আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ পঞ্চম সংখ্যা ● ১-১৫ মার্চ, ২০২৩ ● ১৬-৩০ ফাল্গুন, ১৪২৯
সম্পাদকীয়
দেউচা পাঁচামি কয়লাখনিঃ রাজনৈতিক ও পরিবেশগত কিছু প্রশ্ন
পশ্চিমবঙ্গের দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনিকে ঘিরে রাজ্যের রাজনীতি ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন এটি দেশের 'সর্ববৃহৎ' এবং বিশ্বের 'দ্বিতীয় বৃহত্তম' কয়লাখনি হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের দাবি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং এখানে নাকি লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এমনকি বীরভূম জেলা প্রশাসনের দাবি যে এখানকার ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ এতই ভালো যে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় তাদের জমি সরকারের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। সরকার দাবি করছে যে, প্রকল্প এলাকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত ৪,৮৪৮টি পরিবারের মধ্যে ৩,০০০ পরিবার নাকি ইতিমধ্যেই সরকারকে এই প্রকল্পের জন্য সম্মতি জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হল এই ‘সম্মতি’ সরকার কীভাবে তাদের থেকে চেয়েছে?
২০১৩-র ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী গ্রামসভা করে মানুষকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ তথ্য ব্যাখ্যা করা হয়নি। আজ অবধি সরকার এই আইন অনুযায়ী সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতির কোন সমীক্ষা প্রকাশ করেনি। ফলে এই সম্মতি কি আদৌ আইন মোতাবেক? বীরভূম জেলা প্রশাসনের দাবি যে মানুষ স্বেচ্ছায় অভূতপূর্ব প্যাকেজের আকর্ষণে সরকারের কাছে তাদের জমি বিক্রি করতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন দাঁড়ায় মানুষকে লোভ দেখিয়ে সম্মতি আদায় কি আদৌ স্বেচ্ছা সম্মতি হল? প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৪৬২টি পরিবারের একজনের ‘সরকারি কন্সটেবল'-এর চাকরির বদলে তারা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় তারা প্রকল্পের জন্য না চাকরির জন্য জমি দিচ্ছেন? আর এরা মোট সম্মতিদাতা পরিবারের ১৫% এবং প্রায় কেউই প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী নন। তাহলে বাকি পরিবারগুলির জন্য সরকার কী ব্যবস্থা করবে? আর এভাবে সরকারি চাকরি কি বিলি করা যায়? সবচেয়ে মজার কথা হল এই প্রকল্প করবে পিডিসিএল অথচ প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাকরি হচ্ছে পুলিশে! সরকারি হিসাবে প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ৪৩% তপশিলী জাতি ও ১৭% তপশিলী উপজাতির। এদের জন্য সরকার কী বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন? এই মানুষেরা তাই প্রস্তাবিত কয়লাখনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। তারা নিজেদের জমি থেকে উচ্ছেদ হতে চাননা এবং সরকারি প্যাকেজকেও তারা প্রত্যাখান করেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ও একাধিক সংগঠনও এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সামিল হয়েছে। এই প্রস্তাবিত কয়লা খনি বিরোধিতায় ইতিমধ্যে আদালতে মামলাও দাখিল হয়েছে।
রাজ্যের সরকার যে একরকম গায়ের জোরে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের, জনজাতি মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে তোয়াক্কা না করে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে চাইছে তা পরিষ্কার। রাজ্যের সরকার এই কয়লাখনিকে নিয়ে যতই লাফালাফি করুক এটা যে আদতে একটি অলাভজনক কয়লাখনি প্রকল্প তাও একাধিকবার আলোচিত হয়েছে। এই কয়লা ব্লকের অস্তিত্ত্ব বহু পুরানো এবং এর আগেও একাধিক সরকারি সংস্থাকে এই ব্লকের বরাত দেওয়া হলেও কেউই এই প্রকল্প নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। বস্তুত ২০০ মিটারের বেশী পুরু ব্যাসল্ট পাথরের স্তর ভেদ করে কয়লা উত্তোলন লাভজনক হবে না বলেই আজ অবধি এই কয়লা খনি নিয়ে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। বর্তমান কর্মসংস্থানহীন রাজ্যে, কোন সদর্থক বৃহৎ শিল্পলগ্নী না জোগাড় করতে পারা অপদার্থ রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবিত কয়লাখনি নিয়ে উন্মাদনা দেখাচ্ছে।
আসলে এই প্রস্তাবিত কয়লাখনি রাজ্যের বেহাল অর্থনীতির ছবি পাল্টে দেবে এরকম একটা ভাবনার বশবর্তী হয়েই রাজ্য সরকার চলছে। দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লাখনির বিরোধিতায় আন্দোলন এখনো চলছে, আইনি লড়াইও চলছে। স্থানীয় মানুষের অধিকারের লড়াইয়ের বাইরেও একটি বৃহৎ জনস্বার্থের প্রশ্ন এখানে জড়িত যা কেবল প্রস্তাবিত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নয়, বরং গোটা রাজ্য তথা দেশের মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিক। পরিবেশ দূষণ, জলবায়ুর স্থায়ী পরিবর্তন আজ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আঘাত করছে। সেই প্রশ্নের মীমাংসাও এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের আগে করা দরকার। প্রস্তাবিত কয়লাখনি অঞ্চলের মানুষের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন আইন মোতাবেক হয়ে গেলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে?
একথা অনস্বীকার্য যে মানুষের জীবনাযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে গেলে তার কাছে প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। আর আধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রায় সবটাই বৈদ্যুতিক শক্তিনির্ভর। ফলে যে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার বেশী সেখানে গড়পড়তা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত, মানবোন্নয়ন সূচকে তারা অগ্রবর্তী। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতেই হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে অপ্রচলিত বা পুনর্নবিকরণযোগ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দেওয়ার রাস্তায় হাঁটছে, সেখানে আমাদের দেশ এখনো কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনই বাড়াচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর এদেশের নির্ভরতা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার কয়লা উৎপাদন ৬০ কোটি টন থেকে বেড়ে ৯০ কোটি টন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে প্রথমবারের জন্য ভারতকে বিদেশ থেকে ৮০ লক্ষ টন কয়লা আমদানি করতে হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতে কয়লার ব্যবহার বেড়েছে বই কমেনি। এখনও অবধি ভারতে শক্তি উৎপাদনের ৫৫% শতাংশই কয়লা থেকে আসে। কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী স্পষ্টই ঘোষণা করেছেন যে ২০৪০ অবধি ভারতে কয়লা উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়বে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গিয়ে অঙ্গীকার করে আসছেন যে ভারত আগামী ৫০ বছরে শক্তি উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনবে। প্রশ্ন হল মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নিজেকে বিজেপি বিরোধী বলে দেখাতে ভালবাসেন সেখানে কেন্দ্রের এই দ্বিচারিতার বিরোধিতা না করে রাজ্যে দেশের 'সর্ববৃহৎ' কয়লাখনি করতে আগ্রহী কেন?
আসলে বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, সরকারের নিজস্ব আয়ের বড় অংশ কয়লাজাত। কয়লা এ দেশে সহজলভ্য, গুণমানে খারাপ হলেও। তাই দেশের ভেতর কয়লা উত্তোলন সহজ এবং সুলভ। ফলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার থেকে কয়লা উত্তোলন বাবদ কেন্দ্র সরকার বিপুল রাজস্ব পেয়ে থাকে। উপরন্তু ভারতীয় রেলের এক বড় অংশের আয় আসে কয়লা পরিবহন থেকে। এছাড়া ইস্পাত শিল্পে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহার যথেষ্ট। ফলে সেই ক্ষেত্রের থেকেও সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় করে। আর রাজ্যের সরকার তাই কয়লা বেচে নিজের আর্থিক হাল ফেরানোর তাল কষছে।
প্রশ্ন হল এদেশের সরকারের আদৌ সেই সদিচ্ছা আছে কি? শক্তি উৎপাদনের বিকল্প পদ্ধতি যেমন জলবিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ, হাওয়া বা সমুদ্র ও নদীর জোয়ার ভাটাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি প্রযুক্তি আত্মীকরণ, উদ্ভাবন ও পরিমার্জনে স্বনির্ভর হওয়ার? শেষ কেন্দ্রীয় বাজেটে পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপাদনের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থান ঘোষণা করা হলেও বাজেটে কীভাবে এবং কোন কোন খাতে তা খরচ হবে পরিষ্কার করা নেই। প্রধানমন্ত্রী ও তার পারিষদরা অগুনতি বার বিদেশ যান, দেশে দেশে দৌত্য করেন, তাই নিয়ে দেদার ঢাকও পেটান, কিন্তু ভারতকে পরিবেশ বান্ধব শক্তিতে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য উন্নত দেশের থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা, প্রযুক্তির আদান প্রদান বা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য মানব সম্পদ আদান প্রদানের কোন বড় মাপের চুক্তি তাঁরা আজ অবধি করে উঠতে পারেননি। রাজ্যের ক্ষেত্রে এ প্রশ্ন সঙ্গত যে রাজ্য সরকার দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লাখনির জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ করতে রাজি, খনি না খুঁড়ে এই অর্থ কি পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যায় না? তাহলে একদিকে যেমন পরিবেশ বাঁচে তেমনই বিপুল কর্মসংস্থানের আয়োজন তো হয়।
কয়লা ব্যবহারের বাড়বাড়ন্ত আজ বিপদ ডেকে আনছে। আইপিসিসি, আরএমএসআই রিপোর্ট বলছে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের মুম্বই, চেন্নাই, মাঙ্গালোর, ত্রিবান্দম ইত্যাদি উপকূলবর্তী শহরগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে ঘনঘন ঘূর্ণিঝড় এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। এই সমস্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের প্রান্তিক নিম্নবিত্ত মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সর্বস্ব খোয়ান এই বিপর্যয়গুলিতে। নদীমাতৃক এই দেশে বন্যা এক নিয়মিত ব্যাপার। এদেশে বছরে গড়ে ৭৫ লক্ষ হেক্টর জমি বন্যার জলে প্লাবিত হয়। গড়ে ১৬০০ মানুষ মারা যান প্রতি বছর এবং আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ১৮০০ কোটি টাকার মত। বিগত ৫ বছরে উত্তর ও উত্তর পূর্ব ভারতে বন্যার সংখ্যা লাগাতার বেড়েছে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে হরপা বানের প্রবণতা বেড়েছে। এর কারণ গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সমীক্ষা বলছে ২০৩০ সালের ভেতর হিমালয়ের গড় তাপমাত্রা ২-২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এর অর্থই হল হিমালয় ও তার পাদদেশীয় অঞ্চলগুলোতে বন্যার প্রকোপ বাড়বে। আর এই সমস্ত বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষ যাদের অধিকাংশের পাকা বসতবাড়ি থাকে না বা জমির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হন। এরাই আজকে জলবায়ুর পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং কয়লা নির্ভরতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ রাজ্যে তাহলে নতুন করে কয়লাখনি খোঁড়ার যৌক্তিকতা কোথায়?
"উন্নয়নশীল দেশের জন্য এখনো অবধি কয়লার কোন বিকল্প নেই" জাতীয় বক্তব্যের সারবত্তা কতটা আছে আজকে তা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত। ব্যাপক অংশের মানুষের চাহিদা কিভাবে মিটবে, নতুন কোন প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের ব্যাপক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাবে সেই বিষয়ে অতি দ্রুততার সাথে অনুসন্ধান ও অনুশীলন করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়নশীল বা পিছিয়ে থাকা দেশের জন্য বিকল্প শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করতে হবে, প্রয়োজনে আর্থিক অনুদান দিতে হবে যাতে তারা এই ধরনের অপ্রচলিত শক্তি-উৎসের ব্যবহারে স্বাবলম্বী হতে পারে। দেশের সরকারের বিদেশনীতিতেও এই মানসিকতার প্রতিফলন থাকতে হবে। ফলে এ রাজ্যে বা এদেশে আগামী দিনে কয়লার উৎপাদন বাড়বে কিনা সেটা কেবলমাত্র পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের অঙ্ক এবং প্রকল্পের লাভ-যোগ্যতা দিয়ে ঠিক হতে পারে না। কিন্ত তার জন্য দরকার সমাজের বঞ্চিত মানুষের প্রতি প্রকৃত দায়িত্বশীলতা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি সদর্থক মনোভাব। এর কোনটিই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের নেই। জনমোহিনী রাজনীতির তাগিদে তারা চটকদারী ঘোষণা অনেক করেন বটে, কিন্তু কোন সদর্থক সমাধান মেলে না। তাই এই দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লাখনি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একদিকে যেমন স্থানীয় মানুষের দাবীকে রক্ষা করতে হবে তেমনই পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারকে বাধ্য করতে হবে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নের নীতি রূপায়নে বাধ্য করতে। এক পঞ্চদশী কিশোরী বিশ্বজোড়া আলোড়ন তুলেছে পরিবেশ রক্ষার তাগিদে। এ দেশের সচেতন নাগরিকেরা কি নিশ্চেষ্ট থাকবেন?