আরেক রকম ● দশম বর্ষ নবম সংখ্যা ● ১-১৫ মে, ২০২২ ● ১৬-৩০ বৈশাখ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

অশরীরী শিক্ষার এপিঠ-ওপিঠ

পলাশ বরন পাল


২০২০-র গোড়ার দিক থেকে শুরু করে টানা প্রায় দু'বছর ইশকুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি। মানে, ‘ক্লাস’ বলতে আমরা আগে যা বুঝতাম, ছাত্রছাত্রীরা বসে থাকবে আর শিক্ষক তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে পড়াবেন - এই ব্যাপারটা অন্তর্হিত হয়েছিলো। প্রাথমিক হতভম্ব অবস্থার পরে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসে ক্লাস করেছে, আন্তর্জালের মাধ্যমে পড়িয়েছেন শিক্ষকেরা। এই পদ্ধতিটাকে আমি বলতে চাই ‘অশরীরী শিক্ষা’, আশা করি এই নামের ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।

যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অশরীরী শিক্ষার আসর বসেছে বিশ্ব জুড়ে, তা খুবই নতুন, এক-দু দশক আগে অকল্পনীয় ছিলো। এক দিক থেকে দেখতে গেলে তাই বলতে হয়, ভাগ্য ভালো ছিলো - যে ভাইরাসের আক্রমণে সকলের এই ঘরবন্দী দশা হয়েছিলো তা যদি দু'দশক আগে আবির্ভূত হতো তাহলে এটুকুও করা যেতো না। আবার অনেকে এটাকে দুর্ভাগ্য ভেবেও সরব হয়েছেন, তাঁদের যুক্তিও ফেলনা নয়।

হয়তো এ পর্যায় অতীত হয়ে গেছে। হয়তো এই ভাইরাসের অমন ভয়াল আক্রমণ আর ফিরে আসবে না। তবু, এই অশরীরী শিক্ষার ভালোমন্দ নিয়ে আলোচনা করার সার্থকতা আছে। প্রথমত, প্রথাগত শিক্ষারও কিছু কিছু ভালোমন্দের লক্ষণ তাতে ধরা পড়ে। দ্বিতীয়ত, দুই পদ্ধতির সহাবস্থানে আমাদের কোনো লাভ হতে পারে কিনা তা বিচার করা যায়। তৃতীয়ত, সত্যিই যদি কোনো ভাইরাস বা অন্য কিছু আক্রমণে আবার এই ঘরবন্দী দশায় ফিরে যেতে হয় আমাদের, তাহলে আরো ভালোভাবে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত হতে পারি।

ভালোর কথাই বলি বা মন্দের কথাই বলি, দুটো দিক থেকে তার আলোচনা করা যেতে পারে। এক হলো শিক্ষকের দিক, অন্যটা ছাত্রের দিক। এই দু'পক্ষই প্রত্যক্ষ পক্ষ। এর সঙ্গে পরোক্ষ পক্ষ হিসেবে ধরা যেতে পারে ছাত্রদের অভিভাবকদের, এবং তাঁদের সূত্র ধরে গোটা সমাজকেই।

আমি যেহেতু পড়াই, শিক্ষকের দিকটাই আমার প্রথমে মাথায় আসে। আমার মতো যাঁরা এই ঘরবন্দী অবস্থায় পড়িয়েছেন তাঁরা সকলেই অনুভব করেছেন, পড়ুয়াদের মুখ দেখতে না পেলে পড়ানো কতো কষ্টের। এ কষ্ট শুধুই আবেগজনিত নয়। পড়ানোর সময়ে পড়ুয়াদের মুখ দেখে বোঝা যায়, তারা কে কতোটা বুঝছে। অনেক সময়েই, সেই ফিরতি তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে পড়ানোর ধরন পাল্টে নিতে হয়, পড়ানোর গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। মুখ না দেখতে পেলে এসব কিছুই করা সম্ভব নয়।

অন্য অসুবিধেও আছে। পদার্থবিদ্যা বা গণিতের মতো বিষয় ক্লাসঘরে পড়ানোর সময়ে বোর্ডে অনেক কিছু লিখতে হয়, লিখে লিখে বোঝাতে হয়। অশরীরী পদ্ধতিতে সেটা কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে ধাঁধা লাগলো শিক্ষককুলের মধ্যে। কেউ কেউ এই সমস্যা সমাধানের জন্য আগে থেকেই কম্পিউটারে সব কিছু লিখে নিয়ে আসেন, পড়ানোর সময়ে সেই ফাইল দেখাতে থাকেন পাতা উল্টে উল্টে। এতে একটা সমস্যা হয়। ক্লাসে বোর্ডে লিখতে হলে যে সময়টা লাগে সেই সময়টা ছাত্রদেরও প্রয়োজন হয় বিষয়টা বোঝবার জন্য। আগে থেকে লিখে আনলে বিদ্যুৎগতিতে এগোনো যায়, কিন্তু তাতে ছাত্ররা কূল পায় না। মানে, যে সময়টুকু পেলে তারা কূল পেতো সেই সময়টা পায় না।

বোর্ডে লেখার সমস্যাটা অন্য যেভাবে সমাধান করা যেতে পারে, তার জন্য দরকার স্লেটের মতো একটা জিনিশ, যার ওপরে এক রকমের বিশেষ কলম দিয়ে লিখলে সে লেখা গিয়ে জমা হয় কম্পিউটারের ভাণ্ডারে। সেই ছবি সঙ্গে সঙ্গে দেখানো যায় ছাত্রদেরকে। আগে যে সময়ঘটিত সমস্যাটির কথা বলছিলাম, সেটি অন্তর্হিত হয় এই পদ্ধতিতে, কেননা শিক্ষক পড়াতে পড়াতেই লিখতে থাকেন সেই স্লেটের ওপর। মুশকিল হলো, এই কাজটি করার জন্য সেই বিশেষ বৈদ্যুতিন স্লেট এবং তার সঙ্গী কলম প্রয়োজন। সকলের কাছে তা থাকে না। শুধু কিনলেই হয় না, ওভাবে লেখা খানিকটা প্র্যাকটিসও করতে হয়, নইলে কলম পিছলে পিছলে যেতে থাকে। যাই হোক, একবার সরঞ্জাম জোগাড় করে লেখা অভ্যেস করে নিলে ব্যাপারটা ভালোই চলে।

এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড়ো সুবিধে হলো, এই স্লেটের ওপরে যা লেখা হয় তা হারিয়ে যায় না। স্লেট মুছতে হয় না, কেবল নতুন পৃষ্ঠায় চলে যেতে হয়। সব পৃষ্ঠার লেখাই সঞ্চয় করে রাখা যায় কম্পিউটারে। ক্লাস শেষ হওয়ার পরে সেই সঞ্চিত খাতাটিতে চোখ বুলিয়ে, যদি ছোটোখাটো পরিবর্তন দরকার হয় সেসব করে, গোটা ক্লাস ধরে যা লেখা হলো তা ছাত্রদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায় ডাক মারফত।

শিক্ষকদের দিক থেকে আর একটা বিরাট সুবিধে হলো, পড়ানোর সময়ে আশেপাশে দু-চারটে বই বা খাতা খুলে রেখে তাঁরা পড়াতে পারেন। সাহিত্যের অধ্যাপক যদি কোনো বই থেকে উদ্ধৃতি দিতে চান, সে বই হাতের কাছে খুলে রাখতে পারেন। বিজ্ঞানের অধ্যাপক যদি মনে করেন কোনো একটা ছবি দেখালে বোঝাতে সুবিধে হবে, সে ছবি সরাসরি দেখিয়ে দিতে পারেন পর্দায়। এমনকি, চলচ্ছবি দেখাতে হলেও অসুবিধে নেই। এগুলো যে সশরীরী ক্লাসে করা যায় না তা নয়, পাশে একটা প্রজেক্টর রেখে সবই করা সম্ভব। কিন্তু তাতে বাড়তি সরঞ্জাম লাগে, মানে ওই প্রজেক্টর, এবং সেটা চালু করা বন্ধ করার জন্য সময় ব্যয় করতে হয়, সেটা ক্লাসের পড়ানোর মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। অশরীরী শিক্ষায় এ কাজ করতে বাড়তি কোনো পরিশ্রম লাগে না - যে পদ্ধতিতে শিক্ষক উপস্থিত হচ্ছেন ছাত্রের সামনে, সেই একই পদ্ধতিতে ছবি দেখানো যায়।

এবারে ছাত্রদের কথায় আসি। সশরীরী শিক্ষার আসরে, কলেজ বা ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে, বা হয়তো ইশকুলেরও উঁচু দিকের ক্লাসে, ছাত্ররা ক্লাস চলাকালীন ঊর্ধ্বশ্বাসে খাতায় নোট নিতে থাকে। শিক্ষক কী বলছেন, তা ভালো করে শোনার ফুরসত থাকে না। ব্যাপারটা খানিকটা পণ্ডশ্রম, কেননা বোর্ডে যা লেখা হয় তা সাধারণত বইয়েই পাওয়া যায়। বরং তার সঙ্গে শিক্ষক যা বলেন সেগুলো অনেক সময়ে বইয়ে থাকে না, সেগুলো টুকে নিলেই বেশি লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো ছাত্র সেভাবে ক্লাসে নোট নেয় না। করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে আমি আমার ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের একাধিকবার বলেছি, বোর্ডের লেখা টুকতে হবে না, মাঝে মাঝে বরং একবার করে মোবাইল ফোনটা বার করে বোর্ডের ছবি তুলে নিয়ো - সবাই মিলে নয়, একজনকে ভার দাও এ কাজের। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, সবাই হড়বড় করে বোর্ড টুকতেই ব্যস্ত।

অশরীরী শিক্ষায় এ আপদ নেই। যে কথা আগে বলছিলাম, ক্লাস শেষের পরেই শিক্ষক যা যা লিখেছেন তার প্রতিলিপি চলে যেতে পারে প্রত্যেক ছাত্রের কাছে। কোনো ছাত্র যদি একদিন ক্লাসে অনুপস্থিতও থাকে, তাহলেও সেদিন কী পড়ানো হলো তা জানতে কোনো অসুবিধে হয় না তার।

এই সুবিধেটা নিয়ে বেশ খানিকটা বাড়াবাড়িও হয়েছে। ছাত্ররা শুধু শিক্ষকের লেখার খাতা নিয়েই সন্তুষ্ট হয়নি, তাঁর মুখের কথাও তারা রেকর্ড করে রেখেছে নিজেদের সুবিধের জন্য, শিক্ষকের অনুমতি এবং অবগতি ছাড়াই। এবং তারপর দিনের পর দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে কেবল সেই রেকর্ড-করা কথা শুনে পড়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ সেটুকু পরিশ্রমও করেনি, কেননা জানতো যে অশরীরী পদ্ধতিতে পরীক্ষাও হবে, এবং তখন ঢালাও টোকাটুকির ব্যবস্থা থাকবে। এমনও শোনা গেছে, একই ঘরে মাদুর পেতে পাশাপাশি একদল পরীক্ষার্থী বসে গেছে, এবং তাদের টিউটর বা সমস্থানীয় কেউ প্রশ্নের উত্তরের ডিক্টেশন দিয়ে গেছেন, এবং ছাত্ররা তা খাতায় লিখে জমা দিয়েছে। সত্যি-মিথ্যে যাচাই করে দেখিনি, তা মানছি। তবে পরীক্ষার উত্তরপত্রে এমন এমন জিনিস দেখা গেছে যার এর চেয়ে ভালো কোনো ব্যাখ্যা নেই। কেউ কেউ পরোক্ষ স্বীকারোক্তিও দিয়ে ফেলেছে। একজনকে বলা হয়েছিলো, ‘তুমি তিন নম্বর প্রশ্নের উত্তরে কী লিখেছো? ও সব তো জানতেই চাওয়া হয়নি!’ তাতে সে বলেছিলো, ‘কিন্তু আমার টিউশন ম্যাম যে ওটাই লিখতে বললেন!’

ছাত্রদের কী কী অসুবিধে হয়েছিলো অশরীরী শিক্ষায়, তার কিছু কিছু দিক নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হলো একটা করে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ কম্পিউটার জোগাড় করা, যা মোটামুটি সারাদিন ওই ছাত্রই ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষত ইশকুলের নিচু ক্লাসের বাচ্চারা সবাই এরকম একটা যন্ত্র পুরোপুরি নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবে, তার সম্ভাবনা কম। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে ছাত্রদের প্রায় সকলের কাছেই হয়তো মোবাইল ফোন থাকে অন্তত একটা। কিন্তু যে-সে ফোন হলে চলবে না - আন্তর্জালের লেখা পড়তে পারে এবং ছবি দেখতে পারে এমন ফোন চাই। সেগুলো অপেক্ষাকৃত দামি ফোন। শুধু ফোন পেলেও চলবে না, দিনে অন্তত চার-পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস করতে হলে আন্তর্জালের সঙ্গে অতক্ষণ যুক্ত থাকতে হবে। তার জন্যও খরচ আছে। সব খরচ যোগ করলে যা দাঁড়ায়, তা অনেক পরিবারের পক্ষেই দুর্বহ।

ছাত্রদের অন্যরকমের ক্ষতিও হয়। সশরীরী শিক্ষাক্ষেত্রে ক্লাসের আগে বা পরে তারা শিক্ষকদের সঙ্গে একটু কথা বলে। অশরীরী শিক্ষায় সে সুযোগ পাওয়া যায় না। ফলে যা অবস্থা দাঁড়ায় তা হলো, শিক্ষকেরা ছাত্রদের চেনেন না। ব্যক্তিগত পরিচয় কাজে লাগে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য, বা মোটের ওপর ছাত্রের মানসিক বিকাশ কেমন হচ্ছে তা বোঝবার জন্য। তাছাড়া ছাত্ররা নিজেদের মধ্যেও কথাবার্তা বলবে, খেলাধুলো করবে, লাইব্রেরিতে গিয়ে বই দেখবে - পুরোপুরি ঘরবন্দী জীবনে সে সবেরও উপায় নেই।

আমি ধরে নিচ্ছি, অমন পুরোপুরি ঘরবন্দী দশা অদূর ভবিষ্যতে ফিরে আসবে না, অন্তত অতো বেশি দিন ধরে তা স্থায়ী হবে না। করোনার প্রভাবে আমরা যা শিখলাম, তা হলো, দূর থেকেও শিক্ষা দেওয়ার কাজটা করা অসম্ভব নয় - ভালোমন্দ যেরকমই হোক না কেন। এই শিক্ষা কি কোনো কাজে লাগবে আমাদের?

কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে এখনই কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যা আমাদের সঙ্গী হবে ভবিষ্যতেও। অশরীরী ক্লাস যদি বা না হয়, অশরীরী বক্তৃতা আয়োজন করা যায়, তাতে পাঠ্যবিষয়ের বাইরের কিছু কথা জেনে বা শুনে উপকৃত হয় ছাত্ররা। বক্তাকে সশরীরে পাওয়ার চেয়ে এইভাবে পাওয়া অনেক সহজ, কেননা বক্তার যাতায়াতের সময় এবং পরিশ্রমটুকু বেঁচে যায়। অতএব এইভাবে বেশি বক্তৃতা হবে ভবিষ্যতে, এমন আশা করা যায়। ক্লাসে পড়ানোর সময়েও অধ্যাপকেরা আন্তর্জাল থেকে বিভিন্ন ছবি বা নথি খুলে দেখাবেন, এমনও আশা করা যায়।

ভারতবর্ষের মতো বহুভাষী দেশে এই অশরীরী শিক্ষার আরো একরকমের প্রয়োগের কথা ভাবা যেতে পারে। ধরা যাক, একটি ছেলে বা মেয়ে পশ্চিমবঙ্গের ইশকুলে পড়ে, বাংলা আর ইংরিজি এই দুটি তার প্রধান ভাষা। একটা পর্যায়ে তাদের পরিবার বদলি হয় চলে এলো তামিলনাড়ুতে। সেখানকার ইশকুলে বাংলা শেখানো হয় না। এরকম পড়ুয়াদের জন্য সরকার অনুমোদিত কিছু অশরীরী কোর্স থাকতে পারে, ইশকুলের অনুমতিক্রমে যেখানে ছাত্ররা ভর্তি হতে পারবে, এবং সেখানে যে পরীক্ষা হবে তার নম্বর ইশকুলে পড়া অন্যান্য বিষয়ের নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে।

তবে এরকম বিশেষ ক্ষেত্রে, ইশকুলের সুপারিশ নিয়ে, তবেই এইসব কোর্সে ভর্তি হওয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত। সবাই এখানে ছুটলে ইশকুল উঠে যাবে, তাতে পড়ুয়াদের দেখাশোনা-খেলাধুলার মাধ্যমে যে মানসিক বিকাশটা হয় সেটা হবে না। কলেজ পর্যায় থেকে শুরু করে এ ব্যবস্থা না রাখলেও চলবে, কেননা তখন পড়ুয়ারা খানিকটা বড়ো হয়ে যায়, অতএব দরকার হলে বাড়ি থেকে দূরে হোস্টেলে থেকে তারা পড়াশোনা করবে, এতে আশ্চর্যের কিছুই নেই।

একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের সকলকে। একটা আপৎকালে এই অশরীরী শিক্ষাদান শুরু করা হয়েছিলো - তখন উপায়ান্তর ছিলো না। সেই আপদ চলে গেলেও প্রযুক্তিটা কিন্তু রয়েছে। কীভাবে এই প্রযুক্তিটাকে আমরা আমাদের ভালোর জন্য কাজে লাগাতে পারি, সে প্রশ্ন নিয়ে আমাদের ভেবে দেখতেই হবে। এবং এখনই হলো তার শ্রেষ্ঠ সময়।