আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা ● ১-১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ● ১৬-২৯ মাঘ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

‘অষ্টাদশ শতাব্দীর বেকন’ বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন

আশীষ লাহিড়ী


নতুন প্রজাতান্ত্রিক আমেরিকা গঠনের কাজে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, ধর্ম আর রাজনীতি সব দিক থেকেই যাঁর ভূমিকা অতুলনীয়, তিনি হলেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচনা এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রচনা, দুটো কাজেই তিনি ছিলেন অগ্রণী।

তাঁর জন্ম বস্টনে। অনেকগুলি ভাইবোন। বাবা চর্বি-বাতি আর সাবানের নির্মাতা ও বিক্রেতা। তাঁর খুব ইচ্ছে, ছেলেও সেই পথে আসে। কিন্তু ছেলের মোটেই সেটা পছন্দ নয়। সে ভয় দেখায়, বেশি জোর করলে সে জাহাজে করে বাড়ি থেকে পালাবে।

পিউরিটান বাবা তাকে শুদ্ধ প্রোটেস্টান্ট মতের কথা শেখাতেন। বাইবেল পড়াতেন। ফল হল উলটো। পনেরো বছর বয়স হতে না-হতে সে বাইবেলের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশ দিব্য উন্মোচন (রিভিলেশন্স) নিয়ে নানারকম বাঁকা বাঁকা প্রশ্ন তুলতে লাগল। ছেলে কি ডিইস্ট হয়ে যাবে নাকি? ডিইস্টদের সম্পর্কে দিদেরো বলেছিলেন, একজন ডিইস্ট হচ্ছে সেই যে নাস্তিক হবার আগেই মরে গেছে! মতিগতি দেখে তাকে ডিইজম-বিরোধী বইপত্র পড়তে দেওয়া হল। এবারও ফল হল বিপরীত। বেঞ্জামিনের মনে হল, এক-ঈশ্বরবাদী কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মবিরোধী ডিইস্টদের যুক্তিগুলোই তো ঠিক। সুতরাং তাঁর কথায়, দেখতে না-দেখতে ‘আমি হয়ে উঠলাম ঘোর ডিইস্ট’। [১]

চিত্র ১ - ফিলাডেলফিয়ার ছাপাখানায় ফ্র্যাঙ্কলিন।

বাড়ি থেকে পালিয়ে

ইস্কুলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক না থাকলেও, ছোটোবেলা থেকে বই-ই ছিল বেঞ্জামিনের ধ্যানজ্ঞান। সতেরো বছর বয়সী কিশোরটি বাড়ি থেকে পালিয়ে ফিলাডেলফিয়ায় এক ছাপাখানায় নবিশি করে স্বাধীনভাবে উপার্জন করতে লাগল। ছাপাখানার এই কাজটা তাঁর ভালো লেগে গেল। ওই সূত্রেই একটা সুযোগ পেয়ে ইংল্যান্ড গেলেন ভালো করে মুদ্রণশিল্প শেখবার জন্য। লন্ডনে 'রিলিজন অব নেচার' নামে একটি বই কম্পোজ করতে গিয়ে তাঁর মনে হল লেখকের যুক্তিগুলো ভুল। তিনি নিজে ‘স্বাধীনতা আর বাধ্যবাধকতা, সুখ আর যন্ত্রণা বিষয়ক সন্দর্ভ’ লিখলেন এর বিরুদ্ধে। সেই বই পড়ে এক ব্রিটিশ শল্যচিকিৎসক এই বালকবীরের প্রতি আকৃষ্ট হলেন। তিনি তাঁকে একটি কফি হাউসে নিয়ে গিয়ে আলাপ করিয়ে দিলেন ডঃ পেম্বারটন-এর সঙ্গে, যিনি নিউটনের পরিচিত। তিনি তরুণ ফ্র্যাঙ্কলিনকে অশীতিপর নিউটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবার লোভ দেখালেন। সে-সাক্ষাৎ অবশ্য কোনোদিনই ঘটেনি; কিন্তু যেটা লক্ষণীয় তা হল তরুণ ফ্র্যাঙ্কলিনের আগ্রহের গতিমুখ। আঠেরো মাস লন্ডনে থেকে ঊনিশ বছর বয়সে ১৭২৬ সালে তিনি ফিরে এলেন ফিলাডেলফিয়ায়। ক্রমে সেখানে হয়ে উঠলেন মুদ্রণশিল্পের এক অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।

ফিলাডেলফিয়া শহর তখন নানা ধরনের চিন্তা-জাগরণের কেন্দ্র। সে-জাগরণের কেন্দ্রে চলে এলেন ফ্র্যাঙ্কলিন। ১৭৩১ সালে স্থাপন করলেন আমেরিকার প্রথম বই ধার-দেওয়া লাইব্রেরি। তাঁর নিজের কথায়, “সে সময় ফিলাডেলফিয়াতে পাঠকের সংখ্যা এতই কম, আর আমাদের অধিকাংশই এত গরিব, যে বহু কষ্টেও আমি পঞ্চাশ জনের বেশি লোক খুঁজে পেলাম না যারা এককালীন চল্লিশ শিলিং করে দান করবে আর বছরে দশ শিলিং করে চাঁদা দেবে। তারা প্রায় সকলেই তরুণ ব্যাবসায়ী। ওই সামান্য তহবিল নিয়ে আমরা চলা শুরু করলাম। বই সবই আমদানি করতে হল।”

কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যা হয়, একবার প্রতিষ্ঠিত হবার পর লোকে তার উপযোগিতা বুঝতে শুরু করল। অল্পদিনের মধ্যে সেই গ্রন্থাগার রীতিমতো বড়ো এক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠল। ক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন ফিলাডেলফিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষদের একজন। ১৭৪৩-এ স্থাপন করলেন 'আমেরিকান ফিলজফিকাল সোসাইটি'।

বৈদ্যুতিক পরীক্ষানিরীক্ষা ও তত্ত্ব

১৭৪৬-এ বস্টনে স্কটল্যান্ড থেকে আসা জনৈক ডঃ স্পেন্স তাঁকে মোটা দাগের কতকগুলো বৈদ্যুতিক পরীক্ষা করে দেখান। ব্যাপারটায় তাঁর আগ্রহ জন্মাল। এদিকে ফিলাডেলফিয়ায় ফিরেই তিনি দেখলেন লন্ডনের 'রয়্যাল সোসাইটি' থেকে তাঁর নামে একটি কাচনল উপহারস্বরূপ এসেছে। তার সাহায্যে তিনি ডঃ স্পেসের দেখানো পরীক্ষাগুলি করে দেখলেন। বারবার অভ্যাস করে তিনি আরও কিছু পরীক্ষায় ওস্তাদ হয়ে উঠলেন। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে অনুরূপ অনেকগুলি কাচনল বানিয়ে সহকারীদের মধ্যে বিতরণ করলেন। তাঁরা, বিশেষ করে কিনার্স্লি নামে এক সহকারী সেগুলির সাহায্যে ওই ধরনের বৈদ্যুতিক পরীক্ষানিরীক্ষা করে জনসাধারণের সামনে বক্তৃতা দিতে লাগলেন। সেইসব পরীক্ষার বিস্তারিত বিবরণ ও ফলাফল তিনি 'রয়্যাল সোসাইটি'তে লিখে পাঠালেন। কিন্তু তার মধ্যে বিশেষ 'বস্তু' আছে বলে মনে হল না সেখানকার পণ্ডিতদের, তাঁরা হাসাহাসি করলেন। কিন্তু ধর্মের মতো বিজ্ঞানের কলও বাতাসে নড়ে। সে সময়কার বিখ্যাত ডাক্তার ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী ডঃ জন ফদারজিল (১৭১২-১৭৮০) এটি পড়ে এর মৌলিকতায় অবাক হয়ে গেলেন। মূলত তাঁর উৎসাহে ১৭৫১ সালে এটি লন্ডনে আলাদা পুস্তিকা হিসেবে ছাপা হয়ে বেরোল। ডঃ ফদারজিল নিজে তার ভূমিকা লিখলেন। হু-হু করে কাটতি হল পুস্তিকাটির। অল্প সময়ের মধ্যে পাঁচটি সংস্করণ প্রকাশিত হল।

চিত্র ২ - ১৭৫১ সালে বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিনের ‘এক্সপেরিমেন্টস এন্ড অবজার্ভেশানস্ অন ইলেক্ট্রিসিটি’ গ্রন্থের মূল প্রকাশনার শিরোনাম পৃষ্ঠা।

কিন্তু বনেদি ইংরেজ পণ্ডিতদের ভবি তবু ভোলবার নয়। আমেরিকা নামক এক উপনিবেশ থেকে ডিগ্রিহীন অখ্যাত কেউ বড়ো কোনো বৈজ্ঞানিক কাজ করবে, এ তাঁদের বিশ্বাস হল না। তারপর ঘটনাচক্রে বইটির একখানা কপি পড়ল ফ্রান্সের এক বিখ্যাত বিজ্ঞানী দ বুফঁ-র হাতে। তাঁর উৎসাহে পারিতে বইটির ফরাসি অনুবাদ বেরোল। হৈহৈ যেমন হল, তেমনি তা অসন্তুষ্ট করল অভিজাত ফরাসি ক্যাথলিক যাজক-বিজ্ঞানী আবে নোলে-কে, যিনি বিদ্যুৎ সম্বন্ধে নিজস্ব একটা ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। নোলে ফ্র্যাঙ্কলিনের পরীক্ষাগুলোর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন।

আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, যে 'রয়্যাল সোসাইটি' ফ্র্যাঙ্কলিনের লেখার সারসংক্ষেপ ছাপতে রাজি হয়নি, তারাই ১৭৫৩ সালে বিনা মন্তব্যে নোলের এইসব ‘আপত্তি’র বিবরণ ছাপল। নোলে ভাবলেন, তিনি জিতে গেলেন। কিন্তু ফিলাডেলফিয়াতে বসে ফ্র্যাঙ্কলিন নিজে নোলে-কথিত পরীক্ষাগুলো করে দেখলেন, তার ফল নোলের প্রতিবেদনের সঙ্গে মোটেই মিলছে না। এ-ও দেখলেন, নোলে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, তার প্রত্যেকটিরই সন্তোষজনক উত্তর ফ্র্যাঙ্কলিনের তত্ত্ব দিয়ে দেওয়া সম্ভব। [২]

আত্মজীবনীতে ফ্র্যাঙ্কলিন লিখেছেন, বয়সোচিত উষ্মায় প্রথমে তাঁর মনে হল এবার তিনিও একটা পালটা বই লিখে নোলে-র মুখোশ খুলে দেবেন। কিন্তু পরে ভাবলেন, তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে তো কোনো জালিয়াতি নেই, সুতরাং চুপচাপ থাকাই ভালো, যা সত্য তা একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। তাই হল। তিনি না লিখলে কী হবে, লে রয় নামে আর একজন ফরাসি বিজ্ঞানী নোলে-র ভ্রান্তির স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়ে বই লিখলেন। ইউরোপ জুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল ফ্র্যাঙ্কলিনের বৈদ্যুতিক তত্ত্ব। তখন 'রয়্যাল সোসাইটি'র টনক নড়ল। তাঁরা এ তত্ত্বের সারসংক্ষেপ ছাপলেন তাঁদের মুখপত্রে, ওপর-পড়া হয়ে ফ্র্যাঙ্কলিনকে সোসাইটির সদস্য করে নিলেন, বহু-সমাদৃত ‘গডফ্রে কপলি’ সোনার পদকে ভূষিত করলেন। [৩]

কিন্তু কী নিয়ে এত হইচই? কী করেছিলেন ফ্র্যাঙ্কলিন? তখনকার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী তিনিও প্রথমে বিশ্বাস করতেন যে বৈদ্যুতিক ক্রিয়ার মূলে আছে একটা কোনো অতি সূক্ষ্ম প্রবাহী (ফ্লুইড) যা যাবতীয় পদার্থের মধ্যে পরিব্যাপ্ত। তফাত এই, অন্য সকলে মনে করতেন, ওই প্রবাহীটির আন্দোলনেই বৈদ্যুতিক ক্রিয়ার জন্ম; কিন্তু ফ্র্যাঙ্কলিনের মনে হয়েছিল, আন্দোলিত হওয়া নয়, ওই প্রবাহীটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহিত হবার ফলেই এই ক্রিয়া ঘটে। তাছাড়া, তাঁর মনে হল, ওই প্রবাহীটি নির্দিষ্টভাবে বৈদ্যুতিক ক্রিয়ার সঙ্গেই সম্পৃক্ত। তিনি বললেন, এক টুকরো কাচকে কোনো কিছু দিয়ে ঘষলে কাচ থেকে ওই প্রবাহীর কিছুটা তার মধ্যে চলে আসে, আবার ওই পদার্থ থেকেও কিছুটা প্রবাহী কাচের মধ্যে চলে আসে। এই বিনিময়ের প্রক্রিয়ায় হয় কাচ, না হয় ঘষবার জিনিস, দুয়ের মধ্যে একটাতে ওই প্রবাহীর পরিমাণ বা চার্জ বেড়ে যায়, অন্যটায় কমে যায়। চার্জ বেড়ে গেলে বলা হবে পজিটিভ আর কমে গেলে নেগেটিভ। উপযুক্ত পরিস্থিতিতে পজিটিভ আর নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের ক্রিয়াকে প্রশমিত করে। এরপর তিনি দেখালেন, আকাশের বিদ্যুৎ আর ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ একই জিনিস।

চিত্র ৩ - ফ্র্যাঙ্কলিনের বিদ্যুৎ ঘুড়ি।

ফ্র্যাঙ্কলিন নিজে ফিলাডেলফিয়াতে শলাকা-বসানো একটা ঘুড়ি উড়িয়ে সর্বসমক্ষে এর প্রমাণ দিলেন। দেখালেন, একটি পরিবাহী পদার্থর মুখ যদি ছুঁচালো হয়, তাহলে তা অন্য পদার্থ থেকে নির্গত চার্জকে অনেক ভালোভাবে টেনে নিতে পারে। এরই ভিত্তিতে তৈরি হল বাজ-কাঠি, যা বহু উঁচু ভবনকে বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচাবার পথ বাতলে দিল। ফ্রান্সের বিজ্ঞানসভার সদস্য জাক বার্বো - দু'বর্গ বহনযোগ্য বাজকাঠি লাগানো এক ‘নিরাপদ’ ছাতা বানিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন। ফ্র্যাঙ্কলিনের আবিষ্কার ব্যাপক প্রচারলাভ করল। মানুষের চিন্তাজগতেও তা আনল এক বিরাট পরিবর্তন। দেখাল, মানুষের যুক্তিবোধ প্রকৃতির শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। [৪]

তাঁকে কেন্দ্র করে তত্ত্বভাবনা আর উৎপাদন-শিল্পর মধ্যে এক যোগসূত্র গড়ে উঠল। শিল্পবিপ্লবে উত্তাল ব্রিটেনে ফ্র্যাঙ্কলিনের তরুণ সহযোগীরা তাঁর চিন্তাভাবনাকে কার্যে প্রয়োগ করলেন। ব্রিটেনে আঠেরো শতকের শেষে বিজ্ঞানের সঙ্গে কারখানা-মালিকদের ‘মণিকাঞ্চন যোগ’-এর সূত্রপাত হয়েছিল এইভাবেই। বিজ্ঞানী, কারখানা-মালিক আর ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে তৈরি হল লুনার সোসাইটি (চান্দ্র সভা), যার সদস্য ছিলেন স্কটিশ ডাক্তার উইলিয়াম স্মল।ভার্জিনিয়ার কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি-তে তিনি ছিলেন জেফারসনের মাস্টারমশাই। টমাস জেফারসনের বিজ্ঞানমনস্কতার মূলে ছিলেন এই মাস্টারমশাই। ফ্র্যাঙ্কলিনই ডাক্তার স্মলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন চান্দ্র সভার সঙ্গে।

এর বিবরণ দিয়ে জে. ডি. বার্নাল তাঁকে ফ্রান্সিস বেকনের সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেনঃ "ফ্যাঙ্কলিন যেন অষ্টাদশ শতাব্দীর বেকন। তবে এ-বেকনের চরিত্র আলাদা। ...নবযুগের এই বেকনের উদ্ভব জনগণের মধ্য থেকে, স্বাধীনতার আবহাওয়ায়। সে-স্বাধীনতাকে কেবল রক্ষা নয়, তাকে প্রসারিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন। ফ্রান্সের ‘প্রকৃতিবাদী দার্শনিক’দের কর্মকাণ্ডে সোৎসাহে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গণতান্ত্রিকতা আর ব্যবহারিক সহজবুদ্ধির অভাব ছিল ওই দার্শনিকদের - বেঞ্জামিন ওই দুটি মাত্রা যোগ করেছিলেন তাঁদের কাজে।" [৫]

বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন সম্বন্ধে এটাই বোধহয় সার্থকতম বিশ্লেষণ।


তথ্যসূত্রঃ

১) Benjamin Franklin, Autobiography, Blackie & Son, n.d. London p. 75.
২) https://founders.archives.gov/documents/Franklin/01-04-02-0154
৩) Autobiography, pp. 177-182.
৪) J. L. Heilbron (ed.), The Oxford Companion to the History of Modern Science, OUP, Oxford 2003, p. 313.
৫) জে. ডি. বার্নাল, ইতিহাসে বিজ্ঞান, আনন্দ, ২০০৫, পৃষ্ঠা ৩২৪-৩২৫।