আরেক রকম ● দশম বর্ষ দ্বাদশ সংখ্যা ● ১৬-৩০ জুন, ২০২২ ● ১-১৫ আষাঢ়, ১৪২৯
সমসাময়িক
‘খেলা হবে’ নয়, খেলা চলছে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের জনসভায় হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছেন যে, রাজ্য ভাগের দাবি কোনোমতেই মানা হবে না। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় প্রত্যয়।
কিন্তু তাঁর কথা এবং কাজের উপর কি আস্থা রাখা যায়? রাজ্য ভাগের দাবি যাঁরা করছেন তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সুমধুর সম্পর্ক কি ইতিমধ্যেই বারেবারেই প্রকাশিত হয়নি? রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জনজাতির জন্য আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে তুলে তিনি কি ভাগাভাগির প্রস্তাবকে স্বীকৃতি দেননি?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ফেরারি জিসিপিএ-র (গ্রেটার কোচবিহার পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশন) নেতার সঙ্গে একই মঞ্চ থেকে ভাষণ দিলেন। তারিখটা ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।
সাবেক কোচবিহার রাজ্যের সেনাপতি চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনন্ত 'মহারাজ'। তাঁর আমন্ত্রণে মঞ্চে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে সভাস্থলে আসার পথ দেখিয়ে এনেছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশনের তরুণ প্রজন্মর স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী। তাদের পোশাকি নাম ‘নারায়ণী সেনা’। মঞ্চে বক্তৃতাপর্বে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, রাজ্য সরকার যে 'নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান' তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তাতে নারায়ণী সেনার যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এই শতাব্দীর সূচনালগ্ন থেকেই কোচবিহার জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশন’ (জিসিপিএ) বা চলতি কথায় গ্রেটার। সংগঠনের মূল দাবি, ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের ভারতভুক্তির সময় যে চুক্তি হয়েছিল সেটা নাকি মানা হয়নি। ভারত সরকার কোচবিহারকে জেলা করে রেখেছে। একে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে। শুধু কোচবিহার জেলা নয়, নরনারায়ণ রাজা থাকাকালীন রাজ্যের যে আয়তন ছিল, সেটাই ফেরাতে চায় জিসিপিএ। সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের করতোয়া নদী থেকে আসামের বেশ কিছু অংশ নিয়ে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিদার তারা। সবমিলিয়ে আসাম, পশ্চিমবঙ্গের তো বটেই বাংলাদেশেরও দুটি জেলা নিয়ে তৈরির দাবি নিয়ে গ্রেটার যাত্রা শুরু করেছিল। এখন সেই দাবি পূরণের খুব বেশি আশা না থাকলেও, অন্য আরও কিছু দাবি নিয়ে গ্রেটার সরব।
গ্রেটারের নেতা অনন্ত রায় স্বঘোষিত ‘মহারাজ’। নিজেকে রাজা ঘোষণা করাই শুধু নয়, কোচবিহার শহরের কাছেই চকচকা গ্রামে একটি রাজবাড়িও বানিয়েছিলেন তিনি। রাজকীয় জীবনযাত্রাই ছিল একটা সময় পর্যন্ত। অনন্তের অধীনে ‘নারায়ণী সেনা’ নামে পৃথক বাহিনী রয়েছে বলে খবর পায় প্রশাসন। সেই বাহিনী ২০১৬ সালের ২৮ অগস্ট (কোচবিহারের ভারতভুক্তি হওয়ার তারিখ) অনন্তকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার পরিকল্পনা করলে তাতে বাধা দেয় রাজ্য সরকার। ‘নারায়ণী সেনা’কে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) প্রশিক্ষণ দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়। যদিও সে অভিযোগ বরাবরই নাকচ করেছে বিএসএফ। অনন্ত রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ফলে ২০২০-র অগস্ট মাসের পর থেকে অনন্ত 'মহারাজ' আর সেখানে থাকতে পারেন না। নানা অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সেই সময় পুলিশ রাজবাড়িতে হানা দিলে তিনি সপরিবারে পালিয়ে যান। তারপর থেকে আসামের চিরাং জেলার সতিবরগাঁও গ্রামে তাঁর বসবাস। তখন থেকেই সাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ।
চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্থানের পর অনন্ত 'মহারাজ' জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি কী করবেন, সেটা তাঁর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু তিনি বা তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানে রাজবংশী যুবকদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোনও দাবি পেশ করা হয়নি। এ বিষয়ে তাঁরা পর্যালোচনা করবেন। গ্রেটার সংগঠনের ছেলেরা নারায়ণী ব্যাটেলিয়নে যোগদান করতে চাইলে, সেটা তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।
এখানেই প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত একটি সংগঠনের কর্মীদের কেন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হল? তারও আগের প্রশ্ন, স্বঘোষিত 'মহারাজ' অনন্ত রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা ফৌজদারি মামলাগুলি কি তুলে নেওয়া হয়েছে? যদি প্রত্যাহার করা হয়ে থাকে তবে কবে এবং কী কারণে তোলা হয়েছে? প্রত্যাহৃত না হলে অভিযুক্ত ফেরারি ব্যক্তি আয়োজিত সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কী বার্তা দিতে চাইছেন?
সরকারের কোনো মন্তব্য নেই। সংবাদমাধ্যম নীরব। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রীর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশে উচ্চস্বরে হুঁশিয়ারি! এই ধরনের দ্বিচারিতার কারণ মুখ্যমন্ত্রীকেই ব্যাখ্যা করতে হবে।
কেন্দ্রের ও রাজ্যের শাসকদলের কাছে অনন্ত 'মহারাজ' এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য দেশের অমিত পরাক্রমশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুয়াহাটিতে রাত কাটিয়ে সকাল সকাল হেলিকপ্টার চড়ে বঙ্গাইগাঁও পৌঁছে গাড়িতে চড়ে চলে যান আসামের চিরাং জেলার প্রান্তিক গ্রাম সতিবরগাঁও। আলোচনা ও প্রাতরাশ সেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদায় নেওয়ার পর অনন্ত 'মহারাজ' কথা প্রসঙ্গে সেদিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে হঠাৎ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি নির্ধারিত হয়নি। ২০২১-এর জানুয়ারিতে তিনি দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখনই উনি মহারাজের কিছু কিছু দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে নাকি সম্মতি দিয়েছিলেন। সেইদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ চিরাং জেলার সতিবরগাঁও গ্রামে এসে বিস্তারিত কথা বলবেন। দিল্লিতে কথা হয়ে যাওয়ার পরেও মাত্র আধ ঘণ্টার আলোচনার জন্য এত পরিশ্রম? এত অর্থ ও সময় বিনিয়োগ?
উত্তর খোঁজার জন্য গবেষণার দরকার নেই। এ সেই সার্বিক কর্মসূচির অঙ্গ। জনৈক বিচ্ছিন্নতাবাদীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রকারান্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর রাজবংশী জনগোষ্ঠীর কাছে এই বার্তাই এনে দিয়েছিল যে দেশের অন্যান্য সমস্যার দিকে নজর না দিলেও চলবে; রাজবংশীদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠন এক এবং একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূল দাবি, 'গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য' গঠন ছাড়াও রাজবংশী ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি, রাজবংশীদের তফসিলি জনজাতি ঘোষণা, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে 'নারায়ণী রেজিমেন্ট' তৈরির দাবি-সহ অনেক দাবি নিয়েই নাকি সেদিন আলোচনা হয়েছিল।
রাষ্ট্রদোহিতার অনেকগুলি মামলায় অভিযুক্ত জনৈক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিভৃতে কী আলোচনা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত না হলেও একটি বিষয় পরিষ্কার; সেদিন প্রচ্ছন্ন ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে ঠিক এক বছর পর ২০২২-এর ১৬ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত অনন্ত 'মহারাজ' আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন। তারপর হঠাৎ করে জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন তখন তার কোনো গুরুত্ব থাকে কি?
১৬ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্থানের পর ওই একই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তুফানগঞ্জের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী। তুফানগঞ্জের বিধায়ক বলেছিলেন উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি থেকে তাঁরা সরে আসেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তিনি এই মন্তব্য করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অবিশ্যি অত্যন্ত সংযত। সুকৌশলে বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বাংলা ভাগ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ‘কোচবিহারবাসীর মুক্তি’র কথা বলেছিলেন। একই সঙ্গে 'নারায়ণী রেজিমেন্ট'-এর দাবিও তিনি তুলেছিলেন।
পিছিয়ে নেই আসামের মুখ্যমন্ত্রীও। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি নিষিদ্ধ সংগঠন কেএলও-র (কামতাপুরী লিবারেশন অর্গানাইজেশন) দেশান্তরী নেতার সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল আলোচনা করছেন। সেই দেশান্তরী কেএলও নেতা সম্প্রতি আবার ভিডিও বার্তায় রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাগ করে কামতাপুর রাজ্য প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছেন।
রাজ্য ভাগের দাবি বিজেপি সরাসরি করেনি। এমনকি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সম্প্রতি এই প্রস্তাব নাকচ করেছেন। বাস্তব চিত্র কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হওয়ার পরই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ প্রথম বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছিলেন। এবং এখনও নিয়মিত এই দাবির পক্ষে প্রচার করে যাচ্ছেন। এ প্রস্তাব একান্তই সাংসদের নিজস্ব, দলের এতে কোনও সায় নেই বলা হলেও ২০২১-এর জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। অর্থাৎ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও দ্বিচারিতায় সমৃদ্ধ।
কখনও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি আবার কখনও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মঞ্চে উপস্থিত থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী। একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্ন থেকেই চলছে এই সখ্য। তখন অবিশ্যি দল হিসেবে বিজেপির সঙ্গেও তাঁর আঁতাত ছিল। ২০০১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয়েছিল 'বাংলা বাঁচাও ফ্রন্ট'। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি, কামতাপুর পিপলস্ পার্টি (কেপিপি)। প্রকৃতপক্ষে কেপিপি হল একটি রাজনৈতিক সংগঠন যার সশস্ত্র বাহিনীর নাম কেএলও। সেই সখ্য এখন কি বৈরিতায় পরিণত হয়েছে? বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ছাড়াও সরকারের নির্দেশনামা কিন্তু অন্য কথা বলে। গ্রেটারের এক অংশের নেতা বংশীবদন বর্মণ এখন রাজ্য সরকারের 'রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ'-এর অধ্যক্ষ। তিনিই আবার 'রাজবংশী ভাষা আকাডেমী'-র অধ্যক্ষ।
সবমিলিয়ে 'খেলা হবে' শ্লোগান দিয়ে এক ভয়ঙ্কর খেলা শুরু হয়েছে। অঙ্কের ছক পরিষ্কার। কোনো জটিলতা নেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দুই পক্ষই প্রকারান্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন ভাবে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। অথবা বলা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। দুই পক্ষই বোধ হয় খেয়াল করছে না যে আগুন হাতে 'খেলা হবে' ঘোষণা করে খেলতে শুরু করলে হাত পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরো একশো শতাংশ। এ এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম নৈর্ব্যক্তিক আচরণ করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা দরকার। এই পরিসরে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক আরও বেশি করে বিচ্ছিন্নতাবাদের সঙ্গে সমঝোতার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এখনই এই বিপজ্জনক প্রবণতার বিরুদ্ধে সমস্ত গণতান্ত্রিক মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। আর সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন নিয়ে খেলা অবিলম্বে বন্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে দেশ এবং রাজ্যকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত গণতান্ত্রিক মানুষকে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্য ভাগের খেলা খেলতে দেওয়া যাবে না।