আরেক রকম ● অষ্টম বর্ষ সপ্তদশ সংখ্যা ● ১৬-৩০ নভেম্বর, ২০২০ ● ১-১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭
সমসাময়িক
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কি সর্বজনীন নয়?
এখানে থাকলে আমি হাসতে ভুলে যাব, এভাবেই ভেবেছিল রবীন্দ্রনাথের বিদূষক চরিত্র। আর রাশিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক সের্গেই আইজেন্সটাইন বলেছিলেন, সামাজিক ক্রোধের ভারি ট্যাংক যেখানে অচল, হাসির হালকা বন্দুক সেখানে আমাদের অস্ত্র। হাসির জন্ম হয় অসঙ্গতি আর অতিরেক থেকে। কিন্তু যখন হাসি বারণ হয়ে ছবি বা কার্টুন আঁকা কিংবা নকল করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়, হাসি মানে হয় সমালোচনা - কী করবেন আপনি? নিকোনার পাররার কবিতা পড়বেন শঙ্খ ঘোষের নিপুণ অনুবাদে। নাকি চার্লি চ্যাপলিনের ছবি দেখবেন - লুকিয়ে? তার আগে জেনে নিতে হবে চার্লি চ্যাপলিন কেও দাঁড়াতে হয়েছে, আমেরিকায়, অ-আমেরিকিয় কার্যকলাপের অপরাধে আধুনিক ইনকুইজিশনের সামনে। ভারতে এখন একটাই পরিবার। সঙ্ঘ পরিবার। তাঁদের নির্ধারিত মাপকাঠি পেরোলেই ইনকুজিশন। যে ইনকুইজিশন পরিচালনা করছে, রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং প্রচার মাধ্যম। তাতেও কাজ না হলে আছে ঘাতকের পিস্তল। গৌরী লঙ্কেশ, কালবুর্গি, নরেন্দ্র ধাবেলকার, সাবরেওয়াল, গোবিন্দ পানসারে তার সাক্ষী। গত ছয় বছরে ৫৬ জন সাংবাদিক নিহত ভারতে। কাশ্মীর তো বটেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরায় চলছে সাংবাদিক হত্যা। আসামের সাংবাদিক পরাগ ভুঁইয়া বিজেপি নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। খুন হয়েছেন। জুন-জুলাই-অগস্টে তিনজন সাংবাদিক খুন দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীর রাজ্যে। ছয় লাখ প্রদীপ জ্বলেছে দেওয়ালিতে কিন্তু তাতে কি ঢাকা যাবে মহাত্মা গান্ধী রোজগার যোজনায় চরম দুর্নীতি নিয়ে লেখা সাংবাদিক বিনয় তেওয়ারিকে প্রকাশ্যে গণপিটুনি দেওয়ার কলঙ্ক। যারা ভাবেন, হিন্দু/ ব্রাহ্মণ হলেই রেহাই, তাঁরা জানেন কি না জানি না, জুন থেকে নিহত তিন সাংবাদিক ব্রাহ্মণ/ সবর্ণ।
ভারতের ইতিহাসে ১৯৭৫ এর জরুরি অবস্থাও লজ্জা পাবে, বর্তমান সময়ের খতিয়ান লিখতে। পোষা তোতাপাখি সিবিআই, আয়কর, ইডি, সেনাবাহিনী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নির্বাচন কমিশন এমনকী লোকে যে বলবে, আদালতে দেখা হবে - তার উপায় নেই, উচ্চ ন্যায়ালয়ের একটা অংশ এখন নির্বাচিত বিচারে বিশ্বাসী। কারো কারো বেলায় তড়িঘড়ি রাতারাতি বিচার। হলফনামায় ভুল পর্যন্ত সংশোধন করতে বলা হচ্ছে না। কারো বেলায় বছরের পর বছর নীরবতা। শুনানির সময় নেই। অর্ণব গোস্বামীর মামলার কথাই ধরা যাক। অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে যতবার জামিনের আবেদন হয়েছে, তড়িঘড়ি শুনানি করে জামিন দিয়েছে আদালত। এবার মামলা ফৌজদারি। বাক-স্বাধীনতার প্রশ্নে নয়। টিভিতে চেঁচিয়ে কুৎসা বা মিথ্যা প্রচারের জন্য নয়, ভুয়ো টিআরপি মামলাও নয়। অন্বয় নামে এক অভন্তরীণ সজ্জা (interior decorator) ঠিকাদার তিন জন ব্যক্তির কাছে পাঁচ কোটির বেশি টাকা পেতো। এর মধ্যে একজন অর্ণব। ৮৩ লক্ষ টাকা অর্ণব অন্বয়কে দেননি বলে অভিযোগ। পাওনাদারদের তাগাদায় অন্বয় নাইক আত্মহত্যা করেন অর্ণব ফিরোজ সহ তিনজনের নামে আত্মঘাতী নোট লিখে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করে পরিবার। সঙ্ঘ পরিবারের বিশ্বস্ত মেগাফোন এবং সাংবাদিকের ছদ্মবেশ ধরা প্রচারক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের পুলিশ মামলা চালায় না তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কথায়। বর্তমান শিবসেনা সরকারের আমলে মামলাটি পুলিশ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ অর্ণবসহ বাকি দুজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। অর্ণব পুলিশকে বাড়িতে এক ঘণ্টা ঢুকতে দেন না। বহু জায়গায় ফোন করেন। বিফল হওয়ার পরও পুলিশকে গ্রেপ্তারে বাধা দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে চিৎকার করেন। পুলিশ মেরেছে বলে অভিযোগ করেন। শিরদাঁড়ায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন বলে আদালতে জানান। অথচ সুপ্রিম কোর্টে জামিন মেলার পর-ই কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। নেতার মতো হুড খোলা জিপে পরিক্রমা করেন শ্লোগান দিতে দিতে।
আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতে জামিন না পেলে তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা। নিম্ন আদালতে জামিনের শুনানি বাকি। মুম্বাই হাইকোর্ট জামিনের আবেদন নাকচ করেছে। অথচ সুপ্রিম কোর্টে গেল। এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে শুনানি হলো। তার চেয়েও বিস্ময়কর বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য: আমরা যদি এই মামলায় হস্তক্ষেপ না করি ধ্বংসের পথে যাবে।
কী ধ্বংসের পথে যাবে? না ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। পার্সোনাল লিবার্টি। অর্ণবের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রশ্নে ১২ ঘন্টায় শুনানি হয়। কিন্তু বাকিদের জন্য নয় কেন, ধর্মাবতার? এই প্রশ্ন শুধু আমাদের নয়। সুপ্রিম কোর্টের বার আসোসিয়েশনের সভাপতি দুষ্মন্ত দাবে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। কিছু উদাহরণ দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। কেরলের এক বিশিষ্ট সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান হাথরাস যাচ্ছিলেন দলিত এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায়। দুই সাংবাদিকসহ। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে। এমনকী ভাড়া গাড়ির চালককেও। তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নেই? তাদের জামিন জোটেনি। জেলে পচছেন। সুধা ভরদ্বাজ। লেখিকা অধ্যাপিকা সমাজকর্মী আদানি কর্তৃক আদিবাসীদের জমি লুঠের বিরোধিতা করেছিলেন। মোদীকে খুনের চক্রান্তের মিথ্যা বানানো অভিযোগে দু বছরের বেশি জেলে। বৃদ্ধা। অসুস্থা। স্বাস্থ্যের কারণে জামিনের আবেদন করলে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে জামিনের আবেদন করতে। কবি ভারভারা রাও মারাত্মক অসুস্থ। একই অভিযোগে ২০১৮ থেকে জেলে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসা পর্ষদ বা মেডিকেল বোর্ড গড়তে বলা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দরকার নেই। ১৯ বছরের ছাত্রী কর্ণাটকের অমূল্যা শ্লোগান দিয়েছিলেন, এই অপরাধে জেলে। তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দরকার নেই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় জামিয়া মিলিয়ার ২০০ জন ছাত্র ছাত্রী ক্যা এনআরসি এনপিআর বিরোধী আন্দোলন করার জন্য এপ্রিল থেকে জেলে। জামিন জোটেনি। দেশের নামকরা লেখক লেখিকা সমাজকর্মী কতদিন জেলে আছেন দেখা যাক -
সুধা ভরদ্বাজ ৮১০ দিন
ভারভারা রাও ৮১০ দিন
গৌতম নওলাখা ২০৫ দিন
আনন্দ তেলতুম্বে ২০৫ দিন
হুইল চেয়ার সঙ্গী আধ্যাপক সাঁইবাবা ৮১০
উমর খালিদ ৬১ দিন
দেবাঙ্গনা কলিতা ও নাতাশা নারোয়াল ১৭৪ দিন
শারজিল ইমাম ২৮৯ দিন
মণিপুরের সাংবাদিক কিশোর ওয়াংখেম ৩৩ দিন
অতি বৃদ্ধ অসুস্থ স্ট্যান স্বামীর জামিনও নেই। স্ট্যান স্বামী পারকিনসন্স রুগী। গ্লাস থেকে জল পান করতে পারেন না। স্ট্র লাগে। সেই স্ট্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। এখনও সাড়া মেলেনি মহামান্য আদালতের থেকে। ৮৩ বছর বয়সে তিনি কারাগারে বন্দী! তাঁর ভগ্নস্বাস্থ্যের ফলে জেলে তাঁর সেবা করছেন বাকি বন্দীরা। স্টান স্বামী এক চিঠিতে লিখেছেন, তালোজা জেলের ভিতর মানবিকতা বেঁচে আছে। কিন্তু বাইরে? মানবিকতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা বাঁচানোর লড়াইয়ে বারবার মহামান্য আদালত দ্বিধাগ্রস্ত দেখাচ্ছে কেন?
শুধু স্বাধীনতা আছে বিজেপি প্রচারকের। বিচার ব্যবস্থা নাকি তামাশা? প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। দেশের প্রবীন আইনজীবী চিদাম্বরমকেও জামিন দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীরে ছয় হাজারের বেশি গ্রেপ্তার। জামিন নেই। এক বছর চার মাস হতে চলল সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন। শুনানির সময় নেই। উলটে কাগজের দপ্তরে তালা মেরে দিয়েছে মোদী শাহের সরকার। কাশ্মীরের বহু সাংবাদিক জেলে। তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দরকার নেই? শুধু বিজেপির পোষা ভৃত্যদের স্বাধীনতা আছে যা খুশি বলার করার, টাকা মেরে দেওয়ার। হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে বিগত জানুয়ারি মাস থেকে মত প্রকাশের অধিকার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ১০টি মামলায়, সুপ্রিম কোর্ট যত বার মত প্রকাশের পক্ষে থেকেছে, প্রত্যেকবার সরকার সেই মতের পক্ষে থেকেছে। যতবার সরকার বিরোধীতা করেছে, সুপ্রিম কোর্ট মতপ্রকাশের পক্ষে রায় দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে, কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। একজন কমেডিয়ানের আঙ্গিকেই সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল কামরা। অর্ণবের জামিনের পর সুপ্রিম কোর্টের রঙ গেরুয়া করে ছবি দেন কুণাল। তাই নাকি মানহানি হয়েছে। বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট এখন বিজেপির বর্ধিত পার্টি অফিস। তাতে মানহানি মামলার অনুমতি দিয়েছেন বিজেপি সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। কুণাল কামরা সাহসী পদক্ষেপও নিয়েছেন। বলেছেন, প্রশান্ত ভূষণের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ২০ ঘন্টা সময় নষ্ট করেছে। আমার মামলায় আমি কোনো উকিল দেবো না। বহু জরুরি মামলা পড়ে আছে সুপ্রিম কোর্টে সেগুলো শুনুক আদালত। তাঁর কথা, আইনজীবী নয়, ক্ষমাপ্রার্থনা নয়, জরিমানা নয়, সময় নষ্ট নয়।
বিচার ব্যবস্থার পক্ষপাতের প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল, যেই প্রশ্ন বর্তমান প্রেক্ষিতে বহু মানুষের মনে উঠছে।
তথ্য অধিকার কর্মী সাকেত গোখলের প্রশ্নগুলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়?
ক) কতগুলো জামিনের আবেদন পড়ে আছে সুপ্রিম কোর্টে?
খ) গড়ে কতদিন লাগে জামিনের মামলার শুনানির তালিকা হতে।
মান্যবর সঙ্ঘী প্রচারক অর্ণবের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা। সংখ্যাটি তাৎপর্যপূর্ণ।
আমাদের তিনটি প্রশ্নও থাক -
১। বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি সরকার তথা সঙ্ঘ পরিবার কথা দিয়েছিল স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর ভেঙ্গে দেওয়া আদালত অবমাননা নয়। হলে, আজ পর্যন্ত তার শুনানি হয়নি কেন?
২। অশোক সিঙ্ঘল এবং আদবানি বলেছিলেন, আদালত এ-বিষয়ে বলার কে? মানহানি হয়নি।
৩। দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের অধিকারের যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে - তা মানবেন না। বিজেপি কর্মীরা সবার সামনে সবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে মহিলাদের বাধা প্রদান করে। কিন্তু কোনো আদালত অবমাননার মামলা হয়নি।
শেষ কথা, যে উদ্দেশ্যে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি সুপ্রিম কোর্ট স্থাপন করেছিল, অন্যায় আদেশকে ন্যায়ের বিধান হিসেবে ঘোষণার, নন্দকুমারে ফাঁসি ও ভারতের প্রথম আধুনিক সংবাদপত্রের জনকে গ্রেপ্তার দিয়ে তার শুরু। বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট ভারতের সংবিধানের প্রহরী। ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত ব্যক্তির অধিকার সর্বজনীন। সরকারের প্রিয় পাত্রদের জন্য এই অধিকার প্রয়োগ হবে আর সরকার বিরোধীরা দীর্ঘদিন বিনা বিচারে, বিনা জামিনে জেলের ভিতর পচবেন, এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট যদি মনে করেন ব্যক্তি অধিকার সর্বজনীন, তবে অবিলম্বে সুধা ভরদ্বাজ, ভারভারা রাও তথা অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দীদের জামিন দিন। নয়ত, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে নয়, প্রকাশ্য রাস্তায় কাঁদবে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বস্ত দালাল সঙ্ঘ পরিবার তথা কোম্পানি ভারতের সংবিধান মানে না। তারা সেই পুরাতন অবস্থানেই নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিচার, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষা, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, আয়কর, ইডি সহ সব সরকারি দপ্তরকে। সঙ্ঘ কোম্পানির সেবা করা ছাড়া কাজ নেই। কালা ইংরেজের রাজত্ব। কালা ইংরেজের বিচার। শাসন, শোষণ - সব।
জয়প্রকাশের ভাষায় সর্বাত্মক বিপ্লব ছাড়া পরিত্রাণ নেই।