আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩০

প্রবন্ধ

'ভদ্রলোক', না 'ক্রিমিন্যাল': বাইনারির সংকট

পবিত্র সরকার


।। ১ ।।

আমি সমাজবিজ্ঞানী নই কোনও হিসেবেই, কাজেই এ লেখাটিকে কেউ সে বিদ্যার কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত বলে নেবেন না। নেহাতই এক সামাজিক মানুষ, যতদূর সম্ভব চোখ কান খোলা রেখে বাঁচি, মানে প্রতিবেশ আমাকে যতটা এভাবে বাঁচতে অনুমোদন করে ততটাই। প্রতিবেশে দ্বন্দ্বের উপাদান কিছু আছে, কিন্তু সেটা ভয়ানক হিংস্র কিছু নয়। এক দিক থেকে দেখলে কেউ কেউ এ অবস্থাটাকে একটা আপসরফার অবস্থা(ন) বলেও চিহ্নিত করতে পারেন। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, সাতাশি বছরের শেষে এই পরিসরে এসে পৌঁছেছি। সেখান থেকেই কথাগুলি বলা। 'ভদ্রলোক' আর 'ক্রিমিন্যাল' পরিষ্কার বাইনারি নয় তা আমিও জানি। কিন্তু জন্ম থেকে আমাদের বাপ-মা-রা এইরকম একটি বাইনারির বোধের জন্ম দিয়েছেন মনের মধ্যে। তা নিয়ে চিরকালই প্রশ্ন উঠেছে, আজ আরও বেশি করে উঠছে।

উঠছে এইটে ধরে নিয়ে যে, আমি নিজেকে অপরাধীদের দলে ফেলছি না। এটা একটা অতিরিক্ত দাবি হতেই পারে, কারও কারও কাছে আমিও কোনও না কোনওভাবে অপরাধী বলে চিহ্নিত হতেই পারি, কিন্তু সেটা হয়তো নৈতিক বা রাজনৈতিক অর্থে, ততটা আইনি অর্থে নয়। এই অর্থে যে, (যতদূর জানি, আমার নাম পুলিশের খাতায় নেই - পুলিশের কতরকমের খাতা আছে তাও জানি না, কোনও কারণে আমাকে কখনও বিনা দোষে হাজতবাস করতে হয়নি - স্নেহাস্পদ অম্বিকেশ মহাপাত্র বা অন্যান্য অনেককে যেমন করতে হয়েছে, আদালতে সাজা বা জেলবাসের কোনও রেকর্ডও এ পর্যন্ত আমার নেই)। ভবিষ্যতের কথা অবশ্য কেউ বলতে পারে না, আশা করি আমারও কিছুটা ভবিষ্যৎ পড়ে আছে সামনে। সেটা কতটা, আর তা আমার জন্যে কী সম্ভাবনা লুকিয়ে রেখেছে, সবই বলা মুশকিল। তবে একবার অপরাধী হতে হতে বেঁচে গিয়েছিলাম, তার গল্পটা এই সূত্রে একটু আবার করে বলার অবকাশ খুঁজে নেব।

যাই হোক, আমি নিজেকে অপরাধী আর নিরপরাধ - এই বাইনারি বা দ্বিভাজনের দ্বিতীয়টায় রাখছি আপাতত, দ্বিভাজন আর অপরাধের সংজ্ঞা সম্বন্ধে সংশয় সত্ত্বেও। নইলে অপরাধীদের নিয়ে লিখব কী করে ? সঙ্গে সঙ্গে যোগ করি যে, এই গণতন্ত্রে অপরাধীরাও অপরাধীদের নিয়ে লিখতেই পারেন, যেমন তাঁরা লিখতে পারেন নিরপরাধদের নিয়ে - আমার এ লেখা তাঁদের সে অধিকার কাড়বার উদ্দেশ্যে প্ররোচিত হয়নি। শুধু এই আপেক্ষিক অবস্থানে আমি দাঁড়াতে চাই যে, আমি নিজেকে, নিছকই আইনের চোখে, নিরপরাধ মনে করি এবং সেই বিশ্বাসেই বলবান হয়ে আমি যাদের অপরাধী ভাবি তাদের নিয়ে লিখতে বসেছি। পাঠকেরা এ প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে, আমার ভাবনার কী মূল্য আছে। সেটা আপনারা এবং জনসাধারণ বিচার করবেন, আপাতত 'আরেক রকম' একটা রচনার বরাত দিয়েছেন বলে (দিয়েছেন তিনি আমার নানান কিছু নিয়ে দু-ছত্র লেখার অভ্যেস আছে এটা জানেন বলে), তাই এটা নিয়ে লেখার কথাই আমার মনে হল। এর বেশি ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমি এই বয়সে নিতে পারব না।

।। ২ ।।

আগে, অনেকটা বয়েস পর্যন্ত আমাদের মনে হতো যে অপরাধীরা একটা বিশেষ জাত ও সম্প্রদায়। তারা আমাদের শ্রেণির, অর্থাৎ 'ভদ্রলোক'দের থেকে আলাদা। তারা তলবিশ্ব বা আন্ডারওয়ার্ল্ড বলে একটা জায়গায় থাকে। সেখানেই জন্মায় এবং সেখানেই মরে। তারা আমার-আপনার, এই 'শিক্ষিত', 'মধ্যবিত্ত' 'ভদ্রলোক'দের ঘরের কেউ নয়। আমাদের অভিভাবকেরা আমাদের 'মানুষ' হওয়ার যে নিদান দিতেন, তাতে প্রথমেই বহিষ্করণ ঘটত অপরাধী হওয়ার প্রকল্পের। অপরাধী মানে 'অমানুষ' - সে এক ভিন্ন প্রজাতি। তাদের রং কালো, তারা মহিষাসুরের মতো গোঁফ রাখে, চুল ওলটায়, চোখে সব সময় গগল্স্ পরে থাকে, গায়ে আঁটো ডোরাকাটা টি-শার্ট পরে, গলায় বড় লাল রুমাল বাঁধে, ঠোঁটে সিগারেট ঝোলায়, এবং কথায় কথায় পকেট থেকে ছুরি বা রিভলভার বার করে কারও পেটে ছুরির ফলা বা গুলি ঢুকিয়ে দিতে পারে। অথচ তার পাশাপাশি খবরের কাগজে অনেক অপরাধীর কথা পড়তুম, যাঁদের বেশ মান্যগণ্য লোক বলেই মনে হতো। যেমন হর্ষদ মেহতা বলে একজনের কথা পড়েছিলাম, তিনি কী সব ফাটকাবাজি করে নাকি দৈনিক তিনশো কুড়ি কোটি টাকা রোজগার করতেন। আমি জানি না সে কত কোটি টাকা। কিন্তু উদ্‌বাস্তু হয়ে এসে ১৯৪৭-এ খড়গপুর নামক যে শহরটায় এসে নোঙর ভিড়িয়েছিলাম, সেখানে অপরাধীরা ছিল মূলত অবাঙালি। তারা রেলের মালগাড়ির ওয়াগন ভেঙে মালপত্র বার করে নানা শহরে বিক্রি করত, এবং এই কারণে তারা বিশাল এক গুন্ডাবাহিনী সংগঠিত রাখত। হয়তো, হয়তো কেন নিশ্চয়ই, রাষ্ট্রযন্ত্রের যন্ত্রীদের সঙ্গেও তাদের একটা বোঝাপড়া ছিল। আমার যারা হিন্দি সিনেমা দেখার বন্ধুবান্ধব ছিল, মারপিট করে লাইন ভেঙে টিকিট কাউন্টারে ঢুকত এবং আমাকে তিন আনার লাইনে টিকিট পেতে সাহায্য করত, তাদের কেউ কেউ এই কাজ করত। সেই প্রসঙ্গেই বহুবার বলা আত্মজীবনের এই গল্পটা আর-একবার বলি।

এঁদেরই সংসর্গে আমার মনে হয়েছিল, ওই বন্ধুদের মতো অপরাধে অ্যাপ্রেন্টিস হলে কেমন হয়? তখন আমি ক্লাস সেভেনে পড়ি, মাথার চুলটা অশোককুমারের ধরনে উলটে দিলে কেমন হয়। দিলাম, এবং পাড়ার মোড়ে সেই সজ্জায় দাঁড়াতে পাড়ার এক দাদার হাতে পড়লাম। তিনি নিজে বিশেষ লেখাপড়া করেননি, ক্লাস ফোরে উঠে পড়া ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তার আঁকার আর রং করার হাত ছিল খুব ভালো। তিনি রেলের কামরা রং করতেন। আমাকে বললেন, তুমি ওই বাঙালবাড়ির ছেলে না, ইশকুলে পড়ো? কোন্ ক্লাসে? আমি ক্লাস সেভেনে বলতে জিজ্ঞেস করলেন, তা ক্লাস সেভেনে চুলটাকে অমন উলটে দিয়েছ কেন? আমি অশোককুমারের চুলের কথা আর বলতে পারিনি তাঁকে। তখন তিনি আমাকে পাশের একটা বাড়ি দেখিয়ে বললেন, বাড়িটা কী জানো? আমি বললাম, একটা লাইব্রেরি, মিলন মন্দির। তিনি বললেন, আজ সন্ধেবেলা এখানে আসবে, আমার সঙ্গে দেখা করবে।

পাড়ার দাদা হলেন বিকল্প অভিভাবক, আমার বাড়িতে তখন অভিভাবক বলতে দুই পিসিমা, যাঁরা আমার পালিকা মা। কোনও পুরুষ নেই, ফলে আমার হিন্দি সিনেমা টিনেমা দেখার যথেষ্ট সুবিধে হয়েছিল। কাজেই সন্ধেবেলায় যেতেই হল। তিনি নিজের পকেট থেকে চার আনা বার করে আমাকে সে লাইব্রেরির মেম্বার করে দিলেন, একমাসের চাঁদা দু আনা আরও দিয়ে বললেন, রোজ এখানে আসবে, বই নেবে, পড়বে, আবার ফেরত দেবে।

পাঠক আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমার মধ্যে একটা মেফিস্টোফেলিস ছিল, যে বই পড়তেও ভালোবাসত। নিজেও বই কিনতাম কিছু। কিন্তু ওই লাইব্রেরিতে ঢুকে, পরে এর লাইব্রেরিয়ানের কাজও করেছি, আমার চুল উলটে অপরাধী হওয়ার সংকল্প উবে গেল। বদলে অন্য লাইনে চলে এলাম, ভদ্রলোক হয়ে গেলাম।

।। ৩ ।।

ফলে পরে আমি বাইনারির অন্য সীমান্তের বাসিন্দা হয়েছি, আর অপরাধীদের নিজেদের থেকে, 'ভদ্রলোক'দের থেকে এক আলাদা জীব বলে ভাবতে শিখেছি। এখন দেখছি, সে শিক্ষাটা নিতান্তই ভুল। হর্ষদ মেহতারা ছিল আমার গোচরেই, কিন্তু যারা বিশাল ব্যবসা করে, আমার অপরাধীদের ধারণা আর-একটু বিস্তারিত হয়ে তাদের নিজেদের আওতায় নিয়ে আসতে অভ্যস্ত হচ্ছিল, বেশ কষ্টেসৃষ্টে। সবাইকে নয়, কারণ প্রচুর ভদ্র ব্যবসায়ীও আছেন, যারা মোদীজি মম্তাজির ইলেক্টোরাল বন্ডে চাঁদা না দিয়েও বেঁচেবর্তে থাকেন, আর তাঁদের কাউকে কাউকে আমরা পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে তাড়িয়ে খুশি থাকি প্রবল শত্রু বামফ্রন্টের সুবিধে হওয়া আটকাব বলে। কিন্তু অন্ধকার জগৎ করপোরেট উদ্যমকেও যে চমৎকার গ্রাস করে সে সম্বন্ধেও বুদ্ধি পাকতে শুরু করেছিল। আমেরিকা, জাপানের অভিজ্ঞতা কাগজে পড়া ছিল, কিন্তু প্রভু রামচন্দ্রের দেশে এমনটা হবে তা সহজে ভাবিনি।

আমি অপরাধীদের থেকে তাঁদেরও বাইরে রাখছি যাঁরা বাইবেলের জুডাসকে মেনে চলেন, কোটি (কয় কোটি?) টাকার বিনিময়ে আজ এ দলে কাল ও দলে যাতায়াত করেন। কারণ আদালত শুধু ওই কারণে তাঁদের অপরাধী বলে সাব্যস্ত করেন না। এই দলে সেই নমস্য বুদ্ধিজীবীরাও আছেন যাঁরা কোনও সুযোগ বা সুবিধার জন্য, বা ভয়ে কোনও কিছুর মাথায় চড়ে বসেন, শাসকের আনুকূল্যে। আদালত তাঁদেরও অপরাধী বলেন না, কাজেই আমি বলার কে? তাঁরাও আমাদের মতো ধুতি-কুর্তা বা প্যান্ট-কুর্তা-জহরকোট পরা নিখাদ ভদ্রলোক আমাদের আদরণীয় সগোত্র।

এর মধ্যে দেখলাম, আমাদের মতো ধুতি-পাঞ্জাবি বা প্যান্ট-কুর্তা পরা বাবুরা সব অদ্ভুত খেল দেখাতে শুরু করলেন। তাঁদের কারও বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা বেরিয়ে পড়ল, তারা নাকি স্কুলশিক্ষকের চাকরি অযোগ্য, কিন্তু দলের লোকদের কাছে বিক্রি করে ওই টাকা জমিয়েছেন। আচ্ছা, জনপ্রতিনিধি আর মন্ত্রীটন্ত্রী তো আমারই মতো ভদ্রলোক, তাই না? পোষাকে আশাকে, আচরণে? যদিও কেউ কেউ বাণী দিয়েছিলেন যে, কমিউনিস্টদের সঙ্গে চা খাবে না, বৈবাহিক সম্পর্ক করবে না, তবু তাঁদের দেখতে শুনতে তো ভদ্রলোকই লাগত। কমিউনিস্টদের পছন্দ করেন না বলে যে ভদ্রলোক হবেন না এমন তো কোনও কথা নেই। তা দেখলাম  রেশনের কী সব গোপন কারবার করে তাঁরা এবং তাঁদের সাঙ্গোপাঙ্গোরাও কী রকম শয়ে শয়ে কোটি টাকা জমিয়েছেন, আমরা যারা এক কোটি টাকাও নিজের চোখে দেখিনি তাদের গা-টা কেমন শিউরে ওঠে! আচ্ছা, কলেজের প্রিন্সিপাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আর আধিকারিক, তাঁরা তো সবাই আমাদের মতো ভদ্রলোক - তাদের ছেলেপুলে বউ শ্যালক - সবাইকে সুদ্ধ ভদ্রলোক। তাঁরাও কী চমৎকার কোটি কোটি টাকা তোলাবাজি করেছেন, বাড়িতে জমিয়েছেন, বিদেশে জমিয়েছেন, বান্ধবী বা বেয়াই-বেয়ানের বাড়িতে জমিয়েছেন। সবাই কেমন নিপাট ভদ্রলোক, আমার নিজের শ্রেণি, বাংলা বা ভারতীয় রেনেসাঁসের সন্তান, কেউ কেউ স্কুল-কলেজ পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী। ভদ্রলোক, অথচ জেলে দিন কাটাচ্ছেন, এই দেখতে আমরা ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।

আমার মতো চুনোপুঁটির মনে এই প্রশ্নটা মাঝে মাঝেই উঠেছে যে, এই কোটি কোটি কোটি টাকা দিয়ে তাঁরা ঠিক কী করবেন ভেবেছিলেন? জীবন আর মানবদেহ তো একটা করেই পেয়েছি আমরা, না কি? নাকি তাঁরা ভেবেছিলেন, ও সব কমিউনিস্টদের প্রচার করা মিথ্যে, জীবন অনন্ত, এই জীবনে সব খরচ না হোক, পরের বা তার পরের জন্মে তো খরচ করতে পারব! অনন্ত সুখ, অনন্ত সম্ভোগ, অনন্ত পান, ভোজন, বিলাস, বৈভব। অনেক নারী হবে, গাড়ি হবে, প্রমোদজাহাজ হবে, বিদেশে বাড়ি হোটেল রিসর্ট হবে - আর বাবা বা মায়ের থানে, নেতানেত্রীর পায়ে নৈবেদ্য দিয়েও আমার জন্যে যথেষ্ট থাকবে। আমাদের পরিবার তো দস্যু রত্নাকরের পরিবারের মতো নয় যে তারা রত্নাকরের পাপের ভাগ নিতে রাজি হবে না, আমাদের বউ ছেলেমেয়ে সবাই দুহাত খুলে ভোগ করবে। অনন্তকাল।

এখন তাঁরা জেলে আছেন। আমাদের দেশপ্রেমিক বিপ্লবীরা এক সময় জেলে থাকতেন, কেউ কেউ জেল থেকে ফাঁসিও যেতেন। তাঁদের গৌরব এঁরা দাবি করবেন, এমন রাস্তা বোধহয় এঁদের কাছে খোলা নেই। জেলে কোন্ শ্রেণির বন্দি, সেখানে আরামের ব্যবস্থা কী রকম কিছুই জানি না, কিন্তু ঘটনা হল যে এখন তাঁরা বাড়িতে নেই, জেলে আছেন। কোটি কোটি কোটি টাকা দিয়ে তাঁরা যে সুখ-সম্ভোগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, জেলে, যত আরামেই থাকুন, ঠিক সেসব পাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। তাঁদের টাকা গেছে, সুনাম গেছে, স্বপ্ন গেছে। আর কী কী গেছে তা তাঁরাই হিসেব করুন সময়মতো।

আমি এখন 'ভদ্রলোক' আর 'অপরাধী' - এই দুয়ের ছদ্ম বাইনারি কীভাবে চুরমার হয়ে আমার সমস্ত বুদ্ধিসুদ্ধি ধসিয়ে দিতে শুরু করেছে তাই চেয়ে চেয়ে দেখছি। আমার প্রগাঢ় মূর্খতার কাছে আমি নিজে আজ কতভাবে পর্যুদস্ত তা আপনারা সবাই দেখুন।