আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ প্রথম সংখ্যা ● ১-১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ● ১৬-২৯ পৌষ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

দুর্নীতির রাজনৈতিক প্রভাবঃ একটি পশ্চিমবঙ্গীয় আলোচনা

মনোহর সামন্ত


বাঙালি সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধ ভাবে ঘুষ নিতে এবং দিতে বিশেষ পারদর্শী। তা সে বেড়াতে গিয়ে সামান্য কিছু বেশি দিয়ে বিশেষ জায়গা প্রদর্শন হোক, পুজারি ব্রাহ্মণকে মূল্য ধরে দিয়ে দোষ কাটানোই হোক। বাঙালি সিনেমার টিকিটে, ট্রেনের টিটিকে, ট্রাফিক ফাইনে, কেবল লাইনে ঘুষ অস্ত্রে লা -জবাব। বিশেষ শরীরী ভাষা, হাতের মুদ্রা, অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি বিস্ময়কর এবং গবেষণার দুর্দান্ত বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিৎ। কলেজে পড়াকালীন শিয়ালদা ষ্টেশনে টিকিট কেটে প্রবেশ করা বেশিরভাগের কাছেই ছিল অসম্মানের। ঠিক কীভাবে টিটিকে 'স্টুডেন্ট' শব্দ বললে তিনি আর একটি মুহূর্ত খরচ না করে পথ থেকে সরে দাঁড়াবেন সে নিয়ে চলত নিরন্তর আলোচনা। এসব 'ছোটোখাটো' 'দুষ্টুমি'কে দুর্নীতি ভাবার অবকাশ ছিল না। কোনদিন ভেবে দেখা হয়নি (?) এই 'ছোটোখাটো' দুর্নীতি একজোট হলে তার চেহারা ঠিক কীরকম দাঁড়ায়। ঠিক প্রতিদিন কতগুলো লরি পুলিশকে ঘুষ দেয়? কতজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়িয়ে, কিংবা একজন বড়কর্তা কত হাজার মানুষের ফাইল নাড়ানোর বিনিময়ে জলপানি সাদরে গ্রহণ করেন? এ নিয়ে কোন পরিসংখ্যান আছে বলে মনে হয় না।

২০১৬ সালে বঙ্গবাসী বিশেষ আলোড়িত ও শিহরিত হয়েছিলেন নিজেদের আদরের নেতাদের হাত পেতে টাকার বান্ডিল নিতে দেখে। টেলিভিশনে তখন এমএমএস-এর মতই লো কোয়ালিটি ফুটেজ দেখে সে কী বিশাল চর্চা! অনেকেই অনেকদিন বাদে পর্ণছবির এমএমএস থেকে চোখ ঘুরিয়ে তোয়ালে পরিহিত নেতাদের দেখে বেশ শিহরিত। [1] তার ঠিক আগেই হয়ে গেছে সারদা কেলেঙ্কারি। [2] বহু মানুষ সর্বস্ব খুইয়েছেন, খুঁজে ধরে বেঁধে দু'চার ঘা দেওয়া চলছে বেচারা এজেন্টদের। অনেকেই বাড়িছাড়া। এই সময়ে অনেকেই, বিশেষত বামপন্থীদের একটি বড় অংশ বাঙালির বিবেকের উপর আস্থা রেখেছিলেন। ভোটের ফলে অবশ্য এই দুর্নীতির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং ফাটাফাটি ভোট পেয়ে তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসে।

তবে কি ব্রেনোলিয়া?

জনপ্রিয় স্মৃতিবর্ধক প্রচারে ব্যবহার করে 'নিজের প্রতি আস্থা আর ব্রেনোলিয়ার ভরসা' নাকি পরীক্ষায় দারুণ ফলে এনে দিতে পারে। বামেদের assessment কী তাহলে ওই ব্রেনোলিয়াতে ফেল করেছে? প্রসঙ্গতঃ ২০১১ সালে তৃণমূলের ভোট শতাংশের হিসেবে প্রায় ৩৯ আর ২০১৬-এ সাড়ে ৪৫! মানুষের মনে রাখার জন্য খুব গোদা ভাবে বললে দুটো জিনিস দরকারঃ ১। লাগাতার প্রচার, ২। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব। প্রচার-এর জন্য গণমাধ্যমে বিরোধী কন্ঠের উপস্থিতি ক্রমহ্রাসমান সেকথা বলাই বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার নিয়ে সম্প্রতি (২০২২ সালে) 'South Asian History and Culture' জার্নালে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। [3] বিরোধী প্রচারের পরিসর সঙ্কীর্ণ এবং বিচ্ছিন্ন।

অতি সম্প্রতি Kalpana Kannabiran, Bettina Hollstei, Florian F Hoffmann (২০২২ সালে) এই তিনজন প্রখ্যাত দুর্নীতি গবেষক একটি বই প্রকাশ করেছেন Sage Spectrum থেকে। [4] ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড আর আমাদের দেশের বেশ কিছু কেস স্টাডি দিয়ে সমৃদ্ধ এই বইতে এঁরা সমগ্র বিশ্বের দুর্নীতিকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন, ১। petty corruption যার দুর্দান্ত বাংলা হওয়া উচিৎ পাতি দুর্নীতি, ২। scam মানে বড়সড় দুর্নীতি। অনেকেরই মনে থাকবে ১১ই নভেম্বর ২০১০ সালে 'Indian Express' সংবাদপত্রে 2G স্পেকট্রাম বণ্টনে আনুমানিক ১.৭৬ লাখ কোটি টাকার সম্ভাব্য দুর্নীতির কথা বলা হয়, হেডলাইন-এ এই সংখ্যাটির পূর্ণরূপ দেখানো হয়! ১৭৬-এর পর দশটি শুন্য! [5] অনেকেই সে সময়ে 'স্ক্যাম' শব্দটির সাথে পরিচিত হন। এর আগে লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সম্পর্কে চর্চা হতো, উরিবাবা ৫০০ কোটি। Anastasia Piliavsky (২০১৪) এই ধরনের স্ক্যামের একটি ‘Seductive’ ক্ষমতা আছে বলে উল্লেখ করেছেন। [6] যে ক্ষমতা দৈনন্দিন ও ‘পাতি’ দুর্নীতির নেই!

তাহলে কি দাঁড়ালো? পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতির যে অবস্থা, তা অন্ততঃ ২০১৬ পর্যন্ত ‘পাতি’ ছিল। যে কারণে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে দুর্নীতির একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। ২০১৭ সালে, 'Economic and Political Weekly'তে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, [7] যেখানে এই ধরনের অবস্থাকে Foucault-র পরিভাষায় 'Disciplining of Corruption' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। [8] পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষের সরকারী কাজে গতি আনার জন্য কিছু টাকা খরচ করার অভ্যেস বহুদিনের এবং তৃণমূল আসার পরে গ্রাম বাংলায় বামেদের সংগঠনের অবলুপ্তির সাথে সাথেই এই টাকা খরচ বেলাগাম ভাবে শুরু হয়। তৃণমূলের রাজনীতির মূল ভিত্তির একটি যদি হয় cultural misrecognition [9] তবে অপরটি অবশ্যই সরকারী কাজের ত্বরান্বতি। এই দ্রুততার একটি অংশ অবশ্যই সরকারি সদিচ্ছা, [10] আর একটা অংশ সরকারি কাজের সাথে যুক্ত থাকা হাজার হাজার পার্টির লোক যাদের জীবিকা 'কাট মানি'। কাজ হলে তবেই তো 'কাট মানি' আসবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই দুর্নীতির পুরোটাই ‘পাতি’ এবং দৈনন্দিন।

২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গ্রামে ও শহরে গবেষণার কাজে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে গবেষকরা এই দুর্নীতির Discplining চাক্ষুষ করেছেন। ২০২০ ও ২০২২ সালে প্রকাশিত দুটি বইতে [11] এ সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য যে বৃদ্ধাকে ৮ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল তিনি বর্ধমানে নিজের বাড়িতে বসে বলেছিলেন “পার্টিটা নতুন, কিছু তো লাগবেই খরচ চালানোর জন্য, বাড়িটা তো পাবো!” একই রকম ভাবেই MGNREGS-এর কাজের টাকার ভাগ নিজে হাতে তুলে দিতে দিতে অনেকেই বলেছেন, “এটুকু না করলে কী করে হবে, এমনিতেই তো অনেক আরামের কাজ!” ঠিক এ কারণেই, যে দুর্নীতির বিষয় ব্রাজিলে, বা এদেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে বদলে দিতে পারে, সে দুর্নীতি পশ্চিমবঙ্গে কোন ইস্যুই নয়। [12]

খাটের তলা, বিছানা, ফাঁকা ফ্ল্যাট - ছোট্ট করে 'চরিত্র'

ব্যাপারটি যে ব্রেনোলিয়ার নয় সেটা পরিষ্কার। ২০২২ সালে এসে দেখা গেল বাড়ির ভেতরে রাশি রাশি টাকার সারি আর সাথে অত্যন্ত প্রভাবশালী ও প্রতাপশালী নেতৃত্বের নাম জড়িয়ে গেল। ED, CBI এবং তাঁর সাথে আদালত ও বিচারপতি। শিক্ষা দপ্তরের উচ্চ কর্তাব্যক্তিদের নাম, প্রাক্তন মন্ত্রীও ছাড় পেলেন না। নেতা মন্ত্রিরা জেলে গেলে কেউ কি প্রচণ্ড বিচলিত হয়ে পড়েন? কেউ কি নাওয়া খাওয়া ভুলে এই চিন্তা করেন যে, কি সর্বনাশ এই লোকটাকে আমি ভোট দিয়েছিলাম? এর সহজ উত্তর 'না'। বরং কতকগুলো অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ আকর্ষণ দেখা যায়। অনেক বড় মাপের নেতার নাম এর আগেও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও যাবে। সবকটা কেসই যে সঠিক এমন হবার সম্ভাবনা কম, আর সব দুর্নীতিপরায়ণ ধরা পড়বেন একথা বলারও কোন যুক্তি নেই। কিন্তু ২০২২ সালে দুর্নীতি ছাপিয়ে কয়েকটি অন্য ব্যাপার সামনে চলে এলো।

প্রথমত অতগুলো টাকা ক্যাশ, কেউ কোনওদিন দেখেননি। বিশেষ করে করোনা-কেন্দ্রিক লক-ডাউন এবং সাথে সাথে রোজগার হারানো মানুষ এতগুলো টাকা একসাথে এবং বারংবার দেখায় এটা একটি spectacle-এর রূপ নিয়েছে। ঠিক এখানেই এই দুর্নীতি আর ছোটোখাটো ঘুষ-এর পর্যায়ে থাকে না। বড় স্ক্যামে যেমন একটি seduction আছে, সেটাই প্রতিফলিত হয় এই টাকার পাহাড়ে। দ্বিতীয়তঃ একই সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় অসম বয়েসি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক নিয়ে মিম-এর ছড়াছড়ি বাজারে। এবং কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই, মন্ত্রী এবং তাঁর বন্ধুর সম্পর্ক হয়ে ওঠে মূল চর্চার বিষয়, দুর্নীতি পিছিয়ে যায় কয়েক যোজন। যে টেলিভিশন-এর পর্দায় সর্বক্ষণ টাকার পাহাড় দেখানো হয়েছে, সেখানেই উঠে আসে সম্পর্ক, ফাঁকা ফ্ল্যাট, খাট ও বিছানা। যে চরিত্র-কেন্দ্রিক টিভি সিরিয়াল জনপ্রিয়, ঠিক সেই চরিত্র-কেন্দ্রিক আলোচনা, ছবি ও সাংবাদিকতা একটি প্রচলিত stereotype-কে খুঁচিয়ে তোলে। টাকা, অসৎ উপায়ে উপার্জিত সম্পত্তি, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, ফাঁকা ফ্ল্যাট, রঙিন জীবন ইত্যাদির হাতছানি বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল অনতিবিলম্বে।

এর পর শুরু হয় এক এক করে ভুয়ো নিয়োগের মিছিল। কয়েক বছর আগে যে ঘটনা পাড়ায় পাড়ায় লোকে জানতেন, তার বাস্তব রূপ ঠিক কতটা ভয়াবহ তা সামনে আসতে শুরু করল। একটা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ঘুষের কারবার দ্বিতীয়বার উন্মুক্ত হয়ে পড়ল। এখানেও একটা অদ্ভুত জিনিস এসে গেল শুরুর দিকে ঘুষের পরিমাণ জেনে যেসব লোক পিছিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা তখন নিজের অপারগতাকে দুষেছেন। বহু শিক্ষক দেখেছেন, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে তৈরি হওয়া হতাশা। ওরা একরকম বিশ্বাস করে ফেলেছিল যে পড়াশোনার থেকেও বেশি দরকার ঘুষ দেওয়ার জন্য টাকা, সেটা না থাকলে চাকরি হবে না, হয় না। প্রায় বছর আটেক ধরে বিভিন্ন স্তরে চলা দুর্নীতিতে একবারও নেতা, বা ঘুষ-এর শৃঙ্খলে থাকা বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলার থেকেও বেশি করে উঠে এসেছিল নিজেদের ঘুষ না দিতে পারার অক্ষমতা। এবারে যখন এক এক করে ভুয়ো চাকরী প্রার্থীদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে আদালতের নির্দেশে, এখন মূল দোষী হচ্ছেন সেই মানুষগুলো যাঁদের ঘুষ দেবার সামর্থ্য ছিল এবং দিয়েছেন।

* * *

সাম্প্রতিক কালে লাগাতার দুর্নীতির ঘটনা এভাবে সামনে আসেনি। প্রায় কেউই মনে করতে পারবেন না, এর আগে কোথাও সরকার নিজেই জানিয়েছেন কিনা যে কতজন অনৈতিকভাবে নিয়োগ হয়েছেন। কিন্তু এর পরেও দুর্নীতির বিশেষ কোনো প্রভাব দেখা যাবে বলে মনে হয় না। প্রথমতঃ দুর্নীতি প্রায় গা-সওয়া হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের। যতই টাকার spectacle হোক না কেন, সাধারণ মানুষ জানেন এই সিস্টেমে চলতে হবে। বিরোধী কণ্ঠস্বর বিশেষ গোচরে আসছে এমনটা নয়। দীর্ঘদিন চাকরিপ্রার্থীদের অনশনও সেভাবে গণকণ্ঠ হয়ে উঠেছে একথা বলা যায় না। দ্বিতীয়তঃ যে মধ্যবিত্ত মূলত দুর্নীতি নিয়ে বিচলিত হয়েছিলেন India Against Corruption (IAC) Movement-এ, তাঁদের একটি বড় অংশ এই ধরনের দুর্নীতির শিকার খুব কম হন। আর IAC-র ধারে কাছে আসে এমন কোন movement তৈরি হতে দেখা যাছে না এখনো।

তবে একথা ঠিক, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক দুর্নীতির চেহারা Petty Corruption আর Large Scam-এর মধ্যে তৈরি হওয়া তাত্বিক বিভাজনকে প্রশ্ন করবে, আগামীদিনে এ নিয়ে গবেষকদের অন্যভাবে ভাবতে বাধ্য করবে হয়ত।


তথ্যসূত্রঃ

1) https://timesofindia.indiatimes.com/india/what-is-narada-sting-tape-case-all-you-need-to-know/articleshow/82764764.cms
2) https://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/saradha-chit-fund-scam-at-a-glance/articleshow/45499321.cms?from=mdr
3) https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/19472498.2022.2075208
4) https://spectrum.sagepub.in/book/discourses-on-corruption-kalpana-kannabiran-9789354790089/9
5) এই ব্লগে এই সংবাদপত্রের একটি ছবি দেখা যেতে পারেঃ http://sumanparole.blogspot.com/2011/02/corruption-facebook-egyptian-upheaval.html
6) https://www.cambridge.org/core/books/patronage-as-politics-in-south-asia/954BABA8F39940F58047416A8901AA21
7) https://www.epw.in/journal/2017/21/commentary/everyday-politics-and-corruption-west-bengal.html
8) https://books.google.co.in/books/about/Discipline_and_Punish.html?id=AVzuf-r22eoC&redir_esc=y
9) https://www.epw.in/journal/2018/28/special-articles/%E2%80%98cultural-misrecognition%E2%80%99-and-sustenance.html
10) ২০১৩ সালে সরকার 'Right to Public Services Act' লাগু করে, এই আইন অনুসারে বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে, তার থেকে বেশী সময় লাগলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে জবাবদিহি করতে হয়।
11) ● Nath, Suman. Democracy and Social Cleavage in India: Ethnography of Riots, Everyday Politics and Communalism in West Bengal c. 2012-2021. New York: Routledge, 2022.
● Nath, Suman. People, Party, Policy Interplay in India: Microdynamics of Everyday Politics in West Bengal c 2008-2016. New York: Routledge, 2020.
12) ব্রাজিলে ও এদেশে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান-এর মূল ভিত্তি দুর্নীতি নিয়ে মধ্যবিত্তদের অসন্তোষ। রাজনীতির এই প্রেক্ষিত পরিবর্তনে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের অবদান নিয়ে Kalpana Kannabiran, Bettina Hollstei, Florian F Hoffmann তাঁদের বইতে লিখেছেন, এছাড়া India Against Corruption Movement নিয়ে 'The Print'-এ প্রকাশিত এই লেখাটি পড়া যেতে পারেঃ
https://theprint.in/opinion/dont-laugh-at-anna-hazare-he-was-himself-the-victim/597638/ আর ব্রাজিলের বিষয় নিয়ে লাভা জাত কেন্দ্রিক 'The Wire'-এ প্রকাশিত একটি লেখা উল্লেখযোগ্যঃ https://thewire.in/world/lula-de-silva-brazil-cia.