আরেক রকম ● দশম বর্ষ ত্রয়োবিংশ সংখ্যা ● ১-১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ● ১৬-২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

জান বাঁচানোর কানাকড়ি

অনিন্দিতা রায় সাহা


গাছপালা আর স্বচ্ছ হাওয়া কি আমাদের প্রাণশক্তির উৎস? জলজঙ্গল কি আমাদের সুস্থ জীবনযাপনের জরুরি উপাদান সরবরাহ করে? চারপাশের পরিচ্ছন্ন আর পরিষ্কার পরিমণ্ডল কি আমাদের আয়ু, স্বাস্থ্য আর সুস্থ যাপনকে নিশ্চিত করে? যদি তাই হয়, তবে পরিবেশ রক্ষাকে প্রাণ বাঁচানোর দায় বলা যেতে পারে। সে নদী বাঁচানো হতে পারে, অরণ্য আর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ হতে পারে কিংবা হতে পারে শহুরে প্রদূষণ থেকে মুক্তি। তাই এর জন্য যে খরচখরচা, তাকে আমাদেরই জান বাঁচানোর মাশুল বলে মেনে নিতে হবে। আর সে দায় আমার আপনার সবার। আর সবচেয়ে বেশি যে কোনো দেশের সরকারের। রাষ্ট্রের বিভিন্ন খরচের দায়িত্বের মধ্যে একটি হল পরিবেশ রক্ষা ব্যয় (Environmental Protection Expenditure বা EPE)।

সরকারি দায়িত্বগুলিকে মূল দশটি ভাগে ভাগ করা হয়, যার পোশাকী নাম Classification of Functions of the Government (COFOG)। OECD-ভুক্ত দেশগুলিতে এই সংজ্ঞায়নের সূত্রপাত, যা ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সরকার বিভিন্ন খাতে ব্যয় করে, অর্থনীতির প্রগতির জন্য, দেশের জনগণের উন্নতিকল্পে, দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য, এমনি আরো কত কিছু। যে দশটি প্রধান শীর্ষে এই ব্যয়ের বন্টন করা হয়, যাকে বলে first level COFOG, সেগুলি হল -
• সাধারণ সর্বজনীন সেবা
• প্রতিরক্ষা
• সার্বজনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা
• আর্থিক কার্য
• আবাসন ও গোষ্ঠী উন্নয়ন
• পরিবেশ সংরক্ষণ
• স্বাস্থ্য
• মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম
• শিক্ষা
• সামাজিক সুরক্ষা

এর প্রতিটি শীর্ষের মধ্যে আছে আরো অনেকগুলি অনু-শীর্ষ, যাকে second level COFOG বলা হয়।

• সাধারণ সর্বজনীন সেবা বলতে বোঝায় সরকারের আর্থিক, রাজকোষীয় ও বিত্ত ব্যবস্থা, বিদেশী অনুদান ও বৈদেশিক সম্পর্ক ইত্যাদি। এ ছাড়া মূল প্রশাসন ও আইনব্যবস্থা তো আছেই।
• প্রতিরক্ষা খাত আমাদের অতি পরিচিত, ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
• পুলিশ, কারাগার থেকে শুরু করে অগ্নি নির্বাপন, এগুলি পড়ে সার্বজনিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায়।
• আর্থিক কার্যের মধ্যে পড়বে প্রশাসন-নিয়ন্ত্রণ-অনুসন্ধান, কৃষি-বন-মৎস্যচাষ, খনি-শিল্প, জল ও শক্তি সরবরাহ, পরিবহন ইত্যাদি।
• আবাসন ও গোষ্ঠী উন্নয়ন বলতে কেবল গৃহনির্মাণ নয়, রাস্তাঘাট, জল সরবরাহ, নিকাশি ব্যবস্থা এসব দায়িত্বকেও বোঝায়।
• পরিবেশ সংরক্ষণ, আমাদের এই নিবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয়টি তালিকায় মাঝামাঝি জায়গায় আছে। পরিবেশ বাঁচানোর অর্থ বলতে বোঝানো হয়েছে, প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ, আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ।
• স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় কাকে বলে তাও বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না।
• বাকি রইল সামাজিক সুরক্ষা ও মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম। প্রথমটির উদ্দেশ্য মহৎ, বৃদ্ধ-পতিত-অবহেলিত, অনাথ-গৃহহীন, ব্যাধি অথবা দুর্যোগের শিকার, এমনি সব দেশবাসীর সুরক্ষা।
• পরিশেষে, দেখা যাক মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম। এটি একটি বিরাট ছাতা। খেলাধুলা থেকে মনোরঞ্জন, সাংস্কৃতিক থেকে ধর্মীয়, নানারকমের ক্রিয়াকলাপ আর অনুষ্ঠান এর অন্তর্ভুক্ত।

অন্যান্য দেশের মতো ভারত সরকারও প্রতি আর্থিক বছরে এই COFOG অনুযায়ী ব্যয়ের খতিয়ান ঘোষণা করে। লক্ষ কোটির সে হিসাব, ক্রমবর্ধমান সে পরিমাণ। যেমন দেখা যাচ্ছে, ২০১১-১২ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত সময়ে এই ব্যয়ের পরিমাণ বিপুল (কোটি টাকা, স্থির মূল্যে), যা প্রভূত পরিমাণে বেড়েছে (সারণি ১)। অর্থাৎ দেশ চালানোর জন্য খরচ হচ্ছে।

সারণি ১: সরকারি ব্যয়ের হিসাব (কোটি টাকা)

ক্ষেত্রভিত্তিক ব্যয় ২০১৯-২০ ২০১১-১২ % বৃদ্ধি
সাধারণ সর্বজনীন সেবা ৫৪০৪১৯ ৩৭৬৮৩২ ৪৩
প্রতিরক্ষা ৩৫৭৫০৪ ২৩৭৭৫৪ ৫০
সার্বজনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ২৩৭০৪১ ১১৬১৬১ ১০৪
আর্থিক কার্য ১১৭৯৫৬৯ ৭২৭৮৬১ ৬২
আবাসন ও গোষ্ঠী উন্নয়ন ৩২২৪২৩ ১২১৪৯৬ ১৬৫
পরিবেশ সংরক্ষণ ২৯৯৪ ১৬৭৬ ৭৯
স্বাস্থ্য ১৯৫০৩৮ ৮৭৮০৫ ১২২
মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম ২৫৭২৯ ১৪৮০৮ ৭৪
শিক্ষা ৬৭৫৮৪৪ ৩৮৫৩৪৫ ৭৫
সামাজিক সুরক্ষা ২৮৮৭০৬ ১২০১৫৪ ১৪০

সূত্রঃ ভারত সরকার, ২০২১

এতসব খরচের হিসাব, বড়ো বড়ো মাথা, বিশাল বিশাল অঙ্ক, এসবের দিকে এইবার একটু ভাল করে নজর দেওয়া যেতে পারে, দেখা যেতে পারে সরকার বাহাদুর কোন খাতে কেমন উপুড়হস্ত করেন। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই খরচ কেমন বেড়েছে, মূল্যমানে আর আপেক্ষিকভাবে। ওপরের সারণিতে দেওয়া সংখ্যাগুলিতে শতকরা বৃদ্ধির হার বেশ সন্তোষজনক। কিন্তু প্রকৃত মান দেখলে তারা মোটেই তুলনীয় নয়। কেউ যদি পেয়েছে সাত বা চার লক্ষ কোটি, তো কারো কপালে শুধুই দেড় হাজার কোটি। আর এই বিচ্যুতির হিসাবে সবচেয়ে কাঙাল পরিবেশ রক্ষার খাতটি।

প্রথম পাঁচটি বিভাগে খরচের বহর বিরাট, সাধারণেও বুঝবে এর প্রয়োজনটাও ব্যাপক। দেশ চালানোর খরচ তো! আর্থিক কার্য উপলক্ষ্যে সাত লক্ষ কোটি টাকা ধার্য তো হবেই। আর তা বেড়ে এগারো লক্ষ কোটি হয়েছে দশ বছরে। সেরকমই বড়ো এবং বর্ধমান খাত প্রতিরক্ষা, সাধারণ সেবা ও সুরক্ষা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, শিল্পোন্নয়ন ও নগরায়ণের সাথে সাথে আবাসন ও গোষ্ঠী উন্নয়ন বাবদ ব্যয়ের মাত্রাও বাড়তে বাধ্য।

এবার দেখা যাক শেষের পাঁচটি শীর্ষ। এগুলি মুখ্যত সামাজিক। তাই এদের বন্টন দেখলে অনেকখানি অনুমান করা যায় সরকারী নীতিতে অগ্রাধিকার কার। সেই সঙ্গে এও খতিয়ে দেখা যায় যে এইসব খরচের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কিনা। এবার সামাজিক খাতগুলিকে আলাদা করে নেওয়া যাক, অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, সামাজিক সুরক্ষা আর ধৰ্ম-সংস্কৃতি-মনোরঞ্জন, এই পাঁচটি আমাদের আলোচ্য। দুঃখজনকভাবে, এর মধ্যে ন্যূনতম বরাদ্দ জুটেছে পরিবেশের কপালে। শুধু কমই নয়, মারাত্মক রকমের কম। শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম আর পরিবেশ - পরিমাণের হিসেবে এই হচ্ছে বন্টনের ক্রম। যেখানে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকা, সামাজিক সুরক্ষা পৌনে তিন লক্ষ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য পৌনে দুই লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে পরিবেশ কেবল তিন হাজার কোটি টাকা! এমনকি মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম নামক একটি খাত, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, যার নামে অনেক বিতর্ক-সাপেক্ষ খরচ হতে পারে, তার ভাগেও বেশি বরাদ্দ, পঁচিশ হাজার কোটি টাকা! ২০১১-১২ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত সময়ে পরিবেশ খাতে খরচ বেড়েছে ৭৯%। এই বৃদ্ধি আপাতদৃষ্টিতে বেশ ভালো। কিন্তু যদি মনে রাখা যায় যে এতটা বেড়েও পরিমানটা কেবল তিন হাজারে পৌঁছেছে, তাহলে কী ভীষণ কম ছিল গোড়াতে! আরো লক্ষ্যনীয় যে, শিক্ষা, পরিবেশ আর মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম একই হরে বেড়েছে এই সময়ে। মেনে নেওয়া যাক যে, পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব সাম্প্রতিককালে অনুভূত হয়েছে আর তাই ২০১১-১২ সালে এতো বরাদ্দ করা হয়নি। উল্টোদিকে বলা যায়, গত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশ দূষণ, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ইত্যাদি সারা পৃথিবীর আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশের সরকারী নীতিতে যদি এগুলির যথোপযুক্ত গুরুত্ব থাকতো, তাহলে এই খাতে ব্যয় ২০১৯-২০ পর্যন্ত সময়ে সূচকীয় হারে (exponential rate) বৃদ্ধি পেতো। পরিবেশের প্রতি অনীহা যে আমাদেরই ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনবে, সে চেতনা শুধু মুখের কথায় নয়, বরাদ্দ আর ব্যয়ের মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া দরকার।

পরিবেশ রক্ষা খাতে বরাদ্দের কালানুক্রমিক ধারা (সারণি ২) পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে যে এর বার্ষিক গতি শুধু যে বাড়েনি তাই নয়, কখনো কখনো এর হার লক্ষ্যণীয়ভাবে ঋণাত্মক। মাঝে মাঝে ২০১৩-১৪, ২০১৭-১৮ আর ২০১৮-১৯ সালে যে বেশ বড় রকমের বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তা সেই সময়ের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সহজেই জুড়ে দেওয়া যায়। এক কথায়, ধারাবাহিকভাবে পরিবেশ রক্ষার জন্য কোনো ব্যয়ের ধারা (trend) দেখা যাচ্ছে না।

সারণি ২: পরিবেশ রক্ষা খাতে কালানুক্রমিক অর্থ বরাদ্দ

সাল টাকা (কোটি) বার্ষিক বৃদ্ধি (%)
২০১১-১২ ১৬৭৬ -
২০১২-১৩ ১২৬৫ -২৪.৫
২০১৩-১৪ ১৯৯৭ ৫৭.৯
২০১৪-১৫ ১৪০৩ -২৯.৭
২০১৫-১৬ ১৪৮০ ৫.৫
২০১৬-১৭ ১২৩৬ -১৬.৫
২০১৭-১৮ ১৮৩৮ ৪৮.৭
২০১৮-১৯ ৩০৪৮ ৬৫.৮
২০১৯-২০ ২৯৯৪ -১.৮

সূত্রঃ ভারত সরকার, ২০২১; লেখকের গণনা

শেষ করার আগে আরো কিছু পরিসংখ্যানের হিসেবে দেখে নেওয়া যেতে পারে। ভারত সরকারের মোট ব্যয় বরাদ্দের মধ্যে প্রতিটি COFOG খাতের শতকরা ভাগ কতখানি (সারণি ৩) তা বিশ্লেষণ করলে আমার দেখতে পাবো এখানেও পরিবেশের ভাগ্য বিরূপ। মোট ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাগ আশানূরূপভাবেই আর্থিক কার্যাবলী। কিন্তু পরিবেশের ভাগ সবচেয়ে কম, এমনকি মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম নামের শীর্ষটিও সরকারের বেশি কৃপাপ্রাপ্ত! যেখানে তার ভাগ মোট ব্যয়ের ০.৬৮%, সেখানে পরিবেশ রক্ষার ব্যয়ের ভাগ মোট ব্যয় বরাদ্দের ০.০৮% মাত্র। অন্যান্য শীর্ষগুলির ভাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওঠাপড়া করে, সাধারণত বাড়ে। অথচ এই একটি মাত্র মাথা যেখানে বরাদ্দের ভাগ অচঞ্চল।

কিছু বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করলেও মোটামুটি একই চিত্র দেখা যাবে। সেখানে মাত্র ৭.০৮% বরাদ্দ হয় সামাজিক খাতে (২০২১)। এইগুলিকে COFOG শ্রেণীবিভাগের সাথে মোটামুটি মিলিয়ে নিলে দেখা যাচ্ছে যে তার মধ্যে মাত্র ০.৩০% পরিবেশের কোঠায়, বাকিরা ১,২,৩ শতাংশ পেয়ে ভাগ্যবান। পরিবেশ সংক্রান্ত মন্ত্রালয়, যেমন, জল, শক্তি, অরণ্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ইত্যাদি যে খরচ করে তার মধ্যেও কোনো অন্যরকম ছবি পাওয়া যায় না।

সারণি ৩: মোট ব্যয়ের মধ্যে বিভিন্ন শীর্ষের অংশ (%)

ব্যয় ২০১১-১২ ২০১৯-২০
সাধারণ সর্বজনীন সেবা ১৭.২১ ১৪.১৩
প্রতিরক্ষা ১০.৮৬ ৯.৩৫
সার্বজনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ৫.৩০ ৬.২০
আর্থিক কার্য ৩৩.২৪ ৩০.৮৪
আবাসন ও গোষ্ঠী উন্নয়ন ৫.৫৫ ৮.৪৩
পরিবেশ সংরক্ষণ ০.০৮ ০.০৮
স্বাস্থ্য ৪.০১ ৫.১০
মনোরঞ্জন-সংস্কৃতি-ধৰ্ম ০.৬৮ ০.৬৭
শিক্ষা ১৭.৬০ ১৭.৬৭
সামাজিক সুরক্ষা ৫.৪৯ ৭.৫৫

সূত্রঃ ভারত সরকার, ২০২১; লেখকের গণনা

যে দেশগুলি পরিবেশ রক্ষাকে তাদের জাতীয় নীতির মধ্যে প্রাধান্য দিয়েছে, যাদের আমরা OECD নামে জানি, যাদের আমরা উন্নত বিশ্বের দেশ বলে জানি, তাদের খরচের হিসেবে একটু উঁকি দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া তার মোট সরকারি ব্যয়ের ৭% খরচ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য। সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিতে এর মান ৫%, ডেনমার্ক, সুইডেন আর ইটালীতে ৪%, ফ্রান্সে ৩%। ভারতের সংখ্যাটা ওপরেই দেওয়া আছে, ০.০৮%।

পুরো আলোচনায় উপস্থাপিত নানারকম সংখ্যাগুলিতে চোখ বোলালে স্পষ্টই বোঝা যায় সরকারি নীতির অভিমুখ। বোঝা যায়, বিশ্বের দরবারে যে ঘোষণাই হোক না কেন, যে রাজনৈতিকভাবে সঠিক কথাগুলোই বলা হোক না কেন, সেগুলো কাজের বেলায় শূন্যগর্ভ। সচেতন পাঠক এই পরিসংখ্যান দেখে সচকিত হবেন, বিচলিত হবেন, এই উদ্দেশ্যে কিছু সরকারি সূত্র ঘেঁটে তথ্য একত্র করা। অন্যান্য অনেক দাবীর মতো এই বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আওয়াজ ওঠা দরকার। পরিবেশের রক্ষা সবচেয়ে প্রাথমিক। আগে শুদ্ধ পরিবেশে শুদ্ধ জীবন, তারপরে জীবিকা, প্রগতি আর বিকাশ।