আরেক রকম ● দশম বর্ষ প্রথম সংখ্যা ● ১-১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ● ১৬-২৯ পৌষ, ১৪২৮
ফিরে দেখা
সম্পাদকীয়
অশোক মিত্র
এটাই তো আরেক রকম৷ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীতে যে-ক’জন আছি, আমাদের অতীত তথা বর্তমান চারণভূমি আলাদা, অভিজ্ঞতাও বিভিন্ন ধরনের, অনেক বিষয়েই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেও তাই কম-বেশি এদিক-ওদিক৷ অথচ একটি ক্ষেত্রে আমরা প্রবল সহমত পোষণ করি৷ একটি বিশেষ প্রশ্ন আমাদের সবাইকে সম্প্রতি কুরে-কুরে খাচ্ছেঃ কোন্ অগ্রগামী অধঃপাতের দিকে আমাদের দেশ-সমাজ-সংস্কৃতি ঊধর্বশ্বাসে এগিয়ে চলেছে, পরিবেশের কেন এমন নোংরা চেহারা, রাজনীতির প্রাঙ্গণে কেন এত চরিত্রহীনতা, অর্থব্যবস্থায় কেন এত অশ্লীল বৈষম্য তথা অসামঞ্জস্য, সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে রুচি কেন ক্রমশ বিকৃত থেকে বিকৃততর, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য কেন নিয়মে পরিণত, সমাজচেতনাকে কেন্দ্রবিন্দু করে একদা যে - মূল্যবোধ প্রায় সর্বজনগ্রাহ্য স্বীকৃতি পেয়েছিল, তা এখন কেন প্রত্যাখ্যাত? বিশ্বায়নজড়িত পরিব্যাপ্ত অর্থগৃধ্নুতার ঘাড়েই এই সার্বিক রূপান্তরের দায় চাপানো সংগত হবে কিনা হয়তো তা নিয়ে আমাদের মধ্যে মতান্তর আছে, কিন্তু মলিন দিনগুলি একটু-একটু করে যে মলিনতর হচ্ছে, চারপাশে আবর্জনার জঞ্জাল যে আরো-আরো স্তূপীকৃত হচ্ছে, তা নিয়ে তো কোনো সংশয় নেই৷
অন্য যে বিষয়ে আমাদের মধ্যে নিবিড় মতৈক্য, সার্বিক অধোগমনের প্রবণতাকে ললাটলিখন বলে মেনে নিয়ে হাত-পা গুটিয়ে মহাপ্রলয়ের বিশেষ মুহূর্তটির জন্য প্রতীক্ষায় থাকা মহাপাতকের সমার্থক, প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ার দায়িত্ব আমাদের বহন করতে হবে, যে যেখানে অবস্থান করছি আমাদের প্রত্যেককে৷ আমাদের উপর গোটা ভুবনের ভার বাইরে থেকে কেউ চাপিয়ে দেবে না, কারণ সেই মাথাব্যথা নেই, আমাদেরই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মঞ্চে অবতীর্ণ হতে হবে৷ সামনের দিকে কী আছে তা আমাদের জানা নেই, কী আর করা, এ ধরনের নেতিবাচক উচ্চারণে বিরত থেকে আমরা যেন বিকল্প উচ্চারণ করিঃ সামনের দিকে কীসের অবস্থান তা নির্ভর করছে আমাদের আচরণ-বিচরণ-সিদ্ধান্তের উপর৷ হতভম্ব উদ্রেককারী পরিস্থিতি৷ তাহলেও আমাদের প্রতীতি, ইতিহাসের এখানেই ইতি ঘটছে না, আগামী দিনে ইতিহাস কোন্ দিকে ঘুরবে তার নিয়ামক হতে পারি আমরাই৷
ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথাই বলি৷ অসাম্যে পরিকীর্ণ অর্থব্যবস্থা, নানা জাতপাত-ভিত্তিক দ্বন্দ্ব, সাম্প্রদায়িক গোঁড়ামি, পরিকীর্ণ আঞ্চলিক আচরিক বিভেদ - এ সমস্ত কিছু সত্ত্বেও গোটা দেশ জুড়ে চক্ষুলজ্জা-মেশানো একটি সামগ্রিক অনুশাসন মোটামুটি, অন্তত বিংশ শতাব্দীর উপান্ত পর্যন্ত, মেনে চলা হতোঃ যত কদাচারেই মত্ত হও, লক্ষণরেখাটি অতিক্রম করতে নেই, সাধারণ মানুষজন, অর্থাৎ সমাজব্যবস্থা, সে-ধরনের অনাচার মেনে নেবে না৷ যতই অন্তর্লীন দ্বন্দ্বে বিধ্বস্ত হোক আমাদের পরিবৃত্ত, কিছু-কিছু নিয়ম-নীতির নিয়ন্ত্রক যে-অদৃশ্য সমাজ, তার সম্পর্কে খানিকটা শ্রদ্ধা-মেশানো ভয়, নয় তো ভয়-মেশানো শ্রদ্ধা৷ সেই সঙ্গে, স্বাধীনতা আন্দোলনের ভাবাদর্শের ঐতিহ্য হিসেবেই হয় তো, রাষ্ট্রকে নিয়েও ঈষৎ আস্থাজ্ঞাপক মানসিকতাঃ রাষ্ট্র সমাজের প্রতিভূ, সংবিধানের নির্দেশবলে সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপর অর্পিত৷ একটা সময়ে রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীলতা এত স্বতঃসিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়েছিল যে সংবিধান সংশোধন করে ভারতবর্ষকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করা হলো পর্যন্ত, আর্থিক ও সামাজিক মুক্তির দিশা দেখাবে রাষ্ট্র, এটাই যেন শেষ কথা৷
ঝটপট অনেকগুলি বছর গড়িয়ে যাওয়ার পর ইতিহাসের নতুন অধ্যায়৷ একই রাজনৈতিক দল এই দীর্ঘ সময় জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অধিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও উলট পুরাণ৷ নতুন একটি আর্থিক দর্শনের ঢেউ এসে ধ্যান-ধারণা পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লো৷ সমাজের প্রতি নিছক অন্যমনস্কতা নয়, অশ্রদ্ধা তথা অবজ্ঞা পোষণঃ মানুষের উপর ছড়ি ঘোরাবার কোনো অধিকার সমাজের নেই, মানুষ স্বয়ম্ভূ, নিজের ইচ্ছায় সে নিজেকে চালনা করবে, সমাজ এবং রাষ্ট্রের নাক গলানো চলবে না৷ ব্যক্তিমানুষের উচিত সর্বদা নিজের স্বার্থচিন্তা করা, জীবনে কী উপায়ে কতটা একমাত্র নিজের উন্নতি ঘটানো যায় সেই সাধনায় মগ্ন থাকাই তার নিজের কর্তব্য৷ লক্ষ্মীছাড়া রাষ্ট্র যেন বাধা দিতে না আসে৷ প্রত্যেকেই যদি নিজের নিয়ে ভাবে, নিজের-নিজের চরকায় তেল দেয়, তা হলেই নাকি গোটা দেশ এগিয়ে যাবে৷ রাষ্ট্র শুধু প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকবে৷ আর্থিক পরিকাঠামো সুগঠনের ভার গ্রহণ করবে, খবরদার, তার বাইরে হাত বাড়াবে না, কৃষি-শিল্পের দিকে কুনজর দেবে না, ব্যক্তিমানুষ কৃষি-শিল্পে-ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধাবন্ধহীন, পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে, দক্ষতায় একে অপরকে হারিয়ে দিয়ে বাজার দখল করার চেষ্টা করবে৷ যে সফল হবে বাজার যাকে বিজয়ী বীর বলে ঘোষণা করবে, সে লাভের পাহাড়ের উপর চড়ে বসবে, প্রতিযোগিতায় যারা পরাজিত হলো, তাদের দিকে ফিরে তাকাবার দরকার নেই৷
এই নিদারুণ জীবনদর্শন সমাজকে গত দুই দশক ধরে বিপর্যস্ত করেছে৷ এমনিতেই যে-সমাজ গভীর অসাম্যের শিকার ছিল, যে-করেই-হোক-লাভ-করো, অর্থগৃধ্নতা আদৌ-দূষণীয়-নয় বরঞ্চ-আত্নোন্নতির-আকর ইত্যাকার বরাভয় সামাজিক মূল্যবোধকে ক্রমশ চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছে৷ যে করেই হোক মুনাফা করতে হবে, চুরি-ডাকাতি করে হলেও কিছু যায় আসে নাঃ প্রশাসনের শীর্ষে যাঁরা আছেন, তাঁরাই প্রতিদিন তা প্রমাণ করে যাচ্ছেন, চোখের চামড়াটা পর্যন্ত খসে পড়েছে৷ সমষ্টি ব্যক্তির শত্রু, রাষ্ট্র যেহেতু সমষ্টির প্রতিনিধিত্ব করে, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করতে না পারলে সাধারণ নাগরিকের পক্ষে স্বাধীনভাবে আচরণ-বিচরণ তথা জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যে-সব রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প স্থাপিত হয়েছে, সে-সব জলের দরে বিকিয়ে দেওয়াই যেন অতএব বিধেয়৷ তেল-গ্যাস-কয়লা-দস্তা গোছের জাতীয় সম্পদও অতি ত্বরায় বে-সরকারি মালিকদের কাছে বেচে দেওয়া মন্ত্রী-আমলাদের এই ধরনের ফরমানই যেন আপাতত তাঁদের প্রধান কর্তব্য৷ পরম উপকৃত কৃতজ্ঞ মালিকপক্ষ যদি কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে কিছু উপঢৌকন অর্পণ করেন, তাকে 'উৎকোচ' বলে বর্ণনা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়৷ কোটি কোটি বেকার, কৃষিক্ষেত্রে দিনমজুর-ভাগচাষি-ছোট কৃষককুল ধুঁকছেন, তাতে সরকারের তেমন মাথাব্যথা নেই৷ যেহেতু নব্য আর্থিক বিধানহেতু শিল্প-বাণিজ্যের উপর সমস্ত নিগড় তুলে নেওয়া হয়েছে, বিদেশ থেকে অঢেল সামগ্রীক আমদানি, প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকবার তাগিদে অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত আধুনিকীকরণ, কর্মসংকোচন ঘটছে, অথচ সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ করতে গেলে ছাঁটাইয়ের হুমকি৷ বিদেশী বাণিজ্যগোষ্ঠীকে প্রত্যুদ্গমন করে নিয়ে আসা হচ্ছে, বিদেশীরা আসছেন তাঁদের স্বার্থ প্রসারিত করতে, এদেশের মানুষের শুভ-অশুভ দেখার দায় তাঁদের নেই৷ বিদেশী আক্রমণ দেখিয়ে প্রতি বছর হাজার-হাজার লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, অনুরূপ বরাদ্দ হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বৃদ্ধির বেচার নেশায়৷ বিদেশ থেকে অঢেল অস্ত্র আমদানি ক্রমবর্ধমান, অথচ এই হাজার-লক্ষ কোটি টাকা থেকে কে কত টাকা নিজের ট্যাঁকে গুঁজছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলেই 'দেশদ্রোহী' সম্ভাষণে ভূষিত হবার ঝুঁকি, আরো হাজার-হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর উগ্রপন্থী দমনের নামে ব্যয়িত হচ্ছে যার বিশদ বিবরণ দাখিল করবার দায় সরকারের নেই৷ অথচ সর্বজনীন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ-ব্যবস্থা মারফৎ দরিদ্রতম মানুষজনদের নিয়মিত সামান্য কিছু খাদ্যশস্য সস্তায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাবে সরকারের গভীর অনীহা৷ তত্ত্বকথা তৈরিঃ ভরতুকি নিয়ে খাদ্যশস্য বিতরণ করলে পুঁজিপতি ব্যবসায়ীদের মন খারাপ হবে, বাজারি প্রতিক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা হবে, তা নাকি ঘোর পাপ, সরকারের বিবেক কাঁপে৷ তবে স্বাধীন ভারতবর্ষের কোনো হতচ্ছাড়া নাগরিকের মৃত্যু ঘটলে সরকারের বিবেক অকম্পিত৷ বিদেশী সংস্থাগুলি নির্বিচারে বাজারে ওষুধের দাম যদি বাড়িয়ে যায়, সে-ক্ষেত্রেও সরকারের বিবেক অনড়, বাজারি প্রক্রিয়ায় তো হস্তক্ষেপ করা যায় না, তেমনটা করতে গেলে বিদেশী বন্ধুরা অসন্তুষ্ট হবেন, তাঁরা গোঁসা করলে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পাবে, দেশ বিপন্ন হবে৷
গত কুড়ি-পঁচিশ বছরের বিদেশী বিনিয়োগমোহ তথা ‘মুক্ত’ অর্থনীতির প্রকোপে দেশের শতকরা আশি-পঁচাশি ভাগ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বই কমেনি, আখের গুছিয়েছেন উপরতলার মহান নাগরিকবৃন্দ৷ এ এক অলজ্জ সামাজিক ব্যবস্থা, কিন্তু বলা হবে মুক্ত অর্থনীতির যেহেতু এটাই পরিণাম, শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিতে হবে, গরিবদের আপাতত একটু অসুবিধা হচ্ছে হয়তো, তবে চিন্তার কারণ নেই, বড়োলোকদের হাতে তো এখন অনেক টাকা, তাঁরা খরচাপাতি করবেন, বিক্রি-বাটা বাড়বে, গরিবদের তাতে সুবিধা হবে৷
অভিজ্ঞতা তা বলে না৷ গবিরদের আদৌ সুবিধা হয়নি, হওয়ার সম্ভাবনাও নেই৷ কর্তাব্যক্তি সম্প্রদায় তবুও অনড়৷ উদারীকরণের ফলে অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম, অবস্থার মোড় ফেরাতে নাকি আরো উদার করতে হবে অর্থব্যবস্থাকে নইলে উপায় নেই৷ আমাদের চোখে অনন্তকালের জন্য ঠুলি পরিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে, বিভ্রান্তি অনেক দূর ছড়িয়েছে৷ এমনকী অনেক আদর্শবাদী বামপন্থী পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস খুইয়ে বসতে চলেছেন৷ এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে বিভিন্ন গোত্রের ভেকধারীরা আসরে নেমেছেন৷ তাঁরা জমির লেন-দেনে রাষ্ট্রকে নাক গলাতে না দিতে দৃঢ়বদ্ধ৷ সরকারি অধিগ্রহণে তাঁদের প্রচার অনুযায়ী কৃষকদের স্বার্থ ব্যাহত হয়৷ তাঁদের এই অবস্থানের ফলে অসহায় গ্রামবাসী শোষণকারী দালাল ও পুঁজিপতিদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন৷ যাঁরা খুচরো ব্যবসায় বিদেশীদের ঢুকতে না দিতে বদ্ধপরিকর, তাঁরা গরিব খেটে-খাওয়া মানুষদের স্বার্থ নাকি কিছুতেই বিপন্ন হতে দেবেন না, তাঁরাই অথচ দরিদ্র শ্রমজীবীদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নিতে সমান অঙ্গীকারবদ্ধ৷
এটা এই মুহূর্তে হট্টমালার দেশ, যাঁদের গলার দাপট বেশি, তাঁদের কথাই সবচেয়ে বেশি কর্ণগোচর হচ্ছে, খবরের কাগজে-বেতারে-দূরদর্শনে তাঁরা সমস্ত জায়গা জুড়ে বিরাজ করছেন৷ একই ধরনের যুক্তি-অযুক্তি-কুযুক্তি, একই ধরনের আস্ফালন, তত্ত্ববিস্তার, একই গোছের তথ্য পরিবেশন৷ চোরের মায়ের গলা উচ্চনাদতম৷ চোরের মায়েরা এই মুহূর্তে সমাজের সর্বত্র সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন, অভিনয় মঞ্চ থেকে খেলার মাঠ, রাজনীতি থেকে শিক্ষাপ্রাঙ্গণ, শিল্পচর্চা থেকে সাহিত্যবিচার, সর্বত্র একই রকম রঙ্গ-বিভঙ্গ৷
অস্বস্তি হয়ঃ কোনো-কোনো মুহূর্তে বিবমিষাবোধ পর্যন্ত৷ সব কিছু মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ প্রথাগত চর্চা থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে একটু আলাদা ধরনের কথোপকথন কি সম্ভব নয়? একটু পরীক্ষা করেই দেখা যাক না কেন৷ আমরা একটি বিনম্র মঞ্চের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, যাঁর যেরকম ইচ্ছা করবে জাগতিক যে-কোনো সমস্যা নিয়ে স্ব-স্ব মতামত ব্যক্ত করুন, তর্ক জমুক, চর্চা চলুক৷ চর্বিতচর্বণ নয়, পরিচিত অভ্যাসমালার রকমফের নয়, অন্য রকম, পুরোপুরি আরেক রকম৷