আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩০

প্রবন্ধ

বেআইনি নির্মাণ ও আইনের শাসন

পার্থপ্রতিম বিশ্বাস


দেশ কিংবা রাজ্যের সরকার অথবা স্থানীয় স্তরে পুরসভার মতো নির্বাচিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির প্রাথমিক লক্ষ্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পরিবর্তে শাসকের আইন প্রতিষ্ঠিত হলে সেই প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা যে ক্ষুণ্ণ হয় সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে নির্মাণ ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণের দাপটে। গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে বারো জনের মৃত্যুর পর আইনভঙ্গের হোতারা যে শাসকের ছত্রছায়ায় নিরাপদে থাকে সেটাও প্রমাণিত হচ্ছে।

সর্ষের মধ্যে ভূত

ফলে নির্মাণের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বেও সেগুলির প্রয়োগ না হলে সঙ্গত কারণেই কাঠগড়ায় উঠবে পুরসভা এবং প্রশাসন। মনে রাখা উচিত যে, জল ছাড়া জীবন্ত মাছের অস্তিত্ব যেমন বিপন্ন তেমনি প্রয়োগ ব্যতিরেকে আইনের অস্তিত্ব বিপন্ন। এই প্রেক্ষিতে পরিষেবা কেন্দ্রিক অর্থনীতিতে সরকার রিয়েল এস্টেট প্রোমোটার এবং ডেভলপারদের বেআইনি নির্মাণে আপোষ করলে নাগরিকদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি বিপন্ন হয়। গত বছর তুরস্কের ভূমিকম্পে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কনক্রিটের বাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এমন ভেঙে পড়া বাড়ির সিংহভাগ ছিল বেআইনিভাবে নির্মিত বাড়ি। বেআইনি নির্মাণ কোনো সময়েই রাতের অন্ধকারে চুপিসাড়ে ঘটেনা বরং প্রকাশ্য দিবালোকে চলে। সেই নির্মাণ আটকানো সাইবার হানা প্রতিহত করার মতো মেধা-নির্ভর নয়। কিন্তু প্রশাসনিক সদিচ্ছার অভাব ঘটলে অবৈধ নির্মাণ হানাও যে রোখা যায় না সেটা প্রমাণ হল গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ে। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা শহরে দুটো বত্রিশ তলা বেআইনি বহুতল সেখানকার পুর প্রশাসন ভাঙতে বাধ্য হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আদেশে। এই ঘটনার পর দেশের আম জনতার মনে হয়েছিল যে অবৈধ নির্মাণ রুখতে ‘আচ্ছে দিন’ এলো বলে কিন্তু গার্ডেনরিচের ঘটনা সে গুড়ে বালি প্রমাণ করে দিল।

চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে

ফলে এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর রাজ্যজুড়ে শোরগোল ওঠে বিপর্যয়ের কার্য-কারণ কিংবা তার দায়-দায়িত্ব নিয়ে। তার সাথে চলে দায় চাপানোর রাজনীতির চেনা ছকের তর্জা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল এমন প্রতিটি বিপর্যয়ের পর তার থেকে কি উপযুক্ত শিক্ষা নিতে পারছে সমাজ, পুলিশ, পুর প্রশাসন? কারণ বিপর্যয়ের পর সেগুলো থেকে অর্জিত শিক্ষাই হতে পারে ভবিষ্যতের বিপর্যয়রোধী পরিকল্পনার মূল ভিত্তি। অন্যথায় বিপর্যয়ের পর সময় অতিক্রান্ত হতে থাকলে শোকের আয়ু দ্রুত কমতে থাকে। ফলে তখন ‘পুনর্মূষিক ভব’ মডেলে আবার ছুটতে থাকে শহর।

গার্ডেনরিচের বিপর্যয় রাতদুপুরে ঘটলেও, সেই বিপর্যয়ের প্রস্তুতি চলেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছরজুড়ে। ফলে আইন ভেঙে তৈরি হওয়া বেআইনি বাড়ির সংখ্যা তর তর করে বেড়ে চলেছে রাজ্যের রাজধানী থেকে জেলা সর্বত্র। কিন্তু গার্ডেনরিচের মধ্যরাতের সেই ভয়াবহ বাড়ি বিপর্যয়ের পর সঙ্গত কারণেই শহরজুড়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কলকাতার মতো প্রাচীন অগোছালো শহরে নগরায়নের চাপ যত বাড়ছে ততো বেশি আইনি নির্মাণের সাথে বেড়ে চলেছে বেআইনি নির্মাণের বহর। বৃহত্তর অর্থে শহরে নির্মাণের সাথে জুড়ে রয়েছে আবাসন থেকে সড়ক, সেতু, কল-কারখানা সবকিছুই। কিন্তু এসবের মধ্যে আবাসনের ক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

পুরসভা - দায়হীন দায়িত্ব?

কেবল কলকাতা নয়, দেশের প্রতিটি বড় শহরের পুরসভাগুলির নিজস্ব নির্মাণবিধি রয়েছে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে। ফলে দেশ কিংবা রাজ্যজুড়ে বেআইনি নির্মাণ বেড়ে চলেছে উপযুক্ত আইনের অভাবে নয় বরং সেই আইন কঠোরভাবে বলবত না করার কারণেই। এদেশের সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী পুর সংস্থাগুলি রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের সরকারের মতোই তৃতীয় স্তরের স্থানীয় সরকার। ফলে সেগুলি আইনের মানদণ্ডে এক সম্পূর্ণ স্বাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। সেসব সংস্থা পরিচালিত হয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা। ফলে শহরের নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ক্ষমতা রয়েছে সেই পুর প্রশাসনের হাতে। পুর প্রশাসনের মধ্যে পড়ে যেমন পুরসভার আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার কিংবা কর্মীরা তেমনি পড়ে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যারা নাগরিক পরিষেবা নির্বিঘ্নে দেওয়ার অঙ্গীকার করেই বছর বছর নির্বাচিত হয়। ফলে বেআইনি নির্মাণের দরুন নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হলে তার প্রাথমিক দায় বর্তায় শহরের পুর প্রশাসনের ওপরেই। সেই দায় কখনই হাতে গোনা গুটি কয়েক ইঞ্জিনিয়ারদের ঘাড়ে চাপিয়ে মহানাগরিক রেহাই পেতে পারেন না।

আধিকারিকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে যদি বিপর্যয় মোকাবিলার রাজনৈতিক কৌশল হয় তবে প্রশ্ন উঠবে যে এদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাহলে নির্বাচিত সরকারের কিংবা পুরসভার প্রয়োজন কী? হাতে রুল বই ধরিয়ে শয়ে শয়ে আমলা, কেরানি কিংবা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করেই তো দেশ কিংবা রাজ্য চালানো যেতো? এমনকি বাড়ি ভাঙার পর যদি বর্তমান পুরমন্ত্রী আগের বাম আমলের বেআইনি নির্মাণকে ঢাল বানানোর চেষ্টা করেন তখন প্রশ্ন উঠবে রাজ্যে পরিবর্তনের পর সেই অবৈধ নির্মাণগুলি বিগত তেরো বছরে তাঁরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পারেননি কেন? বিপর্যয়ের পর কুযুক্তির এমন জালে পড়ে স্বাধীনতার আগে তৈরি হাওড়া ব্রিজে এখন ত্রুটি ধরা পড়লে ইংরেজদের ধরে টানাহেঁচড়া চলতে পারে দায় চাপানোর রাজনীতিতে।

অবৈধ নির্মাণ - মরণ ফাঁদ

মনে রাখতে হবে আইনি কিংবা বেআইনি যে কোনো নির্মাণই রাতারাতি লোকচক্ষুর আড়ালে সম্ভব হয় না। ফলে প্রকাশ্য দিবালোকে চলা বেআইনি নির্মাণ আটকানো ‘সাইবার ক্রাইম’ কিংবা ‘সুপারি কিলার’ আটকানোর মতো ভয়ংকর কঠিন কাজ নয়। অথচ তুলনায় সেই সহজ কাজ আটকানোর সহজ পাঠ কেন পুর প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসন নিতে ব্যর্থ হচ্ছে সেটাই আজ বহুমূল্যের প্রশ্ন! ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার মেয়র গার্ডেনরিচের বিপর্যয়কে 'বেআইনি নির্মাণের ফল' এবং 'সামাজিক ব্যাধি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু এমন প্রাণঘাতী ব্যাধির সাথে কালো টাকার যে সিন্ডিকেট যোগ রয়েছে শাসকদলের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সেই অমোঘ সত্যকে পাশ কাটিয়ে উত্তরণের পথ খুঁজছেন তিনি। ফলে সেই ভীমরুলের চাকে ঢিল মারতে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে প্রশাসন আর শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতি রোধে ‘জিরো টলারেন্স'-এর আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে চলেছেন রাজ্যবাসীকে।

বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ের কথা হল নির্মাণের মানের সাথে আপোষ। বাড়তি লাভের লোভে সিমেন্ট কিংবা ইস্পাতের মানের সাথে আপোষ কিংবা পর্যায়ক্রমিক নির্মাণের সময়সীমার সাথে আপোষ নির্মাণ চলাকালীন কিংবা নির্মাণ পরবর্তী সময়ে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। এমনকি তেমন বাড়িগুলির সার্বিক বিপর্যয় না ঘটলেও নির্মাণের অব্যবহিত পর থেকেই নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত সেগুলির আয়ুক্ষয় ঘটে। ফলে গাঁটের কড়ি খরচ করে অবৈধ বাড়ি কিনে প্রতারিত হয় ক্রেতারা। এমনকি তারা মরণকুপের মধ্যে বাস করতে থাকেন নিজেদের অজান্তেই। এর পাশাপাশি পুর নির্মাণবিধি উপেক্ষা করে দুটি বাড়ির মধ্যেকার কাঙ্ক্ষিত ছাড়ের জমি না রাখলে সেই বাড়িগুলিতে কেবল প্রকৃতির আলো বাতাসের পথ অবরুদ্ধ হওয়ার বিপদ নয় বরং সেই বাড়ির বিপদ বহুগুনে বেড়ে যায় অগ্নিকাণ্ড কিংবা ভূমিকম্পের সময়। মনে রাখতে হবে যে কলকাতা শহর দাঁড়িয়ে রয়েছে নরম পলিমাটির ওপরে। ফলে একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলির ভিতের মাটিতে প্রবল চাপ তৈরি হওয়ার কারণে সেই সমস্ত বাড়ি প্রাথমিকভাবে হেলে পড়া, ফাটল ধরা, এমনকি পরবর্তীতে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সংক্রামিত সামাজিক ব্যাধি!

ইতিমধ্যে শহরে পুরসভা বয়সের ভারে দুর্বল কয়েক হাজার বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করলেও সেগুলি যেমন ভেঙে ফেলতে পারেনি ঠিক তেমনি পারেনি চিহ্নিত বহু অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে। এমন প্রেক্ষিতে মানবিকতার দোহাই দিয়ে সেই নির্মাণগুলিকে টিকিয়ে রাখার অর্থ শহরে মানুষের প্রাণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলা। ফলে এমন বিপজ্জনক এবং অবৈধ নির্মাণ ভাঙার পাশাপাশি বিকল্প পুনর্বাসন ভাবনার রূপরেখাও তৈরি করা উচিৎ পুর প্রশাসনের। এই প্রেক্ষিতে এমন বহুস্তরীয় বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করতে উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার কথা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই আজ ভাবতে হবে। শহরের মহানাগরিকের দাবি মেনে এমন সংক্রামক ব্যাধি দূর করতে এলাকার মানুষকে সামিল করতে হবে। বাম আমলে সেই লক্ষ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নাগরিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া 'নাগরিক কমিটি' কিংবা যে মঞ্চ ছিল হাল আমলে তার পাট তুলে দিয়েছে বর্তমান পুরবোর্ড। ফলে সামাজিক ব্যাধি নিরসনে সমাজ রয়ে গেছে ব্রাত্য। আর দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিন্ডিকেটের জাল বেঁধে শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে।

পুকুর ধরো - পুকুর ভরো

অবৈধ নির্মাণের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে জমির চরিত্র বদলে অবৈধ জমিতে নির্মাণ। বলাই বাহুল্য শহরে বাসের জমি, জলাজমি, শিল্পের জমি, ব্যবসার জমি, রাস্তার জমি এভাবেই চিহ্নিত হয় সরকারি নথিতে। কিন্তু হাল আমলে শহরের জলাভুমি ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ কার্যত এক সংক্রামক ব্যাধির চেহারা নিয়েছে। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখে জেলায় জেলায় জল সঞ্চয়ের লক্ষ্যে ‘জল ধরো জল ভরো’-র ডাক দিচ্ছেন আর তাঁরই দলের প্রশ্রয়ে শহর-শহরতলিজুড়ে জমির দালাল জমি হাঙরেরা ‘পুকুর ধরো পুকুর ভরো’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করে চলেছে প্রশাসনকে পকেটে পুরে। জমির এমন চরিত্র বদলে রাজ্যের শাসক দলের কেরামতি দেখেছে রাজ্যের মানুষ সন্দেশখালি কাণ্ডে। উপকূলজুড়ে শেখ সাজাহানেরা লোভ লালসা আর লুটের নেশায় যেভাবে চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি বানিয়ে ফেলে, ঠিক তেমনই সামস ইকবালেরা শহর এলাকায় জলাভূমি, পুকুর, নালা, খাল বুজিয়ে জমির চরিত্র বদলে তার ওপরে অবৈধ নির্মাণ চালিয়ে যায়। সম্প্রতি কলকাতার এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা শহরের পুকুর সমীক্ষার রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে যে ২০০৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গার্ডেনরিচ মেটিয়াবুরুজ বিপর্যয় সংলগ্ন এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ডে ২৭০টি পুকুর ভরাট করা হয়েছে!

এক্ষেত্রেও জলাভূমি পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে রাজ্যে কড়া আইনি ব্যবস্থার কথা থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় চলেছে জমির চরিত্র বদল। মনে রাখা দরকার ভরাট করা জমির মাটি জমাট বাঁধতে কয়েক দশক লেগে যায়। কিন্তু দ্রুত লাভের আশায় পুকুর ভরাট করা জমির মাটি সময় অভাবে জমাট বাঁধতে না পারায় তার ভারবাহন ক্ষমতা সাধারণ পলিমাটির তুলনায় কম হয়। ফলে এমন ভরাট জমিতে অগভীর ভিতের বাড়ি হলে সেই বাড়ি হেলে যাওয়া কিংবা ধ্বসে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু তাই বলে শহরজুড়ে পুকুর ভরাটের বিপদ কেবল বহুতল নির্মাণের বিপদে আটকে থাকে না। উপরন্তু সেই বিপদ শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে তোলে, বাড়িয়ে তোলে পানীয় জলের সংকট। তাই শহরের বাস্তুতন্ত্রের বিপদের বৃহত্তর প্রেক্ষিতে বেআইনি বাড়ির নির্মাণ রোখার প্রস্তুতি নিতে হবে পুর প্রশাসনকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিপর্যয়ের পরও এখন রাজ্যে নতুন করে ‘চোর-পুলিশ’ খেলা চলছে। দুর্ভাবনা সেখানেই বিড়ম্বনা সেখানেই!