আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ● ১৬-৩০ চৈত্র, ১৪২৯
প্রবন্ধ
ভাষা ও পরিবেশ
স্বপন ভট্টাচার্য
আমরা সবাই জানি যে ইউরোপের শিল্পবিপ্লব পূর্ববর্তী সময়কার বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা আজকের বিশ্ব-পরিবেশভাবনার ন্যূনতম বেঞ্চমার্ক। ‘লক্ষ্যমাত্রা’ কথাটার মধ্যে একটা পরিহাস লুকিয়ে রয়েছে বলেই মনে হয়। শিল্পবিপ্লব পরবর্তী ইউরোপ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে তাদের ভাষা, তাদের ধর্ম, তাদের ফসল এবং তাদের রোগ-বালাই। ফলে, বনভূমি ধ্বংস হয়েছে, সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, ভাষার পর ভাষার উপর তাদের বুলডোজার চলেছে দুটো শতাব্দী জুড়ে। এর পরিণতি কী হওয়া সম্ভব তার একটা নমুনা দেখা যাক।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড অঞ্চলের জীববৈচিত্র অনন্য এবং ক্যাঙ্গারুর মত নানা প্রকৃতির ছোট বড় মারসুপিয়াল (পেটের থলিতে বাচ্চা রাখে যারা) সেখানে ছিল এককালে। ইংরেজি ভাষার অধিক্রমণে সেগুলি স্থানীয় নাম হারিয়ে প্রধানত ‘বুশ রাট’ বা ‘নেটিভ রাট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেল। ইঁদুর, সে ধেড়েই হোক আর নেংটি, ফসলের শত্রু এবং দেখলেই মেরে ফেলা উচিৎ-এই জ্ঞানও এল ইংরেজির হাত ধরে। ফল যা হবার তাই হয়েছে, অধিবাসীদের হাতে যারা বেঁচে-বর্তে ছিল, অভিবাসীদের হাতে তাদের ইন্তেকাল হল অচিরেই। এদের অধিকাংশই আজ অবলুপ্ত। ভাষার সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নিরূপণে আরো অনেক গল্পের অবতারণা করা যায়, কিন্তু সেটাই মূল কথা নয়। প্রণিধানযোগ্য বিষয়টা হল ভাষাচয়নে পরিবেশের বিপদটাকেই অলঙ্কার পরিয়ে কনে দেখানোর মত করে উপস্থাপিত করার একটা সচেতন প্রয়াস রয়েছে প্রথম বিশ্বে।
আমরা এমন চারটি দেশের কথা আলোচনায় আনতে পারি যেখানে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ইস্যুটাই বড়সড় বিভাজক সমাজ ও রাজনীতিতে। এরা হল যথাক্রমে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং অপেক্ষাকৃত কম হলেও গ্রেট ব্রিটেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটা মিল রয়েছে। পুর্বোক্ত তিনটে দেশই কোনো না কোনো সময়ে ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল, জীবাশ্ম-জ্বালানিতে পয়সা ঢালা কোম্পানিগুলোর এই চারটি দেশেই বিরাট অংশীদারিত্ব রয়েছে, দেশবাসী চারটি দেশেই মূলত শ্বেতাঙ্গ এবং খ্রিস্টান, জনগোষ্ঠীতে বয়স্কদের আপেক্ষিক ঘনত্ব ক্রমবর্ধমান এবং এককভাবে যে বিষয়টি এই চারটি দেশকেই একসুতোয় বাঁধে তা হল তাদের ভাষা - ইংরেজি। পরিবেশভাবনাকে সমতাবাদী অথবা ব্যক্তিনির্ভরতাবাদী - এই দুই মেরুতে সফলভাবে বিভাজিত করে দিতে পেরেছে এরা ইংরেজি ভাষাটির উপর ভর করে। বহুলাংশে প্রচারমাধ্যম দ্বারা পোষিত এই বিভাজন কেবল প্রথম বিশ্ব বা ইংরেজি বলিয়ে দেশগুলোকেই প্রভাবিত করছে না, সারা বিশ্বের সামূহিক পরিবেশ-নৈতিকতাকে প্রভাবিত করছে। বলাই বাহুল্য, এই বিভাজনকে কেবল রাজনৈতিক বিভাজন ভাবলে ভুল হবে, এ বিভাজন দু’খানা পরস্পরবিরোধী বিশ্ববীক্ষার - ওয়ার্ল্ডভিউ যাকে বলে। যে বিশ্ববীক্ষা ব্যক্তিনির্ভর তার নজরে পরিবেশের বদল প্রকৃতির একটা ঘটমান বিষয়, কিন্তু এমন নয় যার জন্য জ্বালানিতে লাগাম টানতে হবে। ব্যক্তিস্বাধীনতার সঙ্গে এই ভাবনাটিকে লড়িয়ে দেওয়া - এটা অতি সুচিন্তিত কার্যক্রম যার প্রভাব কেবল মানুষ নয়, সমস্ত বাস্তুতন্ত্রের উপর পড়ছে। বিপন্ন পরিবেশের ভাবনা যথার্থই সারা বিশ্বের ভাবনা হয়ে উঠতে পারবে কিনা তা নির্ভর করবে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আসার ওপর।
কিছুদিন আগে আমেরিকার Pew Research Center, জনভিত্তিক গবেষণায় যাদের বেশ সুনাম ও মান্যতা আছে, একটা সার্ভে চালিয়েছিল আমেরিকানদের ভিতরে যার ফলাফলে দেখা গেল ৭৮ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থকরা বিশ্বাসই করেন না পরিবেশ দূষণে বা দূষণ নিয়ন্ত্রণে আদৌ মানুষের কোন ভূমিকা আছে। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এমন অবিশ্বাসী ছিলেন ২২ শতাংশ। হতে পারে এটা একটা বিশেষ সময়ে একটা বিশেষ দেশের পরিসংখ্যান, কিন্তু এই পরিসংখ্যানের ভিতরেই লুকিয়ে আছে বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনের সাফল্য বা ব্যর্থতার বীজ। খ্রিস্টান, শ্বেতাঙ্গ- প্রাগ্রসরতাবাদী, শিল্প-বিপ্লবের সাফল্যে লালিত বিরাট এই জনগোষ্ঠীর মতামতকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলছে বৃহৎ শিল্প, জ্বালানিনির্ভর শিল্প আর তাদের দোসর মিডিয়া। একই কারণে দেখবেন পোপ বা আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবেরির মত ধর্মগুরুরা পরিবেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাণী দিচ্ছেন কদাচিৎ, যেন ধর্মাচরণের সঙ্গে পরিবেশরক্ষার দায়ের একটা বৈরিতা আছে। মজার কথা হচ্ছে পরিবেশ যত উষ্ণ হচ্ছে, পরিবেশভাবনার ভাষা ততো নরম হচ্ছে। বিজ্ঞানে তথাকথিত ‘সোবার’ - ভদ্র ভাষা ব্যবহারের একটা দায় থাকে, তা সে মানুষের মাথার ওপর দিয়ে গেলে যাক। মিডিয়ারও দায় অনুরূপ, ‘অযথা’ উত্তেজনা সৃষ্টি তাদের মার্কেটের পক্ষে ভালো নয়। সুতরাং ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ বাক্যবন্ধ সুচারুভাবে আমেরিকান ড্রিম থেকে অন্তর্হিত হয়েছে এবং তার জায়গা নিয়েছে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’।
রিপাবলিকানদের ল্যাঙ্গুয়েজ মাস্টার ফ্র্যাংক লুন্জের মাথা থেকে উদ্ভাবিত এই প্রতিস্থাপন যে যুক্তিতে আমেরিকান পরিবেশবোধে জায়গা করে নিল তা হল, 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং' শব্দদ্বয় নাকি ‘টু স্কেয়ারি’- মারাত্মক ভীতিপ্রদ। ভাষা এমন হওয়া দরকার যা তাদের কার্বন স্বার্থের পরিপন্থী নয়। সুতরাং অপেক্ষাকৃত ‘নিউট্রাল’ বাক্যবন্ধ সেদেশে জায়গা করে নিয়েছে - ক্লাইমেট চেঞ্জ। কার্বন উদগীরিত তাপ নামক ফনাটাকেই এরা নামাতে চেয়েছে ওই ‘নিউট্রাল’ ব্যবহারে। দেখাদেখি অবশিষ্ট ইংরেজি বলিয়ে বিশ্বও পরিবেশ সংক্রান্ত ভাষা ব্যবহারে একই রকমভাবে নম্র, ভদ্র এবং সভ্য হয়ে উঠেছে। ব্রিটেনেই অবশ্য মিডিয়ার একাংশ ভাষাচয়নে লাল ফ্ল্যাগ প্রদর্শনের পক্ষে গলা তুলতে শুরু করেছে। গার্ডিয়ান পত্রিকা ঠিক করেছে তারা আর 'ক্লাইমেট চেঞ্জ' লিখবে না, লিখবে ‘ক্লাইমেট ক্রাইসিস’ অথবা ‘ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি’। তারা ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নয়, ‘গ্লোবাল হিটিং’ বলার পক্ষপাতী। ‘বায়োডাইভার্সিটি’-এর বদলে তারা সহজে প্রণিধাণযোগ্য ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ ব্যবহার করতে চায়।
কথা হল ভাষা ভীতিপ্রদ হলেও মানুষ ভয় পায় কি আদৌ? ভাষা কি পরিবেশ-ভাবনার ততবড়ো উপাদান যে সেটার সংশয়মাত্রা নির্ধারণ করতে বসব আমরা? সত্যি কথা বলতে কি এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া কঠিন। বিশ্বায়িত সমাজে মানুষ কেবল ভাষার প্রভাবে বিলাস-ব্যসন ছেড়ে বসবে এ ভরসা কেউই করবেন বলে মনে হয় না, কিন্তু ভাষা যেটা পারে তা হল মানুষকে পরিবেশের অংশভাক হিসেবে ভাবতে শেখানো। সে স্বতত নিজেকে পরিবেশের প্রভু হিসেবেই ভাবতে অভ্যস্ত। যেমন ধরুন, ইংরেজিতে মানুষের জন্য রয়েছে বিবিধ সর্বনাম - he, she, you ইত্যাদি আর পরিবেশের বাকি সমস্ত জীবীয় উপাদানের জন্য it. বাংলা ভাষাতেও পশুজগতের কোন কিছুকে ‘ও’ সর্বনামে চেনাতে চাইলে আপনার নম্বর কাটা যাবে, ‘ওটা’ বললে ব্যকরণসম্মত হল। সামান্যই উদাহরণ হিসেবে, কিন্তু ব্যাপ্তি অপরিসীম। মানুষের প্রভু-ভাবনার বীজ রোপণ করে দেয় ভাষা শিশু বয়সেই। ভাষাবিদ মাইকেল হ্যালিডে একে বলেছেন ‘অ্যানথ্রোপোসেন্ট্রিক গ্রামার’ - মানবকেন্দ্রিক ব্যাকরণ। সভ্যতার ব্যাকরণ এটাই কিন্তু তথাকথিত আলোকপ্রাপ্ত নয় এমন সমাজে এর ব্যতিক্রম রয়েছে প্রচুর। আর একটি উদাহরণ দেখা যাক। ‘Growth’ বা ‘বৃদ্ধি’ শব্দটাকে পক্ষপাতদুষ্ট ভাবার কথা কল্পনাতেও আনবো না। কিন্তু ব্যক্তি বা সমাজের প্রেক্ষিতে ‘গ্রোথ’ বলতে সব সময় সম্পদের বৃদ্ধিই তো বোঝাবে, কমাটা নয়। ‘গ্রোথ’ শব্দের কোন ঋণাত্মক ব্যঞ্জনা নেই অথচ ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে বর্ণনার সবচেয়ে পছন্দসই সূচক এই শব্দটাই এবং বৃদ্ধির পরিবেশগত মূল্য ‘গ্রোথ’ শব্দের আড়ালে মসৃণভাবে চাপা পড়ে যায়। মানবসমাজ ‘গ্রোথ’-কে নিউট্রাল হিসেবেই দেখতে পছন্দ করে কেননা এতে খরা, বন্যা, মহামারিজনিত দুঃসময়ের কোন প্রতিচ্ছায়া নেই।
যেটা বোঝবার তা হল, ভাষাবৈচিত্রের সঙ্গে পরিবেশের জীববৈচিত্রের একটা সম্পর্ক আছে। জীববিজ্ঞানীরা বলছেন ঐতিহাসিক গড়ের তুলনায় প্রায় ১,০০০ গুণ বেশি হারে এখন জীববৈচিত্রের অবলুপ্তি ঘটছে এবং ভাষাবিদরা বলছেন শতাব্দী শেষে ভাষা অবলুপ্তির হার দাঁড়াবে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশবিন্দু পর্যন্ত। সমগ্র আমেরিকা মহাদেশে এই হার এখনই ৬০ শতাংশের উপরে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে জীববৈচিত্রের সঙ্গে ভাষাবৈচিত্রের অঞ্চলভেদে একটা সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে। এবং ভাষাবৈচিত্রকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে ভাবা যায় না। যে অঞ্চলে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র যত বেশি সে অঞ্চলে জৈববৈচিত্র বা বায়োডাইভার্সিটি তত বেশি। পশ্চিম আফ্রিকা, মেলানেশিয়া এবং কোস্টারিকা থেকে শুরু করে গুয়াতেমালা-বেলিজ হয়ে মধ্য মেক্সিকো অঞ্চল - মেসোআমেরিকা যার নাম এবং বিশেষ করে পাপুয়া নিউগিনির পাহাড়ি অঞ্চলে ভাষাবৈচিত্র এবং জীববৈচিত্র হাত ধরাধরি করে চলে। সমীক্ষা বলছে, মোট ৩,২০২টি ভাষা (সারা দুনিয়ার প্রায় অর্ধেক) কেবল ৩৫টি বায়োডাইভার্সিটি হটস্পটেই পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফিজি, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউ-গিনি, সোলোমন আইল্যান্ড ইত্যাদি মেলানেসিয়ান দ্বীপরাজ্যগুলি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত-মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চল ইত্যাদি। এদের প্রতিটিতে অন্তত ২৫০টি করে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে মানুষ। কোনো কোনো জায়গায় খুবই কম সংখ্যক লোক বলে, কিন্তু এখনও বলে। তবে তথাকথিত নম্র ভদ্র ভাষার প্রভাবে সেগুলি হারিয়ে যেতে বসেছে এবং সভ্যতার এই প্রাগ্রসরতার চাপ যেখানে যত বেশি সেখানে জীববৈচিত্র হ্রাসের পরিমাপও তত বেশি। বনভূমির অবলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উভচর প্রাণিদের সংখ্যাহ্রাস এই সমীক্ষায় একটা সূচক হিসেবে কাজ করেছে।
অতি দুর্গম অঞ্চলে যেখানে ইউরোপীয় ভাষা পৌছাতে পারেনি এবং সেখানেই সীমাবদ্ধ আজকের বায়োডাইভার্সিটি হট-স্পটগুলো। ভাষা ও জীববৈচিত্রের এই সমীপবর্তীতা, এটাই মানবজীবনের স্বাভাবিক অভিপ্রেত। এই অভিপ্রেতের প্রকাশ রয়েছে তার পরিপার্শ্বকে চেনা এবং চেনানোয়। স্থানীয় ভাষা বয়ে নিয়ে চলে ট্র্যাডিশন সঞ্জাত জ্ঞান। নামকরণের মধ্যেই থেকে যায় কোন ফল মানুষের আর কোনোটা পাখির ভক্ষ্য। বিজ্ঞানসম্মত না হলেও তুলসীর কিছু কিছু গুন বনতুলসীর মধ্যে মেলে বলেই না সেটার ওই নাম! একইভাবে বেরি না হয়েও স্ট্রবেরিবেরিসুলভ আস্বাদের বার্তাবহ। আবার ওক এবং পয়জন ওক সম্পুর্ণ আলাদা দুটো গাছ হলেও ভাষা তাদের মিল-অমিল চিনিয়ে দিতে সহায়ক।
অধিকাংশ ভাষায় আঞ্চলিক বা অধীত উপাদান বিজ্ঞানসম্মতভাবেই আছে। ইংরেজিও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু বলবার কথা এই যে অধিকাংশ আঞ্চলিক ভাষায় বাস্তুতন্ত্রের জীবীয় ও অজীবীয় উপাদানগুলো রীতিমতো সুসংহতভাবে বিধিবদ্ধ। এই কারণে বিরল উদ্ভিদ খুঁজে পাবার জন্য উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের তুলনায় অনেক বেশি ভরসা করা যায় স্থানীয় ভাষাভাষী প্রায় যে কোনো মানুষের উপর। কিন্তু সে যা জানে, তার নিজের ভাষাতেই জানে এবং ভাষার অবলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞানও অবলুপ্ত হবে। তথ্য এও হাতে কলমে দেখিয়ে দিচ্ছে জীববৈচিত্রের অবলুপ্তিকেও সঙ্গী করে নেবে সে। তাই পরিবেশ রক্ষার তাগিদে, বাঁচার তাগিদে, ভাষা রুক্ষ হোক, কঠোর হোক, ভীতিপ্রদ হোক। পরিবেশের জন্য আজকের শব্দচয়ন আগামীর শিশুকে বুঝিয়ে দিক কোন পৃথিবী বড়রা ছেড়ে যাচ্ছে তাদের জন্য।
কয়েকটি তথ্যসুত্রঃ
১। স্বপন ভট্টাচার্য (২০২৩) ক্লাইমেট অন স্টেরয়েড; স্বরান্তর, শীত ১৪২৯।
২। Chi Luu (2019) Jastor Daily;
https://daily.jstor.org/how-language-and-climate-connect/
July 10, 2019.
৩। Guardian Climate change pledge 2019.
https:// www.theguardian.com
৪। From environmental thinking to con-vironmental awareness. A personal tribute to M. A. K. Halliday (1925-2018). Alwin Fill. https://jstor.org/stable/26974206