আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ● ১৬-৩১ চৈত্র, ১৪৩০

প্রবন্ধ

বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে

দীপঙ্কর সিংহ


কলকাতা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঘন জনবসতিপূর্ণ একটি শহর। কলকাতাবাসীর এক-তৃতীয়াংশর বস্তিতে বসবাস। এছাড়াও খাল, বাইপাস, রেললাইনের ধারে ঝুপড়িতে ও খোলা আকাশের নীচে বহু মানুষ বাস করেন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। অথচ শহরের কল-কারখানা, ব্যবসা, নির্মাণ, পরিবহণ, ছোট-মাঝারি ও কুটিরশিল্প, দোকান-বাজার, নানান পরিষেবা ইত্যাদি বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে এইসব মানুষের একটা বিরাট ভূমিকা আছে, যা ছাড়া শহর অচল হয়ে যাবে। শহরের কাগজ কুড়িয়ে যারা দিন গুজরান করেন তাঁরা শহরে যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ভূমিকা পালন করেন, তার যথাযথ পরিমাপ করা হয় কি? কিন্তু এইসব মানুষ বাস করেন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ঘিঞ্জি পরিবেশে যেখানে জল, নর্দমা, শৌচালয়, আলো-বাতাস তো থাকেই না, এমনকি মাথার উপর আচ্ছাদনও অপ্রতুল। একটি ঘরে বাস করা পরিবারের সংখ্যা এই শহরে প্রায় ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে একের অধিক দম্পতি নিয়ে একটি ঘরে থাকেন ২ লক্ষ মানুষ। একটি ঘরে শিশু, বৃদ্ধ ও দম্পতির পারিবারিক জীবনযাপন কখনও স্বাভাবিক হতে পারেনা। শিশু, বৃদ্ধ বা অসুস্থ মানুষের জন্য একটু খোলা পরিসর এঁরা কল্পনাও করতে পারেন না। এঁদের ধর্ম, জাত-পাত, ভাষা বিচার করা অর্থহীন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নির্ধারণ করেছে প্রতি শহরে জনপ্রতি খোলা মাঠ ইত্যাদি থাকা উচিত ৯ বর্গ মিটার। কলকাতা শহরে সেটা মাত্র ১.৬৫ বর্গ মিটার। নগর পরিকল্পনার সর্বভারতীয় মানক (URDPFI) হিসাবে শহরে অন্তত ১২ থেকে ১৫ শতাংশ খোলা পরিসর থাকা উচিত, যেখানে আমাদের আছে মাত্র ২ শতাংশের কাছাকাছি। এর ফল ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সব অংশের মানুষকে অসুস্থ, কর্মক্ষমতাহীন করে দিচ্ছে।

কেন্দ্রীয় জল বোর্ডের সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে যে টিউবওয়েলের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল তোলার কারণে শহরের জলস্তর বছরে এক ফুটেরও বেশি নেমে যাচ্ছে। অর্থাৎ পানীয় জলের উৎপাদন খাতায় কলমে যথেষ্ট হলেও পাইপের মাধ্যমে তা বহু মানুষের কাছে পৌঁছোয় না। কোটি কোটি টাকায় উৎপাদিত পানীয় জলের ৩৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট হয়, আর মানুষ অপরিশ্রুত জল খেতে বাধ্য হয়। সাম্প্রতিককালে চেন্নাই ও তারপর ঠিক এই সময়েই বেঙ্গালুরুর মতো শহর ভয়ঙ্কর জলসঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। এর থেকেও ভয়াবহ সংকট এই কলকাতা শহরের জন্য এগিয়ে আসছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। শুধু আর্সেনিক দূষণ নয়, জলের স্তর নেমে যাওয়ায় শহরের আবহাওয়া শুকনো হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাতাসে ধুলোকণার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছে। গাছের গোড়া দুর্বল হয়ে একটু ঝড়েই মুখ থুবড়ে পড়ছে। শহরে ১ কোটি গাছ লাগানোর ঘোষণা হলেও তার ১ শতাংশ গাছ লাগানোর জায়গাও শহরে নেই। এই অবস্থাতেই বন্দর এলাকার বিপুল জমি, ট্রাম-বাস গুমটির জমি, গঙ্গার তীরবর্তী জমি সমেত অবশিষ্ট সরকারি জমি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় কাজে লাগানোর ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নগর জীবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার অভাব থাকায় প্রশাসনের অনেকেই শহরের খোলা জায়গা বা জমিকে অ-লাভজনক মনে করছে। বাড়ির অনুপাতে খোলা জায়গা প্রয়োজনের থেকে অনেক কম থাকলেও বাড়ির নকশার অনুমোদন দেওয়া একটা ভীষণ বিপজ্জনক ঝোঁক। এর থেকেই তৈরি হচ্ছে বাড়ির পাশের খোলা পরিসর রাখার প্রয়োজন বা নিয়মের প্রতি চূড়ান্ত অবজ্ঞা। এর উপরে শহরের নিকাশি ব্যবস্থাও একটু ভারী বৃষ্টি হলেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আর এই সবের ফল দরিদ্র মানুষকে অত্যন্ত বেশি মাত্রায় ভুগতে হয়। অন্য অংশের মানুষও রেহাই পায়, এমনটা নয়। এইসব নিয়ে শহরের বাসযোগ্যতা ভয়ঙ্কর নিম্নমুখী হচ্ছে সবার জন্যই।

প্রশাসনের উদ্যোগে সার্বিকভাবে পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার বা পুনঃরূপায়ণ করার বিজ্ঞানভিত্তিক পথে না চলার ফলে মানুষের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত নির্মাণ ও সামঞ্জস্যমূলক সুস্থায়ী উন্নয়নের (Sustainable Development) দৃষ্টিভঙ্গি লুপ্ত হচ্ছে, কিংবা মানুষ তার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারছে না। বাড়ি নির্মাণের আইনের প্রতি উদাসীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনও এই বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক আচরণে অভ্যস্ত।

কলকাতা পুরসভার কোনো স্তরে আজ কোনো শিক্ষিত স্থপতি বা পরিকল্পনাবিদ নাই। অথচ একসময়ে ‘City Architect’ এই শহরে নির্মাণের কাজ নিয়ন্ত্রণ করার মূল আধিকারিক ছিলেন। তার সাথে ছিল অন্তত দশটি 'Deputy City Architect' পদ। সর্বোচ্চ স্তরে 'Chief Municipal Architect and Town Planner' (CMATP) পদ ছিল। একসময়ে চারটি 'Assistant Town Planner', একজন 'Municipal Architect and Town Planner' (MATP) ও একজন 'Deputy CMATP'-র পদ ছিল। আজ এই পদগুলি হয় অবলুপ্ত হয়েছে, নয়তো এই পদে নিয়োগ হয়নি, কিংবা স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ কোনো আধিকারিক এই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। আইন অনুযায়ী (KMC Act, 1980) কলকাতা শহরের দুর্বল ও বিপজ্জনক বাড়ি ও নির্মাণ সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করার মূল দায়িত্ব মুখ্য স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদের (CMA&TP) উপর বর্তায়। ২০১৪ সালের পর থেকে ওই পদের দায়িত্ব অন্য কেউ পালন করছেন।

সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রমাগত আইনকে এড়িয়ে প্রশাসনিক সার্কুলার দিয়ে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন। তার সাথে আইন ভেঙে বাড়ি তৈরি করলে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে সেই নির্মাণ নিয়মিত (Regularize) করার নির্দেশিকা জারি করার কারণে বেআইনি কাজে ঝোঁক বৃদ্ধি করেছে, অসাধু নির্মাতারা উৎসাহিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের নির্দেশিকা কর্মীদের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত করেছে। অথচ নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত, আংশিক বা সম্পূর্ণ, কোনো অবস্থাতেই রেগুলারাইজ করা যায়না। ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখের বা ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখের সার্কুলার দেখলেই বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হবে। কিন্তু ২০১৭-১৮ সালের ৪ নম্বর সার্কুলার দিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনতলা-চারতলা বাড়ির পরিসর বিপজ্জনকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষিত স্থপতি ও নগর পরিকল্পকরা আগেও এর প্রতিবাদ করেছেন কিন্তু তাঁদের কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। এমনকী রাজ্য স্তরেও অদ্ভুত কমিটি (State Level Building Committee) করে নিয়মে ছাড়ের ব্যবস্থা হয়েছে, যে আইন দেখার কথা শুধু পৌরসভা (Local Self Government) স্তরেই। আজ আমরা তার ফল দেখতে পাচ্ছি। যে কোনো স্তরে নিয়মের প্রতি এমন অবজ্ঞা ও স্বেচ্ছাচারিতা সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া উচিত। বাড়ির চারপাশের পরিসর আইনে নির্ধারিত করা হয় শহরের বাস্তব পরিস্থিতি বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্লেষণ করে, শহরের ধারণক্ষমতা ও পরিবেশ, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও মানুষের জল-আলো-বাতাসের প্রয়োজনকে বিচার করে। পরিমাপগুলি কেবল কয়েকটি সংখ্যা নয়।

কলকাতা সমেত প্রতিটি শহরে বিল্ডিং রুল অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনের জন্য গঠিত (MBC) কমিটিতে ইনস্টিটিউট অফ্ টাউন প্ল্যানার্স অফ্ ইন্ডিয়া-র (আইটিপিআই) একজন প্রতিনিধি থাকার কথা। নকশায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আইটিপিআই-এর আপত্তি অবজ্ঞা করে বাড়ি নির্মাণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে শুধু নয়, আইটিপিআই-এর প্রতিনিধিকে মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং কমিটিতে আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করা হয়েছে আইনকে অগ্রাহ্য করে। শহরের নির্মাণকান্ড বিজ্ঞানসম্মতভাবে ও পরিবেশ রক্ষা করে পরিচালনার জন্য আইটিপিআই-এর প্রতিনিধিদের নাম পাঠানো হয়েছিল, যাঁরা স্বেচ্ছায় পৌরসভাকে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু এইসব প্রস্তাব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নতুন করে বাড়ি তৈরির নিয়ম রচনা করার ক্ষেত্রেও আইটিপিআই প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আইটিপিআই লিখিতভাবে ও পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি নির্মাণের নজরদারি, আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। বিপদজনক ও ভঙ্গুর (Dangerous & Dilapidated) বাড়ির বিষয়ে লিখিতভাবে পৌরসভাকে বাড়ি নির্মাণের আইনের কিছু পর্যালোচনা করার অনুরোধ করা হয়েছিল। অতীতের আইনের সংশোধনী থেকে ৩,৫০০ ভগ্নপ্রায় বাড়ির কতগুলি সুবিধা পেয়েছে, কিংবা বিপজ্জনক বাড়ির বদলে কোনো ফাঁক দিয়ে অন্য কেউ সুযোগ নিচ্ছে কিনা ও যাঁদের জন্য আইন, তাঁরা সুবিধালাভে বঞ্চিত হয়েছেন কিনা, তালিকা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট করতে চাওয়া হয়েছিল, যাতে উপযুক্ত নির্মাণ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে আইনকে আরও কার্যকরী ও উন্নত করা যায়। কিন্তু এই প্রস্তাবগুলিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত বহুতল, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি শুধু কলকাতা কর্পোরেশন নয়, আজ অন্যান্য বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চলে তো বটেই, এমনকী বর্ধিষ্ণু পঞ্চায়েত এলাকায় বিপুল সংখ্যক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সরু রাস্তায় অনেক উঁচু বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। হাওড়ার মতো শহরে কোনো নিজস্ব গৃহ নির্মাণের নিয়ম নেই, কলকাতা শহরের বাড়ির নিয়ম দেখে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্মাণ অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ হাওড়ার বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন ভেঙে শহর ও শহরতলি ক্রমাগত জতুগৃহে পরিণত হচ্ছে।

এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজ্য সরকার সমেত রাজ্যের প্রতিটি পৌরসংস্থা, মিউনিসিপ্যালিটি ও কর্পোরেশন, ডেভলপমেন্ট অথরিটির জন্য আইটিপিআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করে জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনার জন্য দাবি জানিয়েছে। সেগুলি হলো -

১) সব শহর বা শহরের সব এলাকার জমির চরিত্র, জনঘনত্ব, খোলা জায়গার পরিমাণ, জলাভূমি ও গাছপালা সমেত পরিবেশের ভিন্নতা রয়েছে বলে মেনে নিতে হবে।

২) বসতি অঞ্চলের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির সঙ্গে অঞ্চলের তথা মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নতির গভীর সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে হবে।

৩) শহরের জমিকে নির্মাণকাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগামীদিনের জমির প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে হবে।

৪) ভিন্ন ধরণের এলাকার জন্য, বৈচিত্রের জন্য নির্মাণ কাজের বিজ্ঞানভিত্তিক নিয়ম তৈরি করতে হবে।

৫) শহরের পুকুর, খাল, নদীর পাড়, গাছ-গাছালি, মাঠ ও খোলা জমির সামঞ্জস্যপূর্ণ সংরক্ষণ করতে হবে।

৬) শহরের পথ, নিকাশি, জল সরবরাহ ইত্যাদির ভার বহন করার ভিত্তিতে শহরের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৭) দরিদ্র মানুষের জন্য উপযুক্ত মানের ও সুরক্ষিত বাসযোগ্য গৃহ নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

৮) সরকারি জমির বেসরকারিকরণ ও রিয়াল এস্টেট ব্যবসায় কাজে লাগানো বন্ধ করে পরিকাঠামোর অপ্রতুলতা লাঘব করার জন্য জমিকে কাজে লাগাতে হবে।

৯) প্রতিটি শহরের জন্য ভারতের ৭৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন ও নগর পরিকল্পনা আইন অনুযায়ী সার্বিক, সুস্থায়ী (Sustainable) উন্নততর আগামীদিনের লক্ষ্যে নগর পরিকল্পনা রচনা করতে হবে ও সেই পরিকল্পনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

১০) নগর পরিকল্পনাকে মান্যতা দিয়েই গৃহ নির্মাণ ও জমির ব্যবহার (Land Use Control and Development Plan) সংক্রান্ত আইন রচনা করতে হবে।

১১) বাড়ি নির্মাণের নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত নির্মাণ করলে সেই নির্মাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত (Regularize) করা যাবে না। ভেঙে ফেলতে হবে।

১২) নগর পরিকল্পনা আইনকে মান্যতা দিয়ে ল্যান্ড ইউজ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কন্ট্রোল প্ল্যান (LUDCP) প্রতিটি শহরের জন্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে নতুন করে তৈরি করতে হবে ও নির্মাণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে নগর পরিকল্পনা আইনকে মান্যতা না দেওয়াকে গর্হিত অপরাধ বলে চিহ্নিত করতে হবে।

১৩) প্রতিটি পৌরসভা, কর্পোরেশন, ডেভলপমেন্ট অথরিটিতে স্বীকৃত ও শিক্ষিত অভিজ্ঞ নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি (Registered Architect and Town Planners) যথেষ্ট সংখ্যায় নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।