আরেক রকম ● একাদশ বর্ষ ত্রয়োদশ সংখ্যা ● ১-১৫ জুলাই, ২০২৩ ● ১৬-৩১ আষাঢ়, ১৪৩০

প্রবন্ধ

গরম লাগে তো তিব্বত গেলেই পারো!

অনিন্দিতা রায় সাহা


হাঁসফাঁস গরমে ম্যাঘ-পানি আসার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে কার না মনে হয়, ইশশ যদি তিব্বত যাওয়া যেত! সেই ছোট্টবেলা থেকে শুনে আসা বরফের দেশ তিব্বত তো আমাদের শীতলতা সৃষ্টির কেন্দ্রভূমি, বরফগলা জলের উৎস। হিমালয় আর কারাকোরাম পর্বতমালার উত্তরে অবস্থিত তিব্বতীয় মালভূমিকে বলা হয় পৃথিবীর ছাদ, তৃতীয় মেরুপ্রদেশ, এশিয়া মহাদেশের জলস্তম্ভ, এমনি আরো কত কিছু। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৪,৫০০ মিটার ওপরে এই উচ্চ চূড়া থেকে পুষ্ট হয় সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, আবার অন্যদিকে ইয়াংসি, মেকং, পীত ইত্যদি নদী। শুধু তাই নয়, এশিয়ার অনেক দেশের আবহাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করে এই তুষার মালভূমি। যেমন, আমাদের বর্ষাকালীন বায়ুপ্রবাহ, চাপের নতি, সমুদ্র থেকে উৎপন্ন আর্দ্রতা ইত্যাদি। সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ৭০% ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চল রয়েছে তিব্বতে। এই জমে যাওয়া বরফের স্তর পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ কার্বন সঞ্চয় করে রাখে (Carbon Sink)। এছাড়া এই ছোট্ট পাহাড়ি প্রদেশে প্রায় ১২৬ রকমের খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। মাত্র ১২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের তিব্বত নিজের সীমানার বাইরে বৃহত্তর এশিয়া মহাদেশের জন্য প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ২০ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা নানাভাবে এই অঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল।

‘তিব্বত গেলেই পারো’ বলে ডায়মন্ড হারবার থেকে রওনা দিয়ে রানাঘাট হয়ে সোজা নাহয় তিব্বত পৌঁছে যাওয়া গেল। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এ জায়গা এখন আগের মতো দুর্গম আর নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, তিব্বত কি এখনো তেমন হিমশীতল আছে? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মতো তিব্বতের শীতল মালভূমিও আজ জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে। বরফ গলছে। পৃথিবীর উষ্ণায়ন প্রক্রিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের প্রভাবেরই শিকার এই অঞ্চল। গত তিন দশকে এখানকার তাপমান বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্বের গড় তাপমান বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ, প্রতি দশকে ০.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাম্প্রতিককালে এখানে গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম আর শীতকালে মাত্রাতিরিক্ত তুষারপাত হতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। ফলত গাছপালা, পশুপাখি আর মানুষের জীবনযাত্রার ওপর পড়ছে ক্ষতিকর প্রভাব। এরই সঙ্গে শীতে এবং বসন্তকালে প্রায়শই হচ্ছে তুষার বিপর্যয় (snow disaster) - তুষারপাত এবং তুষার ঝড়। আশির দশক থেকে এর পৌনঃপুনিকতা দ্রুত হারে বাড়ছে। সম্প্রতি কিংহাই প্রদেশে নভেম্বর মাসে ৪৫ সেন্টিমিটার তুষারপাত বিগত ৫৭ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। একদিকে অনিয়মিত ও অপ্রতুল বৃষ্টিপাত, তুষার বিপর্যয়, অন্যদিকে সৌর বিকিরণ, তাপ নিঃসরণ ইত্যাদির সম্মিলিত কারণে এই সুউচ্চ মালভূমি তার নিজস্ব মাত্রা হারাতে বসেছে। তুষার ঝড়ে মারা যাচ্ছে এ অঞ্চলের জীবজন্তু। তৃণভূমি বরফে ঢাকা পড়ার ফলে পশু খাদ্যের অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। মারা যাচ্ছে ছাগল, ভেড়া আর এই অঞ্চলের সুপ্রসিদ্ধ ইয়াক। পশুপালকদের ওপরেও পড়ছে প্রকৃতির কোপ। শুধু এক বছরে (২০০৮) এখানে সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যা জানা গেছে ২৭,০৫২টি পশু ও ৮৬৩ জন পশুপালক।

সারা পৃথিবীর ১৪.৫% হিমবাহ রয়েছে তিব্বতে, সংখ্যায় প্রায় ৪৬,০০০। উষ্ণায়নের প্রভাবে এই হিমবাহগুলি গলতে আরম্ভ হয়েছে। গত ৫০ বছরে এখানকার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় চতুর্গুণ। এই হারে আগামী ৫০ বছরে এ অঞ্চলের সমস্ত হিমবাহ গলে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বলেই বিজ্ঞানীদের অনুমান। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৪৭ বর্গ কিলোমিটার হিমবাহ অঞ্চল (বার্ষিক হার ৭%) গলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই ৭,৬০০ বর্গ কিলোমিটার হিমবাহ অঞ্চল নিঃশেষ হয়েছে গত ৫০ বছরে। হিমবাহ গলতে থাকলে ধীরে ধীরে হ্রদ সৃষ্টি হয়, আর তার থেকে জল উপচে পড়ে হয় বন্যা। নদীপ্রবাহে ভেসে যায় ওপরের মাটি, সব গুণাগুণসহ। প্রথমে বন্যা হলেও পরে ধীরে ধীরে অনুর্বর হয়ে পড়ে জমি, শুষ্ক হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। এ ছাড়া হিমবাহের খন্ড ভেঙে নদীখাতে পড়ে নদীর স্রোতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এইভাবে মেকং, গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্রের মতো প্রধান নদী ও তাদের শাখানদীগুলির অববাহিকায় বসবাসকারী অগণন মানুষের নিয়মিত জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নদীর জলের দুষ্প্রাপ্যতার সাথে আরো যোগ হচ্ছে জল দূষণের সমস্যা। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন, খননকার্য, নির্মাণ কার্য, বাঁধ তৈরি, গাছ কেটে ফেলা ইত্যদি এর জন্যে বহুলাংশে দায়ী। তিব্বতের মালভূমিও মানুষের কোপ থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, তিব্বতে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা যা চিরহিমায়িত (permafrost)। উচ্চতা আর ঠান্ডার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হওয়া এই স্তর মাটির তলায় থাকে। এর তাপমান হিমাঙ্কের অনেক নীচে। তিব্বতীয় মালভূমির প্রায় ৭০% এমনি চিরহিমে ঢাকা। কোথাও তার গভীরতা ২ মিটার, কোথাও ৩ মিটার, আবার কোথাও বা ৪ মিটার। কার্বন ও মিথেন গ্যাস ধরে রেখে বায়ুমণ্ডলে নিঃসরণ রোধ করা এই চিরহিম স্তরের প্রধান অবদান। তিব্বত অঞ্চলে প্রায় ১২,৩০০ মিলিয়ন টন কার্বন সঞ্চিত আছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। হাজার হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র বাঁচিয়ে রেখেছিল এই চিরতুষারিত হিমস্তর। অথচ মানুষের কার্যকলাপে এরও অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। মাটির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে হাওয়ার উচ্চ বেগ, সৌর বিকিরণ ইত্যাদি কারণে পুরো অঞ্চলে মরুকরণ (desertification) শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলে হাওয়ার গতিবেগ সেকেন্ডে গড়ে ৩-৪ মিটার আর সৌর বিকিরণের হার প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে প্রায় ২৫০-৩৫০ জুল। এমনিতেই এখানে ৪০%-এর বেশি এলাকায় গাছপালা নেই, তার ওপর দ্রুত হারে বাড়ছে মরুকরণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বহু স্থানীয় মানুষ।

তিব্বতীয় মালভূমিতে আরেকটি আজব সমস্যা আছে যার নাম বোধহয় সমতলভূমির অনেক মানুষেরই শোনা নেই। পিকা। এটি একটি বিশেষ ধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণী, গোত্রে ইঁদুর শ্রেণীর। এদের বংশবৃদ্ধি হয় অতি দ্রুত। পিকা মাটির ভেতর গর্ত করে গাছপালার গোড়া কেটে ফেলে। সেই সঙ্গে বদলে দেয় মাটির ভৌত-রাসায়নিক ধর্ম। নষ্ট করে দেয় নাইট্রোজেন ও কার্বন চক্র। ফল, আরো মরুকরণ। পিকা ধ্বংস করার জন্য মাটিতে বিষ দেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। সহজেই অনুমান করা যায় এর ফলে মাটির আরো ক্ষতি হয়েছে। কিছু প্রজাতির পিকা আছে যারা মাটির উপকার করে। নির্বিচারে পিকা হত্যা করে সেই সম্ভাব্য সুফলটুকুও শেষ করে দেওয়া হয়েছে। পিকার সমস্যা যোগ হয়ে মরুকরণের সমস্যা আরো বেড়ে যাচ্ছে, তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। গত ৫০ বছরে ব্যাপক হারে তৃণভূমি নষ্ট হয়েছে। নব্বই-এর দশকে ঘাসজমি অবক্ষয়ের বার্ষিক হার ছিল ১৭%, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০%। এছাড়া অবক্ষয়ের মুখে এখানকার পীটলান্ড (Peatland)। জলসিক্ত, ঘাসের চাপড়াযুক্ত এইসব জলাজমি প্রায় ১০% হারে প্রতি বছর হ্রাস পাচ্ছে। তৃণভূমি, চারণভূমি ও অল্পবিস্তর কৃষিজমি যা তিব্বতে আছে, তার সবটাই অতি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।

পরিবেশের অবক্ষয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তিব্বতের জীববৈচিত্র্য আর বাস্তুতন্ত্র আজ ধ্বংসের পথে। বিপদের সম্মুখীন স্থানীয় মানুষও। এখানকার অধিবাসীরা প্রধানত যাযাবর পশুপালক শ্রেণীর। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাযাবরদের যাতায়াত চারণভূমির গুণাগুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাদের জীবনযাত্রা প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বহু যাযাবরদের এই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবেশের ওপর এর ফলাফল দ্বৈত। একদিকে নানারকম নির্মাণকার্য যেমন পরিবেশের ক্ষতি করছে, অন্যদিকে স্থানীয় যাযাবরদের অপসারণ পরিবেশ-বান্ধব জীবনচর্যাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অবদান অনস্বীকার্য। তাই যাযাবরদের অপসারণ নিঃসন্দেহে তিব্বতের বাস্তুতান্ত্রিক স্থায়ীত্বের পরিপন্থী।

তিব্বতের মালভূমিতে জমি ব্যবহারের ধরণ বদলে যাচ্ছে দ্রুত। নগরায়ন, শিল্পায়ন আর উন্নয়নের নামে তৃণভূমি, চারণভূমি এবং চাষের জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁধ নির্মাণ, রেলপথ বিস্তার, সাধারণ পরিবহন ব্যবস্থা ইত্যাদির ফলে প্রাচীন ভূমি ব্যবহারের রীতি বদলে যাচ্ছে। আর তার ফলে ব্যাহত হচ্ছে জল, কার্বন ও নাইট্রোজেনের চক্র, হচ্ছে ভূমিক্ষয়, বাধা পাচ্ছে সাধারণ শক্তির প্রবাহ, বিঘ্নিত হচ্ছে কার্বন সঞ্চয় পদ্ধতি। এর সঙ্গে ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রদূষণ, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের অব্যবস্থা, এইসব সমস্যাও আছে। এ কথাও শোনা যায় যে, প্রতিবেশী কোনো কোনো দেশ নিউক্লিয় বর্জ্যপদার্থ চুপিসারে এখানে ফেলে যায়। তিব্বতের আমদো প্রদেশে নিউক্লিয় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েছে বেশ কিছু মানুষ, এ খবর অনেকাংশে সত্যও হতে পারে । আজকাল মানুষের বেড়ানোর মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুর্গম তিব্বত ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠছে। চারপাশ নোংরা করে তুলতে পর্যটকদের অবদানও কম নয়।

বেশকিছু পরিবেশ কর্মী ও স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন। খননকার্যের বিরুদ্ধে, খননের ফলে যে ধ্বস নামছে, তার প্রতিরোধের জন্য। আন্দোলন চলছে অবারিত ও অপরিকল্পিত নির্মাণকার্যের বিরুদ্ধে। কিছু তীরের নিশানা চিন দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির দিকে। সাধারণভাবে পরিবেশ রক্ষা, তৃণভূমি সংরক্ষণ, জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা, অধিবাসী অভিপ্রয়াণ ও স্থানচ্যুতি রোধ, এইসব বিষয়গুলি ঘিরে আন্দোলন হয়েছে, হচ্ছে। গত প্রায় দু দশক ধরে বেশ কিছু আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে নাগলা জাম্বা, দৃরু, নাচু, লাংদ্রাব, জোগাঙ, সাংচু, সাচেন, পালিয়ুল, মিনিয়াক, দেড়গে, নানছেন এবং সন্নিহিত এলাকায়। কাজ করছে কয়েকটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংগঠন। এগিয়ে এসেছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবক কর্মী, ছোট ছোট দলে তারা কাজ করছেন, আরো প্রসারের জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে নিশ্চয়। কিন্তু সবচেয়ে জরুরী নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, এই অঞ্চলটিকে বাঁচানোর মতো নিয়মকানুন তৈরি করতে তাদের বাধ্য করা। এ প্রয়োজন শুধু স্থানীয় নয়, সমগ্র এশিয়া মহাদেশের, সারা পৃথিবীর। এশিয়ার জলভাণ্ডার ফুরিয়ে যাওয়া বা অনেকাংশে কমে যাওয়া যে কী ভীষণ ধ্বংসের ইঙ্গিত, তা বোঝার সময় এসেছে। দক্ষিণ এশিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে প্রবল। এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর জীবনযাত্রার ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি পৃথিবীর যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। তাই সারা এশিয়ার মানুষের স্বার্থেই পৃথিবীর ছাদটুকু সুষ্ঠূভাবে টিঁকিয়ে রাখা অতি আবশ্যক। শুধু রোমাঞ্চকর যাত্রাপথের গল্প নয়, অতীশ দীপঙ্করের অভিযানের ইতিহাস নয়, তিব্বত আজকের সময়ে ভৌগোলিক কারণে একটা বাস্তব উদ্বেগের কারণ। সমগ্র এশিয়ার পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র ও মানুষের স্থিতিশীল জীবনযাত্রার জন্য তিব্বতের সমস্যা সমাধানের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা আশু প্রয়োজন।