আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা ● ১৬-২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ● ৩-১৮ ফাল্গুন, ১৪৩০
সম্পাদকীয়
ধারাবাহিক ধ্বংস প্রকল্প
অযোধ্যা কান্ড আপাতত সমাপ্ত। পাথরের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রচার অবশ্যি শেষ হয়নি। মন্দির নির্মাণ কবে সম্পূর্ণ হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য অনুপস্থিত।
এখন শুরু হয়েছে মন্দিরের সাম্রাজ্য বিস্তার। আরবের মরুভূমিতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে সাড়ে তেরো একর জমির উপর গড়ে তোলা বোচাসনবাসী অক্ষরধাম পুরষোত্তম স্বামীনারায়ণ (সংক্ষেপে বিএপিএস) মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-র (ইউ.এ.ই.) রাজধানী আবু ধাবি-তে ৫৩ লক্ষ ভারতীয়র বসবাস। সংখ্যাটা কম নয়। মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ। তার মধ্যে মাত্র দেড়শো থেকে দু'শো পরিবার বিএপিএস-এর অনুগামী। সংখ্যাটা আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হলেও তার গুরুত্ব অপরিসীম। জগৎজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিএপিএস-এর ১৫৫০টি মন্দিরের তালিকায় আবু ধাবি-র মন্দিরটি নবতম সংযোজন। উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউ.এ.ই.-র রাষ্ট্রপতি।
এখন অবিশ্যি মন্দির নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। আরবের মরুভূমিতে মন্দির তৈরি করতে পারলে দীঘার সমুদ্রতটের বালুকাবেলায়ও করা যেতেই পারে। হচ্ছেও। নির্মাণ চলছে। পাঁজিপুথি দেখে কোনো এক শুভ মুহূর্তে হয়তো উদ্বোধনও করা হবে। এবং রাজ্য সরকারের দু'শো কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত মন্দিরের উদ্বোধনের লগ্নে সম্ভবত গর্বের সঙ্গে উচ্চকন্ঠে উচ্চারিত হবে, আমরাও পারি।
সকলের চোখের সামনে চলছে মন্দির নির্মাণের প্রতিযোগিতা। আবার একই সঙ্গে সকলের চোখের সামনেই হয়ে চলেছে ধ্বংসের অভিযান।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী কিংবা মথুরার মসজিদ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রেশ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সেই আবহেই ভারতের রাজধানী দিল্লির মেহরৌলিতে অবস্থিত প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ গত ৩০ জানুয়ারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত এ মসজিদটির নাম ‘আখুনজি মসজিদ’। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো মসজিদ ধ্বংস করে দেয় দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ)। অর্থাৎ কয়েক ঘন্টায় গুঁড়িয়ে গেল কয়েকশো বছরের পুরোনো স্থাপত্য। একই সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয়েছে বাহরুল উলূম মাদ্রাসা ও এই চত্ত্বরে থাকা একটি কবরস্থান। মাদ্রাসাটিতে অন্তত ২৫ জন শিশু পড়াশোনা করত এবং সকলেই অনাথ। সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী মাদ্রাসা ধ্বংস করার আগে শিশুদের কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ধ্বংস প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তীব্র শীতের মধ্যে সেখানেই বসিয়ে রাখা হয়।
ডিডিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, আখুনজি মসজিদটি একটি অবৈধ স্থাপত্য। এটি সঞ্জয় বনের সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। মসজিদটি যেখানে ছিল সেটি দিল্লি রিজের দক্ষিণাংশের আরাবল্লি চিতাবাঘ বন্যপ্রাণী করিডোরের অংশ। ১৯৯৫ সালের রিজ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী অবৈধ স্থাপত্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সঞ্জয় বন হচ্ছে ৭৮০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত একটি সংরক্ষিত অরণ্য। এটি দিল্লি দক্ষিণ রিজের অংশ। রিজ ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের মতে, রিজ এলাকায় থাকা সব ধরনের অবৈধ স্থাপত্য উচ্ছেদ করা উচিত। তাই ওই এলাকার ৫ হাজার বর্গমিটার জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। তবে ডিডিএ-র কর্তাদের খেয়াল ছিল না যে ডিডিএ-র জন্মের অনেক আগেই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অজ্ঞতা অস্বীকার করে অন্যায় করা সমীচীন নয়।
এত বছরের পুরোনো একটি মসজিদ কী করে অবৈধ হতে পারে? সরকারি নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১৯ মে তারিখের দিল্লি হাইকোর্টের এক আদেশ অনুসারে মসজিদের সীমানা নির্ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনো কিছু ধ্বংস করতে বলা হয়নি। সেই অনুযায়ী ২০১৪ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মসজিদটির সীমানা নির্ধারণের আদেশ দিয়েছিলেন। সেই আদেশে দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে বলেছিল, মসজিদ চত্ত্বরের কবরগুলো ধ্বংস করা উচিত নয়। কবরগুলো বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দিল্লির ইতিহাসবিদ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞদের মতে ‘কুতুব মিনার থেকে ৪০০ মিটার দূরের এই মসজিদটি দিল্লির ৩ হাজার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যর তালিকায় থাকা একটি মসজিদ। ১৯২০ সালে ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ্ ইন্ডিয়া যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানেও এই মসজিদের নাম রয়েছে। সংরক্ষিত অরণ্য ঘোষণার বহু আগে থেকে মসজিদটি এখানে রয়েছে। এটি অবৈধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া ডিডিএ এর আগে বেশ কয়েকবার বলেছে, তারা কোনো ধর্মীয় স্থাপত্যে হাত দেবে না। তারপরও তারা কী কারণে মসজিদটি ভেঙে ফেলল তা বোধগম্য নয়।’
ডিডিএ-র মতো নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল-ও (এনডিএমসি) কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এনডিএমসি-তে ঠাঁই নেই। শতাধিক বছর আগে গঠিত সংস্থাটি দিল্লির ভৌগোলিক আয়তনের (১৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার) মাত্র ২.৯ শতাংশ (৪৩ বর্গ কিলোমিটার) এলাকায় পুর পরিষেবার জন্য দায়বদ্ধ। প্রসঙ্গত, এনডিএমসি-র কাজকর্ম মূলত রাজধানীর ভিআইপি এলাকায় সীমাবদ্ধ।
অকস্মাৎ কী কারণে যেন এনডিএমসি-র খেয়াল হল যে সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য সুনহেরী বাগ চৌক (roundabout) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কাজেই সুনহেরী বাগ চৌক ভেঙে ফেলা দরকার। আসলে চৌক ভাঙার নামে সুনহেরী বাগ মসজিদের অপসারণ মূল লক্ষ্য।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ সুনহেরী বাগ মসজিদ ভাঙা নিয়ে মানুষের মতামত চেয়ে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয় এনডিএমসি। ২০২৪-এর প্রথম দিনের মধ্যে মতামত জানানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। মসজিদ ভাঙার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করা হয়েছে মুসলিম সংগঠন ও সংখ্যালঘু কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে।
রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুনহেরী বাগ চৌক ও মসজিদ অবস্থিত। উদ্যোগ ভবন, বায়ু সেনা ভবনের সামনে, রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবনের থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত সুনহেরী বাগ চৌক ও মসজিদ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ হিসেবে কোনোদিনই বিবেচিত হয়নি। এমনকী সুনহেরী বাগ চৌক ও মসজিদকে অবিকৃত রেখে ভূগর্ভে বিছানো হয়েছে একটি নয় দুটি মেট্রোর লাইন। উপরের লাইনে গুরগাঁওগামী মেট্রো চলাচল করে। আর তারও অনেক নীচে নির্মিত হয়েছে ফরিদাবাদগামী মেট্রোর লাইন। দুটি লাইনেই নিয়মিত মেট্রো যাতায়াত করে। সর্বোপরি সুনহেরী বাগ চৌক ও মসজিদের পাশেই রয়েছে দিল্লি মেট্রোর অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন - উদ্যোগ ভবন।
ইতিহাস বিশারদদের মতে ঠিক কবে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা না গেলেও এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে একশো বছর আগে যখন নতুন দিল্লির নির্মাণ চলছিল তখনও মসজিদটি ছিল। এবং নতুন নগরীর পরিকল্পনা ও নির্মাণের দায়িত্ব যাঁরা পালন করছিলেন তাঁরা যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের সন্নিকটস্থ এখনকার রফি মার্গ, মৌলনা আজাদ মার্গ, মতিলাল নেহরু মার্গ ও কামরাজ মার্গের সংযোগস্থলে অবস্থিত মসজিদকে অটুট রাখার ব্যবস্থা করে চৌক বা roundabout গড়ে তোলেন। এই এলাকার নিত্যযাত্রীরাও মনে করতে পারছেন না সুনহেরী বাগ চৌক কবে তাঁদের যান চলাচলের অনুপযোগী ছিল। এমনকী মেট্রোর নির্মাণ কাজ চলার সময়ও এমন অভিযোগ শোনা যায়নি। যুক্তি যেখানে হার মেনে যায় এবং বিশ্বাস স্বীকৃতি পায় তখন মানতেই হয় সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য সুনহেরী বাগ চৌক ও মসজিদের অপসারণ অবশ্য কর্তব্য।
প্রায় একই রকম ঘটনা উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে ঘটেছে। প্রশাসন একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা ধ্বংস করতে অভিযান চালালে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে, পাঁচ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পরে আহতদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
সরকারের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেওয়া জমিতে মসজিদ ও মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছিল। লিজ পুনর্নবীকরণ বিধিবদ্ধভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ এনেই মসজিদ ও মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া মোটেও সমীচীন নয়। মসজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন করলেও প্রশাসন বিষয়টিকে আমল দেয়নি। ঘটনাক্রম পর্যবেক্ষণ করলে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যথাসময়ে পুনর্নবীকরণ করার আবেদন না করা একটি অজুহাত মাত্র। তর্কের খাতিরে বলা যেতেই পারে যে আবেদন নাকচ করা হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা ছিল কি?
উল্লিখিত সাম্প্রতিক তিনটি ধ্বংসাত্মক ঘটনা নির্দিষ্ট করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি না করে শুধুমাত্র প্রশাসনিকভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া যায়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রয়োজন নেই।
মন্দির হোক বা মসজিদ-গির্জা, তা যেন পারস্পরিক বিভেদ সৃষ্টি না করে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান যাতে নষ্ট না হয়, তা দেখা কর্তব্য শাসক দল তথা প্রশাসনের। রামমন্দির স্থাপন বা রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা এমনভাবে করা হল, তা যেন দেশবাসীর কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন ও অর্থের যৌথশক্তির অতিকায় জাতীয় প্রকল্প। ভক্তরা আপ্লুত। আরাধ্য চরিত্র বা দেবতাকে নিয়ে উৎসব-আনন্দে মশগুল ভক্তকুল। তবে ধর্মের নামে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের প্রক্রিয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। দেশজুড়ে মন্দির মসজিদের ঘাটতি নেই, ঐশ্বর্য-বৈভবে বিভিন্ন প্রদেশের মন্দিরগুলো জাঁকজমকপূর্ণ অবস্থানে থাকলেও, ধর্মের দিকে জনগণকে আকর্ষণ না করে কর্মের পথে মাততে দিলে বৃদ্ধি পায় জাতীয় উৎপাদনশীলতা। ফলে অর্থনৈতিক সুঠাম অবস্থার সাক্ষী থাকতে পারে দেশের কোটি কোটি শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার কর্মহীন যুবক-যুবতী। সামাজিক অস্থিরতা দূর হয়ে মন ও মননে সুস্থতার লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে। মন্দিরগুলো থেকে যে বিপুল অর্থ আয় হয়, তা কতটা দেশগড়ার কাজে লাগে?
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ভারতের কোনো ঘোষিত রাষ্ট্রধর্মও নেই। তবুও শাসকদল হিন্দি-হিন্দুত্ব-হিন্দুস্তানের প্রচার-প্রসার প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখার জন্য প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে চলেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার উপাদান সতত বিরাজমান। আতঙ্ক-আশঙ্কায় নিমজ্জিত মানুষ এর মধ্যেও সতর্ক। তাঁরা কোনও রকম প্ররোচনায় উত্তেজিত হতে রাজি নয়। অন্তরের ক্ষোভের কোনো বহিঃপ্রকাশ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত। নির্বাচকমন্ডলী কিন্তু সাধারণ মানুষ। মানুষের অন্তরের ক্ষোভ সংগঠিত করে গণ আলোড়ন সৃষ্টি করার সুযোগ সবসময় আসে না। ভাষণ, কর্মসূচি পালন করে আত্মতুষ্টি লাভ করা যায় কিন্তু আগ্রাসী আধিপত্যবাদ প্রতিহত করা যায় না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মানুষের কাছে গিয়ে এই সময়েই বলতে হবে যে দেশের নিরিখে কোনটা বেশি জরুরি, জাত না ভাত, মন্দির না মসজিদ, ধর্ম না কর্ম!