আরেক রকম ● দশম বর্ষ নবম সংখ্যা ● ১-১৫ মে, ২০২২ ● ১৬-৩০ বৈশাখ, ১৪২৯

সম্পাদকীয়

আর এক ইঞ্চিও নয়


জাহাঙ্গীরপুরী। দিল্লির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় হরিয়ানার সীমান্তে অবস্থিত এই জনপদে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কোনো প্রাসাদ বা তার ধ্বংসাবশেষ নেই। এমনকি কোনোদিন তিনি এখানে এসেছিলেন কিনা তাও বলা মুশকিল। বাস্তবে ১৯৭৫-এর আগে সেই অর্থে এখানে কোনো জনবসতিও ছিল না। জরুরি অবস্থার সময় দিল্লির সৌন্দর্যায়নের জন্য মিন্টো রোড, থমসন রোড, মন্দির মার্গ, গোল মার্কেট, চাণক্যপুরীর মতো অভিজাত এলাকার বস্তির বাসিন্দাদের উৎখাত করে মহানগরীর একেবারে প্রত্যন্ত প্রান্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটা করে এই জনপদের শিল্যান্যাসও হয়েছিল। সেই শিলালিপিতেই প্রথম জাহাঙ্গীরপুরীর নাম উল্লেখ করা হয়। ভালো করে খোঁজখবর করলে সেই প্রস্তরখণ্ডের দেখা পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

পরিবার পিছু সাড়ে বাইশ বর্গ গজ অর্থাৎ সিকি কাঠা জমি দিল্লি প্রশাসনের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এইভাবেই দিল্লি পুরসভার নথিতে লিপিবদ্ধ আরও ১,৭৩১টি ঝুপড়ি-ঝুগ্গি কলোনি বা চলতি ভাষ্যে জে জে কলোনির সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয়ে যায় জাহাঙ্গীরপুরী। দিল্লির জে জে কলোনিগুলির জনসংখ্যা পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি বলে অনেকের ধারণা। বেশিরভাগ জে জে কলোনি বেআইনি হলেও জাহাঙ্গীরপুরী নয়।

নবনির্মিত বস্তির ভেতরকার রাস্তা, নর্দমা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদির বন্দোবস্ত প্রশাসনই করে দেয়। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য থেকে আসা গরিব মানুষ যারা এতদিন অভিজাত দিল্লিতে সরকারি বাবুদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার কাজে কয়েক প্রজন্ম ধরে নিযুক্ত ছিল তাদের ঠাঁই হল জাহাঙ্গিরপুরীতে। হারিয়ে গেল তাদের রুটিরুজির এতদিনের পুরোনো ব্যবস্থা। কাজেই খুঁজে নিতে হল রোজগারের নতুন পন্থা।

কাছেই ছিল উত্তর দিল্লির জঞ্জাল জড়ো করার জায়গা, ভালসোয়া। অনেকটা কলকাতার ধাপার মাঠের মতো। তবে আকারে আয়তনে অনেক বড়ো। সেই জঞ্জাল থেকে প্লাস্টিক, লোহার টুকরো, তামা-পিতল ভাঙা ইত্যাদি বাছাই করার পর বাজারে বিক্রি করে চলত প্রতিদিনের খাদ্যের সংস্থান। এবং বিষয়টি মোটেও সহজ ছিল না। কারণ সেই সময় জাহাঙ্গীরপুরী থেকে যাতায়াত করা ছিল বেশ কঠিন।

তবুও তারা টিকে ছিল। হারিয়ে যায়নি। ঘরে ঘরে যক্ষা। প্রায় প্রত্যেকেই চর্ম রোগে আক্রান্ত। সারাদিন ধরে জঞ্জাল ঘাঁটলে চর্মরোগ না হওয়াই অস্বাভাবিক। তবে পরবর্তী প্রজন্ম গাড়ি মেরামত থেকে শুরু করে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, রাজমিস্ত্রি ইত্যাদি কাজে জড়িয়ে যায়। মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায়ের হলুদ লাইনের প্রান্তিক স্টেশন জাহাঙ্গীরপুরীতে নির্মিত হওয়ায় নতুন সহস্রাব্দে যাতায়াত সহজ হয়ে গেছে। উপার্জন বেড়েছে। বেড়েছে জনসংখ্যা। ২০০১-এ হয়েছে প্রথম আদমশুমারি। পরিবারের সদস্য বৃদ্ধির জন্য সিকি কাঠা জমির উপরেই গড়ে তুলতে হয়েছে দোতলা-তিনতলা। প্রায় প্রতি পাড়ায় নির্মিত হয়েছে মন্দির। মসজিদও আছে। মসজিদের আজান এবং মন্দিরের আরতিতে কোনও লড়াই নেই। রামনবমী, শিবরাত্রি, ঈদ, হোলি, দেওয়ালি এখানে মিলেমিশেই উদযাপিত হয়। অন্ততঃ ২০২২-এর ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত এমনটাই ছিল জাহাঙ্গীরপুরী।

হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত একটি উগ্র মৌলবাদী সশস্ত্র শোভাযাত্রা ১৬ই এপ্রিল জাহাঙ্গীরপুরী পরিক্রমা শুরু করে। রমজানের উপবাস শেষে ইফতারের জন্য স্থানীয় মসজিদের সামনে সমবেত হয়েছিল মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। অভিযোগ উঠেছে যে সেই সময় শোভাযাত্রা থেকে ধর্ম বিদ্বেষী প্ররোচনা সৃষ্টি হয়। ইট ছুঁড়লে পাটকেল ফিরে আসে। এমটাই চিরকালীন দস্তুর। হারিয়ে যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ। পুলিশ নীরব দর্শক। ফলাফল - দুই সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন আহত। জনাকয়েক পুলিশও আহত।

এখানে ঘটনার সমাপ্তি হলে নিশ্চয়ই ভালো হতে পারত। কারণ এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার অভিঘাত দিল্লির অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু বাস্তবে তা হতে না দিয়ে অন্য অজুহাতে আবার জাহাঙ্গীরপুরীতেই আক্রমণ হানা হয়েছে।

শাসকদলের রাজ্য সভাপতি মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এনডিএমসি) মেয়রের কাছে দাবি করলেন জাহাঙ্গীরপুরীর অবৈধ নির্মাণকে অবিলম্বে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। মেয়র দেরি করেননি। কৃষক আন্দোলনের সময় পুরোনো দল ছেড়ে তিনি সদ্য শাসকদলের সদস্য হয়েই মেয়র হয়েছেন। আনুগত্য প্রকাশের এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে!

মেয়রের আবেদনে সাড়া দিয়ে বুধবার ২০ এপ্রিল সকাল ৮টার আগেই জাহাঙ্গীরপুরীতে মোতায়েন করা হল এক বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী। এসে যায় সাতটি বুলডোজার। পরে জানা যায় সেগুলি উত্তরপ্রদেশের হরদোই থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে। দিনে ৮ হাজার টাকা ভাড়া। ডিজেল-মোবিল ইত্যাদির খরচ আলাদা।

সকাল সোয়া দশটা নাগাদ শুরু হয় ধ্বংসযজ্ঞ। বাসিন্দারা কী ঘটছে তা দেখার জন্য তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের লোকেদের সরু গলিতে আটকে রেখে নিজেরা ছাদে উঠে যায়। সংবাদে প্রকাশ এক হাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

সকাল সোয়া দশটায় প্রথম বুলডোজারটি কুশল সিনেমা চকে প্রবেশ করে। সাড়ে দশটা নাগাদ কাজ শুরু করে দ্বিতীয় বুলডোজার। তারপর একে একে আরও পাঁচটি। শুরু হয় ধ্বংস অভিযান। কুশল চককে কেন্দ্র করেই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের নামে চলতে থাকে বৈধ নির্মাণ অপসারণ। দোকান, বাড়ির সিঁড়ি এবং বারান্দা থেকে মসজিদের সদর দরজা কিছুই বাদ পড়েনি।

জাহাঙ্গীরপুরীর জি-ব্লক, ডি-ব্লক ও অন্যান্য কয়েকটি ব্লকও অল্পবিস্তর ধ্বংসের শিকার। তবে সি-ব্লকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। এখানেই প্রশ্ন ওঠে হঠাৎ করে সি-ব্লককে মূল লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হল কেন? আসলে কুশল চকের পাশেই রয়েছে জাহাঙ্গীরপুরীর সি-ব্লক। সেটাই সম্ভবতঃ মূল লক্ষ্য। কারণ সি-ব্লক মুসলমান অধ্যুষিত মহল্লা বলেই পরিচিত। তার উপর এখানেই বেশিরভাগ বাংলাভাষী মানুষের বসবাস। তারা মূলতঃ মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং মালদহের বাসিন্দা। এদের বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশই নির্মাণ কাজে জড়িত। তাছাড়া এখানকার রামগড় পাড়ায় রয়েছে সিপিআই(এম)-এর একটি স্থানীয় দপ্তর, অনেকদিন ধরেই যা সক্রিয়। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুসলমান, কমিউনিস্ট ও তথাকথিত বাংলাদেশী উৎখাতের জন্য এই সুপরিকল্পিত এবং অঘোষিত আক্রমণ।

মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী অবৈধ নির্মাণ সে স্থায়ী বা অস্থায়ী যাই হোক না কেন অপসারণের জন্য পাঁচ থেকে পনেরো দিনের নোটিশ দিতে হয়। এমনকি এমন নোটিশের বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার আইনেই রয়েছে। শাসক কবেই বা আইন মেনে চলে! ধ্বংসের কাজটি দুপুর দুটোয় শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অথচ কোনো অজ্ঞাত কারণে সকাল ন'টায় বৈধ কলোনিতে শুরু হয়ে যায় বুলডোজার অভিযান।

সকাল এগারোটায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জারির খবর সারা দেশের সঙ্গে জাহাঙ্গীরপুরীতেও ছড়িয়ে পড়লে বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে আরও দু' ঘন্টা ধরে চলে বুলডোজারের ধ্বংসকান্ড। আশ্চর্য সমাপতন! ঠিক সেই সময় গুজরাটের বুলডোজার কোম্পানি পরিদর্শন করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বুলডোজার নির্মাতা জেসিবি (Joseph Cyril Bamford Excavators Limited, Uttoxeter, Staffordshire, The UK) যে আদতে ব্রিটিশ কোম্পানি। টিভি এবং সমাজমাধ্যমের দৌলতে তামাম ভারতবর্ষ সকাল এগারোটায় জারি করা স্থগিতাদেশ কয়েক মিনিটের মধ্যে জেনে গেল। পুলিশ অফিসারদের স্মার্টফোনের পর্দায়ও হয়তো খবরটা দেখা গিয়েছিল। তবুও তাঁদের এককথা - আদালতের মোহর লাগানো কাগজ হাতে না আসা পর্যন্ত অভিযান থামানো যাবে না।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে জাহাঙ্গীরপুরী দূরত্বের হিসেবে উনিশ-বিশ কিলোমিটার। আর সময়ের নিরিখে, গাড়িতে পঁচিশ-তিরিশ মিনিট। তবুও এপ্রিল মাসের কুড়ি তারিখে কী জানি কী কারণে সকাল এগারোটায় জারি করা সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ জাহাঙ্গীরপুরীর উচ্ছেদ অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতে বেলা গড়িয়ে গেল।

কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে আদালতের নির্দেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার অনেক আগেই সেখানে পৌঁছে গেলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত। আদালতের নির্দেশনামা হাতে নিয়ে চালু বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে স্পষ্ট স্বরে উচ্চারণ করলেন - "আর এক ইঞ্চিও নয়।"

থমকে গেল সাত সাতটা বুলডোজার। তড়িঘড়ি ছুটে এলেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। সেদিনের মতো স্থগিত রইল উচ্ছেদ অভিযান।

পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরপুরীর ধ্বংসের ছক কাটা হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক ও ভাষাগত বিভাজনের জন্যই যে এই প্রশাসনিক অভিযান সংগঠিত হয়েছিল তা এখন সকলেই বুঝতে পারছেন। আদালতের নির্দেশ, দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিরুদ্ধ জনমত ইত্যাদি সামাল দিতে হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন সংগঠন এখন অন্য সুরে প্রচার শুরু করেছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উৎখাতের জন্য এই বুলডোজার আক্রমণ চালানো হয় বলে প্রচার হচ্ছে। যদিও বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। সেই প্রচারে যুক্ত হয়েছে নতুন দাবি। দিল্লির যে সব জায়গার নামের সঙ্গে কোনো আরবি বা ফার্সী শব্দ (তাদের ভাষ্যে মুসলমান নাম) জড়িয়ে আছে তাদের নাম পাল্টে দিতে হবে। আবারও এক আশ্চর্য সমাপতন! হঠাৎ করেই ভালসোয়ার আবর্জনা ক্ষেত্র ২৭ এপ্রিল জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেল। জাহাঙ্গীরপুরীর প্রথম প্রজন্মের বাসিন্দারা যারা এখনও চলাফেরা করতে পারে তারা ওই আবর্জনা ক্ষেত্র থেকেই বিক্রয়যোগ্য প্লাস্টিক, তামা, লোহা ইত্যাদি কুড়িয়ে আনার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। তাদের সামান্য খুদকুঁড়ো সংস্থানের ব্যবস্থাটুকুও ছাই হয়ে গেল। অর্থাৎ যারা হাতে মারা পরেনি তাদের ভাতে মারার পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত।

গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে সেই স্বৈরাচারী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বিরোধী রাজনীতির দায়িত্ব। বৃন্দা কারাত ও তাঁর সহকর্মীরা সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। আদালতের নির্দেশ হাতে নিয়ে তিনি বুলডোজারের পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর প্রতিরোধের সামনে থামতে বাধ্য হয়েছে শাসকের ধ্বংসরথ। সে দিনের উচ্ছেদ বন্ধ করিয়েই থামেননি বৃন্দা, তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই উচ্ছেদের মূলে রয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন, এই দাবি করে আদালতের কাছে উচ্ছেদ বন্ধ করার আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, গণতন্ত্রে বিরোধীর ভূমিকা ঠিক যেমনটি হওয়া উচিত, প্রবীণ সিপিআই(এম) নেত্রী পথে নেমে অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করেছেন। সংসদের কক্ষ থেকে ওয়াকআউট অথবা টিভি চ্যানেলে এবং সমাজমাধ্যমে গা-গরম করা শব্দ উচ্চারণের বাইরেও যে আজকের ভারতে বিরোধী রাজনীতির অস্তিত্ব আছে, বৃন্দা কারাত সেই প্রায়-বিস্মৃত কথাটি মনে করিয়ে দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস বা আম আদমি পার্টির মতো স্বঘোষিত বিজেপি-বিরোধী দলগুলি যা করতে চায়নি, কংগ্রেসের মতো প্রবীণতম রাজনৈতিক দল যা করতে পারেনি, তথাকথিত প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়া দলের প্রবীণ নেত্রী সেই কাজটি করে দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে স্বৈরাচারের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমস্ত গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে এই মুহুর্তে সমস্বরে গভীর প্রতীতির সঙ্গে উচ্চারণ করতে হবে - আর এক ইঞ্চিও নয়।