যে চোখে পড়বে গাজিপুর। দিল্লির অন্যতম বড় সবজি, মাছ, মাংস, ডিমের মান্ডি। সেই গাজিপুর ফ্লাইওভার থেকে নামলেই ডানদিকে হরেক রকম পতাকা, মাইক, স্লোগান সহযোগে কয়েকশো মানুষের জমায়েত। ফ্লাইওভারের তলাতেও আছেন অনেকে। ব্রিজের নিচে জমা করা একের পর এক ট্র্যাক্টর। ট্র্যাক্টরের উপরে, কোথাও মাটিতে জমা করা আছে খড়। বিক্ষোভস্থলের পাশে প্রচুর ট্রাক। রাস্তার উপর শতরঞ্চি পাতা। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে তাঁরা। ক্ষুব্ধ কৃষকরা। সকলেই এসেছেন উত্তরপ্রদেশের হাপুর, বদায়ুঁ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে। নরেন্দ্র মোদী সরকার কিছুদিন আগে যে তিনটি কৃষি আইন পাস করেছেন, তার বিরুদ্ধেই ঘর-বাড়ি, খেত-খামার ছেড়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছেন তাঁরা।

তখন দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা। সার সার কৃষক বসে পড়েছেন মধ্যাহ্নভোজের জন্য। চারপাশে লাল পতাকা লাগানো একটা ম্যাটাডোরে করে খাবার এলো। সেখান থেকে খাবার নামিয়ে শুরু হলো পরিবেশন। খাবার মানে রুটি, সবজি, ডাল। কৃষকরা নিজেরাই বয়ে এনেছেন আটা, চাল, ডাল, সবজি। কারো দাক্ষিণ্য নিচ্ছেন না। এমনকী সরকারের সঙ্গে সাত ঘণ্টা ধরে আলোচনা চালাবার সময়ও নিজেদের আনা রুটি সবজি খেয়ে নিচ্ছেন বিজ্ঞান ভবনের ঝাঁ চকচকে মেঝেতে বসে। মাঝখানে গুরুদ্বারগুলি খাবার পাঠাচ্ছিল। কিন্তু বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা মানবিন্দরের দাবি, পুলিশ গিয়ে না কি সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। কৃষকরা অবশ্য অন্য কারো ভরসায় বসে নেই। নিজেদের রসদ তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। কারণ, তাঁরা জানেন লড়াইটা দীর্ঘমেয়াদী। এত সহজে সরকার মত পরিবর্তন করবে না। অন্তত মোদী সরকারের রেকর্ড বলছে, তারা একবার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আন্দোলনের চাপে পিছু হটতে চায় না। সরকার কোনও দাবির কাছে নতিস্বীকার করছে, এমন বার্তা তারা কিছুতেই দেন না। তা হলে সম্ভবত অভিযোগটা স্বীকার করে নেওয়া হয়। এই মানসিকতার জন্যই মোদী সরকার অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে চলা সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে। বিজেপি-র ঘোষিত নীতিও তাই। মনমোহন সিং-এর আমলে অত্যন্ত নমনীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অফিস নিয়ে কম বিদ্রুপ করেননি বিজেপি নেতারা। গণতন্ত্রে নমনীয়তা দরকার, সরকারকে দাবি মানতে হয়, পরিবর্তন করতে হয় সিদ্ধান্ত, এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে। এই নিবন্ধের বিষয় হল দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভের ছবিটা তুলে ধরা। তাই সেই বিতর্কে না ঢুকে সরাসরি চলে যাওয়া যাক গাজিপুরে।

খাওয়া যখন চলছে, সেই সময়ও মূল মঞ্চে ভাষণ চলছে। মঞ্চ বলে আলাদা কিছু নেই। রাস্তা। সেখানে নিজেরাই ব্যাটারি চালিত মাইক নিয়ে এসেছেন। তাতে বক্তৃতা চলছে। সামনে বসে জনা ষাটেক কৃষক। বাকিরা মধ্যাহ্নভোজ সারছেন ও খাবার পরিবেশন করছেন। তাঁদের খাওয়া শেষ হলে বাকিরা খেতে যাবেন। কোনও হুড়োহুড়ি নেই। বিশৃঙ্খলা নেই। খাওয়া শেষ হলে পাতা একটা ম্যাটাডোরে ফেলে দিচ্ছেন তাঁরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই প্রত্যেকের কাছে চলে এল একটা প্যাকেট। তাতে জলের বোতল, কয়েকটা ফল, বিস্কিট এবং ফলের রসের টেট্রা প্যাক।

রোজ কাকভোরে শুরু হয়ে যায় খাবার তৈরির প্রস্তুতি। সকাল পাঁচটায় তৈরি হয় প্রথম চা। শীতের জাড় ছাড়াতে গরম চায়ের কাপে চুমুকের থেকে ভাল জিনিস আর কী আছে। আর এই চা আমাদের বিলাসী দার্জিলিং চা নয়। ভুর ভুর করে গন্ধ ওঠা লিকার চায়ে চুমুক নয়। কড়ক চা। জলের সঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে তাতে বেশি করে দুধ এবং গণ্ডা গণ্ডা চিনি ঢেলে তৈরি হয় শক্তিবর্ধক চা। তারপর পুরি, সবজির জলখাবার। জিলিপিও থাকতে পারে। সেটা শেষ হলে রুটি, ডাল, সবজির লাঞ্চ। এর জন্য বিশালকায় কড়া এসেছে। রান্নার লোক এসেছেন। জোগাড়েও।

এতটা পড়ার পর ভাববেন না, এই আন্দোলন মানে পিকনিক। বাড়িঘর, খেতখামার ছেড়ে দিল্লির রাস্তায় পড়ে থেকে প্রবল প্রতাপান্বিত মোদী সরকারের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়াটা একোবারেই সহজ কাজ নয়। দিল্লির সীমানায় আসতে কৃষকরা বারবার জলকামানে ভেসে গেছেন, লাঠির বাড়ি খেয়েছেন, কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় চোখ জ্বলেছে। এ সবই হয়েছে বিশেষ করে হরিয়ানা পেরোবার সময়। শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপান্তে পৌঁছবার পর তাঁদের বলা হয়েছিল, বুরারিতে যেতে। তা হলেই সরকার কথা বলবে। গাজিপুরের এই কৃষকরা চারদিন বুরারিতে গিয়ে ছিলেন। কেউ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি। তাই বুরারি ছেড়ে আবার চলে এসেছেন গাজিপুরে।

মধ্য দুপুরের রোদ তখন সেঁকে দিচ্ছে শরীর। কিন্তু বিকেল হলেই তো ঠান্ডা বাড়তে শুরু করবে। ডিসেম্বরের গোড়ায় রাজধানীর তাপমাত্রা রাতে দশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। মাঝখানে একদিন নয় ডিগ্রিতেও নেমেছিল। এই শীতে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন কী করে? প্রশ্নটা যাঁর উদ্দেশে করা, তিনি এক মধ্যবয়স্ক কৃষক। এসেছেন হাপুর থেকে। রাস্তায় পাতা সতরঞ্চির দিকে দেখিয়ে বললেন, “কেন এইখানে। ওপরে ত্রিপলের একটা আচ্ছাদন দেওয়া হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মাঝখানে। অনেকে নিজেদের ট্র্যাক্টরে শুচ্ছেন। কেউ ফ্লাইওভারের নিচে খড় পেতে শুচ্ছেন”। এমনভাবে জবাব দিলেন, মনে হল, ভাবখানা এমন যে, এ আবার জিজ্ঞাসা করার মত বিষয় না কি?

কতদিন থাকবেন এভাবে? নিজেদের খেত ছেড়ে? বদায়ুঁ থেকে এসেছেন হরিন্দর। সাদা দাড়ি বুক পর্যন্ত ছুঁয়েছে। চোখের পাশে কুঁচকে গেছে চামড়া। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের গ্রামেগঞ্জে স্বাভাবিক ছবি। নিদারুণ গরম ও শীত এভাবেই বয়স হলে মুখের চামড়ার উপর ছাপ ফেলে যায়। একবার তাকিয়ে তিনি বললেন, “আমরা জানি, গন্না (আঁখ) কাটার সময় আসছে। গেঁহুও (গম) পাকছে। সরকার তাই সময় কাটাতে চাইছে। সরকারের মনে হচ্ছে, ফসল কাটার সময় এলে তখন আমরা ফিরে যেতে বাধ্য হব। কিন্তু জেনে রাখুন। আমরা মানসিকভাবে তৈরি হয়ে এসেছি। যতদিন লাগে লাগুক। আমরা দাবি আদায় করে ফিরব। তা হলে ফসল? ঘরওয়ালে আছে। তারা দেখবে। না হলে যাবে। এমনিতেই মরছি, অমনিতেও মরব”।

তার মানে তাগিদটা, আন্দোলন করার শক্তিটা এসেছে এই জায়গা থেকে। এ বার প্রশ্ন করি, সরকার তো বলছে, এতে কৃষকদেরই লাভ হবে। আপনারা ভুল বুঝছেন। সরকারের কথায় ভরসা নেই। জবাব আসতে আর সময় লাগল না। প্রৌঢ় মানুষটি বললেন, “আমরা কি অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা পেয়েছি? সরকার তো আরও কত প্রতিশ্রুতি দিল। তার রূপায়ণ হয়েছে? সরকারের কথায় আমাদের বিশ্বাস নেই। আমরা আন্দোলন শুরু করার সময় প্রথমে সরকার ও বিজেপি বলল, আমরা কংগ্রেসের লোক, অকালি দলের সমর্থক বা খালিস্তানপন্থী। তারপর এখন শুনছি, আমাদের নাকি টাকা দিচ্ছে দালালরা, কারণ, এই আইনের ফলে দালালদের সর্বনাশ হবে”। ততক্ষণে তাঁর ক্ষোভ পরিণত হয়েছে রাগে। ক্রুদ্ধ প্রবীণ বললেন, “সরকার খালি আইন করুক, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি মানতে বাধ্য হবে সকলে। তার কমে ফসল কিনলে বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের স্বার্থে এটুকু করে দিক”।

হাতে লাঠি, ধুতি হাঁটুর উপরে তোলা, গায়ে রুক্ষ শাল চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরা বয়ষ্ক মানুষটিও যোগ দিয়েছেন এই বিক্ষোভে। তাঁর দিকে দেখিয়ে যুবক রামপাল বললেন, “এঁকে দেখুন। এই বয়সেও প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন। কেন? কারণ, সরকার যেটুকু কেনে সেটা এমএসপি-তে। বাকিরা কেউ এমএসপি-র ধারেকাছে টাকা দেয় না। ধানের যদি এমএসপি হয় কুইন্ট্যাল প্রতি ১৮০০ টাকা, তা হলে বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তিদের কাছে বেচতে হয় ৯০০ থেকে হাজার টাকায়। প্রতিটি ফসলের ক্ষেত্রে একই ছবি। গত কয়েক দিনে পাঁচবার বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে এমএসপি থাকবে। এমএসপি থাকাটা বড় কথা নয়, আসল কথা হলো এমএসপি নিয়ে আইন করা। সেটা কেন সরকার করবে না? তারা কেবল বড় সংস্থার স্বার্থ দেখবে। কৃষকদের নয়”। বলেই তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, “বাংলায় খোঁজ নিয়ে দেখুন তো। সরকার না কিনলে ধান কত দামে বিক্রি করে কৃষকরা”।

বর্ধমানের ছেলে পূর্ণেন্দু রায় বলছিলেন, রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারে। কিন্তু তার একটা সীমা থাকে। জমির পরিমাণ অনুসারে। যার ছোট জমি তাঁদের সুবিধা। বড় জমি হলে ফসলের একটা অংশ সরকারি দামে বিক্রি করা যায়। বাকিটা ফড়ের কাছে বা বাজারে বিক্রি করতে হয়। সেটা এমএসপি-র থেকে প্রায় সবসময়ই কম দামে বিক্রি করতে হয়।

কৃষকদের সঙ্গে কথা্ বলতে বলতেই গোটা দুই ট্রাক এসে থামল। তার থেকে হই হই করে নামতে লাগলেন পতাকা হাতে কৃষকের দল। এতক্ষণ ভি এম সিং-এর সংগঠন, বামপন্থী সংগঠনের কৃষকরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন আরেকটি কৃষক ইউনিয়নের সমর্থকরা। তাঁদের দিকে তাকিয়ে রামপাল বললেন, দেখুন, “এঁরা এখন থেকে আন্দোলনে যোগ দিলেন। রোজ এভাবে নতুন নতুন মানুষ আসছেন যোগ দিতে। আমাদের শক্তি কমছে না, বরং বাড়ছে”।

রামপালকে বলি, বাজার তো চলে চাহিদা ও যোগানের তত্ত্বে। চাহিদা থাকলে দাম কমবে কেন, বরং বাড়বে। রামপালের আশপাশে তখন আরো কৃষক জড়ো হয়ে গেছেন। তার ভিতর থেকে একজন জবাব দিলেন, “আইন করে যে কর্পোরেটকে যত খুশি মজুত করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, এ বার তো ফসল ওঠার সময় তারা বাজারে বেশি করে জিনিস ছেড়ে দাম কমিয়ে দেবে, তারপর কম দামে ফসল কিনবে। আমাদের লাভটা কি?” এই দেখতে সহজ অথচ জটিল চাহিদা ও যোগানের অঙ্কের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে কৃষকদের লাভ-ক্ষতির অঙ্ক। দাঁড়িয়ে আছে এই আন্দোলন।

তত্ত্ব তো প্রচুর আছে। যেমন, সরকারি আমলাদের কাছে বসুন। তাঁরা জলের মতো বুঝিয়ে দেবেন, চুক্তি চাষ অনিবার্য, কৃষির কর্পোরেটাইজেশন হবেই। বিদেশে সর্বত্র হয়েছে। সেখানে কৃষকরা লাভবান হয়েছে। এখন যে ব্যবস্থা আছে তাতে লাভ তো দালালদের। কৃষকরা লাভের মুখ সামান্যই দেখেন। ক্রেতারাও বেশি দাম দিয়ে জিনিস কেনেন। মাঝখান থেকে মধ্যবর্তী দালালদের রমরমা। নতুন কৃষি আইনে মাঝখানের দালালরা বাদ। কর্পোরেট, বেসরকারি সংস্থা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনবে। পৌঁছে দেবে ক্রেতার কাছে। তাতে কৃষক বেশি দাম পাবেন। ক্রেতাও আগের তুলনায় কম দামে জিনিস কিনতে পারবেন।

কিন্তু গাজিপুরে সহ দিল্লির সীমানায় এসে যে হাজার হাজার কৃষক আ্ন্দোলন করছেন, তাঁরা এই সব কথায় কান দিচ্ছেন না। তাঁদের প্রধান দাবি, এমএসপি-কে আইনি স্বীকৃতি দাও। তা হলেই কৃষকদের হাতে টাকা আসবে। না হলে নয়।

এই বিক্ষোভ কি শুধু বড় চাষীদের? না কি, ছোট চাষীরাও আছেন? আন্দোলনের চেহারা দেখে এটুকু বুঝতে পেরেছি, বড় ও ছোট দুই ধরনের কৃষকই আছেন আন্দোলনে। তাঁরা সরকারের কোনও যুক্তি শুনতেই রাজি নন। তাঁরা দাবি করছেন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। তবে আলোচনায় সব চেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে এমএসপি-র প্রসঙ্গ।

এই ধরনের আন্দোলনের সব চেয়ে বড় দুর্বলতা হলো, খুব বেশিদিন তা চালানো যায় না। কিছুদিন চলার পর হতাশা আসে। অন্য খবর চলে এলে টিভি ও সংবাদপত্রে গুরুত্ব হারায় এই খবর। সরকারের চাপ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত হয় আন্দোলনকারীরা হতাশ হয়ে পড়ে অথবা পুলিশ দিয়ে অবস্থান তুলে দেওয়া হয়। এই কৃষক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এখনো পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না করে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকারও দাবি মানতে চাইছে না। অচলাবস্থা চলছে, কতদিন তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। অন্য কেউ হলে এতদিনে সম্ভবত সরকার আন্দোলন উঠিয়ে দিত। কিন্তু কৃষক মানে তো বিশাল ভোটব্যাঙ্ক। তাই তাঁদের বেশি চটাতেও সাহস পাচ্ছে না সরকার। অথচ, তাঁদের দাবি মানা হবে না, এমন নীতিগত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এখন তাই চলছে, একে অন্যের উপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা। সেই চেষ্টায় শেষ হাসি কে হাসবে, সেটাই দেখার।