আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩০

প্রবন্ধ

অপবিজ্ঞানের কাণ্ডারীদের সাম্প্রতিক চাঁদমারি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা

শুভাশিস মুখোপাধ্যায়


"বলা বাহুল্য যে, বিগত কুড়ি বৎসরে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ ইত্যাদি সমস্ত হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থ এবং হিন্দু জ্যোতিষ ও অপরাপর বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় প্রাচীন গ্রন্থাদি তন্ন তন্ন করিয়া খুঁজিয়া আমি কোথাও আবিষ্কার করিতে সক্ষম হই নাই যে, এই সমস্ত প্রাচীন গ্রন্থে বর্তমান বিজ্ঞানের মূলতত্ত্ব নিহিত আছে।"

- মেঘনাদ সাহা, ভারতবর্ষ, ২৭ বর্ষ, ফাল্গুন, ১৯৪০, আলোচ্য গ্রন্থের ১৭ পৃষ্ঠায়।

আজকের ভারতে সবচেয়ে আক্রান্ত যে দুটি সামাজিক গোষ্ঠী, সেই গোষ্ঠীদ্বয়ের পরিচয় ভারতের আম জনতার কাছে মোটেও অজ্ঞাত নয়। ভারতের যেকোনো প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে চলে যান, প্রকাশ্যে নয়, প্রচ্ছন্নভাবে, নীতিপুলিশ, 'জ্যায় শিরিরাম'-এর উচ্চকিত ঢক্কানিনাদের করালকণ্ঠ এড়িয়ে দরিদ্র ভারতবাসী একবাক্যে বলবেন, হয়তো ঠিক এই ক্রম মেনে নয় - ভারতে সচেয়ে আক্রান্ত গোষ্ঠী দলিত ও বিজ্ঞানীবৃন্দ। আর যে ব্যক্তির মধ্যে এই দুই উপাদানই উপস্থিত, তিনি তো পড়বেন সাঁড়াশি চাপের মধ্যে। গত শতকের একজন শ্রেষ্ঠ ভারতীয় বিজ্ঞানী, জ্যোর্তিপদার্থবিদ্যা নামক বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রটি মানবজাতির জ্ঞানভাণ্ডারে সংযোজিত করেছেন, সেই 'সুঁড়ি সাহা' বংশে জন্ম নেওয়া মেঘনাদ সাহা যে আমৃত্যু নানান কটূ কথার স্বীকার হবেন তা অনুমান করতে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী বা শিক্ষা-বঞ্চিত, চার্বাকপন্থীদের বর্ণনায় 'ভণ্ড-ধূর্ত-নিশাচরা' হওয়ারও প্রয়োজন নেই; বিষয়টি প্রায় স্বতঃসিদ্ধের পর্যায়েই পড়ে।

বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী, যুক্তি-বুদ্ধি ও মুক্তচিন্তাকে যেভাবে বধ্যভূমিতে তোলার আয়োজনকে সম্পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাম্প্রতিক ভারতবর্ষে, এখন বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের হেয় প্রতিপন্ন করার কাজটিও দ্রুততায় সম্পন্ন হওয়া শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রথম চাঁদমারি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, যাঁর বহুমুখী প্রতিভা, একাধারে বিজ্ঞান, সমাজ ও ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে কর্মোদ্যোগ ও যৌক্তিক সক্রিয়তার সমাহার যে তাঁকে তাঁর মৃত্যুর ৬৬ বছর পরেও ইনকুইজিশন ও কুৎসার কাঠগড়ায় তুলেছে, তা সম্ভবত বর্তমান ভারতের সমাজ-বাস্তবতায় অবধারিত ছিল।

'মেঘনাদঃ ন হন্যতে - ফিরে দেখা ইতিহাস' নামে একটি নাতিদীর্ঘ পুস্তিকার মাধ্যমে 'পশ্চিমবঙ্গ গণবিজ্ঞান সমন্বয় কেন্দ্র' ২০২২ থেকে এই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে লাগাতার, দীর্ঘকালীন প্রেক্ষিতে, কুৎসা ও মিথ্যাপ্রচারের যে প্লাবন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এক তীক্ষ্ণ আয়ূধ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই সংগঠনটি বর্তমান ভারতের সমাজ-বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যে দুটি ন্যায়নিষ্ঠ প্রশ্ন তুলেছেন, এই পুস্তিকাটি বস্তুত তার উত্তর সন্ধানে এক মরমী যাত্রা হিসেবে ভাবাই সঙ্গত হবে।

তাঁদের প্রশ্ন ছিল, "মৃত মানুষকে কি আক্রমণ করা যায়? মৃত মানুষকে আক্রমণ করে কী লাভ?"। প্রথম প্রশ্নটি আদতে একটি সাংস্কৃতিক ও খানিকটা নন্দনতাত্ত্বিক প্রশ্ন, যে প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর গোমূত্রসেবী গো-ভক্ত পুত্রবৃন্দের অগম্য, অচিন্ত্যনীয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি নিয়ে এই পুস্তিকায় যথাযথ জবাব মিলবে, বৈজ্ঞানিক সামাজিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে। এই পুস্তিকা প্রণয়নের আশু উদ্দেশ্য সম্পর্কে গণবিজ্ঞান সমন্বয় কেন্দ্রের প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারছি, "অভয় পান্নু-র পরিচালনায় এবং সিদ্ধার্থ রায়ের [হায়! বঙ্গভাষা ও বঙ্গভূমি, তুমি কি সত্যই ক্ষুদিরাম-কানাইলাল-সূর্য সেনদের মাতৃভূমি!] প্রযোজনায় 'রকেট বয়েজ' নামে ৮টি এপসোডের একটি ওয়েব সিরিজ প্রকাশিত হয় গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। পশ্চিমবঙ্গ গণবিজ্ঞান সমন্বয় কেন্দ্র'-র মুখপত্র 'গণবিজ্ঞান কথা'-র ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যায় (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) এই ওয়েব সিরিজ তৈরির প্রতিবাদে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, সেই প্রবন্ধে হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা বিজ্ঞানসাধক মেঘনাদ সাহার চরিত্রহননের অপচেষ্টার জবাব দেওয়া হয়"।

"গত ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ মেঘনাদ সাহার ৬৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কলকাতার ত্রিপুরা হিতসাধনী সভাগৃহে সংগঠনের তরফে এই ওয়েব-সিরিজের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে ব্রাহ্মণ্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদীদের অপবিজ্ঞান প্রচারের বিরুদ্ধে ডঃ সাহার আজীবন লড়াই এবং দেশে পরমাণু পদার্থবিদ্যা চর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ওঁনার অবদানের কথা প্রচারের জন্য একটি পুস্তিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়"।

বলাই বাহুল্য, বর্তমান পুস্তিকাটি সেই পরামর্শের সুফল।

যেকোনো দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির বনস্পতিতে জলসিঞ্চন করে সেই দেশের সামাজিক রাজনৈতিক ইতিহাস। ইতিহাসের গতিক্রমে কখনও ট্র্যাজেডিরূপে আবির্ভূত হয় এক বিকৃত ইতিহাসবোধ, এক বিশেষ ঐতিহাসিক কার্যকারণ সম্পর্কে যখন ইতিহাসের ইতিবাচক গতিময়তাকে অস্বীকার করে নেতিবাচক শক্তি সাময়িকভাবে জাতির নিয়ন্তা হিসেবে নিজেকে জবরদস্তি করে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে। গত শতকের ২০-এর দশকে রেনেসাঁসের দেশ ইতালি, ৩০-এর দশকে সোপেনহাওয়ার-শিলার-বাখ-ব্রেখটের দেশ জার্মানিতে আমরা উগ্র জাত্যাভিমান-ভিত্তিক মানবজাতির প্রগতির নিরিখে পশ্চাদগামী শক্তির উত্থান প্রত্যক্ষ করেছি। আর আমাদের দেশে ত্রিশূল নিয়ে, রামরাজ্যে ফিরে যাওয়ার হুঙ্কার দিয়ে যে সশস্ত্র, হিংস্র আয়োজন দেখছি, সেখানে এই একই ইতিহাসের ট্যাজেডিরূপে আবির্ভাবের সমস্ত দুর্লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে প্রতিদিন। সেই পরিব্যাপ্ত অদ্ভুত আঁধারের কারবারীদের পরিচিত ছক মেনে যেমন একদিকে মুচলেখাপন্থী একদা বিপ্লবীকে 'প্রকৃত দেশপ্রেমিক' হিসেবে চিহ্নিত করার বিকৃত আয়োজন, অন্যদিকে প্রকৃত জনবিজ্ঞানীদের 'শত্রুর গুপ্তচর' হিসেবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম পছন্দের চাঁদমারি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। এই পুস্তিকায় 'রকেট বয়েজ' তথ্যচিত্রের (?) তথ্য বিকৃতি বেপর্দা করার পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদীদের ছকটির এক যৌক্তিক উন্মোচন মিলবে। পুস্তিকার পেছনে দেওয়া সত্যিকারের তথ্যসূত্র এবং অন্যান্য সহজলভ্য আকরগুলি কৌতূহলী পাঠকের জিজ্ঞাসা নিবৃত্ত করবে আশা করা যায়।

হিন্দুত্ববাদীরা এই বিশেষ ক্ষেত্রে সরাসরি মেঘনাদ সাহা-র মতো প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীর নাম নিয়ে কুৎসা গাওয়ার দুঃসাহস সম্ভবত এখনও অর্জন করে উঠতে পারেনি। এই বইটি থেকে একটি উদ্ধৃতি দিয়ে আমরা সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করি - "এই ওয়েব সিরিজে মেঘনাদ সাহাকে ভিলেন সাজাতে তাঁকে মেহেদি রাজা নামে এক চরিত্র হিসাবে হাজির করা হয়েছে। ...মেহেদি রাজাকে খলনায়ক হিসাবে প্রতিপন্ন করার জন্য যেসব ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে তা হলো - মেহেদি ছিলেন শিয়া এবং তাঁর মা-বাবাকে সুন্নিরা খুন করেছে; তিনি ছিলেন মুসলিম লিগের সমর্থক, তিনি কলকাতায় তাঁর নিউক্লিয়ার ফিজিক্স বিভাগ চালু করার জন্য জিন্নার কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন। তিনি ভাবার প্রতি ছিলেন ঈর্ষাপরায়ণ। ভারতের পরমাণু কর্মসূচী ধ্বংস করার লক্ষ্যে একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি সিআইএ-র চর নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং ভাবাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্তে প্রতি মুহূর্তে লিপ্ত থাকতেন"।

আসলে আজকে এই হিন্দুত্ববাদীদের হয়ে যাঁরা কলম ধরছেন বা মাঠের বাইরে জার্সি পরে মাঠে নামবার আহ্বানের জন্য অপেক্ষমান, ধীশক্তি, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা, বিজ্ঞানী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি - এই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাঁদের অর্জন আক্ষরিক অর্থেই শূন্যের কোঠায়। বিজ্ঞানী মেঘনাদকে তাঁর উচ্চাসন থেকে সরিয়ে না দিতে পারলে তাঁর সুতীক্ষ্ণ লেখনি যেমন গত শতকে তেমনি আজও হিন্দুত্ববাদীদের গভীর শূলবেদনার কারণ। আমরা সবাই মেঘনাদ সাহা-র এই বিচক্ষণ বাণী আজও স্মরণে রাখি, "...আমার মতে এই জাতিভেদপ্রথা হস্ত ও মস্তিষ্কের মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণ ছিন্ন করিয়া দিয়াছে এবং এইজন্য ভারতে বস্তুতান্ত্রিক সভ্যতা ইউরোপ-আমেরিকার বহু পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছে। ...ইহার কারণ জাতিভেদ প্রথা অনুসারে মস্তিষ্কের কাজকে খুব বড় করিয়া এবং হাতের কাজকে হেয় করিয়া দেখা - সেজন্য মস্তি ও হস্তের যোগসূত্র সম্পূর্ণ ছিন্ন হইয়া গিয়াছে।" ব্রাহ্মণ্যবাদী ধারণার মূলে এমন কুঠারাঘাতের উত্তর দেওয়ার সাধ্য যেমন সেদিনের আপাত পণ্ডিত হিন্দুত্ববাদীদের ছিল না, ঠিক তেমনি আজকের নির্বোধ, অজ্ঞ পাটোয়ারি বুদ্ধি-সর্বস্ব হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীদের সাধ্যের অতীত। অথচ এইসব শাণিত যুক্তিকে খণ্ডন করার কিছু উদ্যোগ না নিলেও হিন্দুত্বের উমেদারদের সমাজে তাদের মান-ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হয়। তাই যুক্তিবাদী পানসারে, দাভোলকর, কালবুর্গি বা গৌরী লঙ্কেশরা আততায়ীর গুলির আঘাতে নিহত হন, আর মেঘনাদ সাহা-র ভাবমূর্তিকে ঘৃণ্য এবং শঠতাপূর্ণ প্রক্রিয়ায় কলঙ্কিত করার চেষ্ঠায় 'রকেট বয়েজ'-এর মতো অনৈতিহাসিক, কুৎসিত 'তথ্যচিত্র' নির্মিত হয়।

মেঘনাদ সাহা মনে করতেন যে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানের উন্নয়ন ঘটার জন্য দরকার দুটি শর্তের পূরণ - স্বাধীনতা এবং দেশপ্রেমী প্রশাসন, যার আওতায় থাকবে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রশাসনের ভার। এই লক্ষ্যে সাহা তাঁর সারা জীবন ব্যয় করেছেন; বামপন্থীদের হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, আমাদের দেশের আধুনিক বিজ্ঞানের দিশা নিয়ে নেহেরু প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন, বিদেশের বড়ো মাপের নদী পরিকল্পনাকে হুবহু অনুসরণের বিপদ সম্পর্কে দেশের কর্ণধারদের বোঝাতে সক্ষম না হয়ে দেশের মানুষকে বোঝাতে কলম ধরেছেন, বিজ্ঞানের মান্য পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করেছেন, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর সর্বাধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন, দেশের প্রথম কণাত্বরণ যন্ত্র নির্মাণ করেছেন এবং সারা জীবন অপবিজ্ঞান, অবিজ্ঞান ও পশ্চাদপদ ধারণার বিরুদ্ধে স্পষ্ট এবং দৃঢ় মত ব্যক্ত করে গেছেন। এহেন 'বিপজ্জনক' ব্যক্তি তাঁর জীবিতকালে যেমন, তাঁর মৃত্যুর পরেও তেমনি অন্ধশক্তির বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী যোদ্ধা হিসেবেই রয়ে গেলেন।

এই পুস্তিকায় মেঘনাদ সাহাকে নিয়ে যে দুটি মৌলিক প্রশ্নের অবতারণা করা হয়েছিল, তার জবাবে গণবিজ্ঞান সমন্বয় কেন্দ্র শেষ করেছেন এই কথা বলে, "অপবিজ্ঞানের ধারক-বাহক, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মেতে ওঠা ও চরম কর্তৃত্ববাদী হিন্দুত্ববাদী শক্তি এক অর্থে তাদের সঠিক শত্রুকেই চিহ্নিত করেছেন যিনি বিজ্ঞানী হিসেবে, কর্মোদ্যোগী হিসেবে, খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসাবে ইতিহাসে চির ভাস্বর হয়ে থেকে যাবেন"।

আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলেও বিষয়বস্তুর ভারে ও ধারে পুস্তিকাটি ব্রাহ্মণ্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের সাজানো দুর্গের বিরুদ্ধে একটি বৌদ্ধিক অস্ত্র, যুক্তি-বুদ্ধির এক যৌক্তিক 'মলোটভ ককটেল'। এই পুস্তিকা যত বেশি মানুষের হাতে পৌঁছয়, অমানিশার শেষে ঝলমলে আলোর রেশ তত দ্রুত দৃশ্যমান হওয়ার দিকে আজকের ভারতীয় সমাজের যাত্রাপথ মসৃণ হয়ে উঠবে।



মেঘনাদঃ ন হন্যতে - ফিরে দেখা ইতিহাস
প্রকাশকঃ পশ্চিমবঙ্গ গণবিজ্ঞান সমন্বয় কেন্দ্র
সাহায্য মূল্যঃ ৪০ টাকা