আরেক রকম ● দশম বর্ষ সপ্তম সংখ্যা ● ১-১৫ এপ্রিল, ২০২২ ● ১৬-৩০ চৈত্র, ১৪২৮
সম্পাদকীয়
রামপুরহাট গণহত্যা প্রসঙ্গে
টিনটিন কমিক্স সিরিজের একটি স্ট্রিপ ছিল, যেটা সম্প্রতি ফেসবুকে ঘুরছে। এক ডাকাত দলের সর্দার হাঁটছে রাস্তা দিয়ে, পুলিশ তাকে স্যালুট জানাচ্ছে। ক্যাপশন-১৯৩১, শিকাগো, গোটা শহর দস্যুদের কবলে। অনেকেই '১৯৩১' কেটে ২০২২ আর 'শিকাগো' কেটে পশ্চিমবঙ্গ করে দিচ্ছেন। বিধেয় পরিষ্কার, রামপুরহাটের ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি তোলাবাজ, মাফিয়া এবং গুন্ডারাজের কবলে। এবং শুধু রামপুরহাট নয়। বিগত দিনগুলোতে একটার পর একটা ঘটে যাওয়া ঘটনা এই রাজ্যকে খাদের কিনারে এনে ফেলেছে। আনিস খানের হত্যা, নভেম্বর বিপ্লব উপলক্ষ্যে নিজের বাড়ির সামনে লাল পতাকা তোলার অপরাধে নানুরের ক্ষেতমজুর বাদল শেখকে পিটিয়ে হত্যা, আনিসের হত্যার প্রতিবাদ করবার পরেই হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বামপন্থী কর্মী সৌমেন কুণ্ডুর মৃতদেহ মেলা আবাদী রেলস্টেশনের কাছে, পুরভোটের ফলাফল বেরবার পরে তৃণমূলের বিজয়ী কাউন্সিলরের কুৎসিত হুমকিতে বর্ধমানের তরুণী তুহিনা খাতুনের আত্মঘাতী হওয়া, পানিহাটি ও ঝালদায় নির্বাচিত কাউন্সিলরকে গুলি করে মারা, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির গরীব আদিবাসী শিকারী মুড়াকে আবগারি দপ্তরের গ্রেপ্তার ও তারপর সরকারি হেফাজতেই তাঁর রহস্যমৃত্যু - একটা রাজ্য কীভাবে গুণ্ডাদের দখলে চলে যায়, মাস্তান আর মাফিয়ারা কীভাবেই বা নিয়ন্তা হয়ে ওঠে, সেগুলো দেখিয়ে দেবার জন্য এই ঘটনারা যথেষ্ট। রামপুরহাট এগুলোরই তুঙ্গতম রূপ বলা যায়।
স্পষ্টভাবে বুঝে নিতে হবে যে এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন এই মুহূর্তে তৃণমূলে বিলীন হয়ে গেছে। তৃণমূল প্রভাবিত অথবা তৃণমূলের চাটুকার নয়, সরাসরি তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। ঠিক তেমনই, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে, ছোট থেকে বড়, গুণ্ডারা চলে এসেছে। এমন আগেও ঘটেছে, মানে বাম সরকারের আমলে, যে প্রশাসনকে কিছুটা হলেও সরকারি দল নিয়ন্ত্রণ করছে অথবা গুণ্ডাদের পুষছে বিভিন্ন দল। কিন্তু গুণ্ডারাই নেতা হয়ে উঠেছে এবং প্রশাসন একটা দলের উর্দি পরে নিচ্ছে, এরকম আগে হয়নি। গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্ত মানতে হলেও পুলিশ-প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটি আপাত ন্যূনতম দূরত্ব থাকা প্রয়োজীনয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্ত হাতে প্রশাসনের আমূল পরিবর্তন করে গত দশ বছরে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে প্রশাসন এখন তাঁর দলের পোষ্য অথবা স্তাবক শুধু নয়, খোদ দলেরই অংশ। তাই রামপুরহাটের বাড়িগুলোতে যখন আগুন দেওয়া হয়েছে, পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে দেখছিল। আমরা ভুলিনি, গত পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার সর্বাধিক বিক্রীত সংবাদপত্রের প্রথম পাতার সেই ছবি - পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডারা একসঙ্গে হেঁটে আসছে, তাদের সবার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা, এবং লক্ষ্য বিরোধী দলের লোকজন। আনিশ খানের হত্যা হোক বা রামপুরহাট, সেই একই ঘটনা - তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে পুলিস যাচ্ছে। তাই তদন্তের ব্যাপারেও স্থানীয় পুলিশকে ভরসা না করে বাইরে থেকে বিশেষ তদন্তকারী টিম বা সিবিআই আনতে হচ্ছে। এই যেখানে অবস্থা, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করা এই মুহূর্তের পবিত্রতম কাজগুলোর মধ্যে একটা। প্লিজ বিজেপির জুজু দেখাবেন না। যা হচ্ছে, তার মধ্যে যেই স্বৈরাচার ও স্বেচ্ছাচারিতার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে তা বিজেপি-র কাজকর্মের থেকে কোনও অংশে কম নয়।
যেটা গুরূত্বপূর্ণ, এই মুষলপর্ব এবার তৃণমূলের অন্দরে ঢুকে গেছে, তাই তৃণমূলের লোকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রামপুরহাটের নিহতরা সবাই তৃণমূলেরই সমর্থক, তুহিনা খাতুন তৃণমূল পরিবারের ছিলেন, পানিহাটির নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্ত তৃণমূল করতেন। ভাদু শেখও তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত হয়ে খুন হচ্ছেন তাঁরা। এটাই হবার ছিল। পঞ্চায়েত, পুরসভা, সমবায় বোর্ড সর্বত্র বিরোধীশুন্য করবার যে প্রক্রিয়া তৃণমূল শুরু করেছিল, সেটা বাঘের পিঠে চেপে নদী পার হবার শামিল। এখন নামতে গেলে বাঘ খেয়ে ফেলবে। এই যে গ্রামের পর গ্রাম পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিরোধীশূন্য করা হল, তার পর কী হবে? সবাই তৃণমূল তাহলে? বাকি দলগুলোর লোকজন কি আদর্শ বদলালেন? না, তাঁরা ভয়ে পালালেন, অথবা তৃণমূলের জার্সি গায়ে চাপাতে বাধ্য হলেন। সার্বিক হিংস্র আক্রমণ যখন নামিয়ে আনা হচ্ছে ব্লক বা ওয়ার্ড স্তর থেকে, তখন বিরোধী দল বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকে না। আর যাদের সাহায্যে এই কাজগুলো করা হচ্ছে, তারা তখন মুনাফার ভাগও চাইছে। ফলত দলে ঢুকে যাচ্ছে সমাজবিরোধীরা, গুণ্ডারা, তারা নেতাও হয়ে যাচ্ছে অনায়াসেই, যেহেতু দলটি রেজিমেণ্টেড নয়। এবার, পঞ্চায়েত, বরো অফিস বা পুরসভা দিয়ে যেসব উন্নয়নমূলক কাজগুলোর জন্য টাকা বিতরণ করা হচ্ছিল, দুয়ারে সরকার প্রকল্প হোক বা কন্যাশ্রী, সেগুলোর ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে গোষ্ঠী তৈরি হল, কারণ এখন কায়েমি স্বার্থ বহুবিধ - আগের তৃণমূল, পরের তৃণমূল, দল বদলানো তৃণমূল, সমাজবিরোধী তৃণমূল, সবাই তৃণমূল, এবং সকলেই তার হক নেবার জন্য বসে আছে। বালি, কয়লা নিয়ে মাফিয়াবৃত্তি হোক বা সরকারী অনুদানের টাকা, সকলে মরিয়া, কারণ যে বিশাল সমান্তরাল অর্থনীতির জাল গ্রামে গঞ্জে তৃণমূল ছড়িয়ে রেখেছে, তাতে সকলেই ভাগ বসাতে চায়। ঠিক এই কারণেই পুরভোটে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গুণ্ডামি, বা পঞ্চায়েত ভোটেও। এমন নয় যে এগুলো না করলে তৃণমূল সার্বিকভাবে জিতত না, হয়ত কিছু ওয়ার্ডে হারত, কিন্তু রাজ্য জুড়ে জিতত ভালভাবেই। কিন্তু প্রত্যেক গোষ্ঠীর স্টেক এখন এতই বেশি যে একটা ওয়ার্ডও হারালে চলবে না, তাহলেই ভাগের হিস্যায় টান পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই চাইলেও তাঁর ভৈরব-বাহিনীকে এখন আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, কারণ গোটা দলটাই সমাজবিরোধী হয়ে গেছে। প্রত্যেক বাহিনীই এলাকা তথা সেই এলাকার টাকার উৎসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়। অতএব, আমি হারব আর অন্য কেউ জিতবে তা হতে দেওয়া যায় না। অতএব প্রত্যেকেই ব্যাপক রিগিং করতে ব্যস্ত অথবা বখরার ঝগড়ায় একে অপরকে খুন করতেও পিছপা নয়। পুলিশ যেহেতু এই বখরার ভাগ পায়, তারাও খেলা দেখছে। খেলায় শাসক দলের যেই পক্ষই জয়ী হোক পুলিশ আধিকারিকদের পাওনা ঠিক সময় পৌঁছে যাবে। অতএব মুষলপর্ব দীর্ঘায়িত হবে।
এ প্রসঙ্গে বুদ্ধিজীবিদের দিকে অনেকে বঙ্কিম কটাক্ষ করছেন - তাঁরা কেন নীরব। ভাবটা এমন, বুদ্ধিজীবিরা রাস্তায় নামলেই যেন সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। প্রথমত, এই শ্রেণির মানুষদের নিজস্ব স্বার্থ থাকে, তাই যখন যে সরকার ক্ষমতায় তার কাছাকাছি থাকার প্রবণতা থাকে এঁদের। দ্বিতীয়ত, এঁরা রাস্তায় নামা যথেষ্ট নয়, কারণ সরকার উলটে দেবার ক্ষমতা এঁদের নেই। যতক্ষণ না সাধারণ মানুষ ক্ষেপছেন, বুদ্ধিজীবিরা কিছুই করতে পারবেন না, মানুষকে ক্ষেপানো বা নেতৃত্ব দেবার কাজটাও তাঁদের নয়। তৃতীয়ত, সব ঘটনায় রাস্তায় নামবেন... এমনকী সর্বোচ্চ পর্যায়ের সৎ বুদ্ধিজীবিরও কাজ নয় সেটা। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন যে সব ইস্যুতে তাঁকে প্রতিবাদ করতে হবে, এমনকী প্রতিবাদীদের পোষা ময়নাও নন। নিজের বিচারবুদ্ধি অনুযায়ী নামবেন অথবা নামবেন না, তাঁদের ব্যাপার। আসল কাজটা তো করতে হবে বিরোধী দলগুলোকে। মানুষকে ক্ষ্যাপানোর কাজ, তাদের রাস্তায় নামাবার কাজ। সেই কাজটা বুদ্ধিজীবিরা করবেনই বা কেন? বাম দলগুলোর মূল শত্রু তৃণমূল না বুদ্ধিজীবি, সেই প্রশ্ন ঘোলাটে হয়ে গেলে তা তৃণমূলেরই সুবিধা, সে কথা অনেকেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে বুঝছেন না। এই মুহূর্তে তাই বামেদের উচিত প্রেসার পয়েন্ট তৈরি করা, সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে যাওয়া, মানুষকে এজিটেট করা। সেটা না করতে পারার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানো ভাল লক্ষণ নয়।
এই সম্পাদকীয় মনে করে, পশ্চিমবঙ্গ খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি না বুঝলে বামেদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। মমতা তথা তৃণমূল প্রকৃত অর্থে একটি জনবাদী বা পপুল্যিস্ট দল। জনবাদী দলগুলির দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে যা তৃণমূলের মধ্যে প্রখরভাবে বিরাজমান। প্রথমত, দলের নেত্রীই সর্বেসর্বা এবং তাঁকেই জনগণের প্রকৃত প্রতিভূ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা। মমতার ক্রমাগত নিজেকে প্রজেক্ট করা, বলা যে তাঁকে অপমান মানে 'বাংলাকে অপমান' অথবা তিনিই প্রত্যেকটি আসনে প্রার্থী এই রাজনৈতিক প্রবণতার বাস্তব রূপ। দ্বিতীয়ত, জনগণের প্রতিনিধিত্বের নামে নেতা অথবা দল সমস্ত নীতিগ্রহণ করবে জনগণের মতামত ব্যতিরেকে। কিন্তু সেই নীতির কিছুটা অংশ সরাসরি জনগণের স্বার্থে আপাতদৃষ্টিতে গৃহীত হবে। যেমন, লক্ষীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি মমতা নিজেই ঘোষণা করেছেন, যেন তিনি সবাইকে এগুলো উপহার দিচ্ছেন। কিন্তু জনগণ একত্রিতভাবে যদি কোনো দাবি জানায়, যেমন এসএসসি-র পরীক্ষার্থীরা অথবা ডেউচা-পাঁচামির আদিবাসীরা, তবে তা ভালো চোখে দেখা হবে না। অতএব জনবাদী রাজনীতির মধ্যেই নিহিত রয়েছে এক অগণতান্ত্রিক চিন্তাধারা যা জনগণের চোখে নেতাকে তাদের প্রতিভূ হিসেবে গড়ে তোলে কিন্তু তাঁদের সক্রিয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় রাষ্ট্রশক্তিকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পিছপা হয় না।
জনবাদী রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের এই যে টেনশন তা তৃণমূলের আমলে বাড়ছে এবং আগামীদিনে আরো বাড়বে কারণ একটি নীতিহীন সমাজবিরোধীদের তোষণকারী দল, জনগণের জন্য যে সমস্ত সরকারী নীতি গ্রহণ করেছে তার থেকে টাকা আদায় করতে গোটা দলটি ব্যস্ত। এই তোলার টাকা সরাসরি গরীবদের থেকে শোষণ করে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্যে শিল্পের অভাব, বেকার যুবকরা সংখ্যায় প্রচুর। তাদের জন্য শুধুমাত্র সরকারী প্রকল্প নয়, বিভিন্ন বেআইনি বা আধা-আইনি কারবার গড়ে উঠেছে তৃণমূলের আমলে। বালি খাদান, কয়লা পাচার, গরু পাচার ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে যেই সমান্তরাল অর্থনীতি চলে তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে হিংসার বীজ। একদিকে জনবাদী সরকারী প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপক শ্রেণি এবং অন্যদিকে তৃণমূলের হাতে শোষিত মানুষ এবং বাড়তে থাকা রাজনৈতিক দুর্নীতি ও হিংসা - এই দুই অন্তর্দ্বন্দ্বের সমাধান কোন পথে হবে তার উপরেই নির্ভর করছে তৃণমূল সরকারের ভবিষ্যৎ।
এই প্রক্রিয়াকে তৃণমূল সরকারের উৎখাতের দিকে ত্বরাণ্বিত করার দায়িত্ব প্রধানত বামপন্থীদের। কিন্তু বামপন্থীদের বর্তমানে হীনবল হয়ে যাওয়াই তাদের প্রধান সমস্যা নয়। তাদের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হল মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সার্বিক গ্রহণযোগ্য সমালোচনা জনমানসে হাজির না করতে পারা। প্রত্যেকটি কথায় ৩৪ বছরে ফিরে যাওয়ার কোনো মানে নেই। মেনে নিতে হবে ৩৪ বছরের গৌরব যেমন রয়েছে তেমনি বহু অন্ধকার প্রদীপের নিচে রয়ে গিয়েছিল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতন ঘটনা, পাড়ায় পাড়ায় দাদাগিরি ইত্যাদি নিয়ে বহু চর্বিত চর্বণ হয়েছে। ফলে ৩৪ বছরের ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে তার থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সময়ের নতুন রাজনৈতিক আখ্যান তৈরি করতে হবে। মমতার জনবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে উগ্র সাম্প্রদায়িক বিজেপি মাথাচাড়া দিল কিন্তু বামেরা হীনবল হয়ে গেল কেন, এর সঠিক উত্তর খুঁজতে হবে। গরীব সাধারণ মানুষের উপর নেমে আসা প্রতিটি আক্রমণের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের বুক চিতিয়ে লড়তে হবে। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যেই যেন স্পষ্ট থাকে নতুন রাজনীতির উপাদান। সেই রাজনীতির খোঁজ এবং তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে সংগ্রাম এটাই আপাতত বামপন্থীদের প্রধান কর্তব্য। পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে বামপন্থীদের এই মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের ফলের ভিত্তিতে।