আরেক রকম ● অষ্টম বর্ষ ঊনবিংশ সংখ্যা ● ১৬-৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ● ১-১৫ পৌষ, ১৪২৭

সম্পাদকীয়

দুয়ারে কারা?


সরকার কোথায় থাকবে? সরকার কোন স্থল থেকে চলবে? মানবসভ্যতায় যখন থেকে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন থেকে আলোচনা চলেছে সরকার এবং জনগণের সম্পর্ক কী? জনগণ সরকার নির্বাচন করেন। কিন্তু তারা তা পরিচালনা করেন কি? নাকি ক্ষমতার অলিন্দে পা রেখে জনগণকে ভুলে নির্বাচিত নেতারা ক্ষমতাতন্ত্র চালান, যা চলে জনগণের নামেই কিন্তু জনগণের কথায় নয়। এমনকি সরকারের কল্পনা কি করা সম্ভব যা জনগণের থেকে ভিন্ন হবে না? ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে হুকুম নয়, জনগণের মধ্যে বিকেন্দ্রীত থেকে জনগণের মাধ্যমেই চলবে সরকার।

এমন কল্পনা বাম বা কমিউনিস্ট রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে। অনেক অন্যায় অবিচার বাম বা কমিউনিস্ট সরকার পৃথিবীর নানা দেশে করে থাকলেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে রাষ্ট্রের বিলীন হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব আসলে জনগণ ও সরকারের মধ্যে সীমারেখা বিলোপের তত্ত্ব। এমন এক শ্রেণিহীন সমাজ একদিন তৈরি হওয়ার আহ্বান বামপন্থীরা করেন যেখানে শ্রেণির বিলোপের পরে ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে রাষ্ট্র ও সরকার জনগণের ক্ষমতার মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে।

কল্পনা বা তত্ত্বের জগত থেকে বাস্তবের মাটিতে পা রাখলে বোঝা যায় যে তত্ত্ব ও সরকারী নীতির মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকে যায়। তবু, ভোলার নয় প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সেই অমর উক্তি যে তাঁর সরকার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে পরিচালিত হবে না। সরকার পরিচালিত হবে গ্রাম বাংলা থেকে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে জনগণের কথা শুনে, তাদের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে পরিচালিত হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এই ঘোষণার ফল সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে একদিকে ভূমি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জমিদার-জোৎদার এবং উচ্চবর্ণের অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়। অন্যদিকে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটে, রাজনীতির ক্ষমতা সরাসরি চলে যায় বহু যুগ ধরে বঞ্চিত, শোষিত মানুষের হাতে। ভূমিস্বত্বভোগী শ্রেণি ও উচ্চজাতের ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় প্রান্তিক ভূমিহীন এবং নিম্নজাতের মানুষের হাতে। গোটা দেশের সামনে পশ্চিমবঙ্গ এক মডেল হয়ে ওঠে। গ্রামীণ বাংলার এই ব্যাপক পরিবর্তন শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার ভরকেন্দ্রকে পরিবর্তন করেনি। রাজ্যের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয় ১৯৮০-র দশকে। দারিদ্র হ্রাস হয় দেশের মধ্যে সর্বাধিক হারে। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের আমূল পরিবর্তন হয় মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

বামফ্রন্ট সরকারের শেষ লগ্নে এই বিপুল কর্মোদ্যমে ভাটা পড়ে। পঞ্চায়েতের স্বতন্ত্র ও তার গণতন্ত্রকে খর্ব করা হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের এই বিকেন্দ্রীত সরকারকে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় সমূলে উৎপাটিত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং ও রাজনৈতিক হিংসা তৈরি করে ২০১৮ সালে বিরোধীদের মনোনয়ন পর্যন্ত জমা দিতে দেওয়া হয়নি। সর্বস্তরে দুর্নীতি পঞ্চায়েতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েত নেতাদের বর্তমানে ঘৃণা করে বললেও অত্যুক্তি করা হয় না। হিংসা ও রিগিং-এর মাধ্যমে নির্বাচিত শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে নেই। তাই যেই গণতান্ত্রীকরণের বীজ বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চায়েতে রোপন করেছিল আজ তার চারা গাছটি মরে গেছে।

পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের শ্রেণিগত বৈচিত্রের হিসেব করলে দেখা যাবে যে বামফ্রন্ট জমানার শুরুর দিকে একদিকে ভূমিহীন এবং নিম্নবিত্তের প্রতিনিধিরা গ্রামের ক্ষমতার সমীকরণকে উলটে দিয়ে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হতে থাকে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সেই ব্যবস্থায় স্কুল শিক্ষকরা নির্বাচিত হতে শুরু করেন এবং ২০০০ পরবর্তী দশকে এলাকার ঠেকাদার ব্যবসায়ী এরাও পঞ্চায়েত সদস্য হতে শুরু করেন। তৃণমূল কংগ্রেস জমানায় সিন্ডিকেট সদস্য, এলাকার ব্যবসাদার, ঠেকাদার এবং গ্রামীণ বাংলার অন্যান্য ক্ষমতাশীল পরজীবি এবং প্রতিক্রিয়াশীল অংশ পঞ্চায়েতের সদস্য হতে শুরু করে যার মাধ্যমে বর্তমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গরীবের ক্ষমতায়নের পথ ছেড়ে শাসক দল ও শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নীতি ‘সিএম টু ডিএম’-এর চাপে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা আর নেই বললেই চলে। যেই সরকার মানুষের দুয়ার থেকে মানুষকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল, যেখানে মানুষ নিজের হকের কথা বলে দাবি আদায় ও গ্রামের উন্নয়ন করতে পারত তা এখন ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। আপাতত তাই পঞ্চায়েত বা মানুষের ক্ষমতায়ন কথাগুলি তামাদি হয়ে গেছে। ভুলেও তৃণমূলের নেতাদের মুখে এই সব শোনা যায় না। বহু বছর হয়ে গেল মেয়াদ ফুরোনো পুরসভাগুলির নির্বাচন পর্যন্ত শহরগুলিতে তৃণমূল সরকার করেনি, কারণ করলে তাদের মৌরসীপাট্টা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা। মানুষ যেই সরকারকে নিজের দুয়ারে জন্ম দিয়েছিল তাকে বিসর্জন দিয়ে সরকার এখন এসেছে দুয়ারে।

গোটা রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী চলছে। লাখো মানুষ সেই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায়। কে এই নীতিগুলি তৈরি করল, আদৌ তা মানুষের কোনো কাজে লাগবে কি না, তা নিয়ে মানুষের মতামত দুয়ারে গিয়ে কখনও চাওয়া হয়নি। সরকার মাই বাপ! তারা যা ভালো বলবে মানুষের জন্য তাই ভালো, সরকারে ক্ষমতা আসীন ব্যক্তিরা যা বলে দেবেন তাতেই মানুষের উন্নয়ন। অতএব, পঞ্চায়েত আবার কী? গ্রামসভা কাহারে কয়? আপাতত তাই দুয়ারে সরকার। আসুন পরিষেবা নিন। এই পরিষেবা যে আমরা দিচ্ছি তাতে আহ্লাদিত হোন এবং পরবর্তী নির্বাচনে আমাদের ভোট দিয়ে ধন্য করুন। দুয়ারে সরকার আসলে নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মানুষের মন পাওয়ার এক মরিয়া চেষ্টা।

তৃণমূল সমর্থকরা কথাটি শুনলে রেগে যাবেন। কিন্তু একটু নিজেদের স্মৃতি মন্থন করুন। মুখ্যমন্ত্রী ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার ১-২ বছরের মধ্যেই বলে দিয়েছিলেন যে সব কাজ হয়ে গেছে। বহুবার তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর সরকার যা কাজ করেছে তা বিগত ৩৪ বছরে বাম সরকার করতে পারেনি। তাঁর অনুচর অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন রাস্তায় নাকি উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। শাসক দলের ছোট, সেজ, বড়ো নেতারা বারংবার বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে নাকি রেকর্ড পরিমাণ কাজ হয়েছে। তাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে হঠাৎ সরকারের বয়স যখন প্রায় ১০ বছর ছুঁইছুঁই তখন ঘটা করে সরকারকে মানুষের দুয়ারে আসতে হচ্ছে কেন? আপনারাই তো এতগুলি বছর ধরে বলে গেলেন যে সব কাজ হয়ে গিয়েছে। আসতে হচ্ছে কারণ ভোট বড় বালাই। তবে শুধু দুয়ারে সরকার এলে মানুষের তাতে বয়েই গেল। তাই এমন একটি কিছু যাই যা মানুষকে আকর্ষণ করবে।

সেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু স্বাস্থ্যসাথী স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পকে সার্বজনীন প্রকল্পে রূপান্তরিত করা। সর্বাধিক চাহিদা এই প্রকল্পটির জন্য। হবে নাই বা কেন? রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বেসরকারী হাসপাতালগুলি মানুষের গলা কাটে, সরকারী হাসপাতালের পরিষেবার অবস্থা তথৈবচ। তাই বাধ্য হয়ে মানুষ জমি-জায়গা-ঘটি-বাটি বিক্রি করে নিকটাত্মীয়কে ভর্তি করে বেসরকারী হাসপাতালে। এই মানুষদের এখন বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সবার জন্য। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সমস্ত সরকারী হাসপাতাল এবং ১৫০০-এর বেশি বেসরকারী হাসপাতালে ১.৫ লক্ষ টাকা অবধি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে। কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিমার পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকা। সরকারী তথ্য অনুযায়ী ৭.৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ছিলেন, যাদের মধ্যে প্রকল্পের শুরুর সময় থেকে সুবিধা পেয়েছেন ১৩ লক্ষের বেশি মানুষ আর সরকারী কোষাগার থেকে মোট খরচ হয়েছে ১২৯১ কোটি টাকা (জুলাই ২০২০ অবধি)। এই বিমা প্রকল্পের প্রিমিয়াম সরকার দেবে। তাই সুবিধাভোগীকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী আপাতত ২০০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

শুনতে ভালো লাগলেও বিমা নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের রাজ্য তথা দেশের স্বাস্থ্যের যে প্রধান সংকট তার সমাধান করতে পারে না। সবার জন্য বিমা থাকা আর সবার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করা এক বিষয় নয়। গবেষণা করে দেখা গেছে যে বিমা প্রকল্পের আওতায় থাকা রোগীদের পকেট থেকে করা স্বাস্থ্যের খরচ বেড়ে যায়। এর কারণ, বিমাযুক্ত রোগীদের হাসপাতালগুলি নানান কারণে বেশি পরীক্ষা করায়, অহেতুক বেশি দিন হাসপাতালে রাখে। হাসপাতালে থাকলে তার খরচের একটা সীমা অবধি বিমা কোম্পানি দেবে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা বা ওষুধের খরচ বিমা কোম্পানি দেয় না। কিন্তু হাসপাতাল বিমা কোম্পানিভুক্ত রোগীদের বাধ্য করে প্যাকেজের বাইরে বিবিধ পরীক্ষা করাতে, যার ফলে তাদের খরচ আসলে বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যের অর্থনীতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা এই প্রবণতার বহু প্রমাণ গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন।

অন্যদিকে, এমন কিছু অসুখ রয়েছে যার চিকিৎসা আপনি হাসপাতালে দীর্ঘসময় ধরে ভর্তি থেকে করতে পারবেন না। যেমন ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসের রোগ, সুগার, দীর্ঘমেয়াদী হার্টের অসুখ, ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রেই এর চিকিৎসার খরচ অনেক। কিন্তু যেহেতু হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না, তাই বিমা কোম্পানি বা স্বাস্থ্য সাথী এর টাকা আপনাকে দেবে না। আবার যেই ২০০০ কোটি টাকা সরকার বিমা কোম্পানিগুলিকে প্রিমিয়াম হিসেবে দেবে, তার সবটাই কোম্পানি স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করবে না। এর একটি অংশ বিমার খরচ চালাতে এবং তাদের লাভের জন্য ব্যয় হবে। তাই ২০০০ কোটি টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা যদি সরকার সরাসরি তৈরি করত তাহলে বিমার থেকে বেশি পরিষেবা বাজারে তৈরি হতে পারত।

স্বাস্থ্য সাথীর জুলাই মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৫ শতাংশ রোগী সরকারী হাসপাতাল থেকে এই পরিষেবা নিয়েছেন, অর্থাৎ বাকি ৬৫ শতাংশ পরিষেবা নিয়েছেন বেসরকারী হাসপাতাল থেকে। আবার মোট ব্যয়ের মাত্র ১৪ শতাংশ সরকারী হাসপাতালে হয়েছে। বাকি ৮৬ শতাংশ টাকা গেছে বেসরকারী হাসপাতালের খাতায়। আমরা আগেই বলেছি প্রকল্পের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সরকার ১২৯১ কোটি টাকা খরচ করেছে। এর ৮৬ শতাংশ অর্থাৎ ১১১০ কোটি টাকা সরাসরি বেসরকারী হাসপাতাল পেয়েছে। কিন্তু সরকার যদি এই টাকা বিমার মাধ্যমে খরচ না করে আরো বেশি সরকারী পরিষেবা তৈরি করত তাহলে মানুষও লাভবান হত এবং বেসরকারী হাসপাতালের মুনাফাতেও রাশ পড়ানো যেত।

এই সমস্ত কারণে বিমা নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কখনই মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। দুয়ারে সরকার যখন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে আসছে তখন আসলে সরকারী কোষাগার থেকে টাকা ঘুর পথে কর্পোরেট হাসপাতালের হাতেই চলে যাচ্ছে। দুয়ারে সরকার নয়। প্রয়োজন ছিল জনগণের সরকার। যেই সরকার প্রত্যেকটি গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রত্যেকটি জেলায় সরকারী খরচে আধুনিক হাসপাতাল, প্রত্যেকটি শহরে অত্যাধুনিক সরকারী হাসপাতাল গড়বে। তা যদি হত তাহলে বিমা কোম্পানির উপর আপনাকে নির্ভর করতে হত না। সরাসরি সরকারী হাসপাতালে গেলেই আপনি উন্নত মানের পরিষেবা পেতেন। তাই দুয়ারে যখন সরকার আসছে তার কাছে দাবি তুলুন সবার জন্য বিমা নয়, সবার জন্য স্বাস্থ্য চাই। দুয়ারে সরকার নয়, সুপরিচালিত দুর্নীতিহীন জনগণের পঞ্চায়েত ও পুরসভা চাই। সর্বপরি, খয়রাতি নয়, মানুষের অধিকার চাই। মানুষের ক্ষমতায়ন আপনার দুয়ারে বসে হবে না। রাস্তায় নেমে তা ছিনিয়ে আনতে হবে। ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে মানুষের ক্ষমতায়ন করতে হলে দুয়ারে সরকার নয় প্রয়োজন সরকারের দুয়ারে আপনার সজোর উপস্থিতি।