আরেক রকম ● ত্রয়োদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৫ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩১

প্রবন্ধ

গ্রাম কাছারি

অশোক সরকার


।। ১ ।।

নাম শুনেছেন? হলফ করে বলতে পারি অনেকেই শোনেননি। অথচ আমাদের পাশের রাজ্য বিহারে এই কথাটি খুবই পরিচিত, বিশেষত গ্রামে। গ্রাম কাছারি মানে গ্রামেরই আদালত। না, খাপ পঞ্চায়েত নয়; জমিদারদের কাছারিও নয়; রাজ্যের আইন অনুসারে তৈরি হওয়া আদালত, যাকে উচ্চ আদালতও স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে চালু হয়েছে, ছোটোখাট দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিবাদের বিচার করার জন্য। প্রায় ৮,০০০ গ্রাম কাছারি বিহারে কাজ করছে। পাটনার চাণক্য আইন বিশ্ববিদ্যালয় এক হিসাবে দেখাচ্ছে ২০২১-২০২৩, এই দুই বছরে মোট ৭৫,৮৬০টি দেওয়ানী মামলা গ্রাম কাছারির সামনে এসেছে তার মধ্যে ৬৭,৮২৩টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে, মাত্র ১৫ ভাগ মামলা সেশন আদালতে গেছে। একইভাবে ৬৭,৪৭২টি ফৌজদারি মামলার মধ্যে ৫৯,০৭০টির নিষ্পত্তি হয়েছে গ্রাম কাছারিতে।

ব্যাপারটা খুলে বলতেই হয়। ২০০৬ সালের বিহার পঞ্চায়েতি আইনে দুই ধরনের পঞ্চায়েতের কথা আছে, এক, গ্রাম পঞ্চায়েত, আরেকটি গ্রাম কাছারি - পোশাকি নাম 'ন্যায় পঞ্চায়েত'। দুটিই পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন করে গঠন হয়। পশ্চিমবঙ্গেও ন্যায় পঞ্চায়েতের কথা আইনে আছে, কিন্তু কিছু হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বিহারে বলে মুখিয়া, আর গ্রাম কাছারির প্রধানকে বলে সরপঞ্চ। গ্রাম পঞ্চায়েতে যেমন প্রধান থাকে, তেমনি গ্রাম কাছারিরও থাকে তাদের বলে জুরি, হিন্দিতে বলে পঞ্চ। গ্রাম পঞ্চায়েতের যেমন সচিব থাকে, তেমনি গ্রাম কাছারি-র থাকে ন্যায়মিত্র, যিনি আইনের গ্রাজুয়েট। এছাড়া একজন সচিবও থাকে।

।। ২ ।।

গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসেই বসে গ্রাম কাছারি। সেখানেই মামলার শুনানি হয়। এই আদালতে উকিল নেই, বাদি-বিবাদীরা নিজেরাই নিজেদের মামলা লড়েন। আদালত শমন পাঠাতে পারে। সেই শমন উচ্চ আদালতে এমনকী পুলিশের কাছেও গ্রহণযোগ্য। মামলা আপসে মীমাংসা না হলে ট্রায়াল হয়, রায় দেওয়া হয়, রায়ের বিরুদ্ধে সেশন আদালতে আপিল করা যায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০টি জামিন যোগ্য ধারায় গ্রাম কাছারিতে মামলা রুজু করা যায়। এছাড়া ছোটোখাট আকারের সব রকম দেওয়ানী মামলা করা যায়। একটা দুটো উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। দুটি সত্য ঘটনা শোনাই।

অনেক বছর গ্রামের বাইরে থাকার পর রামাশিস গ্রামে ফিরে দেখে তাদের পারিবারিক জমির ভাগ থেকে তার জ্যাঠতুতো খুড়তুতো ভাইয়েরা তাকে বঞ্চিত করেছে। সে থানা পুলিশ কোর্টের দরজায় ঘুরতে থাকে, মামলা চলতে থাকে রামাশিসের বয়সও বেড়ে চলে মামলার নিষ্পত্তি আর হয় না। শেষে নিরুপায় হয়ে রামাশিস গ্রাম কাছারির শরণাপন্ন হয়। ওয়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম কাছারির সরপঞ্চ পুষ্পাঞ্জলি সিং রামাশিস আর তার দুই ভাইকেই শমন পাঠান। তারা আসে। পুষ্পাঞ্জলি আইনের ব্যাখ্যা তো করেনই, তার সঙ্গে এও বুঝিয়ে বলেন যে আদালতে এই মামলায় তাদের এতদিনে প্রত্যেকের প্রায় ৭৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা খরচা হয়ে গেছে, আর কতদিন মামলা চলবে কেউ বলতে পারে না, মানে খরচ আর হ্যাপা চলতেই থাকবে। তার থেকে তিন ভাই যদি আপোষে মীমাংসা করতে রাজি থাকে তাহলে কাছারি আমিন ডাকিয়ে জমি মেপে তিনজনকে সমান ভাগ করে দেবে। ৬ দিনে তিনবার কাছারি বসেছিল। সবাই রাজি হয় ও আদালত থেকে মামলা ফিরিয়ে নেয়। ঘটনাটি ২০১৭-র।

আরেকটি ঘটনা আরও চমকপ্রদ। সিওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এক ব্যক্তি গ্রামেরই আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার প্রয়োজনে খেপে খেপে প্রায় ৯০,০০০ টাকা ধার নিয়েছিল। ধার ফেরত দেবার নাম নেই। হাজার পাঁচেক টাকা ফেরত দেবার পর তার আর দেখা নেই, মাঝে মাঝে গ্রামে আসে, কিন্তু তাকে ধরা যায় না। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যক্তিটি গ্রাম কাছারির শরণাপন্ন হয়। গ্রাম কাছারি দুজনকেই শমন পাঠায়। প্রথম শমনে, ধার নেওয়া ব্যক্তিটি আসেনি। দ্বিতীয়বার শমন পাঠালে সে হাজির হয়। কাছারির কাছে সে প্রতিজ্ঞা করে যে প্রতিমাসে সে কিছু কিছু করে ওই ধার শোধ করবে, সেই মতো রায় দেওয়া হয়। ৬ মাসে পারেনি কিন্তু আট মাসের মধ্যে সে সত্যিই বাকি টাকা শোধ করেছিল। ঘটনাটি ২০২১-র।

।। ৩ ।।

আইনের ব্যাখ্যায় অভিজ্ঞ বিচারক নেই, উকিল নেই অথচ আইন স্বীকৃত আদালত, আমাদের চিন্তাকাঠামোর বাইরে, তাই বিষয়টি ভালো করে জানা বোঝার উদ্দেশ্যে একটি ছোটো আকারের গবেষণা করা হয়েছিল। করেছিলেন কলকাতারই 'সিগমা ফাউণ্ডেশন' [1] নামে একটি সংস্থা, যার কর্ণধার ডঃ এম. এন. রায় এক সময় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব ছিলেন। তাঁদেরকে বলা হয়েছিল চারটি দিক থেকে এই অভিনব বিচারব্যবস্থাকে পরখ করতে, ১) সাধারণ মানুষের কাছে বিচারের দ্বার সুগম হয়েছে কিনা, ২) বিচারের খরচা সাধারণ মানুষের আয়ত্ত্বের মধ্যে কিনা, ৩) তৎপরতার সঙ্গে বিচার পাওয়া যায় কিনা, আর ৪) ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব কিনা। তাদের গবেষণার পুরো রিপোর্টটি জনসমক্ষে আছে, এখানে গবেষণালব্ধ তথ্যগুলির সারাংশ পেশ করলাম।

রাশিবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে ১৫টি জেলার মধ্যে ৬টি জেলায় একটি করে পরিচিত পারদর্শী গ্রাম কাছারি আর বাকি ৯টি জেলায় রান্ডম পদ্ধতিতে ৯টি গ্রাম কাছারি নির্বাচিত করা হয়েছিল। এই কাছারিগুলিতে ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মোট ১,০০০-এর বেশি মামলা এসেছে, কোথাও বেশি কোথাও বেশ কম। দেওয়ানী মামলাই বেশি তবে ফৌজদারি মামলা কিছু কম নয়। মোট ১০৫৯টি মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা হয়েছিল, যার মধ্যে ৫৯০টি দেওয়ানী আর ৪৬৯টি ফৌজদারি মামলা। দেখা গেল ওই একই সময়ের মধ্যে ৯৭ ভাগ মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, শুধু তাই নয়, যেগুলি সাধারণভাবে পারদর্শী গ্রাম কাছারি বলে পরিচিত সেই ৬টি গ্রাম কাছারিতে প্রায় ৮১ ভাগ মামলা আর এলোমেলো (random) পদ্ধতিতে নির্বাচিত ৯টি গ্রাম কাছারিতে প্রায় ৭৬ ভাগ মামলা ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। একথা সত্যি যে ৯০ ভাগের বেশি মামলাই আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে। আইনের বয়ানেই আছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে আর চেষ্টা করতে হবে আপসে যাতে নিষ্পত্তি হয়, সম্ভব না হলে ট্রায়াল করতে হবে। তবে সব গ্রাম কাছারিই যে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে পেরেছে তা নয়, যেখানে ন্যায়মিত্র বা সরপঞ্চ সময় দিতে পারেননি সেখানে দেরি হয়েছে। কথাবার্তায় জানা গেল যে জমির ভাগাভাগি সংক্রান্ত ও অন্যান্য পারিবারিক বিবাদ সংক্রান্ত মামলায় সময় বেশি লাগে, আর বেশি সময় লাগে যখন বিবাদিরা শমনের পরেও গরহাজির থাকেন। এছাড়া কোভিডের সময়ও স্বাভাবিক কারণে মামলার নিষ্পত্তি হতে দেরি হয়েছে।

।। ৪ ।।

বিচারের খরচা? সাধারণভাবে দেখা গেছে যে বাদী বা বিবাদী পক্ষের খরচা হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা, যেটা কোর্ট ফি বাবদ জমা দিতে হয়েছে। এছাড়া জমির মাপজোক করতে হলে আমিনের খরচা পক্ষ বিপক্ষকেই বহন করতে হয়েছে, কাছারির ঘরে সেই অর্থ জমা পড়েনি। দুটি কেস পাওয়া গেছিল যেখানে ৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচা হয়েছে, কারণ জমিজমা সংক্রান্ত অনেক পুরোনো কাগজ কপি করতে হয়েছে। যেহেতু উকিল নেই তাই নিজেদের যাতায়াত ছাড়া আর কোনো খরচাই হয়নি।

।। ৫ ।।

বিচারের দ্বার কি সুগম হয়েছে? ১৫টি গ্রাম কাছারির ক্ষেত্রে একবাক্যে গ্রামবাসীরা বলেছেন, এই কাছারি তাঁদের নাগালের মধ্যে। যে কোনো দিন সরপঞ্চ বা উপসরপঞ্চের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানো যায়। বিশেষত মহিলারা বলেছেন এই ব্যবস্থা তাঁদের কাছে বিচারের পথ সুগম করেছে। বিহারে ৭,০০০ জনসংখ্যায় একটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রাম কাছারি ফলে মোটামুটিভাবে প্রায় সবার পক্ষেই হাঁটাপথে বা সাইকেলে কাছারিতে পৌছনো সম্ভব।

।। ৬ ।।

ন্যায়বিচার কি মেলে - এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়। যেখানে ৯০ ভাগ কেস আপসে মীমাংসা হচ্ছে, সেখানে ন্যায় বিচার মিলছে কিনা এই প্রশ্ন থেকেই যায়। গ্রামের ক্ষমতাশালী লোকেরা এই ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করছে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে। যে ১০৫৯টি মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা হয়েছে তার থেকে কয়েকটি কথা বলা যায়। পুরো মামলাটিকে আইনের দৃষ্টিতে চার ভাগে ভাগ করা হয়, ১) সমস্যাটি স্পষ্টভাবে ও অল্প কথায় সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে কিনা। ২) কী কী প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে লেখা হচ্ছে কিনা, ৩) সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে কী কী বিষয়কে দেখতে হবে তা নির্দিষ্ট করে লেখা হয়েছে কিনা। আর ৪) আদালতের রায়টিকে কী চোখে দেখব?

এই মেট্রিককে ভিত্তি করে ১৫টি গ্রাম কাছারির কাগজপত্রগুলির একটা মূল্যায়ন করেছেন গবেষকেরা। দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন্তব্য 'মোটামুটি' বা 'ভালো'। এই প্রসঙ্গে ন্যায়মিত্রের ভূমিকার কথা না বললেই নয়। যেখানেই ন্যায়মিত্র সময় দিয়েছেন, সব শুনানি রেকর্ড করেছেন, দেখা গেছে, সেখানেই এই চারটি মেট্রিককে গবেষকরা 'ভালো' মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে যেখানে সরপঞ্চ নিজে কিছুটা আইন জানেন, বা যথেষ্ট শিক্ষিত সেখানেও গবেষকদের 'ভালো' মন্তব্য দেখা গেছে। আর গ্রামে গ্রাম কাছারি নিয়ে কথা বললে প্রায় সব ক্ষেত্রেই গবেষকেরা শুনেছেন, গ্রাম কাছারি সম্পর্কে সদর্থক মন্তব্য। অনেকেই বলেছেন, এই ব্যবস্থা আমাদের কাছের, বিশ্বাসযোগ্য, এবং সাধারণভাবে আয়ত্ত্বের মধ্যে। একটা বিশেষ মন্তব্য গবেষকেরা বারবার শুনেছেন, “আদালতে তো জজ আর উকিল কী যে আইনের ভাষায় কথা বলে আমরা কিছু বুঝতেই পারি না। এখানে অন্তত কে কী বলছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না”।

।। ৭ ।।

সমস্যা কি নেই, নিশ্চয়ই আছে। ঘরবাড়ির অভাব আছে, সরপঞ্চ, উপসরপঞ্চ আর পঞ্চদের ভাতা অনেক বছর একই জায়গায় আটকে আছে, ন্যায়মিত্র সব জায়গায় নেই, সচিব সব জায়গায় নেই। আদালত চালাবার খরচা বছরে মাত্র চার হাজার টাকা, তাও পেতে অনেক দেরি হয়, আদালতের ফি সরকারের ঘরে জমা পড়ে যায়, সেখান থেকে খরচা করা যায় না ইত্যাদি। সরপঞ্চ, উপসরপঞ্চ, পঞ্চ, ন্যায়মিত্র, সচিব - সবার মাসিক ভাতা বা মাইনে ধরলে একটি গ্রাম কাছারির পিছনে সরকারের খরচ বছরে মাত্র ৩ লাখ টাকা। তা সত্ত্বেও সরকারের গাফিলতি ও গড়িমসির শিকার গ্রাম কাছারি। এমনকী গ্রাম কাছারির নিয়মিত নির্বাচনও হয় না।

তা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের 'ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন'-এর রিপোর্টে বলা হচ্ছে,
The success of gram katchahry can be measured by their stability, the extent of their use by local communities, and their ability to dispense justice with sensitivity to local social conditions. They have been remarkably effective in delivering their mandate by providing justice in a cost-effective manner. The village population in some of the districts are quite satisfied by resolving their disputes by the village katcharis as compared to going to the courts. Since a genuine attempt has been made to resolve the disputes through mediation and persuasion, therefore in most cases the need for adjudication does not arise. This helps in avoiding strained relationships as adversarial proceedings have from time immemorial resulted in strained relationships throughout the lifetime. [2]

ওই রিপোর্টে অন্যান্য স্থানীয় ন্যায় ব্যবস্থার তুলনায় যে গ্রাম কাছারি ব্যবস্থা সবচেয়ে প্রভাবশালী সেকথা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। চির পরিচিত আদালত ব্যাবস্থা যেখানে নানাভাবে পঙ্গু সেখানে বিকল্প ন্যায় ব্যাবস্থার কথা উঠলে গ্রাম কাছারি-র কথা উঠবেই, অথচ হয়ত বিহারের সাধারণ দুর্নামের জন্যই গ্রাম কাছারি নিয়েও সামাজিক ও লিগাল গবেষকদের এখনও বিশেষ আগ্রহ জন্মায়নি।

তথ্যসূত্রঃ

[1] https://publications.azimpremjiuniversity.edu.in/5681/#:~:text=Abstract,who%20is%20assisted%20by%20thePanches

[2] https://cdnbbsr.s3waas.gov.in/s316026d60ff9b54410b3435b403afd226/uploads/2024/07/20240719744521243.pdf

Note: গ্রাম কাছারি নিয়ে একটি সাম্প্রতিক রিপোর্টাজ দেখুন -
https://azimpremjiuniversity.edu.in/best-practices-in-local-democracy/gram-kachahari-judiciary-at-the-grassroots