আরেক রকম ● অষ্টম বর্ষ সপ্তদশ সংখ্যা ● ১৬-৩০ নভেম্বর, ২০২০ ● ১-১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭

সম্পাদকীয়

ট্রাম্পবাদ নয়, পরাজিত ট্রাম্প


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আরেকবার প্রমাণ করে দিল যে স্বৈরাচারী একনায়ককে গদিচ্যুত করার সবথেকে বড় উপায় হল রাস্তায় নেমে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম। সংসদীয় রাজনীতি আবশ্যক তো বটেই, কিন্তু যথেষ্ট নয়, যদি না গণক্ষোভকে সরাসরি ক্ষমতার অলিন্দে ছুঁড়ে মারা যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরেও বাইডেন পিছলে বেরিয়ে গেছেন কারণ বিশাল রাজপথের সংগ্রাম ও তৃণমূল স্তরের প্রগতিশীল সামাজিক সংগঠনগুলির দাঁত কামড়ে পড়ে থাকা লড়াইয়ের সুফলে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থী অংশটি এই সংগ্রামগুলিতে প্রত্যক্ষ মদত জুগিয়েছে, বার্ণি স্যাণ্ডার্স নিজে গিয়ে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার-এর বড় বড় জনসভাতে বক্তব্য রেখেছেন। জো বাইডেন নিজে বামপন্থার ধারেকাছেও নেই, বস্তুত অনেক ইস্যুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বিশেষ পার্থক্য না থাকলেও এই বামঘেঁষা আন্দোলনগুলিই তাঁর জয়ের পেছনে গুরূত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করেছে।

প্রশ্ন উঠতেই পারে যে জো বাইডেনের জয়ে কি তাহলে এতটাই উল্লসিত হবার কারণ আছে? এর উত্তর দ্বান্দ্বিক - আছে, এবং নেইও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যে সামাজিক বৈষম্য, ঘৃণার রাজনীতি, সমস্তপ্রকার প্রতিক্রিয়াশীলতাকে মুক্ত কণ্ঠে সমর্থন, এই ব্যাপারগুলো একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। জো বাইডেন আসার পর প্রতিক্রিয়াশীলতার রাজনীতি তার প্রাতিষ্ঠানিক স্থান থেকে কিছুটা হলেও সরবে। কৃষ্ণাঙ্গ অথবা অভিবাসীদের প্রতি দিনের পর দিন কটূক্তি, অবিশ্বাস্যরকমের দক্ষিণপন্থার চাষ, বারে বারেই পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে, এগুলো বন্ধ হবে। তার মানে এই নয় যে রাতারাতি সব পালটে যাবে। বর্ণবৈষম্য হোক অথবা অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ, সেসবই থাকবে, কিন্তু সেগুলো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। সেগুলোই যে আমেরিকার রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি, এরকম হবে না। এটা একটা রিলিফ তো বটেই। এবং এটুকু মুক্তির শ্বাস এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বুকে অনেকখানি। উদাহরণস্বরূপ, আজ অদ্যই নরেন্দ্র মোদীকে সরিয়ে রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় আসেন, ভারতবর্ষ কি মুক্ত অর্থনীতির রাস্তায় হাঁটবে না? অর্থনৈতিক শোষণের জায়গাটা কি বন্ধ হয়ে আবে? একদমই হবে না। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও সত্যি যে খুল্লামখুল্লা মুসলিমবিদ্বেষ, জঙ্গী জাতীয়তাবাদ, সামাজিক পরিসরে তীব্র দক্ষিণপন্থার চাষ, ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার অভিযোগে পিটিয়ে মারা থেকে শুরু করে যথেচ্ছ দাঙ্গা, ভিন্নমত পোষণের জন্য সাংবাদিক হত্যা অথবা ভিন ধর্মে বিয়ের অপরাধে অনার কিলিং, এই সমস্তকিছুই কিছুটা ব্যাকসিটে যাবে। এগুলো তখনো হয়ত থাকবে কিন্তু রাষ্ট্রীয় মদতে এগুলোর নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হবে না, প্রচার করা হবে না যে এটাই আসল হিন্দুত্ব। এর ফলে গণতন্ত্রকামী শক্তিগুলো, নিপীড়িত গোষ্ঠীরা কিছুটা হলেও নিঃশ্বাস নিতে পারবে। সেটুকুর গুরূত্ব ভারত অথবা আমেরিকা কোথাও কম নয়।

কিন্তু এটাও মাথায় রাখা দরকার যে জো বাইডেন কোনো মৌলিক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। বাইডেনের অর্থনৈতিক প্রশ্নে কোনো মৌলিক নীতি নেই যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সমস্যায় বিকল্পের সন্ধান দিতে পারে। সমস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতই আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদ প্রসারে বাইডেন নিঃসংকোচ, যদিও সম্ভবত ট্রাম্প জমানার নানা কেলেঙ্কারি ও কলঙ্কের কারণেই হয়ত বাইডেন প্রথমদিকে কিছুটা মুখরক্ষা করে চলবেন, সামলে খেলতে চাইবেন। কিন্তু বার্ণি স্যাণ্ডার্স এরকম খোলাখুলিভাবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রপ্রকল্পের প্রতিভূ হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, বাইডেন সেসবের ধারপাশ মাড়াবেন না। কমলা হ্যারিসও না। অন্তত কারোরই ইতিহাস সে কথা বলে না।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাইডেন হয়ত ট্রাম্পের থেকে খারাপই হবেন। ট্রাম্প আমেরিকার ইতিহাসে নিকৃষ্টতম রাষ্ট্রপতি হতেই পারেন, কিন্তু মার্কিন সেনা এবং সিআইএ তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এর ফলে যেটা হয়েছিল, তাঁর সমস্ত তর্জন গর্জন বিফলে গিয়েছিল। আমেরিকা আর উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছিল ট্রাম্পের আমলেই। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনো সন্ত্রাসবাদী দলকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দিয়েছে আমেরিকা গত চার বছরে, এমন কোনো তথ্যও এ পর্যন্ত নেই। ওবামা আমলের মত তুরস্কের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইসিস এবং সিরিয়ার আহরার আল সাম-কে সাহায্য করার নীতি থেকে সরে থেকেছেন ট্রাম্প। ফলে পশ্চিম ও দক্ষিণ সিরিয়ায় রাশিয়ার মদতে আসাদ এবং উত্তর পূর্ব সিরিয়াতে কুর্দ গেরিলারা সহজেই আইসিস ও আলকায়দা কে কোণঠাসা করতে পেরেছিল। পুরো লাতিন আমেরিকা জুড়ে সিআইএ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল ট্রাম্পের অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে, যে সুযোগের ব্যবহার করে আবার ইভো মোরালেসের মত বামপন্থী শক্তিদের উত্থান ঘটেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প যে আদতে অকৃত্রিম সাম্রাজ্যবাদী তার প্রমাণও যথেষ্ট। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিভঙ্গ, জেনারাল সুলেইমানিকে ড্রোন দ্বারা হত্যা, মুসলমান প্রধান দেশ থেকে অভিবাসন নিষিদ্ধ ঘোষণা, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা বা কোভিড অতিমারির মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসা এবং তাকে অর্থ দিতে অস্বীকার করা প্রমাণ করে যে বিশ্বদরবারে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়, একচেটিয়া মার্কিনি আধিপত্যের প্রতিভূ ছিলেন ট্রাম্প।

বাইডেন এমন স্থূল নীতি নেবেন না। বহুদিন ধরে ওবামার সময়কালে তিনি ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি, ফলত প্রশাসনিক ও নেতৃত্বজাত গুনগুলি তাঁর ভালই আয়ত্ব আছে। তাঁর সময়কালে আবার যে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মদতে অস্থিরতা শুরু হবে না, লাতিন আমেরিকাতে সেনা-অভ্যুত্থান ঘটবে না অথবা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকবে না, তা ভাবার কারণ নেই। বরং উলটোটাই হবে সম্ভবত। ট্রাম্প হেরেছেন কারণ মুক্ত পুঁজিবাদ তাঁকে আর চায়নি। তাঁর উন্মাদসম কার্যকলাপ এবং হাস্যকর নীতিসমূহ একটা সময়ের পরে গিয়ে পুঁজিবাদের প্রসারের ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জো বাইডেন সেক্ষেত্রে মনোমত ব্যক্তি, ইনি নয়া উদারনীতির প্রকল্পগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।

কাজেই ট্রাম্পের পরাজয়ে খুশি হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাইডেনের জয়েও বিশাল উচ্ছ্বাসের কারণ থাকছে না। এটাও মনে রাখতে হবে যে ৪৯% মানুষ ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যে সামাজিক প্রতিক্রিয়াশীলতার ধ্বজাধারী ছিলেন ট্রাম্প, তার সমর্থনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন নানা বর্গের মানুষ, যাদের মধ্যে লাতিনো, আদিবাসী ইন্ডিয়ান এবং কাজ হারানো বেকাররাও আছেন। কোন ক্ষোভ থেকে তাঁরা ট্রাম্পকে সমর্থন করলেন সেটা বোঝা যেমন জরুরি, একইসঙ্গে দরকার এটাও মনে রাখার যে ট্রাম্প হেরেছেন, কিন্তু ট্রাম্পবাদ হারেনি। যে বৈষম্যমূলক ভাবাদর্শের তিনি প্রতিভূ, তা এখনো বিদ্যমান, যার সপক্ষে আপাতত অর্ধেক আমেরিকা। তবুও, খুল্লামখুল্লা দক্ষিণপন্থা কিছুটা পিছু হটল, এটুকু আনন্দের খবর তো বটেই। এটাও আনন্দের যে ডেমোক্র্যাটদের বাম ঘেঁষা অংশটাই সরকারবিরোধী আন্দোলনকে মানুষের রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন বলেই দক্ষিণপন্থার এই সাময়িক পরাজয়। সাময়িক লেখা হল, কারণ, আবারো, ট্রাম্পের ভাবাদর্শ পরাজিত হয়নি। একে হারাবার জন্য বাইডেন সমাধান হতে পারেন না। একমাত্র সমাধান হতে পারে নিপীড়িত গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তির নিরন্তর রাজপথে সংগ্রাম।

কিন্তু ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রাটিক পার্টি তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নবউদারবাদ এবং এলিট শ্রেণির প্রতিনিধিরূপে আত্মপ্রকাশের ধারা বজায় রেখে বামপন্থীদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে। ডেমোক্রাটিক পার্টির বহু নেতা বিবৃতি দিচ্ছেন যে বার্ণি স্যাণ্ডার্স বা স্কোয়াডের মতন বামপন্থী ডেমোক্রাট-রা মানুষের মনে সমাজতন্ত্রের ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছেন, যার উপর ভর করে রিপাবলিকান তথা ট্রাম্প মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে, বহু বছর ধরে বিশ্বায়ন এবং নবউদারবাদী পুঁজিবাদের অকুন্ঠ গুণগান করতে ব্যস্ত থেকেছে ডেমোক্রাটিক পার্টি। একের পর এক মার্কিনি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, শহরের জনসংখ্যা কমেছে বহু জায়গায়, মানুষের আয় কমে গেছে, বৈষম্য বেড়েছে। কিন্তু ডেমোক্রাটদের তরফে কোনো বিকল্প নীতির কথা শোনা যায়নি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় ডেমোক্রাটদের নৈতিক অধঃপতনের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টি তথা ট্রাম্প মানুষের সামনে অভিবাসী এবং কালো মানুষদের শত্রু হিসেবে খাড়া করতে সক্ষম হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিগত কয়েক বছরে রিপাবলিকান পার্টি যেই পরিমাণ সমর্থন পেয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে সাদা চামড়ার শ্রমিকদের বড় অংশের সমর্থন। ডেমোক্রাটিক পার্টি পুঁজির প্রতিভূ হয়েই থেকে গিয়েছে, সেখানে তারা কোনো আপস করেনি। অবশ্যই ট্রাম্প তথা রিপাবলিকান পার্টি পুঁজির হাত শক্ত করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক আখ্যানে বারংবার কাজ হারানো শ্রমিকদের কথা বলা হয়েছে, বিশ্বায়নের বিরোধীতা করা হয়েছে। কিন্তু ডেমোক্রাটরা তা করেনি। এখানেই ডেমোক্রাটিক পার্টির মধ্যেকার বামপন্থী অংশের অবদান। তারা মাঠে ময়দানে পড়ে থেকে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার পক্ষে, ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে, নারীদের অধিকার এবং সমকামী তথা রূপান্তরকামী মানুষের পক্ষে লাগাতার সংগ্রাম করেছেন। তাদের এই তৃণমূল স্তরের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ফলেই বাইডেন কালো মানুষ, মহিলাদের বিপুল সমর্থন লাভ করেছেন। কিন্তু সাদাদের মধ্যে তিনি ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত। শহরে বাইডেন ভোট পেয়েছেন, কিন্তু গ্রামে ট্রাম্প প্রচুর জনসমর্থন লাভ করেছেন। এমনকি ফ্লোরিডাতে লাটিনোদের মধ্যেও ট্রাম্প সমর্থন লাভ করেছেন। সাদা মানুষের মধ্যে ট্রাম্প বাইডেনের তুলনায় এগিয়ে। যেই সব রাজ্যগুলি বাইডেন শেষ মুহূর্তে জিতলেন, যেমন মিচিগান, উইসকনসিন, ফিলাডেলফিয়া, নেভাডা, এই সব রাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান যৎসামান্য। তাই ট্রাম্পের হারে সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। কোভিড অতিমারি নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ না হলে, বা কোভিড অতিমারি না হলে ট্রাম্প হয়ত এই নির্বাচন জিতে যেতেন। তাই আত্মসন্তুষ্টির কোনো জায়গা নেই।

মনে রাখতে হবে, ট্রাম্প হারলেও রিপাবলিকানরা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। রিপাবলিকান পার্টি তাদের অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতি থেকে একচুলও পিছু হটেনি। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে এবং রাস্তায় শ্রেণি সংগ্রাম চলবে। একদিকে, বর্ণবিদ্বেষ নির্ভর উগ্র দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ত পুঁজিবাদ, অন্যদিকে, আপোসকামী নবউদারবাদী বাইডেনের নেতৃত্বে উদারবাদী পুঁজিবাদ। এই দুইয়ের লড়াইয়ে বিকল্পহীন উদারনৈতিক পুঁজিবাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। যদি না, বামপন্থী শক্তিরা রাস্তায় তথা সংসদে প্রগতিশীল পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে থাকেন। বার্ণি স্যাণ্ডার্স নির্বাচনের পরে যেই বার্তা দিয়েছেন, একমাত্র তার মধ্যেই রয়েছে আগামীদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চরম দক্ষিণপন্থার হাত থেকে বাঁচানোর দাওয়াই। তিনি বলেছেন, বাইডেনের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবার সময় এসেছে সকলের জন্য স্বাস্থ্য, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, রোজগার বাড়ানো, স্টিমিউলাস প্যাকেজ, কোভিড নিয়ন্ত্রণের দাবি সরকারের সামনে ১০০ দিনের কর্মসূচী হিসেবে পেশ করা। এই দাবি ভিত্তিক প্রগতিশীল আন্দোলনই পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ট্রাম্পবাদের থেকে রক্ষা করতে। আগামীদিনে বামপন্থীদের কার্যকলাপের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। বাইডেন নয়, তাকিয়ে থাকুন বার্নি স্যাণ্ডার্স, আলেক্সান্দ্রিয়া অকাসিও কর্তেজ, ইলহান ওমার, করি বুশ ইত্যাদি বামপন্থী প্রগতিশীল সাংসদদের দিকে, ব্লাক লাইভস ম্যাটার, নারী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনের দিকে। তাদের সাফল্য অথবা ব্যর্থতার উপর নির্ভর করছে ট্রাম্পবাদের ভবিষ্যৎ।