আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩০

প্রবন্ধ

কর্পোরেট ওষুধ কোম্পানি ও নির্বাচনী বন্ড

প্রতীশ ভৌমিক


এযাবৎ সর্ববৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারি বলতে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে জনগণের সামনে এসেছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ কর্পোরেটের চাঁদা পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, তারমধ্যে বিজেপিই সবথেকে এগিয়ে। বিস্ময়করভাবে সামনে এসেছে ৩৭টি কর্পোরেট ওষুধ সংস্থার নাম ও তথ্য, যারা কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেও ঘুষ দিয়ে শাস্তি এড়িয়েছে। এরা ভেজাল ওষুধ বা নিম্নমানের ওষুধের কারবারের সঙ্গে যুক্ত অথবা বিশেষভাবে সুবিধাভোগী সংস্থা। দোষী সাব্যস্ত হবার তদন্ত ও শাস্তি এড়াতে তারা ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছে প্রায় হাজার কোটি টাকার। কর্পোরেটদের সুবিধা দিতে অন্তর্বর্তী বাজেটে কর্পোরেটদের জন্য এবার ট্যাক্সের ছাড় ছিল অনেক বেশি, অথচ গরীব সাধারণ মানুষের ওপর মাথাপিছু খরচের প্রতি ১০০ টাকায় গড়ে ১৮ টাকা হিসেবে পরিবারপিছু প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকা ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স (GST) আদায় করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এই সময়ে দেশে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ও সাংঘাতিক রকম আর্থিক বৈষম্য তৈরি হয়েছে - ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। আন্তর্জাতিক তথ্য সেকথাই বলছে। বলছে বৃটিশ আমলের থেকেও গরিব ও ধনীর মধ্যে পার্থক্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত কয়েক বছরে ওষুধের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় থেকে সরকার ওষুধের ৩০-৫০ শতাংশ বাড়তি দাম বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল।বলা হয়েছিল চীন থেকে আমদানি করা মৌলের দাম বেড়েছে। এই করোনা মহামারির সময়েই কর্পোরেটদের লাভের পরিমাণ বেড়েছিল বহুগুণ। আজ মানুষের হাতে ওষুধ কেনার মতো টাকা নেই। এই দুঃসহ পরিস্থিতিতে গরীব, মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে অথচ কর্পোরেট দুনিয়ার স্বার্থরক্ষা করে চলেছে সরকার।

আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, ওই সময়টাকে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের অর্জিত আইনি অধিকারগুলো কেড়ে নিতে শ্রম আইনের বদল এনে মালিকদের স্বার্থে আইনের শিথিলতা এনেছিল। ফলতঃ অন্যান্য শিল্পের শ্রমিকদের মতো ওষুধ সংস্থার ফিল্ডকর্মীদের ওপরেও নেমেছে নিত্যনতুন আক্রমণ, বঞ্চনা, মানসিক অত্যাচার এবং ছাঁটাই।

ওষুধের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার নিশ্চুপ। ওষুধ সংস্থাগুলোর বিশাল পরিমাণ ইলেক্টোরাল বন্ড কেনার পেছনে আসল কারণগুলো জানলে সত্যিই চমকে উঠতে হয়। খবরে উঠে এলো IPCA Lab-এর নাম, ২০১৮ সালে তাদের তৈরি ম্যালেরিয়ার ওষুধ ল্যারিয়াগো-তে পর্যাপ্ত পরিমাণ মৌল ওষুধ ছিল না, ল্যাব পরীক্ষায় ওষুধটি ডাহা ফেল করে, ওই ওষুধে রোগীর ম্যলেরিয়া রোগ নিরাময় সম্ভব নয়, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সম্ভবত মালিকের শাস্তি এড়াতে ১৩.৫ কোটির বন্ড কিনে শাস্তি মকুব হয়েছিল IPCA কর্তৃপক্ষের।

Torrent Pharma, এটি গুজরাটের কোম্পানি, Salicylic acid-এর ল্যাব পরীক্ষায় ডাহা ফেল করে, এছাড়াও Deplatt ওষুধটি বিশেষত হার্টের রোগীদের জন্য ব্যবহার হয়, ওষুধটি ছিল নিম্নমানের। Losar-H উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয় - সেটিও ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। Nikoran I.V. (inj) হার্টের রোগীদের জন্য, ওষুধটি নিম্নমানের হবার জন্য ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যডমিনিস্ট্রেশন, মহারাষ্ট্র, নোটিশ দিয়েছিল ওই কোম্পানিকে। এই কারণেই কি ৭৭.৫ কোটি টাকার বন্ড কিনে পরিত্রাণ পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ?

CIPLA-র ২০২১ সালে Remdesivir ওষুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌল ছিল না, ওষুধটি করোনাকালে বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ দু’বার সরকারি নোটিশ পাবার পর ২৫.২ কোটি টাকার বন্ড কিনে দোষমুক্ত হয়েছে? Hetero Healthcare Limited-এর Remdesivir ওষুধটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মৌল ওষুধ ছিল না, 'মহারাষ্ট্র ফুড এন্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন' নোটিশ দিয়ে জানায় ওষুধটি জাল। আরো দুটি জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটার পরে ২০২২-২০২৩ সালে কর্তৃপক্ষ মোট ৫৫ কোটি টাকার বন্ড কেনে।

Zydus Healthcare Limited-এর Remdesivir ওষুধটি 'বিহার ড্রাগ রেগুলেটারি অথরিটি' একটা সম্পূর্ণ ব্যাচকে ভেজাল ওষুধ বলে চিহ্নিত করে। ওই ওষুধে ব্যাক্টিরিয়া পাওয়া গিয়েছিল, ফলতঃ বহুসংখ্যক রোগীর মধ্যে তার বিষক্রিয়া হওয়াতে কর্তৃপক্ষের কঠিন শাস্তি হবার কথা ছিল। ২০২২-২৩ সালে সংস্থাটি ২৯ কোটি টাকার বন্ড কেনে এবং আশ্চর্যজনকভাবে পরিত্রাণ পায়। Glenmark Pharmaceuticals কর্তৃপক্ষকে সরকার নোটিশ দিয়ে জানায় নিম্নমানের ওষুধ Telma (উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ) দ্রবীভূত হচ্ছে না, কর্তৃপক্ষ ২০২২-এর নভেম্বরে ৯.৭৫ কোটি টাকার বন্ড কেনে এবং শাস্তি থেকে অব্যাহতিও পায়। যশোদা হাসপাতাল আয়কর ফাঁকির দায় এড়াতেই সম্ভবত ১৬২ কোটি টাকার বন্ড কিনে পরিত্রাণ পায়। একইভাবে নিচের কোম্পানিগুলো যেমন Sun Pharma ৩২ কোটি, Dr. Reddy's Laboratories ৮৪ কোটি, Alembic Pharmaceuticals ১০.২ কোটি, Aurobindo Pharma ৫২ কোটি, Micro Labs ১৬ কোটি, Intas Pharmaceuticals ২০ কোটি, Mankind Pharma ২৪ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে।

তথ্য থেকে আরও জানা যায় Bharat Biotech কোম্পানি, যারা COVAXIN টিকা তৈরির বরাত পেয়েছিল, তারাও ১০ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে। এছাড়াও COVISHIELD টিকা তৈরির বরাত পেয়েছিল Serum Institute of India তারাও ৫২ কোটি টাকার ইলেকটোরাল বন্ড কিনেছিল। বিস্ময়কর ঘটনা হলো তামিলনাড়ুতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি 'ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাক্সিন প্লান্ট'-এর মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের জন্য আরও অনেক কম খরচে দুটি করোনা ভ্যাক্সিনই তৈরি করা সম্ভব ছিল, অথচ বরাত দেওয়া হয়েছিল দুটি ব্যক্তিগত মালিকানার কোম্পানিকে। ঘুরপথে আম আদমির পকেটের টাকা গেছে বিজেপির পকেটে।

আজকের ভারতে কর্পোরেটদের এমন কায়দায় সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে যার ফলে সুবিধে নিতে দুর্নীতি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কর্পোরেট সংস্থার ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি জনসাধারণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। দুর্নীতিবাজদের আড়াল করতে উদারবাদী জমানায় রাষ্ট্র নিজের জনগণের কাছেও জবাবদিহি করতে চায়না।

সাংবিধানিক অধিকারবলে জনগণ তার সরকারের কাছে মানবিক পদক্ষেপ দাবি করে। মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে ভেজাল ওষুধ তৈরির কর্পোরেটদের শাস্তি মকুব করার মতো ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। লক্ষ্য করা গেছে, সিআইআই, এ্যাসোচেম বা ফিকির মতো ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সুপ্রীম কোর্টে তথ্য প্রকাশিত হতে দিতে বাধার সৃষ্টি করেছিল, পাশাপাশি SBI-এর মতো সংস্থাও এই ঘুষের তথ্য প্রকাশে চূড়ান্ত গড়িমসি করেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন তবুও থেকে যায় - যারা ওষুধের গুণমান ঠিক রেখে কম দামে মৌল ও ফর্মুলেশন দুটোই তৈরি করেছিল। ভারতীয় পেটেন্ট আইন, ১৯৭০-এর সুযোগ নিয়ে তারা মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে নির্ণায়ক ভূমিকাও নিয়েছিল। সেই IDPL, HAL, KAPL-এর মতো কোম্পানিগুলোর দিকে নজর না দিয়ে এবং উৎসাহ না দিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানার কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? ওষুধের দামের সর্বোচ্চ বেঁধে দেওয়া সীমা তুলে দিয়ে বাজারভিত্তিক ওষুধের গড় মূল্য অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ নীতি গ্রহণ করা হল কাদের স্বার্থে? রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার পরিকাঠামোর তুলনায় ব্যক্তিগত মালিকানার কোম্পানির পরিকাঠামো যে অত্যন্তই নগন্য, তা সকলেরই জানা। সেখানে ব্যক্তিগত মালিকানার কোম্পানি যে মুনাফার জন্য অমানবিক হবে এ তো নতুন কথা নয়। তবে এই লুঠের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল না, এটাই সবচেয়ে দুঃখের।

১৯৫৫ সালে ওষুধকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসাবে চিহ্নিত করে ১৯৭০ সালে প্রথমবার 'অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন' অনুযায়ী ঔষধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ (Drug Price Control Order বা সংক্ষেপে DPCO) প্রবর্তন হয়। তথ্য বলছে ১৯৭৯ সালে যেখানে মোট ৩৪৭ রকমের ঔষধ মূল্য নিয়ন্ত্রণ তালিকায় ছিল, ১৯৯০-এর পর থেকে তার সংখ্যাটা কমতে কমতে ২০০২ সালে মাত্র ৩৫ রকমের ঔষধকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। এই সম্পর্কে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে জন্যস্বার্থ মামলা করা হয়। সেখানে সুপ্রীম কোর্ট তার নির্দেশে বলেন সমস্ত প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী ঔষধকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে হবে। এরপরে ২০১১ সালে (National List of Essential Medicine) বা NLEM তালিকা প্রস্তুত করে, যেটা প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। এক অরাজক লুঠের পরিস্থিতির মধ্যেও আশা ছিল সঠিক, উচ্চ গুণমান ও নিরাপদ ওষুধ পাওয়ার বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না। অথচ দেখছি ঘুষের বিনিময়ে মানুষের সুস্থতা ও নিরাপত্তা চোখের সামনে চুরি হয়।

Drug and Cosmetic Act, 1940-এর আইন মোতাবেক Section 26A, No. 23-র অধীন আইন কেন্দ্রীয় সরকারকে ওষুধ সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষমতা আরোপ করেছিল - রেগুলেট, রেস্ট্রিক্ট বা প্রহিভিট করতে এবং ম্যানুফ্যাকচার সহ ডিস্ট্রবিউশন ও সেলস সর্বত্র নজরদারি করতে। আইনের উদ্দেশ্য ছিল উচ্চ ও আদর্শ গুণমান সহ মানুষের জন্য নিরাপদ ওষুধ পৌঁছে দেওয়া ও সহজলভ্য করা। আইনে ভেজাল ওষুধ বা জাল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষের শাস্তির কথা বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে দোষীদের ঘুষ দিয়ে পরিত্রাণ মেলায় আশ্চর্য লেগেছে বৈকি - বিশেষ করে ঘুষ পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান দল।

প্রজাতন্ত্রের দাবি রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় দিতে হবে মানুষের পক্ষে, ঘুষের বিনিময়ে দোষীদের পরিত্রাণ দিয়ে নয়। নজরদারির অভাবে মুনাফার মাত্রা আজ বাড়তে বাড়তে ব্যক্তিগত মালিকানার কোম্পানির ওষুধের দাম এমন হয়েছে যা সরকারকে কঠিন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। একই ওষুধ - অথচ তার দামের ফারাক দেখলে আশ্চর্য হতে হয়। এমন করে সমস্ত ওষুধের দামের বিস্তর ফারাক তৈরি হয়েছে। উদাহরণ দেখলেই বোঝা যাবে কিভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ওষুধের দাম, আর বিভিন্ন ব্রান্ডের দামের ফারাকই বা কীরকম -

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ Losar-H যা রোজ খেতে হয়, তার ১৫টি ট্যাবলেটের MRP একবছর আগে ছিল ১৭০ টাকা, কিছুদিন আগে হয়েছিল ২৫৪ টাকা আর এখন MRP হয়েছে ২৭৩ টাকা। সেখানে অন্য কোম্পানির একই ওষুধ Losakind-H (১০টির MRP ৮০.১১ টাকা অথবা Cosart-H (১০টির MRP ৭২.৬০ টাকা) কোম্পানি Dr. Reddy's Lab, ২০২০ সালে ১০টির দাম ছিল ১৮৭ টাকা, আজ ওই ১০টির দাম হয়েছে ৩৬১ টাকা। Dr. Reddy's Lab বিশেষ সুবিধা ভোগ করার রাজনৈতিক দান দিয়েছে ৮৪ কোটির।

এমন অসংখ্য ওষুধ রয়েছে যেগুলো গত ২-৩ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ দাম বেড়েছে। প্রতিবছর নিয়ম করে ওষুধের ১০ শতাংশ দাম বাড়ে, আবার বাড়ানো হবে আগামী ২০২৪ এপ্রিলের পর থেকে।

এমন বহু সংখ্যক ওষুধের দামের ফারাক ক্রমশ বাড়ছে, সাথে সাথে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে প্রায় ২৮ শতাংশ পর্যন্ত। জনসাধারণের উপর এই লুঠ আজ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। প্রশ্ন জাগে এই লুঠের পিছনের সেই অদৃশ্য দরজাটা কি কেবল ঘুষের বিনিময়ে খুলে যায়?