আরেক রকম ● দশম বর্ষ পঞ্চদশ সংখ্যা ● ১-১৫ আগস্ট, ২০২২ ● ১৬-৩১ শ্রাবণ, ১৪২৯

প্রবন্ধ

পরিচয় পত্রিকাঃ শঙ্খ ঘোষ স্মরণ

শেখর কর্মকার


শঙ্খ ঘোষ। কবিতার কারুশিল্পী। স্বাদু গদ্যকার। মানবিকতার উল্লঙ্ঘনে জাগ্রত বিবেক। রবীন্দ্র রচনার সহজিয়া ব্যাখ্যাতা। ১৯৫২ সালে 'যমুনাবতী' পড়ে 'পরিচয়'-এর তৎকালীন সম্পাদক সুভাষ মুখোপাধ্যায় পরিচয়ের আড্ডায় শঙ্খ ঘোষকে আমন্ত্রণ করেন। পরবর্তীকালে শঙ্খ পরিচয়ের উপদেশক হন। আরো অনেকের সঙ্গেই কোভিড তাঁকে কেড়ে নেয়। তাঁর জন্য স্মরণ সংখ্যা তৈরি করেছেন 'পরিচয়' পত্রিকা। তাঁরা বলেওছেন, শঙ্খ ঘোষ স্মরণ সংখ্যায় তাঁরা তাঁর সাহিত্য-কৃতি বিশ্লেষণে মন দেননি - একটি দুটি ব্যতিক্রমী নিবন্ধ ছাড়া। তাঁদের নজর কবির সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পর্কের খতিয়ান তৈরিতে। তাঁরা একটা যুগের চেহারা আভাসিত করতে চেয়েছেন।

পরিচয় নব্বই বছরের এক আধুনিক প্রগতিবাদী লিবারাল ও হিউম্যানিস্ট কাগজ। প্রথম সম্পাদক সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সময় থেকেই কবিতা সহ সুস্থ তর্ক, মুক্ত বুদ্ধি চর্চায় নিমগ্ন। সস্তা মনোরঞ্জনের পথ পরিচয়ের পথ ছিল না। শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায় তাঁকে বলতেন শঙ্খদা অর্থাৎ 'স্বয়ং খোদা'।

এ সংখ্যায় আছে বাগ্মী পণ্ডিত হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের লেখা, শঙ্খ ঘোষের সত্তর বছর পূর্তিতে - আমাদের শঙ্খ/ কষে নাকো অঙ্ক/ তাকে কভু ছোঁয়নাকো/ হিসাবের পঙ্ক। হীরেন্দ্রনাথের প্রয়াণে পরিচয়ের তরফে শঙ্খ ঘোষের চিঠি খসড়া, 'যেসব বিষয় নিয়ে তিনি (হীরেন্দ্রনাথ) সারাজীবন ভেবেছেন বা কাজ করেছেন, লেখাগুলি হবে সেই প্রসঙ্গে। মার্ক্সবাদ বা রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রনীতি বা সমাজনীতি, সভ্যতার সংকট বা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি'। কবিজায়া প্রতিমা ঘোষের দিনলিপি, দিয়েছেন কন্যা - শ্রাবন্তী ভৌমিক। "১৩ মে, ২০০১ - সন্ধ্যেবেলায় একজন ভদ্রলোক এসেছিলেন। হিন্দী দৈনিক কাগজ 'জনসত্তা'র কাজ করেন। শঙ্খ ঘোষের একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। জানালেন ওই ইন্টারভিউ-র ওপর ষোলো হাজার চিঠি এসেছে, সব নাকি ছাপানো হয়েছে তাঁদের কাগজে।"

অমিয় দেব লিখছেন, " 'বক' মহাভারতীয় 'বনপর্ব' শেষের হ্রদপ্রান্তিক প্রশ্নোত্তরের রূপান্তর। আমরা এক কল্পযুধিষ্ঠিরের জবানে শুনছি।... শঙ্খ ঘোষ ঠাট্টা করছেন না, এক অভিজ্ঞতার আঁচ দিচ্ছেন যার নজির ইতিহাসে প্রভূত। ...শঙ্খ ঘোষের রাজনৈতিক বিবেক যে অ-জাগর নয়, তারও প্রমাণ এক চিরায়তের এই ব্যাজপাঠ।" পবিত্র সরকার যাদবপুরের পদপ্রাপ্তি বিতর্কের কাহিনীতে লিখেছেন "যাদবপুরের বাংলা বিভাগ থেকে দুটি রিডার পদের বিজ্ঞাপন বেরোয়। একটিতে বিশেষজ্ঞতা চাওয়া হয় আধুনিক বাংলা কবিতার, আর একটি ভাষাতত্ত্বের। আমি ছিলাম ভাষাতত্ত্বের পদটির প্রার্থী। কাজেই ওই পদে শঙ্খদার প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর দ্বিতীয় পদটিতে আমার প্রার্থী হওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। ওটাতে শঙ্খদার প্রার্থী হওয়ার কথা। তাঁর রিডার হওয়া থেকে আমি কোনও ভাবেই তাঁকে বঞ্চিত করতে পারতাম না। কিন্তু শঙ্খদা কি ওই কবিতার রিডারশিপে নির্বাচিত হয়েছিলেন? হবেন কী করে? তিনি তো নিজেকেই বঞ্চিত করেছিলেন। বিভাগে যেহেতু ড. সুরেশচন্দ্র মৈত্র বয়সে অগ্রজ, শঙ্খদা দরখাস্তই করেননি ওই পদের জন্য।" আবুল মোমেন লিখেছেন "শঙ্খদা বাঁধা পড়লেন তাঁর দ্বিতীয় দেশে, যেটি আদতে তাঁর প্রথম দেশ - পূর্ববঙ্গের ছোট্ট গাঁ বাণারিপাড়া, না-শহর না-গ্রাম পাকশি। কবির অন্তরে বাংলাদেশ বরাবর জেগেই থাকে, ঘুমিয়ে পড়ে না।" সৌরীন ভট্টাচার্য জানতেন না কার সঙ্গে প্রতিমার বিয়ে হয়েছে, শঙ্খ ঘোষের বাড়ি গেছেন। "দরজা খুলেছেন প্রতিমাদি, ঘরোয়া শাড়িতে প্রতিমাদি ওই বাড়িতে। আমার মুখ দিয়ে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিল, একী, আপনি এখানে? কী ভাগ্যিস, কেউ যেন ভিতর থেকে আমার গলা টিপে ধরেছিল।" শেফালী মৈত্র লিখছেন "শচীনদা (গঙ্গোপাধ্যায়) বিদেশ থেকে আনা বৃহদাকায় স্পুল-টেপরেকর্ডারে নিজের আর শঙ্খদার কিছু কবিতার আবৃত্তি রেকর্ড করেছিলেন ১৯৭৫ সালে। ২০১৮ সালে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই স্পুল থেকে একটিই সিডি তৈরি করা হল।"

উষারঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, তাঁর 'কবি ও কুইনী' নামক নিবন্ধ লেখার পর কুইনী (অমলা রায়চৌধুরী) চিঠিতে জানান লেখাটি পড়ে তিনি 'অভিভূত' হয়েছেন। শঙ্খদা পড়লেন মনোযোগ দিয়ে। বললেন, "চিঠিখানা যত্ন করে রাখো, কাজে আসতে পারে।" ২০০৫-০৬ সালে কুইনীর আত্মীয়া অভিযোগ তুললেন, 'আপত্তিকর' ছবি এঁকেছেন তিনি। কুইনীর জীবনাবসানের পর চিঠিখানা ঢাল হয়ে উঠে তাঁকে রক্ষা করল।

সুভাষ ভট্টাচার্য আপামর সকলের কথা লিখেছেন, "তাঁর চলে যাবার অর্থ, বাঙালির শেষ বৌদ্ধিক আশ্রয়টির সরে যাওয়া।" সুকান্ত চৌধুরীর মন্তব্য, "তাঁর ব্যক্তিত্বের একটা মূল বৈশিষ্ট্য এই সেটা হল বহুনন্দিত কীর্তির পাশাপাশি ব্যক্তিস্তরে এক অদ্ভুত অদৃশ্যতা।" আলপনা রায় লিখেছেন, ভ্রান্তিবিলাস, তাঁর মা শান্তিনিকেতনে শঙ্খ চৌধুরীকে চায়ের আমন্ত্রণ করতে গিয়ে শঙ্খ ঘোষের ঘরে চলে যান। "পরের দিন পড়ন্ত বিকেলে আমাদের বাড়িতে একসঙ্গে দুই শঙ্খের আগমন।"

সাধন চট্টোপাধ্যায় লিখছেন, তাঁর যুক্তি ছিল, 'শতাব্দীর শুরু' ১৪০১ নয়, ১৪০০ থেকে। আজকাল পত্রিকায় শঙ্খ ঘোষ নিজের "লেখাটিকে ভ্রান্ত বললেন, আমার মতো সামান্য এক গল্পলেখক যে ভুলটুকু ধরিয়ে দিয়েছে - ঋণ স্বীকার করলেন।"

অনন্যা সেনগুপ্ত জরুরি অবস্থায় শঙ্খের চিঠি উদ্ধৃত করেছেন "দেশ-আনন্দবাজারে আমার যে কবিতা ছাপাবার কথা ছিল, রাইটার্স বিল্ডিং তা বিপজ্জনক বিবেচনায় বাতিল করে দিয়েছে।" চিন্ময় গুহ স্মরণ করেছেন, "বুদ্ধদেব বসু 'কবিতা' পত্রিকায় অযাচিতভাবে মাত্র একটি শব্দ বদলানোয় তিনি এক দশক তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি।" প্রণব বিশ্বাসের স্মৃতিচারণ, "(সরস্বতী) পুরস্কারের অর্থমূল্যের পাঁচ লক্ষ টাকা তিনি (শঙ্খ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" দেবাশিস মজুমদারের অনুধাবন, " 'নাট্যশোধ' সংস্থার সভাপতি ছিলেন শঙ্খ ঘোষ। কর্ম-পরিচালনার পাশাপাশি থিয়েটারের ভালোবাসা কীভাবে জড়িয়ে ছিল তার বিস্তারে, সংরক্ষণে, সহযোগিতায়।" অভীককুমার দে উল্লেখ করেছেন, "বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ পরিকল্পিত 'ভারতকোষ' রূপায়নের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন শঙ্খদা তাঁদের অন্যতম।" পিনাকেশ সরকারের অবলোকন, "নিজের পয়সা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের নাটক বা ফিল্ম দেখতে নিয়ে যাওয়া, পিকনিক বা দার্জিলিং শান্তিনিকেতন পুরী চাঁদিপুরে বেরিয়ে পড়া (শারীরিক অসুবিধা সত্ত্বেও) - কিছু কম উৎসাহ ছিল না তাঁর।" সমীরণ নন্দী মনে করিয়েছেন, "আলুরদম বানানোর জন্য সবার সঙ্গে মিলে উনিও বসে পড়লেন ঝুড়িতে ঘসে ঘসে নতুন আলুর খোসা ছাড়াতে।" প্রভাতকুমার দাস লিখছেন, তাঁর ফ্ল্যাটের সুপারিশ পত্রে শঙ্খ লিখলেনঃ "তাঁর আবেদন পত্রে যে দুর্বিষহ অবস্থার কথা লিখেছেন তা আমি জানি। এবং এও জানি যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি শিশু সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন।" সব্যসাচী দেব লিখছেন, "দেখেছি জয়দেব বা আরো কোনো কোনো কবিকে, প্রতিষ্ঠার পরেও নিজের লেখা নিয়ে আসছেন, পরামর্শ চাইছেন স্যারের কাছে।" ভবেশ দাশ উল্লেখ করেছেন, "আঙুলের অপারগতায় যখন শঙ্খদা আর নিজের হাতে লিখতেই পারছিলেন না, তখন স্নেহাশিসের শ্রুতিলিখনেই তৈরি হয়েছে তাঁর সব লেখা।" আশীষ লাহিড়ীর অভিমত, "রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে নয়, রবীন্দ্রনাথকে আধুনিক মননের ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে, আত্মস্থ করে, তবেই একজন বাঙালির পক্ষে আধুনিক হওয়া সম্ভব।"

পুলক চন্দ লিখেছেন যাদবপুরে "একজন ছাত্রকেই (তিমিরবরণ সিংহ) জানতাম যে, কলকাতার নামী কলেজে বিজ্ঞান সাম্মানিকের পাঠ মাঝপথে থামিয়ে, দু'দুটো বছর নষ্ট করে, কবি শঙ্খ ঘোষের আকর্ষণে এসে ভর্তি হয়েছিল। ১৯৭১-এ বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলের বর্বর হত্যাকাণ্ডে সে নিহত হয়।"

অমিতাভ গুপ্তের স্মৃতি, "একদিন সকাল ন'টায় যাওয়ার কথা,... পৌঁছতে দুপুর দেড়টা হয়ে গেল। বিস্মিত হয়ে লক্ষ করি পূর্ণ প্রাতঃরাশের দুটি প্লেট। আরও বিস্মিত হয়ে শুধোলাম, আপনি এখন ব্রেকফাস্ট করছেন? ভাত খাবেন কখন? অতি মৃদুস্বরে শঙ্খ ঘোষ বললেন' ন'টার সময় আসবার কথা ছিল!"

শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, শঙ্খ ঘোষের চেষ্টায় অপুত্রক প্রবাসী বাঙালি নিমাই চট্টোপাধ্যায় উইল করে তাঁর 'সম্পত্তি ও জমানো মিলিয়ে ৫ কোটি টাকা বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-কে দান করে যান।' উৎপল ঝা'র অনুভূতি "জীবনের যে-পরম সত্য তিনি উপলব্ধি করেছেন - মানুষের মধ্যে আরেকখানা আরেকখানা আরেকখানা মানুষ, এই নিয়ে তার জীবন অথবা মৃত্যু।" অমর মিত্রের স্বীকারোক্তি, শঙ্খ জানাচ্ছেন, "অমর, 'পরিচয়' পত্রিকার সঙ্গে তোমার ভুল বোঝাবুঝির অবস্থানটা কি মিটেছে। ওটা কিন্তু মিটিয়ে নেওয়া ভালো।" স্বপন সোমের উপলব্ধি, "তাঁর দেখানো পথে নিজেদেরই আরও যোগ্য করে তুলতে হবে।" রামকুমার মুখোপাধ্যায় শঙ্খের সম্পাদনা প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, "সম্পাদিত পাণ্ডুলিপি এলো সেটা দেখে বুঝতে পারলাম আদর্শ সম্পাদনা কাকে বলে।" অনিতা অগ্নিহোত্রী লেখেন, "তিনি বামপন্থী চেতনার চিন্তক। কিন্তু কেমন তাঁর রাজনৈতিক ভাবনা? কোনও পার্টি পরিচিতির ছাঁচে ঢালা নয়।" গোপা দত্ত ভৌমিককে কবির উপদেশ, "তুমিও কিছু ছাত্রীকে তোমার মনের মতো গড়ে নিতে পারবে, মনে মনে এইটে চাইব সবসময়ে।" একরাম আলি বিস্মিত "সমস্ত লেখার প্রতিটা উদ্ধৃতি সেই সেই বই জোগাড় করে ফের উনি মিলিয়ে দেখবেন?"

অনসূয়া রায়চৌধুরী শঙ্খের কবিতার জীবনকে চলচ্চিত্রে ধরেছিলেন, "পড়ার সঙ্গে যুক্ত হল চিত্রনাট্যের খসড়া। শঙ্খবাবুর মনেও এবার স্থির হয়েছে বিশ্বাস - অনসূয়া এবার বানাবেই ছবিটা।" অভীক মজুমদার বিস্মিত শঙ্খবাবু "কেন যে বাদল সরকার আমাদের সঙ্গে 'রক্তকরবী' ক্লাস করতে চাইলে, উল্টোদিকে হাঁটতে শুরু করেছিলেন, জানি না।" বিশ্বজিৎ রায় লিখছেন "কাউকে কুণ্ঠা বা লজ্জার দিকে ঠেলে দেওয়া তাঁর সহজ-স্বভাব বিরোধী।" রুশতী সেনের অনুভব, "কোথায় বেশি কথা বললাম, কোথায় বা আর একটু বিস্তার থাকলে স্পষ্ট হতো, এসব ধরিয়ে দেওয়ার মানুষেরা অনেকেই আজ নেই।" সুদর্শন সেনশর্মার নিবেদন, "কবি রেখে গেলেন তাঁর লিখন-স্বর্ণভাণ্ডার। আমাদের হারিয়ে ফেলা বাতি ঘরের অনতিদূরে দাঁড়িয়ে কবিকে আমার আনত প্রণাম এবং অশ্রুলেখ।" সর্বানন্দ চৌধুরী মনে করিয়েছেন, "আমরা যে কেউ এঁকে টিভি স্টুডিয়োয় সঞ্চালকের মুখোমুখি বা উত্তেজিত সাংবাদিকের হাতে ধরা বুমের সামনে কখনো দেখিনি, একদিক থেকে তাও হয়তো নিজেকে এতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন বলেই।"

অনুরাধা মহাপাত্র বলছেন, "আমাদের মতো যারা গ্রামে ও শহরে বরাবর প্রান্তিক কোণঠাসা হয়ে লড়াই করে গেছে শঙ্খ ঘোষ বরাবরই সময়ের থেকে এগিয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।"

সন্দীপন চক্রবর্তী মনে করিয়েছেন, "শরীরের কথা জিজ্ঞাসা করলেই 'ভালো' বলে পাশ কাটিয়ে অন্য কথায় যাওয়ার চেষ্টা করতেন। ফলে অনেকেই ধরে নিত যে, তাহলে তো এখন যা খুশি অত্যাচার করাই যেতে পারে।"

সখা অভিভাবক প্রতিম শঙ্খ ঘোষের নানা ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বহুমাত্রিক চিত্র। মনস্ক পাঠ ছাড়া বর্ণনায় অনুভব সম্ভব নয়।

সম্পাদনা অভ্র ঘোষ। বলিষ্ঠ প্রচ্ছদ সোমনাথ ঘোষের। প্রায় বিজ্ঞাপন বিহীন এ সুমুদ্রিত পত্রিকার ব্যয়ভার বহন করা সত্যিই দুরূহ। ব্যবস্থাপনা দপ্তরে যোগাযোগের কোনো ফোন নম্বর বা ই-মেল ঠিকানা পাওয়া গেল না।

সংগ্রহে রাখার মত দলিল। দাম ২৫০ টাকা।