আরেক রকম ● দ্বাদশ বর্ষ অষ্টাদশ সংখ্যা ● ১৬-৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ● ১-১৫ আশ্বিন, ১৪৩১
প্রবন্ধ
'অপরাজিতা' আইনে কি 'তিলোত্তমা'-রা বিচার পাবে?
প্রসেনজিৎ বসু
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে গত ৯ অগস্ট যে ধর্ষণ-খুনের মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তার সম্পূর্ণ সত্য উদ্ঘাটন হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত এখনো চলছে। সম্প্রতি অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার ওসি এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে।
যে অপরাধীদের বাঁচাতে এই অভিযুক্তরা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে, তাদের সবাইকে স্বচ্ছভাবে চিহ্নিত করে আইনমাফিক শাস্তি দেওয়া যাবে কিনা, সেই দিকেই তাকিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের মানুষ। কিন্তু অপরাধের সত্য উদ্ঘাটন এবং সেই অপরাধীদের চিহ্নিত করার প্রশ্ন থেকে নজর ঘুরিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার, কিছু কায়েমি স্বার্থ এবং সংবাদ মাধ্যমের একাংশ। রাজ্য সরকারের এই নজর ঘোরানোর খেলার অঙ্গ হিসেবেই গত ৩ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দুই দিনের অধিবেশন ডেকে 'অপরাজিতা নারী ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইনের সংশোধনী) বিল, ২০২৪' নামের একটি আইন সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করা হয়েছে।
'অপরাজিতা' আইনে কী আছে?
এই আইনের ঘোষিত উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ এবং যৌন হিংসার অপরাধীদের জন্য শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে নারী এবং শিশুদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করা। এই আইনে তিনটি কেন্দ্রীয় আইনের বিভিন্ন ধারাকে সংশোধন করা হয়েছে - ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩; ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন, ২০১২ [POCSO ACT, 2012]।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ আইনে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার বয়স ১২ বছরের বেশী হলে অপরাধীদের ন্যূনতম ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ আমৃত্যু কারাবাস অবধি সাজার বিধান আছে, নির্যাতিতার বয়স ১২ বছরের কম হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। 'অপরাজিতা' আইনে নির্যাতিতার বয়সের মাপকাঠি তুলে দিয়ে যে কোন ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ জরিমানা-সহ মৃত্যুদণ্ডের বিধান ধার্য করা হয়েছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারায় ধর্ষণ এবং খুনের সাজা হিসেবে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। 'অপরাজিতা' আইনে এই অপরাধের ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের বিধানগুলিকে সরিয়ে জরিমানা-সহ মৃত্যুদণ্ডকেই একমাত্র সাজা হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। শিশুদের সুরক্ষা আইনে ধর্ষণের ক্ষেত্রেও সাজা বাড়িয়ে জরিমানা-সহ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এ নতুন দুটি অধ্যায় যোগ করে ধর্ষণ এবং যৌন হিংসার মামলায় বিচারের জন্য বিশেষ আদালত এবং তদন্তের জন্য প্রতি জেলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্ষণ এবং যৌন হিংসার মামলায় তদন্তের সময়সীমা ২ মাস থেকে কমিয়ে ৩৬ দিন এবং আদালতে বিচারের সময়সীমা চার্জশীট দেওয়ার পর ৩০ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আর জি কর মামলায় এই আইন কতটা প্রাসঙ্গিক?
আর জি কর মামলার বিচারের ক্ষেত্রে এই আইনের কোনো প্রাসঙ্গিকতাই নেই। এই আইন যদি কোনোদিন বলবত হয়, ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রযোজ্য হবে কেবল ভবিষ্যতের অপরাধের ক্ষেত্রে। আর জি কর মামলায় অভিযুক্তদের বিচার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ অনুযায়ীই হবে।
যেহেতু 'অপরাজিতা' আইনের ক্ষেত্রে একটি রাজ্যের বিধানসভায় তিনটি কেন্দ্রীয় আইনকে সংশোধন করা হয়েছে, ভারতের সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী এই আইন বলবত হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী দেশের সংসদ রাজ্য বিধানসভায় প্রণীত এই ধরণের আইনকে যে কোনো সময় সংশোধন বা বাতিল করে দিতে পারে।
'অপরাজিতা' আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আইনে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান দেওয়া হয়েছে, দিল্লিতে ২০১২ সালে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের পর গঠিত বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটির সুপারিশের তা পরিপন্থী। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেওয়া রিপোর্টে ভার্মা কমিটি জানায় যে ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেই সেটা ধর্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরোধক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ভার্মা কমিটি দণ্ডবিধিতে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আমৃত্যু কারাবাসের সুপারিশ করে। ভারতের আইন কমিশনও ২০১৫-র অগস্ট মাসে সন্ত্রাসবাদ ব্যতীত বাকি সমস্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ডকে রদ করার সুপারিশ করে।
এই প্রেক্ষিতে অপরাজিতা আইনে আনা ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দ্রুত রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং অপরাজিতা আইন নিয়ে রাজনৈতিক এবং আইনি বিতর্ক, এমনকি এর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের অপরাধী এক না একাধিক, সেটা অপরাধের এক মাস পরেও জানা গেল না। অথচ রাজ্যের শাসক এবং প্রধান বিরোধী দল, উভয়পক্ষই "ধর্ষককে ফাঁসী দাও", "এনকাউন্টার করে মেরে দাও” জাতীয় জিগির তুলে কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআই-এর মতন তদন্তকারী সংস্থাদের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে।
এই আইন আনা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে একটা নতুন বিতর্ক তৈরি করে আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ধর্ষণ এবং খুনের তদন্ত থেকে সকলের নজর ঘোরাতে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জনগণকে বিভ্রান্ত করতে। পুলিশ, সিবিআই এবং বিচার ব্যবস্থার যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে অপরাধীদের সময় মতন গ্রেপ্তার করে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা রাজ্য বা কেন্দ্র, কোনো সরকারেরই নেই।
ধর্ষণের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য কী দেখাচ্ছে?
ভারতবর্ষে অনেক রাজ্যেই পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধ এবং অপরাধীদের আড়াল করার নেতিবাচক ভূমিকা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার প্রবণতা আছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে এই প্রবৃত্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। খুন-ধর্ষণের মতন গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তকেই ব্যাহত করে দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীদের একটা বড় অংশকেই বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করা যাচ্ছে না।
আর জি কর কাণ্ড যে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তা সরকারি তথ্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক দেশের সমস্ত রাজ্যে ধর্ষণের মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করে [Loksabha Unstarred Question #1280 dated 09.02.2024] যার তথ্যসূত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে 'ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো'র বার্ষিক 'ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া' রিপোর্ট।
পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের মামলার মোট সংখ্যা ২০১০ সালে ছিল ২,৩১১, ২০২২ সালে সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ১,১১১। কিন্তু এটা রাজ্যে ধর্ষণের প্রবণতা কমে যাওয়ার কারণে নাকি ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের এফআইআর করার অনীহার কারণে, সেটা নির্ণয় করা মুশকিল। ধর্ষণে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ২০২০ থেকে ২০২২, এই তিন বছরে যেভাবে তলানিতে নেমে গেছে, সেটা দ্বিতীয় সম্ভাবনাটার দিকেই ইঙ্গিত করে।
সারণী ১
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের তথ্য দেখাচ্ছে যে ২০২২ সালে সারা দেশে মোট ১৮,৫১৭ ধর্ষণের মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল এবং তার মধ্যে ৫,০৬৭ মামলায় অপরাধ সাব্যস্ত হয়েছিল। অর্থাৎ অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ার হার [conviction rate] ছিল ২৭.৪%। পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ সালে মোট ৩৭৮ ধর্ষণের মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল এবং তাতে ২২টি মামলায় অপরাধ সাব্যস্ত হয়েছিল। অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ার হার [conviction rate] ছিল মাত্র ৫.৮%। ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তদের অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ার এই হার ছিল ১৩.৭%।
সারণী ২
২০২২ সালে সারা দেশে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল ৩৬,০৫৫ জন, দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ৬,০৩৭ জন। অর্থাৎ সারা দেশে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতি ১০০ জনে ১৭ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, বাকিরা ছাড়া পেয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ সালে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল ১,১৭২ জন, দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল মাত্র ৩৩ জন। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতি ১০০ জনে কেবল ৩ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সারণী ৩
সমস্ত ধরণের নারী নির্যাতনের মোট মামলার নিরিখে ২০২২ সালে দেশের সব রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছিল চতুর্থ স্থানে, শীর্ষস্থানে ছিল উত্তর প্রদেশ, তারপর মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থান। পশ্চিমবঙ্গের ঠিক পরেই মধ্য প্রদেশ। ধর্ষণের মোট মামলার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একাদশে, শীর্ষে রাজস্থান, তারপর উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, দিল্লি এবং অসমের পর।
২০২২ সালে ধর্ষণের মামলার মোট সংখ্যার নিরিখে উপরের দিকে থাকা দশটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি ছিল বিজেপি-শাসিত; ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন রোধে বিজেপি-র রেকর্ড অত্যন্ত লজ্জাজনক। তবে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের বাস্তবাতা শুধু মামলার মোট সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে।
মূল সমস্যা কোথায়, সমাধান কী?
পশ্চিমবঙ্গের মূল সমস্যার জায়গা ধর্ষণের মামলায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধ সাব্যস্ত না করতে পারা। এর ফলে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বহুলাংশই শেষমেশ ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে, নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। এর মূলে আছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ধর্ষণের অপরাধকে আড়াল করার গভীর ব্যাধি। এই ব্যাধির স্বরূপ আর জি কর ঘটনায় আজ রাজ্যবাসীর সামনে সম্পূর্ণভাবে উন্মোচিত হয়েছে।
'অপরাজিতা' আইনের দাওয়াই এই অসুখ সারাতে পারবে না। যেখানে অধিকাংশ ধর্ষণে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করতেই পুলিশ-প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করলে সমস্যার সমাধান হবে না। বিচারবিভাগে পর্যাপ্ত নিয়োগ না করে শুধু ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ধর্ষণের তদন্ত এবং বিচারের সময়সীমা কমিয়ে দিলে বরং ন্যায় বিচার ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
রাজ্যে পুলিশ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল সংস্কারের প্রয়োজন। সিভিক পুলিশে শাসকদলের স্থানীয় কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে পুলিশ ফোর্সে অফিসার থেকে কনস্টেবল সমস্ত পদে মহিলাদের নিয়োগ বহুগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। নারী নির্যাতন এবং যৌন হিংসার যে কোনো ক্ষেত্রে এফআইআর নেওয়া এবং তদন্তের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেডিওরের বিষয়ে শুধু পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষিত করাই নয় প্রত্যেক নাগরিককে সেই বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
এর পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শাসকদল আশ্রিত দুর্বৃত্তদের মাফিয়া-সিন্ডিকেট রাজ খতম করতে হবে। ব্যাপক দুর্নীতি এবং সার্বিক অরাজকতার প্রতিকারে সাফাই অভিযান শুধু আর জি কর হাসপাতালে নয়, গোটা স্বাস্থ্য দপ্তরেই প্রয়োজন।
ন্যায় বিচারের দাবিতে চলমান গণআন্দোলনের নিরিখে রাজ্য সরকারকে ২০১২-র নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের পর গঠিত বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটির আদলে একটি বা একাধিক কমিটি বা কমিশন বানিয়ে সমস্ত অংশের মানুষের মতামত সংগ্রহ করে বহুমুখী প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। আর সর্বাগ্রে 'অভয়া'/'তিলোত্তমা'-র জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে ৯ আগস্টের অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।